ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেল আরও ৩০ ফিলিস্তিনি
ডেস্ক রিপোর্ট: ইসরায়েলের কারাগার থেকে মুক্তি পেল আরও ৩০ ফিলিস্তিনি
ছবি: সংগৃহীত
ইসরায়েলের কারাগার থেকে আরও ৩০ ফিলিস্তিনি বন্দি মুক্তি পেয়েছে। আর গাজা থেকে হামাস মুক্তি দিয়েছে ৬ ইসরায়েলি ২ বিদেশি নাগরিককে।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে তাদের মুক্তি দেয়া হয়। এর মধ্যদিয়ে এখন পর্যন্ত ১০৫ ইসরাইলি জিম্মির বিনিময়ে মোট ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হলো।
এর আগে, বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় দুই নারী জিম্মিকে মুক্তি দেয় ফিলিস্তিনের মুক্তিকামী সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস। মুক্তিপ্রাপ্তদের একজন ফ্রান্স ও ইসরাইলের দ্বৈত নাগরিক মিয়া সেম। ২১ বছর বয়সী তরুণী মিয়া সেমকে গত ৭ অক্টোবর হামলার পর একটি সংগীত উৎসব থেকে জিম্মি করে হামাস। অপরজন ইসরাইলি নাগরিক ৪০ বছর বয়সী আমিত সুজানা।
কাতারভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাত ১১টায় (বাংলাদেশ সময় রাত ৩টা) ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানায়, রেডক্রসের তথ্য মতে, ৬ ইসরাইলি নাগরিককে তাদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে এবং তারা এখন ইসরাইলের পথে রয়েছে।
কাতারের পক্ষ থেকেও ৮ জিম্মি মুক্তির বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে। দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র বলেছেন, আজ মুক্তি পাওয়া ৮ জনের মধ্যে দুইজন কিশোর ও বাকি ৬ জন নারী। ৬ জনেরই দ্বৈত নাগরিকত্ব রয়েছে।
গত ২৪ নভেম্বর থেকে ইসরাইল ও হামাসের মধ্যে চারদিনের একটি যুদ্ধবিরতি শুরু হয়। পরে দুই দফায় এর মেয়াদ আরও তিন দিন বাড়ানো হয়। বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সপ্তম দিনের মতো অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি কার্যকর করা হয়। এই সময়ে মোট সাত দফায় বন্দি বিনিময় হয়েছে।
আজ শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সকালে শেষ হওয়ার কথা। তবে আরও দুই দিনের যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর লক্ষ্যে মিশরীয় ও কাতারি কর্মকর্তারা জোর আলোচনা চালিয়ে যাচ্ছেন। এরই মধ্যে আল জাজিরা জানিয়েছে, চতুর্থবারের মতো যুদ্ধবিরতির মেয়াদ বৃদ্ধির জোর সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। যদিও ইসরাইলের পক্ষ থেকে এখনও এ ব্যাপারে নিশ্চিত করা হয়নি।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশি সাংবাদিককে পুলিশের অপহরণ, মুক্তিপণ দাবি
ছবি: সংগৃহীত
বাংলাদেশি এক সাংবাদিককে অপহরণের ঘটনায় সন্দেহভাজন তিন পুলিশ সদস্যের একজনকে দায়িত্ব থেকে অব্যাহতি দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের এক প্রতিবেদনে এতথ্য জানানো হয়।
এ বিষয়ে কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান আল্লাউদিন আবদুল মাজিদ বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে। এতে জড়িত থাকার অভিযোগে আরও দুই পুলিশ কর্মকর্তাকেও অব্যাহতি দেওয়া হতে পারে।
ফ্রি মালয়েশিয়া টুডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ওই বাংলাদেশি সাংবাদিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে আল্লাউদিন আবদুল মাজিদ বলেন, তার বয়স তিরিশের মধ্যে। তাকে অপহরণ করে তিন দিন আটকে রাখা হয়েছিল। এ সময় তার ওপর নির্যাতন করা হয়েছে। মুক্তির জন্য তার কাছে প্রায় সাড়ে চার কোটি টাকা দাবি করা হয়।
বাংলাদেশি ওই সাংবাদিক জানান, স্থানীয় অপহরণকারীরা নিজেদের পুলিশের সদস্য বলে দাবি করেছিলেন। সেলানগরের ক্লাং এলাকায় তাকে আটকে রাখা হয়েছিল।
এ প্রসঙ্গে কুয়ালালামপুর পুলিশের প্রধান সাংবাদিকদের বলেন, সেলানগর পুলিশ এ ঘটনার তদন্ত করছে। আমরা ওই তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার অপেক্ষায় রয়েছি। কুয়ালালামপুর পুলিশের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে।
;
দুই ইসরায়েলি নারী জিম্মিকে মুক্তি দিল হামাস
মুক্তি পাওয়া দুই নারী ইসরায়েলি জিম্মি। ছবি : সংগৃহীত
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জানিয়েছে, দুই ইসরায়েলি নারী জিম্মিকে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করেছে ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস।
ইসরায়েলি সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, আরও কিছু ইসরায়েলি জিম্মিকে আগামী কয়েক ঘন্টার মধ্যে রেড ক্রসের কাছে হস্তান্তর করা হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মুক্তি প্রাপ্তদের নাম মিয়া শেম এবং অমিত সুসানা বলে জানিয়েছে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। দুজনই ফরাসি-ইসরায়েলি দ্বৈত নাগরিক বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।
এদিকে, যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েলি কারাগার থেকে বুধবার (২৯ নভেম্বর) রাতে ৩০ জন ফিলিস্তিনি বন্দিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
ইসরায়েলি কারা কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, কয়েক ঘণ্টার মধ্যে মেয়াদ শেষ হওয়ার কারণে বর্ধিত যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে সর্বশেষ ওই বন্দী বিনিময় করা হলো।
দেশটির কারাগার পরিষেবা এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘রাতে ৩০ জন পুরুষ ও নারী নিরাপত্তা বন্দীকে বেশ কয়েকটি কারাগার থেকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।’
মুক্তিপ্রাপ্তদের মধ্যে একজন ২২ বছর বয়সির নাম আহেদ তামিমি। তিনি ইসরায়েলি দখলদারিত্বের বিরোধীতা করে ফিলিস্তিনিদের প্রধান ব্যক্তিত্ব হয়ে উঠেছিলেন।
তাকে একটি ইনস্টাগ্রাম পোস্টের জন্য আটক করা হয়েছিল। অবশ্য তার পরিবার এই অভিযোগ অস্বীকার করেছে।
ইসরায়েলি সূত্রগুলো দাবি করেছে, এই পোস্টে আহেদ তামিমি ইসরায়েলিদের ওপর হামলার আহ্বান জানিয়েছিলেন এবং ইসরায়েলিদের হিটলারের সাথে তুলনা করেছিলেন।
রাতে গাজা থেকে জিম্মিদের ষষ্ঠ ব্যাচ মুক্ত হওয়ার পর এই বন্দীদের মুক্তি দেয়া হয়। যুদ্ধবিরতি চুক্তির অধীনে ইসরায়েল থেকে মুক্তিপ্রাপ্ত ফিলিস্তিনি বন্দীদের সংখ্যা দাঁড়ালো ২১০ জন।
;
মালয়েশিয়ায় ভবন ধ্বস: সামাজিক সুরক্ষায় নিবন্ধিত নন শ্রমিকরা
ছবি: সংগৃহীত
মালয়েশিয়ার সোশ্যাল সিকিউরিটি অর্গানাইজেশন (পারকেসো) জানিয়েছে মালয়েশিয়ায় ভবনধ্বসে নিহত ও ক্ষতিগ্রস্ত ৯ জন শ্রমিকের ৫ জনেরই নাম প্রতিষ্ঠানটিতে নিবন্ধিত নয়। বিদেশি শ্রমিকের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ফান্ডে অর্থও জমা করেনি নিয়োগকর্তা।
বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) এক বিবৃতিতে মালয়েশিয়ার মানবসম্পদ মন্ত্রী ভি.সিভাকুমার জানান, যে-সব নিয়োগকর্তা বিদেশি শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা ফান্ডে নিবন্ধন করবে না, তাদের কোন ছাড় দিবে না সরকার।
মন্ত্রী ভি.সিভাকুমার আরো জানান, পারকেসোতে নিবন্ধন না করা শ্রমিকদের সোশ্যাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট-১৯৬৯ এর ৬ ধারার লঙ্ঘন। পারকেসো এই নিয়োগকর্তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিবে।
তিনি বলেন, বিদেশি শ্রমিককে নিবন্ধন না করানো এবং সামাজিক সুরক্ষা ফান্ডে অর্থ না জমা করার অপরাধে নিয়োগকর্তা ১০ হাজার রিঙ্গিত (প্রায় ২ লক্ষ টাকা) জরিমানা, অনাদায়ে ২ বছরের কারাদণ্ড অথবা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হতে পারে।
গত মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে মালয়েশিয়ার পেনাং প্রদেশের বাতু মং নির্মাণ এলাকায় ভবন ধ্বসে ৩ জন বাংলাদেশি শ্রমিকের মৃত্যু হয়। ২ জন গুরুতর আহত হয়েছে।
মন্ত্রী বলেন, যে তিনজন শ্রমিক মারা গিয়েছেন তাদের মধ্যে দুইজন এবং আহত দুইজন শ্রমিক পারকেসোতে নিবন্ধিত। কিন্তু ২০২০ সাল থেকে ২০২৩ সালের জুলাই পর্যন্ত তাদের সামাজিক সুরক্ষা ফান্ডে কোনো অর্থ জমা করেনি নিয়োগকর্তা। এছাড়াও আরেকজন মৃত শ্রমিকের নামেও কোনো নিবন্ধন বা অর্থ জমা হয়নি পারকেসো’র ফান্ডে।
২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকেই এই শ্রমিকদের পারকেসোতে নিবন্ধিত হওয়ার কথা ছিল। এছাড়াও বেঁচে যাওয়া আরো ৪ শ্রমিকের বিষয়টি নিয়েও ফায়ার এন্ড রেস্কু বিভাগ ও মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে মন্ত্রণালয় কাজ করছে বলে জানান তিনি।
;
কুপিয়ানস্কের ফ্রন্টলাইন পরিদর্শনে জেলেনস্কি
ফ্রন্টলাইন পরিদর্শনে ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি দেশটির উত্তর-পূর্বে ফ্রন্টলাইনের কুপিয়ানস্ক সেক্টরের কাছের একটি কমান্ড পোষ্ট পরিদর্শন করেছেন।
এনডিটিভি জানিয়েছে, জেলেনস্কি তার পরিদর্শনের খবর বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সোশ্যাল মিডিয়ায় শেয়ার করেছেন।
ইউক্রেনের শীর্ষ জেনারেলদের একজনের সঙ্গে কুপিয়ানস্ক এলাকার ওই কমান্ড পোস্ট পরিদর্শন করার একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন জেলেনস্কি।
এ সময় তাদের আত্মত্যাগের জন্য সেনাদের ধন্যবাদ জানান তিনি।
কমান্ড পোস্টের সমবেত সেনাদের তিনি বলেন, ‘আমি জানি আপনি প্রতিদিন আপনার কমরেড এবং কাছের লোকদের হারাচ্ছেন। সবাই বোঝে যে, এটি সর্বোচ্চ মূল্য।’
ইউক্রেনের সেনারা গত বেশ কয়েক মাস ধরে কুপিয়ানস্ক ফ্রন্টে রাশিয়ার আক্রমণ মোকাবিলা করছে।
কারণ মস্কো এমন একটি সেক্টরে পিছিয়ে যেতে চাইছে, যেখানে তারা এক বছরেরও বেশি আগে পাল্টা আক্রমণে পরাজিত হয়েছিল।
মস্কো গত সেপ্টেম্বর থেকে ওই এলাকায় কিছু ছোট ছোট অগ্রগতি লাভ করেছে। কিন্তু সামনের লাইনগুলো এখনও ধরে রেখেছে ইউক্রেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।