সাতক্ষীরায় রান্না করা হরিণের মাংস উদ্ধার
ডেস্ক রিপোর্ট: সাতক্ষীরায় রান্না করা হরিণের মাংস উদ্ধার
ছবি: বার্তা২৪.কম
সাতক্ষীরার শ্যামনগরে কড়াইভর্তি রান্না করা হরিণের মাংস উদ্ধার করেছে বন বিভাগ।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সাতক্ষীরা রেঞ্জের সহকারী বনসংরক্ষক (এসিএফ) এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী।
তিনি জানান, শুক্রবার (১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে মরাগাং টহলফাঁড়ির ইনচার্জ (ওসি) সোলাইমান হোসেনের নেতৃত্বে বনকর্মীরা সুন্দরবনসংলগ্ন মরাগাং গ্রামে মাহমুদুল হাসানের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে রান্না করা ১০ কেজি হরিণের মাংস ও ৫০টি হরিণ শিকারের ফাঁদসহ হরিণের নাড়িভুড়ি উদ্ধার করে।
তবে বনবিভাগের উপস্থিতি আগাম টের পেয়ে দলবল নিয়ে মাহমুদুল হাসান দ্রুত পালিয়ে যান। তিনি ওই গ্রামের নজরুল ইসলাম গাজীর ছেলে।
এসিএফ এ কে এম ইকবাল হোসেন চৌধুরী বলেন, হরিণের মাংস রান্না করে ভুড়িভোজের খবর টের পেয়ে তাৎক্ষণিক অভিযান চালিয়ে রান্না করা মাংসসহ অন্যান্য মালপত্র উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় বন আইনে মামলা হয়েছে। আসামিদের আটকের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে তিনি জানান।
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা বিজিবি প্রধানের
সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা বিজিবি প্রধানের
বিজিবি সদস্যদের উদ্দেশে সব সময় সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দেশের জন্য কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)’র মহাপরিচালক মেজর জেনারেল এ কে এম নাজমুল হাসান।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) শ্রীমঙ্গল ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত পরিদর্শনের সময় বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, চোরাচালানসহ সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধ দমন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে কাজ করতে হবে।
জানা গেছে, নিয়মিত কার্যক্রমের অংশ হিসেবে বিজিবি’র মহাপরিচালক সরাইল রিজিয়নের আওতায় শ্রীমঙ্গল এবং ময়মনসিংহ সেক্টর ও জামালপুর ব্যাটালিয়নের দায়িত্বপূর্ণ শ্রীমঙ্গল ও কুড়িগ্রাম সীমান্ত এলাকা পরিদর্শন করেছেন।
এ সময় তিনি বিজিবি সদস্যদের অপারেশনাল, প্রশিক্ষণ ও প্রশাসনিক কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনের সময়ে বিজিবি মহাপরিচালক কোয়ার্টার গার্ডে সালাম গ্রহণ, বৃক্ষরোপণ এবং বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন।
এ সময় তিনি সীমান্ত সুরক্ষার পাশাপাশি মাদক ও অবৈধ অস্ত্র পাচার প্রতিরোধ, চোরাচালানসহ সকল প্রকার সীমান্ত অপরাধ দমন এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক উন্নয়নে বিজিবি সদস্যদের পেশাদারিত্বের সঙ্গে কাজ করার নির্দেশনা দেন।
এছাড়াও আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে অভ্যন্তরীণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষার্থে দায়িত্ব পালনের জন্য সদা প্রস্তুত থাকার বিষয়ে গুরুত্বারোপ করেন।
বিজিবি মহাপরিচালকের পরিদর্শনকালীন বিজিবি সদর দফতরের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ, সরাইল রিজিয়ন কমান্ডার, শ্রীমঙ্গল সেক্টর কমান্ডার, ময়মনসিংহ সেক্টর কমান্ডার এবং সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ অন্যান্য কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
;
শান্তি চুক্তির বর্ষপূর্তিতে কাপ্তাই হ্রদে নৌকা বাইচ
ছবি: বার্তা ২৪
পার্বত্য শান্তি চুক্তির ২৬তম বর্ষপূর্তি পালনে ঐতিহ্যবাহী নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে রাঙামাটির সেনা জোন কর্তৃপক্ষ।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) বিকেলে রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদের স্বচ্ছ জলরাশিতে উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই প্রতিযোগিতা দেখতে কাপ্তাই হ্রদের তীরে হাজারও নারী-পুরুষের প্রাণবন্ত উপস্থিতি ছিলো লক্ষ্যনীয়। নৌকা বাইচে জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে নৌকা নিয়ে দু’টি ইভেন্টে মোট ১২টি দল এই নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে।
ঐতিহ্যবাহী এই খেলা দেখতে কাপ্তাই হ্রদের তীরে ভিড় করেন হাজারও পাহাড়ি-বাঙালি নারী-পুরুষ। অনেকেই নৌকা নিয়ে হাজির হন নৌকা বাইচ দেখতে। শুধু শহর থেকেই নয়, দূরের পাহাড়ি গ্রাম থেকেও অনেকেই নৌকা বাইচ দেখতে ভিড় করেন শহীদ মিনারের নিচে হ্রদের জলে। তাদের হর্ষধ্বনি ও উল্লাসে এই সময় প্রতিযোগীরা বৈঠার তালে তালে এগিয়ে যায়। গ্রাম বাংলার এই ঐতিহ্যবাহী খেলায় মুগ্ধতা প্রকাশ পায় তাদের চোখে-মুখে।
নৌকা বাইচ শেষে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে রাঙামাটি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান অংসু প্রু চৌধুরীর সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি ছিলেন রাঙামাটির সংসদ সদস্য দীপংকর তালুকদার।
এ সময় রাঙামাটি রিজিয়নের ভারপ্রাপ্ত রিজিয়ন কমান্ডার লে. কর্নেল এরশাদ হোসেন চৌধুরী, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অপরাধ) মারুফ আহম্মেদসহ জেলা ক্রীড়া সংস্থা ও রাঙামাটির বিভিন্ন সরকারি দপ্তরের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
নৌকা বাইচ প্রতিযোগিতায় পুরুষদের বড় নৌকা ক্যাটাগরিতে চ্যাম্পিয়ন হয় রতন ত্রিপুরা ও তার দল, প্রথম রানার্সআপ হন প্রশান্ত ত্রিপুরা ও তার দল এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হন চিরমনি ত্রিপুরা ও তার দল। প্রতিযোগিতার দ্বিতীয় ক্যাটাগরি মহিলাদের বড় নৌকায় চ্যাম্পিয়ন হন পূণ্যরাণী ত্রিপুরা ও তার দল, প্রথম রানার্সআপ হন আলো ত্রিপুরা ও তার দল এবং দ্বিতীয় রানার্সআপ হন সুবর্ণা ত্রিপুরা ও তার দল।
পুরস্কার হিসেবে দুই ক্যাটাগরির চ্যাম্পিয়ন দলকে ৫০,০০০ টাকা, ১ম রানার্সআপ দলকে ৩৫,০০০ টাকা, ২য় রানার্সআপ দলকে ২৫,০০০ টাকা এবং শান্ত্বনা পুরস্কার হিসেবে ১০,০০০ টাকার চেক তুলে দেন অতিথিরা।
;
‘চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় বাড়ছে পাহাড়ি সমস্যা’
ছবি: সংগৃহীত
পার্বত্য শান্তিচুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়ন না হওয়ায় পাহাড়ের সমস্যা দিন দিন ঘনীভূত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটির সহ সাধারণ সম্পাদক জলিমং মারমা।
তিনি বলেন, পার্বত্য চুক্তি স্বাক্ষরের ২৬ বছরেও এই চুক্তির মৌলিক বিষয়সমূহ বাস্তবায়িত না হওয়ায় পার্বত্য চট্টগ্রামে পাহাড়ি অধ্যুষিত অঞ্চল হিসেবে তাদের অনন্য বৈশিষ্ট্য সংরক্ষণ ও বিকাশের কাজটি এখনো অসম্পূর্ণ থেকে গেছে। তাই আমরা চাই সরকার শান্তি চুক্তি যেসব ধারা অবাস্তবায়িত হয়ে আছে তা দ্রুত বাস্তবায়ন করে পাহাড়ে শান্তির সুবাতাস বয়ে আনুক।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে পার্বত্য চুক্তির পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নের দাবিতে রাঙামাটি জিমনেশিয়াম মাঠে পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতি রাঙামাটি জেলার উদ্যোগে গণসমাবেশ প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
জেএসএস জেলা সভাপতি গঙ্গা মানিক চাকমার সভাপতিত্বে উক্ত গণসমাবেশে বক্তব্য রাখেন, আদিবাসী ফোরাম পার্বত্য অঞ্চলের সভাপতি প্রকৃতি রঞ্জন চাকমা, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ শিশির চাকমা, জনসংহতি সমিতির কেন্দ্রীয় কমিটি সহ ছাত্র বিষয়ক সম্পাদক জুয়েল চাকমা, হিল উইমেন্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক শান্তি দেবী তঞ্চঙ্গ্যা, চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক দেব দুলাল ভৌমিক প্রমুখ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির ২৬ বছর অতিক্রান্ত হলেও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা ও নানা ভাবে কূটকৌশলের কারণে পূর্ণাঙ্গ চুক্তি বাস্তবায়ন বাধাপ্রাপ্ত হচ্ছে। আর পার্বত্য চট্টগ্রাম জনসংহতি সমিতির (জেএসএস) সম্পাদিত পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তির পূর্ণ বাস্তবায়নে সরকারের আন্তরিকতার অভাব রয়েছে।
এসব কারণে ভূমি কমিশন এখনো পুরোপুরি কাজ শুরু করতে পারছে না। আর পার্বত্য চুক্তিকে আটকে রেখে ধীরে ধীরে নিঃশেষ করার পাঁয়তারা করে যাচ্ছে। তাই এই পরিস্থিতিতে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি নিয়ে দূরত্ব ও লুকোচুরি না করে সরকারকে উদার মনোভাব নিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম চুক্তি দ্রুত পূর্ণাঙ্গ বাস্তবায়নে এগিয়ে আসর আহ্বান জানান বক্তারা।
;
পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারে আটক ২
ছবি: বার্তা ২৪
লালমনিরহাটে ইউনিয়ন পরিষদের ‘হিসাব সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহারের অভিযোগে দুই পরীক্ষার্থীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
শনিবার (২ ডিসেম্বর) দুপুরে নিয়োগ পরীক্ষার হল থেকে তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সদর থানায় নিয়ে আসা হয়েছে।
গ্রেফতারকৃত দুইজন হলেন, লালমনিরহাটের আদিতমারী উপজেলার পশ্চিম ভেলাবাড়ীর শ্রী সুশীল চন্দ্র রায়ের ছেলে শ্রী ধর্মকান্ত রায় (৩৭ ) ও দুর্গাপুর ইউনিয়নের মোজ্জামেল হকের ছেলে মেহেদী হাসান (৩৭)।
জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদের ‘হিসাব সহকারি কাম কম্পিউটার অপারেটর’ পদে নিয়োগ পরীক্ষায় ইলেকট্রনিক ডিভাইস ও অসৎ উপায় অবলম্বন হচ্ছে এমন গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটরা সন্দেহকৃত দুই পরীক্ষার্থীকে তল্লাসি করে। পরে তাদের শরীর থেকে ইলেকট্রনিক ডিভাইস পাওয়া যায়। এ সময় তাদের আটক করে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করেন।
লালমনিরহাট সদর থানার ওসি ওমর ফারুক ঘটনা সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘দুইজনকে আটক করা হয়েছে। তাদের নামে মামলা হয়েছে। সকালে আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পাঠানো হবে।’
এ বিষয়ে লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্লাহ্ বলেন, ‘অসৎ উপায় অবলম্বন করায় দুইজনকে আমরা থানায় পাঠিয়েছি, তাদের বিরুদ্ধে প্রচলিত আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।