সারাদেশ

স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি: জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেফতার

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বতন্ত্র প্রার্থীকে হুমকি: জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি গ্রেফতার

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নরসিংদীতে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে লক্ষ্য করে তাকে পেটানোর হুমকি দিয়ে নির্বাচনী আচরণ ভঙ্গের দায়ে নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) কে গ্রেফতার করেছে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেইট থেকে তাকে গ্রেফতারের পর নরসিংদীতে নিয়ে আসা হয়। নরসিংদী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি খোকন চন্দ্র সরকার এর সত্যতা নিশ্চিত করেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের নরসিংদী জেলা রিটার্নিং অফিসার ও নরসিংদী জেলা প্রশাসক ড. বদিউল আলম ও পুলিশ সাংবাদিকদের জানান, গত বুধবার দুপুরে নরসিংদী ক্লাব লিমিটেড এর মিলনায়তনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বর্তমান সংসদ সদস্য মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম (বীর প্রতীক) এর মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) এর দেয়া বক্তব্যে স্বতন্ত্র প্রার্থীকে পেটানোর হুমকি দেয়া হয়।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নরসিংদী-১ (সদর) আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী নজরুল ইসলামের নৌকা প্রতীক বিজয়ের লক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় নরসিংদী জেলা ছাত্রলীগ সভাপতি আহসানুল ইসলাম (রিমন) তার বক্তব্যে বলেন, ‘কোনো স্বতন্ত্র-মতন্ত্র আমরা চিনি না, মাইরের ওপর কোনো ওষুধ নাই। ছাত্রলীগের কোনো পোলাপান স্বতন্ত্ররে মানতো না, নরসিংদী শহরে ও সদরের কোনো এলাকায় তাকে থাকতে দেয়া হবে না।’

ছাত্রলীগ নেতার এমন বক্তব্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয় এবং বিভিন্ন গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। যা গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ ১৯৭২ (১৯৭২ সনের রাষ্ট্রপতি আদেশ নং ১৫৫) এর ৭৩ ও ৮৪ (ক) এবং সংসদ নির্বাচনে রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর আচরণ বিধিমালা, ২০০৮ এর ধারা ১১ (ক) এর লঙ্ঘন।

এ ঘটনায় নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গের দায়ে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) নরসিংদী সদর মডেল থানায় একটি মামলা দায়ের করেন নরসিংদী সদর উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ওমর ফারুক।

মামলার প্রেক্ষিতে শুক্রবার দুপুর ১২ টা ৫০ মিনিটে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বঙ্গবন্ধু হল গেট থেকে ডিবি পুলিশ হুমকি দেয়া ছাত্রলীগনেতা রিমনকে গ্রেফতার করে।

নরসিংদীর জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা ড. বদিউল আলম জানান, আমরা অবাধ, সুষ্ঠু ও প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন উপহার দিতে চাই। এতে কেউ বাধা প্রদান করলে বা নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গ করলে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এছাড়া এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নরসিংদীর যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ এবং নরসিংদী-১ নির্বাচনী এলাকার নির্বাচনী অনুসন্ধান দলের সদস্য নাহিদুর রহমান নাহিদ ছাত্রলীগের সভাপতি আহসানুল ইসলাম রিমনকে শোকজ করেন। এতে আইন ভঙ্গের কারণে কেন তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে না তার কারণ জানতে চেয়ে শোকজ পাওয়ার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা চেয়েছেন।

নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ালেন এমপি দিদারুল

বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৪ (সীতাকুণ্ড) আসনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহারের ঘোষণা দিয়েছেন আসনটির বর্তমান সংসদ সদস্য ও স্বতন্ত্র প্রার্থী দিদারুল আলম।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় নিজের বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় কালে তিনি এ ঘোষণা দেন।

দিদারুল আলম বলেন, দেশব্যাপী যেভাবে বিভিন্ন সংসদ সদস্যরা স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র নিয়েছিলেন, একইভাবে আমিও প্রতিনিধির মাধ্যমে একটি ফরম নিয়েছি। তবে দলের বৃহত্তর স্বার্থে আমি নিজেকে নির্বাচন থেকে প্রত্যাহার করলাম। দল যাকে নমিনেশন দিয়েছে আমিও তাকে বিজয়ী করার জন্য নেতাকর্মীদের নির্দেশনা দিয়েছি।

সাংবাদিক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, কোনো চাপের কাছে নতি স্বীকার করে মনোনয়ন প্রত্যাহার করিনি। দলীয় প্রার্থীকে বিজয়ী করার জন্য, প্রধানমন্ত্রীকে আবারও প্রধানমন্ত্রী বানানোর জন্য আমার এ সিদ্ধান্ত।

এর আগে, বৃহস্পতিবার দিদারুল আলম চট্টগ্রাম-৪ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে মনোনয়ন ফরম দাখিল করেন।

এবার এ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন পেয়েছেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন।

;

আ.লীগের পক্ষ নেওয়ায় ভারতের সমালোচনা করলেন রিজভী

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রতি ভারত সমর্থন দেয়ায় দেশটির কড়া সমালোচনা করলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, চীন ও রাশিয়া আওয়ামী লীগ সরকারের পাশে দাঁড়িয়েছে। ওই দুই দেশে তো গণতন্ত্র নেই। তারা কমিউনিস্ট শাসিত দেশ। তারা কীভাবে গণতন্ত্রের ছবক দেয়?

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে এসে রিজভী ভারতের প্রতি ক্ষোভ ঝাড়েন।

গণতান্ত্রিক দেশ হয়েও ভারত কীভাবে বাংলাদেশের সরকারকে সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে তা বুঝতে পারছেন না বলেও সংবাদ সম্মেলনে জানান রিজভী।

ভারতের কড়া সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতি ভারতীয় সমর্থন বিস্ময়কর ও বেমানান। ভারত সবসময় বাংলাদেশকে ঠকিয়ে আসছে। বাংলাদেশের মানুষ আপনাদের (ভারতের) ন্যায্য পানির হিস্যা নিয়ে কথা বলে, সীমান্ত হত্যা নিয়ে কথা বলে, একচেটিয়া বাণিজ্য নিয়ে কথা বলে। যারা এসবের প্রতিবাদ করে তাদের প্রতি বৈরিভাব, আর যারা এসব বিষয় মেনে নেয় শুধু ক্ষমতায় থাকার জন্য তাদের প্রতি ভারত খুশি। এজন্য আওয়ামী লীগ সরকারকে ভারত চায়, তাদের ক্ষমতায় রেখে নিজেদের স্বার্থ হাসিল করতে চায়।’

এটা একটা অদ্ভুত ব্যাপার। ভারত গণতান্ত্রিক দেশ, অথচ তারা সাপোর্ট করছে বিনা ভোটের একটা সরকারকে। তাদের কাছে গণতন্ত্র কোনো বিষয় না, বিষয় হচ্ছে রাজনৈতিক দল। এই দলের মাধ্যমে মোদি সরকার তার স্বার্থ হাসিল করতে পারছে। ফলে গণভিত্তি হারানো একটি রাজনৈতিক দলকে ভারত সাপোর্ট দিয়ে যাচ্ছে।

বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গোটা বিশ্ব যখন বাংলাদেশের ভোটাধিকার বঞ্চিত, গণতন্ত্রকামী মানুষের পক্ষে সরব, তখন ১৫ বছর ধরে বিনাভোটে ক্ষমতা দখল করে থাকা শেখ হাসিনার পক্ষে বক্তব্য-বিবৃতি দিচ্ছে রাশিয়া, চীন ও ভারত। রাশিয়া-চীনে তো গণতন্ত্র নেই। কিন্তু আমাদের প্রতিবেশী ভারত একটি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। সেই ভারত সরকার সরাসরি কীভাবে একটি অগণতান্ত্রিক স্বৈরাচারের পক্ষে নেয়? তারা মুখে বাংলাদেশের জনগণের পক্ষে আছে বললেও মূলত জনগণের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে।

লোভে পড়ে যারা নির্বাচনে অংশ নিয়েছে তাদের সমালোচনা করে রিজভী বলেন, দেশের মানুষ তাদের বেইমান হিসেবে চিহ্নিত করেছে। বিভিন্ন দল থেকে ভাড়া করে লোকজন নিয়ে এসে নির্বাচনের যেই ট্রেনে উঠেছেন, সেই ট্রেন গন্তব্যে পৌঁছাতে দেবে না মুক্তিকামী জনতা। এ নির্বাচন গ্রহণযোগ্য হবে না।

‘দেশের মানুষের কথা শুনেন, মেনে নিন। না হলে পতন অনিবার্য’ বলেও মন্তব্য করেন রুহুল কবির রিজভী।

;

‘১ ডিসেম্বরকে মুক্তিযোদ্ধা দিবস হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ার আহ্বান’

বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা শাজাহান খান মুক্তিযোদ্ধা দিবসের স্বীকৃতি না পাওয়ায় আক্ষেপ করে বলেছেন, ‘আমরা চাই ১ ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধা দিবস হোক। আমরা একদিন থাকব না। আমরা চলে গেলে আমাদের কথা সবাই মনে রাখবেন না। কিন্তু একটা দিবস যদি আমাদের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য দেওয়া হয়, তবে মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগ-অবদান পরবর্তী প্রজন্ম মনে রাখবে।’

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) জাতীয় জাদুঘরে সম্মিলিত মুক্তিযোদ্ধা সংসদ আয়োজিত আলোচনা সভার বক্তৃতায় এসব কথা বলেন তিনি। 

তিনি বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা স্বীকার করেন আমাদের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু আর জয় বাংলা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান। যারা জয় বাংলা স্লোগান দেয় না তারা স্বাধীনতা বিশ্বাস করে না।

শাজাহান খান বলেন, ‘৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমাদের ভুলিয়ে দেয়া হয়েছিল যে বঙ্গবন্ধু আমাদের জন্য কী ছিলেন। ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা সরকার গঠনের পর বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের সেই ভাষণ আবার রেডিও-টেলিভিশনে শোনানো হয়। এ প্রজন্ম আবার বঙ্গবন্ধুকে জানতে শুরু করে, তিনি কী ছিলেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, শেখ হাসিনাকে প্রধানমন্ত্রী না করে আমরা বাড়ি ফিরব না। শেখ হাসিনা একা নন, সারা দেশের মানুষ তার সঙ্গে আছে। আমাদের মাঠে থাকতে হবে যাতে ভোটাররা কেন্দ্রে নিরাপদে যেতে পারেন। ভোটারদের কেন্দ্রমুখী করতে হবে। ভোটারদের বিপুল উপস্থিতি আমাদের নিশ্চিত করতে হবে। 

;

সাংবাদিকের গায়ে হাত: প্রতিনিধিদের দিয়ে ব্যাখ্যা দিলেন এমপি মোস্তাফিজুর

ছবি: সংগৃহীত

মনোনয়নপত্র জমা দিতে এসে আচরণবিধি ভাঙা ও সাংবাদিকদের গায়ে হাত তোলার বিষয়ে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে ব্যাখ্যা দিয়েছেন চট্টগ্রাম-১৬ (বাঁশখালী) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। তবে ব্যাখ্যা দিতে তিনি নিজে আসেননি, পাঠিয়েছেন প্রতিনিধি।

শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) বিকেল পৌনে ৩টার দিকে চট্টগ্রাম-১৬ আসনের নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির চেয়ারম্যান চট্টগ্রাম যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ আবু সালেম মোহাম্মদ নোমানের আদালতে ব্যাখ্যা দিতে আসেন এমপি মোস্তাফিজের এক আইনজীবীসহ ৫ সদস্যের প্রতিনিধি দল।

মোস্তফিজের পাঠানো এই প্রতিনিধি দলে ছিলেন বাঁশখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক আবদুল গফুর, বাঁশখালী পৌরসভা মেয়র অ্যাডভোকেট তোফায়েল বিন হোসেন, বৈলছড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান কফিল উদ্দিন, কালিপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আ ন ম শাহাদাত আলম ও এক আইনজীবী। তাঁরা নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটির কাছে এমপির হয়ে লিখিত জবাব জমা দেন।

আরো পড়ুন: সাংবাদিকের গায়ে হাত: এমপি মোস্তাফিজুরকে তলব

এর আগে বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে দলবল নিয়ে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে মনোনয়নপত্র জমা দিতে আসেন মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া শেষে ফেরার সময় ব্রিফিংয়ে আচরণবিধি ভাঙার বিষয়ে জানতে চান বেসরকারি ইনডিপেন্ডেন্ট টেলিভিশনের প্রতিবেদক রাকিব উদ্দিন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে রাকিবের কলার ধরে থাপ্পড় দেন মোস্তাফিজুর। অন্য সাংবাদিকেরা এগিয়ে এলে তাঁদের ওপর চড়াও হন মোস্তাফিজুর ও তাঁর সমর্থকেরা।

এই বিষয়ে সাংবাদিকেরা লিখিত অভিযোগ করলে নির্বাচনী অনুসন্ধান কমিটি মোস্তাফিজুরকে ব্যাখ্যা দিতে তলব করে। শুক্রবার বিকেল তিনটার আগে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়। সেই সময়ের আগেই প্রতিনিধিদের দিয়ে লিখিত ব্যাখ্যা পাঠালেন মোস্তাফিজুর।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *