সারাদেশ

ডিসেম্বরে উপকূলে ফের আঘাত করতে পারে ঘূর্ণিঝড়

ডেস্ক রিপোর্ট: ডিসেম্বরে উপকূলে ফের আঘাত করতে পারে ঘূর্ণিঝড়

ছবি: সংগৃহীত

ডিসেম্বরের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত করতে পারে মনে করছেন আবহাওয়া ও জলবায়ুবিষয়ক পিএইচডি গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ।

সাম্প্রতিক মিধিলি ঘূর্ণিঝড়ের পথেই এই ঘূর্ণিঝড় আগাবে বলে মন্তব্য করেছেন তিনি।

সোমবার (২৪ নভেম্বর) রাতে আবহাওয়া ওয়েবসাইটে কানাডার সাসকাচোয়ান বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক মোস্তফা কামাল পলাশ এ তথ্য জানিয়েছেন।

বঙ্গোপসাগরে অবস্থিত আন্দামান ও নিকোবার দ্বীপের দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে একটি লঘুচাপ সৃষ্টি হয়েছে। লঘুচাপটি মঙ্গলবারের (২৮ নভেম্বর) মধ্যে সুস্পষ্ট লঘুচাপ ও বুধবারের (২৯ নভেম্বর) মধ্যে নিম্নচাপে পরিণত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এরপর নিম্নচাপটি ডিসেম্বর মাসের ১ তারিখ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে গভীর নিম্নচাপে ও ডিসেম্বর মাসের ৩ থেকে ৫ তারিখের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ ঘূর্ণিঝড়ে (মিগজাউম/মিচাহং) পরিণত হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। 

টাঙ্গাইলে থেমে থাকা বাসে আগুন

ছবিঃ বার্তা২৪.কম

টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার নাটিয়াপাড়া এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের ডুবাইল ইউনিয়নের নাটিয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় কোন হতাহত হয়নি।

স্থানীয়রা জানায়, ঢাকা মেট্রো ব-১৪-০০৯৪ বাসটি টাঙ্গাইল বাসস্ট্যান্ড থেকে মির্জাপুর ও সখিপুর রোডে প্রতিদিন যাতায়াত করে থাকে। বাসটি মাঝে মাঝে মির্জাপুর গার্মেন্টসের কর্মীদেরও নিয়ে আসা যাওয়া করে। আজকে গার্মেন্টসের কর্মী নামিয়ে বাসটি নাটিয়াপাড়া মহাসড়কের পাশে দাঁড় করিয়ে রেখেছিল। পরে হঠাৎ রাত সাড়ে ১১টার দিকে বাসের ভিতরে ঘুমিয়ে থাকা হেলপার বাবলু মিয়া আগুন দেখতে পেয়ে আশেপাশে থাকা মানুষদের ডাক দেয়। পরে ফায়ার সার্ভিসকে মোবাইল করলে তারা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বাসের হেলপার বাবলু মিয়া বলেন, মহাসড়কের পাশে বাস দাঁড় করিয়ে রেখে আমি ঘুমিয়ে যাই। কিছুক্ষণ পরে দেখি বাসের পিছনে আগুন। এ কথা বলতে বলতেই জ্ঞান হারিয়ে ফেলেন বাসের হেলপার।

দেলদুয়ার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার রাসেল মিয়া বলেন, স্থানীয়রা সংবাদ দিলে আমরা এসে বাসটির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনি। বাসে শুধু হেলপার ছিল সে আগুন দেখেই বের হয়ে আসে তাই কোন হতাহত নেই। তবে বাসের ভেতর অনেকাংশই পুড়ে গেছে।

এ ব্যাপারে দেলদুয়ার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান জানান, বাসস্ট্যান্ডে দাঁড় করিয়ে বাসের ভেতর হেলপার ঘুমাচ্ছিল। সে পেছনে হঠাৎ আগুন দেখতে পায়। আগুন দেখে বাহিরে বের হয়ে এসে সবাইকে ডাক দেয়। পরে আশেপাশের লোকজন এসে ফায়ার সার্ভিসকে কল দিলে তারা অতিদ্রুত এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এটা যে নাশকতা তা প্রাথমিকভাবে ধারণা করা যাচ্ছে। আলামত সংগ্রহ করা হচ্ছে। তদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।

;

ঈশ্বরদীতে মেইল ট্রেনে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

ঈশ্বরদীতে মেইল ট্রেনে আগুন দিল দুর্বৃত্তরা

পাবনার ঈশ্বরদীতে একটি ট্রেনের বগিতে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। এতে ট্রেনের একটি বগির ১১টি সিট পুড়ে গেছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশন স্টেশনের ওয়াশফিটে রাখা চাঁপাইনবাবগঞ্জ-ঈশ্বরদী-ঢাকা রুটে চলাচলকারী ট্রেনের একটির বগিতে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা গিয়ে দ্রুত আগুন নিয়ন্ত্রণ আনেন।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনী, স্টেশন কর্তৃপক্ষসহ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, অবরোধকারীরা মুখ বাঁধা অবস্থায় ওই ট্রেনের ছয় নাম্বার বগিতে পেট্রোল ঢেলে আগুন ধরিয়ে দিয়ে দ্রুত দৌড়ে পালিয়ে যায়। তাৎক্ষণিক স্টেশনের টহল নিরাপত্তা বাহিনী ও পুলিশ ধাওয়া করেও তাদের ধরতে পারেনি। 

বিষয়টি নিশ্চিত করে ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি-তদন্ত) এবিএম মনিরুল ইসলাম বলেন, বেসরকারিভাবে পরিচালিত ঢাকা মেইল ট্রেন ঈশ্বরদী রেলওয়ে জংশনে ওয়াশের (ধোয়া-মুছা) জন্য দাঁড়িয়ে ছিল। আগামীকাল এটি ঢাকার উদ্দেশ্যে স্টেশন ছেড়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আজ রাত ৮টার দিকে কে বা কারা কেরোসিন ঢেলে এতে আগুন দিয়েছে। এতে ট্রেনের একটি বগির কয়েকটি সিট পুড়ে যায়। দ্রুত ফায়ার সার্ভিসের লোকজনকে খবর দিলে তারা এসে নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঈশ্বরদী ফায়ার সার্ভিসের ওয়্যারহাউজ ইন্সপেক্টর অপু মণ্ডল জানান, রাত সাড়ে ৮টায় খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। আগুনে একটি বগির ১১টি সিট পুড়ে গেছে।

;

চীন-বাংলাদেশের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে: চীনা রাষ্ট্রদূত

ছবি: সংগৃহীত

দীর্ঘদিন থেকেই চীন-বাংলাদেশ পারস্পরিক সহযোগিতা বাড়ছে বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, বিগত ১০ বছরে বাংলাদেশে অনেক পরিবর্তন হয়েছে, চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন উন্নয়নে সহযোগিতা করেছে। এখানে আমাদের বন্ধুত্ব বৃদ্ধি পেয়েছে।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালায় শুরু হওয়া ‘আর্ট এন্ড ফটোগ্রাফি’ শীর্ষক প্রদর্শনীতে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, এরকম একটি প্রদর্শনীর মধ্য দিয়ে চীন ও বাংলাদেশের বন্ধুত্বের সঙ্গে দুই দেশের তরুণ প্রজন্মও অনেকখানি এগিয়ে গেল। দুই দেশের তরুণদের মধ্যে ঐতিহ্য-সংস্কৃতি জেনে নিতে এবং নিজেদের আরও প্রফুল্ল করতে সহযোগিতা করাই আমাদের এই প্রদর্শনীর মূল উদ্দেশ্য।

এসময় চিত্রশালার ২ নম্বর গ্যালারিতে ছয়দিনের এই প্রদর্শনীর উদ্বোধনও করেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। বাংলাদেশের বেল্ট এন্ড রোড ইনিশিয়েটিভ ও চীনের বন্ধুত্বের দশ বছর পূর্তিতে শিল্পকর্ম ও আলোকচিত্র দিয়ে সাজানো এই প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে বাংলাদেশস্থ চীনা দূতাবাস ও অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাই।

অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ-চায়না অ্যালামনাইর সভাপতি মুন্সী ফয়েজ আহমদের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী আনুষ্ঠানিকতায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন ও শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী।

‘ওপেনিং নিউ হরিজনস’ শীর্ষক এই প্রদর্শনীতে অংশ নিয়েছেন দুই দেশের বরেণ্য শিল্পী ও আলোকচিত্রীরা। রাজনীতি, অর্থনীতি, উন্নয়নের চিত্র, আবহমান বাংলার রূপের সাথে উঠে এসেছে চীনের চলমান জীবনধারা ও তাদের সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডের পাশাপাশি চীনের ঈর্ষনীয় উন্নয়নের নানা গল্প। চীন ও বাংলাদেশের শিল্পীদের প্রায় শতাধিক শিল্পকর্ম ও আলোকচিত্র স্থান পেয়েছে এই প্রদর্শনীতে।

প্রথম দিনের এই আয়োজনে দুই দেশেরই অসংখ্য দর্শক উপস্থিত ছিলেন। প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে রাত ৮টা এবং শুক্রবার বিকাল ৩টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত দর্শকদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে প্রদর্শনী গ্যালারি। এই প্রদর্শনী শেষ হবে আগামী ২ ডিসেম্বর।

;

ভাগ্নেকে হত্যা মামলায় মামার যাবজ্জীবন

ছবি: সংগৃহীত

ফেনীতে বোনের ছেলেকে গলাকেটে হত্যা মামলায় নুর আলম (৩০) নামের এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সাজা দিয়েছে আদালত।

সোমবার (২৭ নভেম্বর) দুপুরে ফেনীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোঃ রেজাউল করিমের আদালত এ রায় ঘোষণা করেন। এ সময় সাজাপ্রাপ্ত আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন। নুর আলম ফেনী সদর উপজেলার পূর্ব ফাজিলপুর গ্রামের মফিজুর রহমানের ছেলে।

আদালত সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালের ২৯ আগস্ট বিকেলে নেশার টাকা না পেয়ে নিজ ভাগিনা ৫ম শ্রেণি পড়ুয়া মনসুর আলমকে (১০) বাড়ির পাশে নির্জন স্থানে নিয়ে ছুরি দিয়ে গলাকেটে হত্যা করে।

জানা যায়, নানার বাড়িতে বেড়াতে গেলে পরিবারের সকলের ছোট হওয়ায় আদর করে মনছুরকে বিভিন্ন সময় টাকা দিত। ওই টাকাগুলো নেয়ার জন্য মনছুরের মামা নুরুল আলম কৌশল অবলম্বন করে। নুরুল আলম নেশার টাকার জন্য ভাগিনাকে বাড়ি থেকে বেড়াতে নিয়ে যাওয়ার কথা বলে খুন করে। পরদিন স্থানীয় বোয়াইল্লা খাল পাড়ের মর্তুজার জমি থেকে শিশু মনসুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিন স্থানীয়রা নুর আলমকে আটক করে পুলিশে সোপর্দ করে।

একপর্যায়ে নুর আলম নিজ হাতে ভাগিনাকে খুন করার বিষয়টি স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন। মামলাটি তদন্ত শেষে একমাত্র আসামির বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দায়ের করেন পুলিশের উপপরিদর্শক আজিজ আহাম্মদ। এ মামলায় ৯ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আজ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে একমাত্র আসামি নুর আলমকে নিজ ভাগিনা হত্যার দায়ে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ১ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেন আদালত।

ফেনী আদালতের এপিপি ফরিদ আহাম্মদ হাজারী জানান, ঘটনার পর ২০১৬ সাল থেকেই নুর আলম কারাগারে ছিলেন। তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দণ্ড ঘোষণা করেছেন। রায় ঘোষণার পর তাকে জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *