সারাদেশ

গাজায় এখনই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়: যুক্তরাষ্ট্র

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজায় এখনই স্থায়ী যুদ্ধবিরতি নয়: যুক্তরাষ্ট্র

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পরপরই ফের ইসরায়েলি হামলা শুরু হয়েছে। এখনই গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চায় না বলে মন্তব্য করেছে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি। হামলা শুরুর ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার তিনি এই কথা বলেছিলেন।

স্থানীয় সংবাদমাধ্যম আনাদোলুর প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, জিম্মি-বন্দী বিনিময় এবং ত্রাণ সরবরাহ অব্যাহত রাখতে গাজা উপত্যকায় অস্থায়ী মানবিক বিরতির মেয়াদ আরও বৃদ্ধির পক্ষে থাকলেও এখনই সেখানে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাইছে না যুক্তরাষ্ট্র।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ক উপদেষ্টা জন কিরবি বৃহস্পতিবার এক ব্রিফিংয়ে ফিলিস্তিনের 

ব্রিফিংয়ে জন কিরবি বলেন, ‘আমরা এখনই (গাজায়) কোনো স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চাইছি না। তবে আমরা চাই, গাজায় যে মানবিক বিরতি চলছে  তা আরও বৃদ্ধি পাক।’

তিনি বলেন, ‘আমরা চাই সেখানে ৭ দিনের যে যুদ্ধবিরতি শুরু হয়েছে তা আট, নয় ১০ কিংবা আরও বেশি দিন বর্ধিত হোক। কিন্তু, যুক্তরাষ্ট্র মনে করে— এটি শেষ পর্যন্ত চুড়ান্ত কোনো সমাধান আনবে না।’এভাবেই গাজা উপত্যকা নিয়ন্ত্রণকারী গোষ্ঠী হামাস এবং ইসরায়েলের যুদ্ধ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন তিনি।

প্রসঙ্গত, কিরবির এই ব্রিফিংয়ের ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই গাজা উপত্যকায় ফের অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি স্থল ও বিমান বাহিনী। ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী (আইডিএফ) এক বিবৃতিতে বলেছে, হামাস যুদ্ধবিরতির শর্ত ভাঙার কারণে এই অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলি বাহিনী।

দেড় মাসেরও বেশি সময় যুদ্ধের পর অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক চাপের মুখে নতি স্বীকার করে গত ২৫ নভেম্বর অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী আইডিএফ এবং হামাস। গত নভেম্বরের মাঝামাঝি যুদ্ধের অন্যতম মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতারের মাধ্যমে ইসরায়েলের যুদ্ধকালীন মন্ত্রিসভা বরাবর একটি প্রস্তাব পাঠিয়েছিল হামাসের হাইকমান্ড।

যুদ্ধবিরতির ৬ দিন ২৫-৩০ নভেম্বর পর্যন্ত মোট ৯৪ জন জিম্মিকে মুক্তি দিয়েছে হামাস। বিপরীতে ইসরায়েলের বিভিন্ন কারাগার থেকে ১৮০ জনকে ছেড়ে দিয়েছে ইসরায়েলও। ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু জানিয়েছিলেন, হামাস যদি প্রতিদিন ১০ জন জিম্মিকে মুক্তি দেয় তাহলে যুদ্ধবিরতির মেয়াদ একদিন করে বাড়ানো হবে।

অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি চুক্তির একটি গুরুত্বপূর্ণ শর্ত ছিল যেসব জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে তাদের নামের তালিকা স্থানীয় সময় সকাল ৭ টার (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) আগে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনীর কাছে হস্তান্তর করবে হামাস।

গত বৃহস্পতিবার পর্যন্ত হামাস এই শর্ত মানলেও শুক্রবার নির্দিষ্ট সময় পেরিয়ে যাওয়ার পরও গোষ্ঠীটি সেই তালিকা সরবরাহ করেনি বলে জানিয়েছে আইডিএফ।

তাছাড়া এই দিন শেষ রাতে ইসরায়েলের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর হিলটের বিভিন্ন স্থাপনা লক্ষ্য করে গাজা উপত্যকা থেকে কয়েকটি রকেট ছোড়া হয়েছে বলেও নিজেদের বিবৃতিতে উল্লেখ করেছে ইসরায়েলের প্রতিরক্ষা বাহিনী।

শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা (বাংলাদেশ সময় বেলা ১১টা) থেকে গাজায় অভিযান শুরু করেছে ইসরায়েলের বিমান ও স্থলবাহিনী। সেই অভিযানে এখন পর্যন্ত সেখানে নিহত হয়েছেন ৩২ জন।

ইউক্রেনের নির্দেশে হামলা, দ্বৈত নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে মস্কো

মস্কো রেলওয়ে। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দাদের নির্দেশে নাশকতার দায়ে রাশিয়া-ইতালির দ্বৈত নাগরিকত্বসহ এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে রাশিয়ার ফেডারেল সিকিউরিটি সার্ভিস (এফএসবি)।

মস্কো শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, সন্দেহভাজন ব্যক্তি চলতি বছরের শুরুতে কিয়েভের ইন্ধনে মস্কোর রেলওয়েতে বোমা হামলা চালিয়েছিল।

সন্দেহভাজন ব্যক্তির বিরুদ্ধে গত নভেম্বরের শুরুতে মস্কোর দক্ষিণ-পূর্বে রিয়াজান অঞ্চলে একটি ১৫-ক্যারেজ ট্রেন লাইনচ্যুত করার জন্য বিস্ফোরক রাখার অভিযোগ আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে আল-।

এফএসবি আরও জানিয়েছে, ‘ওই ব্যক্তি গত জুলাইয়ে দিয়াগিলেভো সামরিক বিমানঘাঁটিতেও বোমা হামলা করেছিলেন।’

এফএসবির তদন্ত কমিটি এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘ওই অপরাধী রাশিয়া এবং ইতালির নাগরিকত্ব নিয়ে রিয়াজান অঞ্চলের ১৯৮৮ সালে জন্মগ্রহণ করেন বলে প্রমাণিত হয়েছে। আটক ব্যক্তি তার জিজ্ঞাসাবাদের সময় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।’

রাশিয়ার গোয়েন্দা সংস্থা জানিয়েছে, ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে গত ফেব্রুয়ারিতে ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সামরিক গোয়েন্দারা নিয়োগ করেছিল। এরপর তিনি ইইউ এবং ন্যাটো সদস্য রাষ্ট্র লাটভিয়ার বিশেষ পরিষেবা থেকে নাশকতার প্রশিক্ষণ নেন।’

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সন্দেহভাজন ব্যক্তির বাড়িতে তল্লাশি চালিয়ে বিস্ফোরক এবং বোমা তৈরির সরঞ্জাম উদ্ধার করা হয়েছে। অন্যান্য নাশকতামূলক কাজে তার ভূমিকা জানার জন্য তদন্ত চলছে।’

যুদ্ধ শুরুর পর থেকে রাশিয়ার অবকাঠামোতে সর্বোচ্চ প্রোফাইল ইউক্রেনীয় আক্রমণ হয়েছিল ২০২২ সালের অক্টোবরে, যখন ক্রিমিয়ান উপদ্বীপকে রাশিয়ার সঙ্গে সংযুক্তকারী কের্চ স্ট্রেইট সেতুতে বোমা হামলা হয়েছিল।

বিস্ফোরণের কিছুক্ষণ পরেই পাঁচ রাশিয়ান এবং আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করে এফএসবি, যারা ইউক্রেন এবং আর্মেনিয়ার নাগরিক।

সূত্রগুলো গত বৃহস্পতিবার দাবি করেছে যে, ইউক্রেনের নিরাপত্তা পরিষেবা (এসবিইউ) সাইবেরিয়ায় একটি রেললাইনে বোমা হামলা করেছে, যা তাদের রাশিয়ার গভীরে পৌঁছানোর চিত্র তুলে ধরেছে।

এসপ্রেসো টিভি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, ‘ওই হামলাটি রাশিয়া ও চীনের মধ্যে একমাত্র গুরুতর রেল সংযোগকে পঙ্গু করে দিয়েছে, যা মস্কো সামরিক সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য ব্যবহার করেছিল।’

;

চলছে হামাস-ইসরায়েল আলোচনা

ছবি: সংগৃহীত

গাজা উপত্যকায় সাতদিনের অস্থায়ী যুদ্ধবিরতি শেষ হওয়ার পর বিমান হামলা চালানো শুরু করেছে ইসরায়েলি সেনারা। তাদের লক্ষ্য করে সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সদস্যরাও পাল্টা হামলা চালাচ্ছে।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) স্থানীয় সময় সকাল ৭টায় যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়। এরপরই দুই পক্ষ আগের মতো লড়াইয়ে লিপ্ত হয়। তবে মধ্যস্থতাকারী দেশ কাতার জানিয়েছে, ফের যুদ্ধ শুরু হলেও হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে পুনরায় যুদ্ধবিরতির আলোচনা চলছে।

সংবাদমাধ্যম সিএনএনের প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, এ ব্যাপারে শুক্রবার কাতারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘যুদ্ধবিরতিতে ফিরে যেতে দুই পক্ষের মধ্যে আলোচনা অব্যাহত রয়েছে। তবে যুদ্ধবিরতি শেষেই ইসরায়েল যেভাবে আবারও নির্বিচার বোমা হামলা শুরু করেছে, তাতে আলোচনা কঠিন হয়ে যাচ্ছে।’

গাজায় ইসরায়েলের হামলা থামাতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে দ্রুত এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছে দেশটি।

নতুন করে হামলা চালানো শুরুর পর শুক্রবার গাজার দক্ষিণাঞ্চলে বিমান থেকে লিফলেট ফেলেছে ইসরায়েলি সেনারা। তারা সেখানকার মানুষকেও অন্যত্র সরে যেতে বলছে।

এর আগে যুদ্ধের শুরুতে উত্তরাঞ্চলের মানুষকে দক্ষিণাঞ্চলে সরে যেতে বলেছিল তারা। ইসরায়েলিদের এমন নির্দেশনার পর লাখ লাখ মানুষ নিজের বাড়িঘর ছেড়ে দক্ষিণাঞ্চলে পালিয়ে গিয়েছিলেন। এখন নতুন করে আরও মানুষ বাস্তুচ্যুত হওয়ার শঙ্কা দেখা দিয়েছে।

কাতার জানিয়েছে, সাধারণ ফিলিস্তিনিদের তাদের বাড়িঘর থেকে জোরপূর্বক বা ভয়ভীতি দেখিয়ে উচ্ছেদ কোনোভাবেই মেনে নেওয়া হবে না।

;

পূর্ব ইরাকে বোমা ও বন্দুকধারীর হামলায় নিহত ১১

মানচিত্রে ইরাক। ছবি : সংগৃহীত

ইরাকের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, পূর্ব ইরাকে ইসলামিক স্টেট অব ইরাক অ্যান্ড দ্য লেভান্টের (আইএসআইএল বা আইএসআইএস) বোমা ও বন্দুক হামলায় ১১ বেসামরিক নিহত এবং অন্তত ১২ জন আহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) রাতে রাজধানী বাগদাদ থেকে প্রায় ১০০ কিলোমিটার দূরে দিয়ালা প্রদেশের মুকদাদিয়াতে ওই হামলার ঘটনা ঘটে।

উল্লেখ্য, আইএসআইএল সেল দ্বারা বিক্ষিপ্ত সহিংসতা সুদূর পূর্ব অঞ্চলে অব্যাহত রয়েছে, যদিও গোষ্ঠীটি অনেকাংশেই নিশ্চিহ্ন হয়ে গেছে।

দেশটির নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অ্যাসোসিয়েটেড প্রেসকে বলেছেন, রাস্তার ধারে একটি বোমা বিস্ফোরিত হয়। সেই সময় বন্দুকধারীরা উদ্ধারকারী ও পথচারীদের ওপর গুলি চালায়।

নিরাপত্তা সূত্র রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, হামলাটি স্থানীয় সাংসদের আত্মীয়দের লক্ষ্য করে। হামলার সময় দুটি বোমার আঘাতে একটি গাড়ি ধ্বংস হয়, যাটিতে বেশ কয়েকজন লোক ভ্রমণ করছিল।

স্থানীয়রা আহতদের সাহায্য করতে ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তাদের লক্ষ্যবস্তু করে স্নাইপাররা। এতে অন্তত এক ডজন লোক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে।

ইরাকের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র এএফপি বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, গাড়িটি একটি মিনিবাস ছিল এবং সেটি একটি নির্বাচনী সভা থেকে ফেরার সময় বোমা হামলার লক্ষ্যবস্তু হয়।

হামলার পর বন্দুকধারীরা ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়। কোনও গোষ্ঠী তাৎক্ষণিকভাবে ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

ওই হামলাকে আইএসআইএল যোদ্ধাদের কাপুরুষোচিত হামলা বলে নিন্দা করেছেন দিয়ালার গভর্নর মুথানা আল-তামিমি।

তার ফেসবুক পেজে তিনি ইরানের সঙ্গে ইরাকের পূর্ব সীমান্তে অবস্থিত ওই এলাকায় সক্রিয় থাকা সশস্ত্র গোষ্ঠীর সুপ্ত সেলগুলোর বিরুদ্ধে সতর্কতা জোরদার করার জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে আহ্বান জানিয়েছেন।

উত্তরে কুর্দি অঞ্চলের প্রেসিডেন্ট নেচিরভান বারজানি বলেছেন, ‘ওই হামলা প্রমাণ করে যে সন্ত্রাসবাদ এখনও একটি সত্যিকারের হুমকি এবং চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। আমাদের অবশ্যই সমস্ত শক্তি ও ক্ষমতা দিয়ে তাদের মোকাবিলা করতে হবে।’

;

চীন সফরে গিয়ে নিখোঁজ হংকংয়ের সাংবাদিক

মিনি চ্যান। ছবি : সংগৃহীত

হংকংয়ের সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের (এসসিএমপি) একজন সাংবাদিক কাজের জন্য চীন সফরে গিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।

একটি জাপানি নিউজ আউটলেট জানিয়েছে, চীন কর্তৃপক্ষ তাকে আটক করেছে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে হংকং।

নিখোঁজ হওয়া সাংবাদিক মিনি চ্যান চীনের প্রতিরক্ষা এবং কূটনীতি বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলে জানা গেছে। তিনি জিয়াংশান ফোরামে যোগ দিতে বেইজিং ভ্রমণ করেছিলেন।

কিন্তু, ৩১ অক্টোবর তিন দিনের নিরাপত্তা সম্মেলন শেষ হওয়ার পর তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায়নি বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) জানিয়েছে কিয়োডো নিউজ।

চীনা প্রযুক্তি জায়ান্ট আলিবাবার মালিকানাধীন সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট (এসসিএমপি) আল-জাজিরাকে জানিয়েছে, ‘চ্যান ব্যক্তিগত ছুটিতে রয়েছেন।’

এসসিএমপি জানিয়েছে, ‘সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের কাছে আমাদের সাংবাদিকদের পেশাদারি কাজের সময় তাদের নিরাপত্তা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আমরা মিনির পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ চালিয়ে যাব এবং তাদের প্রয়োজনীয় সব সহায়তা প্রদান করব।’

সংবাদপত্রটির ওয়েবসাইট অনুসারে, চ্যান ২০০৫ সাল থেকে তাদের জন্য কাজ করেছেন। গত ১ নভেম্বর প্রকাশিত তার সাম্প্রতিক নিবন্ধে গাজা যুদ্ধে চীনের মধ্যস্থতাকারী ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেছেন।

চ্যানের একজন ফেসবুক বন্ধু আল-জাজিরাকে বলেছেন, তার হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টটি থেকে গত ২ নভেম্বর বিকালে তাকে সর্বশেষ অনলাইন হিসাবে দেখিয়েছিল এবং ফেসবুকে তার সাম্প্রতিক কার্যকলাপ খুবই অদ্ভুত ছিল।

চীনা সামরিক বিশেষজ্ঞ আন্দ্রেই পিনকভ চ্যাং চ্যানকে পেশাগতভাবে চিনতেন। তিনি একটি ফেসবুক পোস্টে লিখেছেন, ‘চ্যান খুব ভদ্র ছিলেন এবং তার বার্তাগুলোর প্রতিক্রিয়া জানাতেন। কিন্তু, নভেম্বরে তা করা বন্ধ করে দিয়েছিলেন।’

হংকং সাংবাদিক সমিতি শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে বলেছে, সংগঠনটি মিনির নিরাপত্তার জন্য গভীরভাবে উদ্বিগ্ন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *