সারাদেশ

৩০০ টাকা বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা

ডেস্ক রিপোর্ট: ৩০০ টাকা বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি, ভোক্তা অধিদপ্তরের জরিমানা

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামে ৩০০ টাকা বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রির দায়ে জরিমানা করেছে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) দুপুরে নগরীর বহদ্দারহাট কাঁচাবাজারে তদারকি অভিযানে নেতৃত্ব দেন অধিদপ্তরের জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক নাসরিন আক্তার, বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমান ও রানা দেবনাথ। 

এসময় চারটি গরুর মাংসের দোকানকে বিভিন্ন অংকে মোট ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। সহকারী পরিচালক রানা দেবনাথ বার্তা২৪.কম-কে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, ‘বাজার তদারকি অভিযানকালে দেখা যায় ন্যায্যমূল্যের চেয়ে বেশি দামে গরুর মাংস বিক্রি হচ্ছে। একাধিক দোকানে হাড় ছাড়া গরুর মাংস প্রতি কেজি ৮-৯শ’ টাকা।

আবার হাড়সহ গরুর মাংস ৬৫০-৭০০ টাকা বিক্রি হচ্ছে। এসময় তারা ২-৩শ’ টাকা অতিরিক্ত দামে বিক্রির দায়ে ৪টি দোকানকে ১১ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ সময় তাদের সতর্ক করা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমানে চট্টগ্রামে হাড়সহ মাংসের মূল্য ৬০০ টাকা নির্ধারিত। সে হিসেবে হাস ছাড়া মাংস ৬-৭শ’ টাকা বিক্রি করা যেতে পারে। এর চেয়ে বেশি হলে তা অস্বাভাবিক।’

দ্বিগুণ বন্দী নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগার

ছবি: বার্তা২৪.কম

চলমান হরতাল-অবরোধে নাশকতামূলক কর্মকান্ড করার অভিযোগে বর্তমানে প্রায় প্রতিদিন বরিশাল মহানগর ও জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আটক-গ্রেফতার হচ্ছেন বিএনপি-জামায়াতের অসংখ্য নেতাকর্মী। আইনি প্রক্রিয়ায় এসব নেতাকর্মীদের আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে প্রেরণ করা হয়।

বরিশাল জেলার একমাত্র কারাগার হিসেবে স্বাভাবিকভাবেই সব বন্দীদের আশ্রয় এই কারাগারটিতে। যে কারণে সাম্প্রতিক সময়ে এই কারাগারটিতে চাপ বেড়েছে । বর্তমানে ধারণ ক্ষমতার প্রায় দ্বিগুণ বন্দী রয়েছে কারাগারটিতে। যাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক বন্দী যুক্ত হয়েছেন গত এক মাসের মধ্যে। বন্দী ও তাদের স্বজনদের অভিযোগ ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশী বন্দী থাকায় দুর্বিসহ নানা সমস্যা নিয়ে মানবেতর অবস্থায় আছেন বন্দীরা। তবে জেল কর্র্তৃপক্ষ বলছে বন্দীদের সংখ্যা বেশী হলেও কোন ধরনের সংকটাপন্ন অবস্থা তৈরী হয়নি।

জেল কোড মেনে সব সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে বন্দীদের। গতকাল মঙ্গলবারের তথ্য অনুযায়ী বরিশাল কারাগারে মোট বন্দী ছিলেন ১ হাজার ৭৫ জন। যার বিপরীতে ধারন ক্ষমতা রয়েছে মাত্র ৬৩৩ জনের। ফলে স্বাভাবিকভাবেই কারাভ্যন্তরে সংকট তৈরী হয়েছে। এর সাথে রয়েছে খাওয়া,গোসলসহ বসবাসের নানা সমস্যা।

জানা গেছে,বরিশাল কারাগারে স্বাভাবিক সময়ে ধারন ক্ষমতার চেয়ে একটু বেশী বন্দী থাকে। তবে এর সংখ্যা ৮ থেকে সাড়ে ৮’শ এর মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকে। দেশে রাজনৈতিক সংকট তথা হরতাল অবরোধ ডাকা হলেই বন্দীদের সংখ্যা হাজার ছাড়িয়ে যায়। কারাগার সংশ্লিষ্টরা বলছেন গত এক মাস ধরে দৈনিক গড়ে ২০ থেকে অর্ধশতাধিক বন্দী কারাগারে প্রবেশ করছে। যার বিপরীতে দৈনিক মুক্তি পাচ্ছে কম বন্দী। যে কারনে কারাগারে বন্দীদের সংখ্যা বর্তমানে অনেক বেশী। তাদের ধারণা  সংসদ নির্বাচনের পূর্বে বন্দীদের সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পাবে।

বন্দীদের অভিযোগ, ভেতরে তাদের সংখ্যা বাড়লে অনিয়মের মাত্রা বাড়ে। এ ছাড়া বন্দীদের বেশ কয়েকটি সিন্ডিকেট সক্রিয়ভাবে কাজ করে। যাদের দ্বারা সাধারণ বন্দীরা হয়রানির শিকার হন। এ ছাড়া অসুস্থ নয় এমন বন্দীরা টাকা দিয়ে মাসের পর মাস কারা হাসপাতালে থাকেন। জামিনে বের হওয়া কয়েকজন রাজনৈতিক কর্মী জানিয়েছেন, সবচেয়ে বেশি চাহিদা কারা হাসপাতালের। টাকার বিনিময়ে ওখানে স্বাচ্ছন্দে থাকা যায়। এ কারণে যারা একটু বিত্তশালী এবং প্রভাবশালী তারা ওখানেই থাকেন। জামিনে মুক্ত হয়ে আসা আরও কয়েকজন আসামী বলেন, কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণ বন্দীর জন্য টয়লেটের ব্যবস্থাও পর্যাপ্ত নয়। দিনে ব্যবহারের জন্য অর্ধশতাধিক এবং রাতে ব্যবহারের জন্য আরো কম টয়লেট রয়েছে। যা মহা দুর্ভোগের সৃষ্টি করে।

বরিশাল কারাগারের জেলার জয়নাল আবেদীন ভুঞা বলেন, কারাগারে মঙ্গলবার মোট বন্দী সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৭৫ জন আর ধার ক্ষমতা রয়েছে ৬৩৩ জনের। বেশী বন্দী থাকায় কারা কর্র্তৃপক্ষ ও বন্দীদের তেমন বেগ পেতে হচ্ছে না। এছাড়া অর্থের বিনিময়ে কাউকে কোন সুবিধা প্রদান করা হচ্ছে না ।

কারাগার সূত্রে জানা যায়, ১৮২৯ সালে বরিশাল শহরের মূল অংশের ২১ একর জমির ওপর প্রতিষ্ঠা করা হয় জেলা কারাগার। ১৯৯৭ সালের ৩ মার্চ এটিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের মর্যাদা দেওয়া হয়। কারাগারের ভেতরে ৫৮ শয্যার একটি হাসপাতাল, পাঁচটি বন্দী ভবন, ১২টি সেল এবং একটি লাইব্রেরি রয়েছে।

;

সাতকানিয়ায় হত্যা মামলার প্রধান আসামি গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) নগরীর খুলশী এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।

চট্টগ্রামের সাতকানিয়ায় আব্দুল শুক্কুর (৩২) নামে এক যুবককে খুনের মামলার প্রধান আসামি শহিদুল্লাহ চৌধুরীকে (৫৬) গ্রেফতার করেছে র‌্যাব। গ্রেপ্তার শহিদুল্লাহ চৌধুরী সাতকানিয়ার মীরপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুস সাত্তারের ছেলে।

গত বছর ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী তাপস কান্তি দত্তের পক্ষে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নেয় আব্দুল শুক্কুর। এতে প্রতিপক্ষ দল আব্দুল শুক্কুরের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়। ঘটনার দিন গত বছরের ৭ ফেব্রুয়ারি ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের দিন আব্দুল শুক্কুর ওই ফিলিং স্টেশনের চাবি আনতে তাগস কান্তির কাছে যাওয়ার পথে শহীদুল্লাহ চৌধুরী ও তার অনুসারীরা আব্দুল শুক্কুরের পথ আটকায় এবং তাকে মারধর করে। মারধরের একপর্যায়ে শহীদুল্লাহ চৌধুরী আব্দুল শুক্কুরকে গুলি করে। এ ঘটনায় আব্দুল শুক্কুরের বড়ভাই বাদী হয়ে ২১ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনকে আসামি করে সাতকানিয়া থানায় মামলা করেন।

র‌্যাব আরও জানায়, মামলার পর থেকে ওই ঘটনার আসামিরা পলাতক ছিল। আসামিদের গ্রেফতারের লক্ষ্যে গোয়েন্দা কার্যক্রম অব্যাহত ছিল। এক পর্যায়ে র‌্যাব জানতে পারে ওই ঘটনার প্রধান আসামি শহিদুল্লাহ চৌধুরী খুলশীর একটি আবাসিক এলাকায় অবস্থান করছে। এ তথ্যের ভিত্তিতে র‌্যাব-৭ এর একটি দল ওই এলাকায় অভিযান চালিয়ে শহিদুল্লাহ চৌধুরীকে গ্রেপ্তার করে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শহিদুল্লাহ চৌধুরী ঘটনার সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন বলে স্বীকার করেন।

;

রংপুরে কলেজ ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

ছবি: বার্তা২৪.কম

রংপুর নগরীর লালবাগ এলাকা থেকে রুমানা আক্তার রুপা (২০) নামে এক কলেজ শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) বিকালে নগরীর লালবাগ পূর্বপাড়া এলাকার আশিষ মহল ছাত্রী নিবাস থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তিনি কারমাইকেল কলেজের শিক্ষার্থী ছিলেন।

রুমানা আক্তার রুপা লালমনিরহাট জেলার কালীগন্জ এলাকার রঞ্জু মিয়ার মেয়ে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পরিবার সূত্রে জানা যায়, রুপার স্বামী মিজানুর রহমানের সাথে বেশ কিছুদিন ধরে মনোমালিন্য চলে আসছিল। ঘটনার দিন আবার তাদের মাঝে কথা কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে রুপা বিষপান করলে ছাত্রী নিবাস কর্তৃপক্ষ তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।

ছাত্রীনিবাসের মালিক গিয়াস উদ্দিন সরকার জানান, বিষপান করার ঘটনা শোনার পর তাকে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসক তাকে মৃত্যু ঘোষণা করে।

তিনি আরো জানান, ছাত্রী রুপার মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।

এবিষয়ে কোনো মামলা হবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত পরিবারের পক্ষ থেকে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়নি।

;

শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ আহত ৫

ছবি: বার্তা২৪

টাঙ্গাইলের বসাইলে শিয়ালের কামড়ে শিশুসহ পাঁচজন আহত হয়েছেন।

বুধবার (২৯ নভেম্বর) সন্ধ্যায় বাসাইল পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন, ফাতেমা বেগম (৭৫) বাসাইল পৌরসভার দক্ষিণ পাড়া এলাকার মৃত চান খা’র স্ত্রী। একই এলাকার মৃত মিজানুর রহমানের ছেলে মঙ্গল মিয়া (৬৫), জাকির হোসেনের ছেলে রাফি (৩), শফিকুল ইসলামের ছেলে শিশির (২৩), জাহিদুল ইসলামের মেয়ে উর্মি (১৪)।

বাসাইল পৌরসভার ৬নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয়রা জানান, সন্ধ্যার দিকে ঘর থেকে বের হলে একটি শিয়াল তাদের কামড় দেয়। ডাক চিৎকারের শব্দ পেলে স্থানীয়রা উদ্ধার করে বাসাইল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসে। দুইজনের অবস্থা আশস্কা জনক হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক দুইজনকে টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করেছেন।

আহত শিশির জানান, আমি বাজার থেকে বাড়ির দিকে যাচ্ছিলাম। মাঠে আসা মাত্রই আমার পায়ে কামড় দেয়। পরে আমি হাত দিয়ে ঘুষি দিলে আমার হাতেও কামড় দেয়।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের মেডিকেল অফিসার ডা. ডি এম রাফিউর রহমান জানান, শিয়ালের কামড়ে আহত পাঁচজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। পাঁচজনের মধ্যে দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে রেফার্ড করা হয়েছে।

বাসাইল পৌরসভার কাউন্সিলর প্রিন্স মাহমুদ জানান, সন্ধ্যার দিকে বাসাইল দক্ষিণ পাড়া এলাকায় শিশুসহ পাঁচজনকে শিয়ালে কামড় দেয়। তাদেরকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। তিনজনকে চিকিৎসা দিয়ে বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছে। দুইজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় টাঙ্গাইল জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *