কুষ্টিয়ায় ঐতিহ্যবাহী লাঠি খেলা
ডেস্ক রিপোর্ট: প্রতিমা নিরঞ্জনের মধ্য দিয়ে শেষ হলো সনাতনী সম্প্রদায়ের শারদীয় দুর্গোৎসব। চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) উদ্যোগে প্রতি বছরের মতো এবারও পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে প্রতিমা নিরঞ্জনের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) দুপুর থেকেই পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে মহানগরীর প্রায় দুই শতাধিক মণ্ডপের প্রতিমা বিসর্জন দেয়া হয়েছে বলে পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা জানান।
প্রতিমা নিরঞ্জন অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। সন্ধ্যার মধ্যে যাতে বঙ্গোপসাগরে সুষ্ঠু ও শান্তি শৃঙ্খলার মধ্যে পূজারীগণ প্রতিমা নিরঞ্জন করতে পারেন সে লক্ষ্যে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে আলোকবাতি, পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা, সাজসজ্জা, মঞ্চ নির্মাণ, মাইকিং, পানীয় জলের ব্যবস্থাসহ সব ধরনের ব্যবস্থা গ্রহণ করে।
অত্যন্ত নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে দুপুর থেকেই পূজারি ও ভক্তরা শ্রদ্ধার সাথে তাদের প্রতিমা নিরঞ্জন দেবার জন্য গাড়িতে করে প্রতিমা নিয়ে আসেন। এলাকায় হাজার হাজার ভক্ত ও পূজারীর উপস্থিতিতে কোথাও তিল মাত্র ঠাঁই ছিল না। সুন্দর পরিবেশে সুশৃংখলভাবে প্রতিমা বিসর্জন করতে পেরে পূজা উদ্যাপন কমিটির নেতা এবং হাজার হাজার পূজার্থী সন্তোশ প্রকাশ করেছেন।
এ উপলক্ষে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন ও বাংলাদেশ পূজা উদযাপন পরিষদ চট্টগ্রাম মহানগর কমিটি যৌথ উদ্যোগে নগরীর পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকতে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, চট্টগ্রাম সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির অন্যতম পাদপীঠ। এই নগরীতে জাতিগত কোনো ভেদাভেদ নেই। শারদীয় দুর্গাপূজা উৎসব অত্যন্ত সুষ্ঠু ও শান্তি-শৃংখলার সাথে সম্পন্ন হওয়া তারই একটি উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।
‘শেখ হাসিনা দেশে সব ধর্মের মানুষের ধর্মীয় স্বাধীনতা যে প্রতিষ্ঠিত করেছেন তার একটি প্রমাণ হল কোন সমস্যা ছাড়াই সারা দেশে পুজা উদযাপন হয়েছে। এজন্য, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান আমাদের যে অসাম্প্রদায়িকতার চেতনা শিক্ষা দিয়েছেন, সে শিক্ষায় উদ্বুদ্ধ হয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে অসাম্প্রদায়িকতা ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রার জন্য কাজ করতে হবে। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির উজ্জ্বল পাদপীঠ হিসেবে চট্টগ্রামের যে ঐতিহ্য তা রক্ষা করতে হবে।’
শিক্ষা উপমন্ত্রী ব্যারিস্টার মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাম্প্রদায়িক শক্তির বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হতে হবে, উন্নয়নের ধারাবাহিকতা রক্ষায় কাজ করতে হবে কাঁধে কাধ মিলিয়ে।
পরে মেয়র রেজাউল ও উপমন্ত্রী নওফেল বৈরী আবহাওয়ার মধ্যেও বৃষ্টিতে ভিজে প্রতিমা নিরঞ্জন কার্যক্রম তদারকি করেন৷
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মুহম্মদ তৌহিদুল ইসলাম, কাউন্সিলর ছালেহ আহম্মদ চৌধুরী, নুরুল আমিন, আবদুস সালাম মাসুম, ওয়াসিম উদ্দিন চৌধুরী, চসিকের কর্মকর্তাবৃন্দ ও চট্টগ্রাম মহানগর পূজা উদযাপন পরিষদের নেতারা।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।