সারাদেশ

পেটে এক্স-রে করে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট: পেটে এক্স-রে করে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

পেটে এক্স-রে করে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার

নোয়াখালীর সদর উপজেলায় এক মাদক কারবারির পেট থেকে এক্স-রে করে ৪ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৬টার দিকে উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের কাঞ্চনপুর গ্রামের বাদিতলা বাজার থেকে তাকে গ্রেফতার করে জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা।

গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারির নাম মো.অলি উল্লাহ (৫১)। সে উপজেলার কাদির হানিফ ইউনিয়নের ৯নম্বর ওয়ার্ডের কাঞ্চনপুর গ্রামের হাবিলদার ফজল আলী বাড়ির মৃত.ফজর আলীর ছেলে।

এসব তথ্য নিশ্চিত করেন জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক মো. আবদুল হামিদ।

তিনি বলেন, ‘সন্ধ্যা ৬টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে উপজেলার কাঞ্চনপুর গ্রামের বাদিতলা বাজারে অভিযান চালায় জেলা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর। অভিযানে মাদক কারবারি অলি উল্যাহকে আটক করা হয়।’

তিনি আরও বলেন, ‘ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় বিশেষ কায়দায় তার পেটের ভিতর ইয়াবা ট্যাবলেট বহন করছেন। পরে জেলা শহরের মা ও শিশু হসপিটালে এক্স-রে করার পর চিকিৎসকেরা তার পেটে ইয়াবা থাকার বিষয়ে নিশ্চিত করেন। পরবর্তীতে চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী ওষুধ সেবন করিয়ে মাদক কারবারির পেট থেকে ৪হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।’

সুধারাম মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি বলেন, ‘গ্রেফতার মাদক কারবারির বিরুদ্ধে মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা নেওয়া হয়েছে। ওই মামলায় গ্রেফতার দেখিয়ে বুধবার সকালে আসামিকে নোয়াখালী চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে সোর্পদ করা হবে।’

ঘূর্ণিঝড় হামুনে উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিদ্যুৎবিহীন কক্সবাজার

ঘূর্ণিঝড় হামুনে উপড়ে পড়েছে গাছপালা, বিদ্যুৎবিহীন কক্সবাজার

ঘূর্ণিঝড় হামুন কক্সবাজার উপকূলে আঘাত হেনেছে। এর ফলে সৃষ্ট ঝড়ো বাতাসে কক্সবাজার শহরের বিভিন্ন এলাকায় গাছপালা ভেঙে পড়ে বিদ্যুতের খুঁটি ও সঞ্চালন লাইন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

ঘূর্ণিঝড়ের কারণে মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাত সোয়া ৮টা থেকে বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছে পুরো কক্সবাজার শহর।

এর আগে হামুনের প্রভাবে সকাল থেকেই গুঁড়িগুঁড়ি বৃষ্টি শুরু হয় কক্সবাজারে। সন্ধ্যা ৭টা থেকে ভারী বৃষ্টি ও বাতাস শুরু হয়। রাত আটটার দিকে কক্সবাজার উপকূলে ঘূর্ণিঝড় আঘাত হানে। এতে গাছপালা উপড়ে যায় ও ডালপালা ভেঙে পড়ে। এরপর থেকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় পুরো জেলা।

সৈকত ঘুরে দেখা গেছে, সৈকতে পর্যটকদের জন্য বসার ‘কিটকট’ চেয়ার সব উড়ে ভেঙে গেছে। সৈকতের পাড়ে অস্থায়ী স্থাপনা ঝোড়ো হাওয়া ভেঙে ধ্বংস্স্তুপে রূপ নিয়েছে।

;

উপকূলে আছড়ে পড়ছে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’

ছবি: সংগৃহীত

শক্তি হারিয়ে ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূলে আছড়ে পড়ছে। আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে এটি পুরোপুরি উপকূল অতিক্রম করবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।  

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সন্ধ্যার পর ঘূর্ণিঝড়ের মূল অংশ উপকূল উঠে আসার প্রক্রিয়া শুরু হয়। এতে শক্তি হারিয়ে ঝড়ের কেন্দ্রে বাতাসের গতিবেগ নেমে আসে ৯০ কিলোমিটারের নিচে। আগামী ১০ ঘণ্টার মধ্যে এটি পুরোপুরি স্থলভাগে উঠে আসবে। বুধবার আরও শক্তিক্ষয় করে নিম্নচাপে পরিণত হবে।

এর আগে এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল।

ঘূর্ণিঝড়টির মূল অংশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর হয়ে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে পরবর্তী ৮ থেকে ১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে।

চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্রবন্দরকে ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে ৫ (পাঁচ) নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। 

উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ (সাত) নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

ঘূর্ণিঝড়টির প্রভাবে খুলনা, বরিশাল, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে ভারী থেকে অতি ভারী বর্ষণ হতে পারে। ভারী বর্ষণের প্রভাবে কক্সবাজার, বান্দরবান, রাঙ্গামাটি, খাগড়াছড়ি ও চট্টগ্রামের পাহাড়ি অঞ্চলের কোথাও কোথাও ভূমিধস হতে পারে। উত্তর বঙ্গোপসাগরে অবস্থানরত মাছ ধরার নৌকা ও ট্রলারগুলোকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।

;

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’: কাপ্তাই হ্রদে নৌযান চলাচল বন্ধের নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় হামুন’র প্রভাবে পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে সারাদিনই হালকা বৃষ্টিপাত অব্যাহত রয়েছে। বৈরী আবহাওয়ার কারণে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদে যেকোনো সময় দুর্ঘটনা সংগঠিত হতে পারে, এই আশঙ্কায় জানমালের ক্ষতি এড়াতে আগামীকাল সকাল থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য কাপ্তাই হ্রদে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত সকল প্রকার নৌযান চলাচল নিষিদ্ধ দেওয়া হয়েছে।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) বিকেলে এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিষেধাজ্ঞা জারি করে জেলা প্রশাসন।

রাঙামাটির জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মোশারফ হোসেন খান স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবজনিত কারণে জানমালের নিরাপত্তার স্বার্থে ২৫ অক্টোবর বুধবার ভোর হতে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত কাপ্তাই হ্রদে সকল ধরনের নৌযান চলাচল বন্ধ থাকবে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, এই নিষেধাজ্ঞা চলাকালীন আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা এবং জরুরি পরিষেবাসহ সরকারি কাজে নিয়োজিত নৌযানসমূহ এই নিষেধাজ্ঞার আওতামুক্ত থাকবে।

যেকোনো জরুরি প্রয়োজনে রাঙামাটি জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগের জন্য অনুরোধও জানানো হয়েছে উক্ত বিজ্ঞপ্তিতে।

;

‘হামুন’ ভোর ৪টার মধ্যে উপকূল অতিক্রম করবে 

ছবি: সংগৃহীত

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ বাংলাদেশ উপকূল অতিক্রম শুরু করেছে। এটি আরও অগ্রসর হয়ে পরবর্তী ৮-১০ ঘণ্টার মধ্যে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার উপকূল অতিক্রম সম্পন্ন করতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়ার অধিদপ্তর।

মঙ্গলবার (২৪ অক্টোবর) রাতে আবহাওয়ার বিশেষ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, উত্তরপশ্চিম বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর এলাকায় অবস্থানরত প্রবল ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’ পর্ব-উত্তরপূর্ব দিকে অগ্রসর ও দুর্বল হয়ে ঘূর্ণিঝড় হিসেবে উত্তরপূর্ব বঙ্গোপসাগর ও তৎসংলগ্ন এলাকায় অবস্থান করছে। 

এটি সন্ধ্যা ৬টায় চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দর থেকে ১৬০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, কক্সবাজার সমুদ্রবন্দর থেকে ১২০ কি.মি. দক্ষিণপশ্চিমে, মোংলা সমুদ্রবন্দর থেকে ২২৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে এবং পায়রা সমুদ্রবন্দর থেকে ১৩৫ কি.মি. দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থান করছিল। 

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের ৫৪ কি.মি. এর মধ্যে বাতাসের একটানা সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘণ্টায় ৬২ কি.মি. যা দমকা অথবা ঝোড়ো হাওয়ার আকারে ৮৮ কি.মি. পর্যন্ত বৃদ্ধি পাচ্ছে। ঘূর্ণিঝড় কেন্দ্রের নিকটবর্তী এলাকায় সাগর খুবই উত্তাল রয়েছে।

ঘূর্ণিঝড় ‘হামুন’র প্রভাবে চট্টগ্রাম ও কক্সবাজার সমুদ্র বন্দরকে ৭ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। মোংলা ও পায়রা সমুদ্র বন্দরকে ৫ নম্বর বিপদ সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে।

এছাড়াও উপকূলীয় জেলা চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, ফেনী, নোয়াখালী, লক্ষ্মীপুর এবং তাদের অদূরবর্তী দ্বীপ ও চরগুলো ৭ নম্বর বিপদ সংকেতের আওতায় থাকবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *