সারাদেশ

নৌকা নাকি স্বতন্ত্র; দ্বন্দ্ব বাড়ছে আওয়ামী লীগে

ডেস্ক রিপোর্ট: আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে দেশের প্রধান দুই দলের অবস্থান ভিন্ন মেরুতে। একদিকে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী ঘোষণা করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অন্যদিকে বিএনপিসহ সমমনা দলগুলো নির্বাচন বর্জন ও প্রতিহতের ঘোষণা দিয়ে মাঠে আছে। এছাড়াও আছে বহির্বিশ্বের চাপ। সে অবস্থায় সবার চোখ এখন নির্বাচনের দিকে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ ইতিমধ্যে ২৯৮ জনের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করেছে। সেই সাথে নির্বাচন কে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য চলছে নানা প্রচেষ্টা। তৃণমূল বিএনপি, বিএনএম ও যুক্তফ্রন্টের মত ছোট ছোট দল ও জোটকে কাছে টানছে আওয়ামী লীগ। তবে অনড় বিএনপি। নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে হরতাল-অবরোধের মত কঠোর কর্মসূচি পালন করছে দলটি।

নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক করার জন্য দলীয় প্রধান শেখ হাসিনারও রয়েছে কঠোর নির্দেশনা। রোববার (২৬ নভেম্বর) সকালে গণভবনে আওয়ামী লীগের সভাপতির সঙ্গে মনোনয়ন প্রত্যাশীরা সাক্ষাৎ করতে গেলে কেউ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তিনি। একইসঙ্গে ২০১৪ সালের মত কেউ যেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত না হতে পারে তাই প্রয়োজনে দলীয় ডামী প্রার্থী রাখার নির্দেশনা তিনি দিয়েছেন বলে জানিয়েছিলেন একাধিক মনোনয়নপ্রত্যাশী।

এছাড়াও দলটি দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ৭২ জন সংসদ সদস্যকে পরিবর্তন করে দিয়েছে প্রার্থী ঘোষণা। আবার জোটের সঙ্গীদের জন্যও ফাঁকা রাখেনি কোন আসন। কুষ্টিয়া-২ ও নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন ছাড়া বাকি ২৯৮ আসনেই প্রার্থী দিয়ে ঘোষণা দিয়েছে তাদের চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা। এ নিয়ে আওয়ামী লীগের শরিকদের মধ্যেও রয়েছে ধোঁয়াশা। সরকারি দলের এমন আচরণে অস্বস্তি প্রকাশ করেছেন জোটের কেউ কেউ।

তবে স্বতন্ত্র বা ডামী প্রার্থী বিষয়ে সবাইকে পরিষ্কার করতে মঙ্গলবার (২৮ নভেম্বর) আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছিলেন, ‘নির্বাচন ফ্রি স্টাইলে হবে না। আমরা দেখি কারা কারা চাইছে। এর মধ্যে আমাদেরও একটা সিদ্ধান্ত আছে। আমাদের একটা কৌশলগত সিদ্ধান্ত আছে। সে সিদ্ধান্তের জন্য ১৭ তারিখ পর্যন্ত আমাদের হাতে সময় আছে। এর মধ্যেই আমরা পরিবর্তন, পরিবর্ধন, সংশোধন, সংযোজন  একুমুডেশন সব কিছু করতে পারি।’ 

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সভাপতির বক্তব্যে তৃণমূলের কর্মীরা কিছুটা দ্বিধায় আছে। তারা এখনও স্বতন্ত্র প্রার্থী হবে কি হবে না, বা হলেই কেন্দ্রের প্রতিক্রিয়া কি হবে এমনই নানা প্রশ্নে ভুগছে সিদ্ধান্তহীনতায়। তথাপি থেমে নেই স্বতন্ত্র মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ। এই তালিকায় রয়েছে এলাকার জনপ্রিয় প্রার্থী থেকে সংসদ সদস্য, সাবেক মন্ত্রী, সাবেক কেন্দ্রীয় নেতা, চলচ্চিত্র তারকা, প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ী, সাবেক মেয়র, জেলা ও উপজেলা চেয়ারম্যান। অনেক স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ও গোপনে অবস্থান নিচ্ছেন তৃণমূলের নেতাকর্মীরাও।

নির্বাচনে বিএনপির না আসা ও প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণার উপর ভরসা রেখে তাই অনেক আসনেই মনোনয়নবঞ্চিত নেতারা ঐক্যবদ্ধ হচ্ছেন  স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে। আবার টানা ১৫ বছর ক্ষমতায় থেকে অনেকের স্বজনপ্রীতির কারণে তৃণমূলের নেতাকর্মীদের সঙ্গে বেড়েছে দূরত্ব। সেই শোধ নিতে বঞ্চিত, নির্যাতিত ও নিপীড়িতরা একাট্টা হচ্ছেন বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে।

আওয়ামী লীগ সূত্রে জানা যায়, প্রধানমন্ত্রীর কথাকেই সবুজ সংকেত ভেবে আগাচ্ছেন প্রার্থীরা। তাই স্বতন্ত্র প্রার্থীরা অনেক জায়গায় একাট্টা হচ্ছেন নৌকার বিপক্ষে। আবার অনেক জায়গায় দলীয় কোন্দলের কারণেও দলের নেতাকর্মীরাই সমর্থন জানাচ্ছে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে। অনেক জায়গায় হ্যাভিওয়েট প্রার্থীরাও মনোনয়ন বঞ্চিত হন। অন্য সময় হলে হয়তো তারা চুপ থাকতো তবে এখন তারা প্রকাশ্যেই ঘোষণা দিয়ে নামছে নৌকার বিপক্ষে। তৃণমূলের নেতাকর্মীদের কাছ থেকেও পাচ্ছেন সমর্থন। বিশেষ করে যারা নানাভাবে বঞ্চিত, নির্যাতিত তারাই স্বতন্ত্র প্রার্থীর পক্ষে প্রকাশ্যে ঘোষণা দিয়েই নামছেন মাঠে। করছেন সভা, বৈঠক ও গণসংযোগ।

জানা যায়, মাদারীপুর-৩ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্য তাহমিনা বেগম। আসনটিতে নৌকার প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত মনোনয়ন পেয়েছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক আবদুস সোবহান গোলাপ। গোলাপ মনোনয়ন পাওয়ায় উপজেলা আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীদের তার বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করতেও দেখা যায়।

স্বতন্ত্র প্রার্থী প্রার্থী কেন হচ্ছেন?- এমন প্রশ্নের জবাবে বার্তা২৪.কম কে তাহমিনা বেগম বলেন, মাদারীপুর-৩ আসনের জনগণের মুক্তির জন্য এমপিদের যে সেবা দেওয়া উচিত ছিল, সে সেবাটা তিনি দেন নাই। বিশেষ করে রমজানপুরের জনগণের উপর এখনও  অত্যাচার-নির্যাতন চলছে। উনার ভাইকে চেয়ারম্যান বানাইয়া, উনাকে দিয়া খাস জমি দখল করে। উনি মানুষের জমি নিয়ে তাদের টাকা দেয় না। উনি একজন দখলবাজ। উনি নমিনেশন বাণিজ্য করে। ওয়ার্ড কমিটি করা শুরু করছি সেখানেও তিনি  টাকা খেয়ে ওয়ার্ড কমিটি দেয়। আমরা ওয়ার্ড কমিটি করা বন্ধ করে দিয়েছি উনার জন্য। মানুষের সেবা করবে না। ওনার এমপি থাকার অধিকার নাই। উনি বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক না, আওয়ামী লীগকে উনি কলঙ্কিত করেছে কালকিনী, মাদারীপুর, চাষাড়ার মাটিতে।

সুনামগঞ্জ-১ আসনে তিন বারের এমপি রতন স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন। এ আসনে প্রথমবারের মত মনোনয়ন পেয়েছেন এড রঞ্জিত সরকার। সুনামগঞ্জ-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হবার ঘোষণা দিয়েছেন ব্যারিস্টার ইমন। রোববার সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার জন্য ব্যারিস্টার ইমনের পক্ষে মনোনয়ন ফরম ক্রয় করেন তার কর্মী সর্মথকরা। আসনটি থেকে নৌকা পেয়েছেন সরকারি কর্মকমিশনের (পিএসসি) সাবেক চেয়ারম্যান ও সরকারের সাবেক সচিব ড. মোহাম্মদ সাদিক।

গাজীপুর ১ ও ২ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন ফরম কিনেছিলেন গাজীপুর সিটি  কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র জাহাঙ্গীর আলম। তবে মনোনয়ন পাননি তাই স্বতন্ত্র ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচনের। গুঞ্জন রয়েছে তিনি গাজীপুর-২ আসন থেকে স্বতন্ত্র নির্বাচন করবেন। এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী জাহিদ আহসান রাসেল।

চট্টগ্রাম-১১ (বন্দর-পতেঙ্গা) আসনে আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ব্যবসায়ী এম আবদুল (এম এ) লতিফ। এ আসনে মনোনয়ন চেয়েছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলর জিয়াউল হক সুমন। তবে মনোনয়ন না পেয়ে ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচন করার। এই স্বতন্ত্র প্রার্থীকে সমর্থন জানিয়ে এক মঞ্চে সমবেত হয়েছিলেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীনসহ আওয়ামী লীগের নেতা ও চসিকের বেশ কয়েকজন কাউন্সিলর।

বরিশাল-৫ আসনে নৌকার টিকেট পেয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য ও পানিসম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। তবে তার বিপক্ষে স্বতন্ত্রভাবে নির্বাচন করার জন্য বরিশাল সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। সাবেক মেয়র সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ কে প্রার্থী করতে সভা করেছেন স্থানীয় নেতাকর্মীরা।

পাঁচবার সুলতানপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া সদর উপজেলা পরিষদের সদ্য সাবেক চেয়ারম্যান ফিরোজুর রহমান ওলিও আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়েছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ এ। এজন্য তিনি পদত্যাগ করেছিলেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে। তবে পাননি মনোনয়ন। তাতে দমে যাননি তিনি। ঘোষণা দিয়েছেন স্বতন্ত্র নির্বাচনের। এ আসনের বর্তমান সংসদ সদস্য উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী আবারও পেয়েছেন নৌকার টিকিট।

বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি ও নেতাকর্মীদের তুচ্ছ-তাচ্ছিল্য করার অভিযোগ তুলে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করেছে নোয়াখালী-২ আসনে আওয়ামী লীগের চূড়ান্ত মনোনয়ন পাওয়া মোরশেদ আলমকে। স্থানীয় আওয়ামী লীগের একাংশের নেতাকর্মীরা তার বিরুদ্ধে নানা অনিয়ম ও স্বজনপ্রীতির ও অভিযোগ এনে এ ঘোষণা দেয়।

গাজীপুর-৫ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন সাবেক এমপি আক্তারুজ্জামান। এর আগে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চেয়ে পাননি। আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ইকবাল হোসেন সবুজ আবারও পেয়েছেন নৌকার টিকিট। তিনি গাজীপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

সিরাজগঞ্জ-৩ আসনে ফের বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল আজিজকে মনোনয়ন দেয়ায় ক্ষুদ্ধ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। তার বিরুদ্ধে নেতাকর্মীদের অবমূল্যায়ন, দলের মধ্যে বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ রয়েছে। এছাড়া সিরাজগঞ্জ-৫ আসনেও বর্তমান সংসদ সদস্য আব্দুল মমিন মণ্ডলকে ফের মনোনয়ন দেওয়ায় অসন্তোষ দেখা দিয়েছে স্থানীয় নেতাকর্মীদের মাঝে। আসনটি থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলো ৭ জন।  মনোনয়ন না পেয়ে ক্ষুদ্ধ নেতাকর্মীরা বৈঠক করে উপজেলা চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম সাজেদুলকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণা করেছেন।

রাজশাহী-১ আসনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহী, লালমনিরহাট-২ আসনে জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি সিরাজুল হক, রংপুর-২ আসনে কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার বিটু, নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনে সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান শাহজাহান ভূঁইয়া সহ আরও অনেক আওয়ামী লীগ নেতাকর্মী প্রকাশ্যে অপ্রকাশ্যে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে স্বতন্ত্র নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।

এ নিয়ে জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ পরিষদের (জানিপপ) চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. নাজমুল আহসান কলিমউল্লাহ বার্তা২৪.কম কে বলেন, আওয়ামী লীগের লোকজন এখন আর ভোট দিতে যায় না। এজন্য যায়না যে ভোট ছাড়াই জিতে যাবে। ঢাকা-১৭ আসন তার উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত।  মাত্র ১১ শতাংশের কিছু উপর ভোট পড়েছে। এই জিনিসটা এভয়েড করার জন্য ভোট ওপেন করে দেয়া হয়েছে। যদি ভোট টার্ন-আউট বেশি হয় তখন বলতে পারবে যে নির্বাচনটা ক্রেডিবল হয়েছে। পুলিশ বা অন্যান্য এজেন্সিগুলো আওয়ামী লীগের প্রার্থীদের একরকমভাবে দেখে আর যারা ভিন্ন দলের প্রার্থী তাদের ভিন্নভাবে দেখে। এখন সেখানে আওয়ামী লীগের যদি তিনজন প্রার্থী দাঁড়িয়ে যায়, তখন প্রশাসনও ভাগ হয়ে যাবে। প্রশাসন যারা আছে তারা সবাই তো আওয়ামী লীগ করা লোক। ফলে ব্যাপক মারামারি হওয়ার সম্ভাবনা আছে। তৃণমূলের ব্যাপকভাবে দ্বন্দ্ব হবে এবং সে ক্ষেত্রে হয়তো নির্বাচনটা ভণ্ডুল হয়ে যেতে পারে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *