সারাদেশ

পেনাংয়ে ভবনধস: ৩ বাংলাদেশি নিহত, ২ জন আহত, ৪ জন ভেতরে

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজা উপত্যকার স্বাস্থ্য ও স্যানিটেশন ব্যবস্থা মেরামত না করা হলে সেখানে বোমা হামলার চেয়ে রোগে বেশি মানুষ মারা যেতে পারে বলে জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।

উল্লেখ্য, গত ৭ অক্টোবরের পর গাজার গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও জাতিসংঘের স্থাপনায় ইসরায়েলের হামলার কারণে জ্বালানি সরবরাহের ঘাটতির মুখে হাসপাতালগুলো বিকল হয়ে পড়েছে।

জেনেভায় এক ব্রিফিংয়ে ডব্লিউএইচও-এর মুখপাত্র মার্গারেট হ্যারিস মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) বলেন, ‘যদি আমরা এই স্বাস্থ্য ব্যবস্থাকে একত্রিত করতে না পারি, তাহলে আমরা বোমা হামলার চেয়ে রোগে মারা যাওয়া বেশি মানুষ দেখতে পাব।’

তিনি উত্তর গাজার আল-শিফা হাসপাতালের পতনকে একটি ‘ট্র্যাজেডি’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন।

তিনি গাজায় সংক্রামক রোগের প্রাদুর্ভাব, বিশেষ করে ডায়রিয়াজনিত রোগের প্রাদুর্ভাবের বিষয়ে তার উদ্বেগের পুনরাবৃত্তি করেছেন।

উত্তর গাজার বাস্তুচ্যুত বাসিন্দাদের জীবনযাত্রার অবস্থার উপর জাতিসংঘের একটি প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ‘সেখানে কোনও ওষুধ নেই, কোনও টিকাদান কার্যক্রম নেই, নিরাপদ পানি ও স্বাস্থ্যবিধি এবং কোনও খাবার নেই।’

গাজায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্যানিটেশন পরিষেবাগুলোর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছে, যা স্থানীয় জনগণের মধ্যে কলেরাসহ গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল এবং সংক্রামক রোগগুলোর বিশাল বৃদ্ধির সম্ভাবনা বাড়িয়ে তুলেছে।

গাজার ২০ লাখ ৩০ হাজার বাসিন্দা যাদের অর্ধেকই শিশু, তাদের জন্য পানীয় জলের সন্ধান অসম্ভব হয়ে পড়েছে।

ডাব্লিউএইচও ৪৪ হাজারেরও বেশি ডায়রিয়া এবং ৭০ হাজার তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণের ঘটনা রেকর্ড করেছে। তবে প্রকৃত সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হতে পারে বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ডাব্লিউএইচও জানিয়েছে, এটি অত্যন্ত উদ্বিগ্ন যে, শীত মৌসুমে বৃষ্টি ও বন্যা ইতিমধ্যেই ভয়াবহ পরিস্থিতিকে আরও খারাপ করে তুলবে।

গাজায় জাতিসংঘের শিশু সংস্থার মুখপাত্র জেমস এল্ডার ভিডিও লিঙ্কের মাধ্যমে সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘নোংরা পানি পান করায় যুদ্ধের ক্ষত এবং গ্যাস্ট্রোএন্টেরাইটিসে আক্রান্ত শিশুদের দিয়ে হাসপাতালগুলো পরিপূর্ণ। তাদের নিরাপদ পানির উৎস নেই এবং এটি তাদের পঙ্গু করে দিচ্ছে।’

ডাব্লিউএইচও-এর পূর্ব ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলের আঞ্চলিক জরুরি পরিচালক রিচার্ড ব্রেনান চলতি মাসের শুরুতে আল জাজিরাকে বলেছিলেন, ‘যদি পরিস্থিতি পরিবর্তন না হয় তাহলে আরও বেশি সংখ্যক লোক অসুস্থ হয়ে পড়বে এবং বড় প্রাদুর্ভাবের ঝুঁকি নাটকীয়ভাবে বৃদ্ধি পাবে।’

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *