‘দিনমজুর ভাড়া করে টিম গঠন, চুক্তিতে নাশকতা’
ডেস্ক রিপোর্ট: ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জেলার দিনমজুর, খেটে খাওয়ার মানুষদের চুক্তিতে ভাড়া করে আটটি দল গঠন করে নাশকতা করা হয় বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবিতে নিজ কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান তিনি।
অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলেন, গত ২৮ অক্টোবর তারিখে বিএনপি ও তার অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা পুলিশ সদস্য হত্যা, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে ভাঙচুর, পুলিশ হসপিটালে অগ্নিসংযোগ করে অ্যাম্বুলেন্স ও মোটরসাইকেলকে অগ্নিকাণ্ড, পুলিশ বক্সে আগুন দেয়া, লক্ষ লক্ষ টাকার সিসি ক্যামেরা নষ্ট ও চুরি করাসহ নানা রকম ধ্বংসলীলার পরে বিভিন্ন মেয়াদে হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচি ঘোষণা করে আসছে।
জনগণের সম্পৃক্ততা না থাকলেও এই হরতাল এবং অবরোধে জনমনে ভীতি সৃষ্টি করা, জন সম্পদ এবং জীবনের হানি ঘটানোর জন্য ঢাকা মহানগর দক্ষিণে তারা আটটি সন্ত্রাসী টিম গঠন করেছে। এই টিমগুলোর কাজ, ঝটিকা মিছিল ও ভাঙচুর করা, যানবাহনে অগ্নিসংযোগ করা, ককটেল বিস্ফোরণ করা, ছবি ভিডিও ধারণ করে পৌঁছে দেয়া এবং ঊর্ধ্বতন নেতাদের নির্দেশে অন্যান্য যে কোনো ধ্বংসাত্মক কাজ করা।
তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসী এই টিমগুলোকে পরিচালনা করার জন্য আছে কেন্দ্রীয় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ। মহানগর যুবদলের নেতৃবৃন্দ, থানা এবং ওয়ার্ড ভিত্তিক বিভিন্ন পর্যায়ে নেতৃবৃন্দ। এই নেতারা ঢাকাসহ বাংলাদেশের অন্যান্য জেলা থেকে সমমনা দিনমজুর, খেটে খাওয়ার লোকদেরকে দৈনিক ভাড়া চুক্তিতে ঢাকা মহানগরীতে নিয়ে এসে কখনো কোমল পানীয়ের বোতল, কখনো অন্যান্য কন্টেইনারে কেরোসিন, দেশলাই সরবরাহ করে চলন্ত গাড়িতে যাত্রী হিসেবে উঠিয়ে পিছন দিক থেকে আগুন লাগিয়ে দ্রুত নেমে ও পালিয়ে যাওয়ার জন্য বলে থাকে। কখনো মোটরসাইকেল করে ঘুরে ঘুরে যানবাহনে আগুন লাগানোর ব্যবস্থাও করে থাকে।
গত ২৯ অক্টোবরে গুলিস্থান থেকে সদরঘাট যাওয়ার পথে তাঁতিবাজার মোড় এলাকায় বিহঙ্গ পরিবহনের একটি বাসে আগুন লাগিয়ে সটকে পড়ে অগ্নিসন্ত্রাসীরা।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামি রাজিব হোসেন বিল্লাল বিজ্ঞ আদালতে বিস্তারিত স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। কীভাবে কাদের মদদে বাসে আগুন লাগানো হয়েছে। আদালতে দেওয়া ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি, সিসিটিভি ফুটেজ, গঠিত টিমের তথ্যের ভিত্তিতে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগ ৩০ তারিখে হাজী পারভেজ সাবেক, ছাত্রদল সভাপতি এবং বর্তমানে বংশাল, কোতোয়ালি থানার যুবদল সভাপতি পদ প্রার্থী এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র যুগ্ম সচিব মাহফুজুর রহমানকে গ্রেফতার করেছে।
গ্রেফতারকৃতরা বর্তমানে চার দিনের পুলিশ রিমান্ডে আছে এবং দুই নেতা তাদের অপকর্মের কথা অকপটে স্বীকার করেছে বলেও জানান তিনি।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।