সারাদেশ

চবিতে ছাত্রলীগের উন্নয়ন কনসার্ট ও আলোচনা সভা

ডেস্ক রিপোর্ট: চবিতে ছাত্রলীগের উন্নয়ন কনসার্ট ও আলোচনা সভা

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) শাখা ছাত্রলীগের উপগ্রুপ ভার্সিটি এক্সপ্রেসের (ভিএক্স) উদ্যোগে উন্নয়ন কনসার্ট, আলোচনা সভা ও নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত আটটায় ‘ওয়ান্স অ্যাগেইন শেখ হাসিনা’ প্রতিপাদ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সোহরাওয়ার্দী হল মোড়ে আয়োজিত হয় এ অনুষ্ঠান।

ছাত্রলীগ নেতা মেহেদী হাসান হৃদয়ের সঞ্চালনায় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি ও ভিএক্স গ্রুপের নেতা প্রদীপ চক্রবর্তী দুর্জয় বলেন, তোমরা যারা নবীন আছো তাদেরকে অভিনন্দন জানাচ্ছি। আমাদের নেতা আ জ ম নাসির উদ্দীনকে জননেত্রী শেখ হাসিনা পূর্বেও মূল্যায়ন করেছেন ভবিষ্যতেও করবেন। মৌলবাদী শক্তি বলে এদেশের জনগণের নাকি বাক স্বাধীনতা নাই। বাক স্বাধীনতা যদি নাই থাকে তাহলে তাদের নেতা বিদেশ থেকে ভিডিও বার্তা কীভাবে পাঠায়। তোমাদের প্রতি অনুরোধ তোমাদের শিক্ষাজীবন শুরু হয়েছে মাত্র। তোমাদের শেষটা যেন এমন হয় যাতে তোমরা চলে যাওয়ার পরে যেন মানুষ তোমাদেরকে দিয়ে উদাহরণ দেয়।

তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রাজনীতি করতে হবে। চবি শাখা ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস রয়েছে। কিন্তু অনেক সময় আমাদের ছোট ছোট কিছু ভুলের কারণে সেই ইতিহাসগুলো ঢাকা পড়ে যায়। নতুন যারা আছেন হয়তো এটা অনেকেই জানেন না সারা বাংলাদেশের যতগুলো ছাত্রলীগের ইউনিট আছে তার মধ্যে চবি ও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম সবচেয়ে বেশি আসতো। আমাদের অনেক ত্যাগ স্বীকার করে আজকে এখানে আসতে হয়েছে। নেতা আমাদেরকে সার্বিক নির্দেশনা দিয়ে সবসময় সহযোগিতা করেন এবং খবর রাখেন। আমাদেরও যথেষ্ট ভরসা আছে নেতার প্রতি।

সহকারী প্রক্টর নাজমুল আলম মুরাদ বলেন, আমরা এমন এক সময়ে অবস্থান করছি যখন শকুনের নিশ্বাস আমরা শুনতে পাচ্ছি। এমন মূহুর্তে ছাত্রলীগের এ প্রোগ্রাম করাই তাদেরকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমরা ছাত্রদের জন্য কাজ করি। অনেকসময় কিছু সমস্যা হয়। তবে আমরা চেষ্টা করি সবসময় ছাত্রদের পাশে থাকতে। আমরা শেখ হাসিনার পাশে আছি। আমরা জননেত্রীর ভ্যানগার্ড হিসেবে কাজ করে যাবো।

আরেক সহকারী প্রক্টর আফজালুর রহমান রিমন বলেন, বঙ্গবন্ধুর কাজগুলোকে তোমাদের ধারণ করতে হবে। বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশকে অল্প সময়ে স্বাধীন করেছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনাদর্শ থেকে আমাদের শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে।

এছাড়া আরও বক্তব্য রাখেন, শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি মুজিবুর রহমান, রুমেল হোসেন, সাদেক হোসেন টিপু, মারুফ ইসলাম, নেছারুল করিম, ইয়াছির আরাফাত, সৈয়দ আমীর হোসেন, ইমামুদ্দিন ও আলামিন শান্ত, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ফরাজি সজিব, সাবেক অর্থ সম্পাদক মাহির মোহাম্মদ মাহফুজ, সাবেক উপ সম্পাদক মুনসুর আবেদীন ও ছাত্রলীগ নেতা পিয়ারুল ইসলাম।

এছাড়া উপস্থিত থেকে বক্তব্য প্রদান করেন চবি সাংবাদিক সমিতির সভাপতি মাহবুব এ রহমান ও সাধারণ সম্পাদক ইমাম ইমু

‘আয়কর তথ্য-সেবা প্রদান’ শিরোনামে জাবিতে আয়কর মেলা

ছবি: বার্তা২৪.কম

‘আয়কর তথ্যসেবা প্রদান’ শিরোনামে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও শিক্ষক সমিতির আয়োজনে এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-১১ এর সহযোগিতায় প্রথমবারের মতো বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে আয়কর মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে আয়কর মেলার উদ্বোধন করেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোঃ নূরুল আলম, কর কমিশনার রওনক আফরোজ এবং অন্যান্য অতিথিগণ আয়কর তথ্য-সেবা কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। এসময় আয়কর তথ্যসেবা কেন্দ্রগুলো বিকেল চারটা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাদের আয়কর গ্রহণ করে।

বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথমবারের মতো অনুষ্ঠিত আয়কর মেলার উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপাচার্য জাতীয় রাজস্ব বোর্ড কর্তৃপক্ষকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে এসে আয়কর তথ্য সেবা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জ্ঞাপন পূর্বক বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের এ কার্যক্রমের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তা এবং কর অঞ্চল-১১ এর কর প্রদানকারীরা উৎসবমুখর পরিবেশে সহজে-নির্বিঘ্নে আয়কর প্রদান করতে পারছে। এতে তাদের ঢাকায় গিয়ে আয়কর জমা দেওয়ার কষ্ট দূর হয়েছে। আশা করছি ভবিষ্যতেও এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।

অনুষ্ঠানে শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. ফরিদ আহমদ তার অভিমত ব্যক্ত করতে গিয়ে বলেন, আয়কর তথ্য সেবা প্রদান বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আয়োজনের ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-কর্মকর্তাগণ আয়কর প্রদানের পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট অন্যান্য তথ্যও জানতে পারছেন।

অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক শেখ মোঃ মনজুরুল হক, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. রাশেদা আখতার, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার, প্রক্টর এবং জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের কর অঞ্চল-১১ ও ঢাকার কর কমিশনার রওনক আফরোজ, অতিরিক্ত কর কমিশনার সাধন কুমার রায়, যুগ্ম কর কমিশনার ফারজানা নাজনীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

;

ঢাবিতে অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত

ছবি: বার্তা ২৪

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘কবি-অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান স্মারক বক্তৃতা’ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে এ স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক মমতাজ উদ্দিন আহমেদ-এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. আবদুল বাছির বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। ‘রবীন্দ্রনাথের ‘খাপছাড়া’, ‘ছড়ার ছবি’, ‘ছড়া’-পাণ্ডুলিপির আলোকে’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন রবীন্দ্র সৃজনকলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ। স্বাগত বক্তব্য দেন ট্রাস্ট ফান্ডের দাতা মিসেস রাশিদা জামান। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন বাংলা বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. ফাতেমা কাওসার। অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন রেজিস্ট্রার প্রবীর কুমার সরকার।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ এস এম মাকসুদ কামাল প্রয়াত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বনামধন্য এই গুনী শিক্ষক ছিলেন একজন খ্যাতিমান গবেষক, কবি, গীতিকার, প্রাবন্ধিক ও গল্পকার। তিনি শিক্ষা বিস্তারে ও বাংলা সাহিত্যের প্রসারে অসামান্য অবদান রেখে গেছেন। তিনি কবিগুরু রবীন্দ্রনাথের ৩টি অসাধারণ সৃষ্টিকর্ম নিয়ে স্মারক বক্তৃতা প্রদান করায় অধ্যাপক সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান-এর মূল্যবোধ ও দর্শন ধারণ করে শিক্ষা, জ্ঞান ও গবেষণায় এগিয়ে যাওয়ার জন্য উপাচার্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানাই।

অধ্যাপক ড. সৈয়দ মোহাম্মদ শাহেদ তার স্মারক বক্তৃতায় রবীন্দ্রনাথের ‘খাপছাড়া’, ‘ছড়ার ছবি’ ও ‘ছড়া’ গ্রন্থের পাণ্ডুলিপি ও প্রাসঙ্গিক বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেন।

উল্লেখ্য, বিশিষ্ট কবি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় বাংলা বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান ১৯৩৬ সালের ১৫ আগস্ট যশোরে জন্মগ্রহণ করেন এবং ২০০৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর ইন্তেকাল করেন।

;

রাবির চারুকলা অনুষদে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান

ছবি: বার্তা ২৪.কম

প্রথমবারের মতো রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) চারুকলা অনুষদের শিক্ষার্থীদের মাঝে ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রদান করা হয়েছে। সোমবার (২৭ নভেম্বর) সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদীন একাডেমিক ভবনের সামনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই অ্যাওয়ার্ড প্রদান করেন রাবি উপাচার্য অধ্যাপক গোলাম সাব্বির সাত্তার।

অ্যাওয়ার্ড প্রদান ছাড়াও এই অনুষ্ঠানে চারুকলা অনুষদের অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের সম্মাননা এবং অনুষদের প্রয়াত অধ্যাপক গোলাম ফারুকের নামে প্রিন্টমেকিং স্টুডিওর উদ্বোধন করা হয়।

২০১৮ সাল থেকে ২০২১ সাল পর্যন্ত বিএফএ সম্মান পরীক্ষায় অনুষদে সর্বোচ্চ ফলাফলের ভিত্তিতে প্রথমবারের মতো ডিনস্ অ্যাওয়ার্ড প্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের কারুশিল্প ডিসিপ্লিনের মনিকা এমেলিয়া (২০১৮) ও খাদিজাতুল কোবরা (২০১৯) এবং একই বিভাগের শিল্পকলার ইতিহাস ডিসিপ্লিনের আল মুহতামিম (২০২০) ও আনিকা মাইসা রহমান বর্ষা (২০২১ সম্মাননা পাওয়া অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকগণ হলেন- চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক মো. আবু তাহের ও সিদ্ধার্থ শঙ্কর তালুকদার, মৃৎশিল্প ও ভাস্কর্য বিভাগের অধ্যাপক আব্দুল মতিন তালুকদার, গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান ও অধ্যাপক মিরাতুল আরা। এছাড়া অনুষ্ঠানে চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের অধ্যাপক মো. গোলাম ফারুককে মরনোত্তর সম্মাননায় ভূষিত করা হয়।

অনুষ্ঠানে অ্যাওয়ার্ড ও সম্মাননা প্রদান শেষে এক আলোচনা সভায় অনুষদের গ্রাফিক ডিজাইন, কারুশিল্প ও শিল্পকলার ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক এএইচএম তাহমিদুর রহমানের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাবি উপাচার্য বলেন, চারুকলা বিষয়টি বিশ্বে যত জাগতিক পরিবর্তন হয়েছে তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। চারুকলার সঙ্গে বাংলার জন্মের ইতিহাসও জড়িত। আমাদের ভাষার জন্য যে আন্দোলন, পরবর্তীতে ৬৬’র আন্দোলন প্রতিটি আন্দোলনে চারুশিল্পীদের অবদান আছে।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করছি কিভাবে এই অনুষদের বিভাগগুলোকে আরও আধুনিক করা যায়। আমরা বর্তমানে আধুনিক শিল্প বিপ্লবে ঢুকে গেছি। এখানে নিজেকে পণ্য হিসেবে গড়ে তুলতে না পারলে আমরা খুব বেশিদিন টিকতে পারব না। এজন্য বিশ্বের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের শিক্ষকদের কারিকুলাম প্রণয়ন করতে হবে। আমাদের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের যে সম্পর্ক সেটার নিবীড়তা বাড়াতে হবে। আমাদের শিক্ষার্থীদের জ্ঞান-বিজ্ঞান, কম্পিউটার গ্রাফিক্স ও আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স নিয়ে দক্ষতা অর্জন করতে হবে। এ সময় তিনি চারুকলার কাজগুলোকে তুলে ধরার জন্য অনুষদকে নিজস্ব ডোমেইন তৈরির পরামর্শ দেওয়ার পাশাপাশি পুরষ্কারপ্রাপ্ত শিক্ষাথীদের অভিনন্দন জানান।

সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রাবি উপ-উপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক হুমায়ুন কবীর সকলকে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষকদের যথাযথ সম্মান প্রদর্শনের পরামর্শ দেয়। পাশাপাশি অনুষদের শিক্ষকদের যথাসময়ে ক্লাস-পরীক্ষা নিয়ে ফল প্রকাশের নির্দেশনা দেন।

এছাড়াও অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে দেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক অবায়দুর রহমান প্রামাণিক।

সভা শেষে চারুকলা অনুষদের চিত্রকলা, প্রাচ্যকলা ও ছাপচিত্র বিভাগের প্রয়াত অধ্যাপক গোলাম ফারুক প্রিন্টমেকিং স্টুডিওর উদ্বোধন করা হয়।

;

ইবি ছাত্রলীগ সহ সভাপতির অডিও রেকর্ড ফাঁস 

ইবি ছাত্রলীগ সহ সভাপতির অডিও রেকর্ড ফাঁস 

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি তন্ময় সাহা টনির কণ্ঠের মতো শাখা ছাত্রলীগের কমিটির পদে রদবদল সংক্রান্ত একটি কথোপকথন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ফাসঁ হয়েছে। 

অডিওতে উপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ আবদুস সালাম বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসা ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাধনের নাম শোনা যায়। এ সময় শাখা ছাত্রলীগের কমিটিতে রদবদলের চেষ্টা করার কথা শোনা যায়।

গতকাল রোববার (২৬ নভেম্বর) রাতে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম জান্নাতুল ফেরদৌস স্নিগ্ধা নামক আইডি থেকে অডিওটি ফাঁস হয়। ওই পোস্টের ক্যাপশনে লেখা হয়- ‘অভিনন্দন আমাগো দাদু ভারপ্রাপ্ত সভাপতি, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ, হায়রে দল, হায়রে রাজনীতি, নেতা হতে গিয়ে নিজ দলের ভাবমূর্তি নষ্ট করলে দাদু। তোমার তো সংগঠন থেকে বহিস্কার শুধু না ফাঁসি হওয়া উচিৎ।’

১ মিনিট ৩২ সেকেন্ডের ফাঁসকৃত অডিওটির চুম্বক অংশে অজ্ঞাত এক ব্যক্তির কাছে বলা হয়, এখন যেহেতু ভাইস চ্যান্সেলর নাই, বাধন ভাইয়ের সাথে কথা হয়েছে। ভাইকে বললাম ভাই। তিনি বললেন, যদি কপালে ঠিকঠাক থাকে তাহলে ভারপ্রাপ্ত (শাখা ছাত্রলীগের সহসভাপতি থেকে ভারপ্রাপ্ত সভাপতি) করে দিবনে। ওর নামে যে এলিগেশন আছে কয়টা নিউজ করায়া, ওটা নিয়ে একটা ইস্যু করায়া, ওরে সরায়া আপনাকে দায়িত্ব দিয়ে দিবনে।

ফাঁসকৃত অডিওর বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সিনিয়র সহ সভাপতি তন্ময় সাহা টনি বলেন, ফাঁস হওয়া অডিওর সাথে আমার ভয়েসের নূন্যতম কোনো মিল নেই। কেউ আমাকে বিতর্কিত করার জন্য উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে এসব ছড়াচ্ছে। আমি রাজনৈতিক জীবনে এমন কোনো কাজ করিনি, যার কারণে আমার ব্যক্তিগত ও সংগঠনের ইমেজ নষ্ট হবে।

এ বিষয়ে বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সহ সভাপতি বরিকুল ইসলাম বাধন বলেন, আমার ছয়মাস ওর (তন্ময় সাহা টনি) সাথে কোন প্রকার কথা হয়নি। ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিষয়ে আমি মাথা ঘামাই না। কেউ যদি আমার নাম ব্যবহার করে কোন কথা বলে থাকে এটা তার একান্ত ব্যক্তিগত ব্যাপার। ওকে আমাদের কোনপ্রকার হেল্প করার সুযোগ নাই।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *