সারাদেশ

স্বতন্ত্রদের বহিষ্কারের কোন সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের নেই: কাদের

ডেস্ক রিপোর্ট: স্বতন্ত্রদের বহিষ্কারের কোন সিদ্ধান্ত আওয়ামী লীগের নেই: কাদের

ছবি: বার্তা২৪

সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, স্বতন্ত্র হলে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হবে এটা কি আমরা বলেছি? এ সিদ্ধান্ত আমাদের নেই।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) ১২টায় ধানমন্ডিস্থ আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, তাদের অনেকেই এই নেতিবাচক রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসতে চায়। তার প্রমাণ তাদের অনেক নেতা বেড়িয়ে এসে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। অনেকেরই শুভবুদ্ধির উদয় হয়েছে। বিএনপির নেতিবাচক রাজনীতিতে জড়িয়ে রাজনৈতিক জীবনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে চায় না তারা। যারা আসছেন, তাদের মধ্যে অনেক বড় বড় নেতাও আছেন। শুধু শাহজাহান ওমর নয়। সুস্থধারায় ফিরে আসায় আমি আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে তাদের ধন্যবাদ জানাই।

তিনি বলেন, ২৮টি নিবন্ধিত দল অংশ নিয়েছে। বিএনপি একটি দল। ৩২ দফা ৫৪ দল সে সব দল ও তাদের সাথে নেই। অনেকেই তাদের ভুলের রাজনীতি থেকে বেরিয়ে আসা শুরু করেছে। বিএনপির ভুয়া আন্দোলনে অনেকে বিভ্রান্ত হয়েছে। আজকে তাদের নেতা রিজভী সাহেব গুহা থেকে বের হয়ে ঝটকা মিছিল করে। পুলিশ দেখলে আবার চলে যায়। এদের বুকে সাহস নাই। আমি তারেককে বলবো এটা রাজনীতি নয়। রাজনীতি করতে চাইলে আসেন, রাজপথে মোকাবেলা করি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মামলা মামলার পথে চলবে। আমি বলবো নির্বাচন কমিশনের যে আচরণ বিধি, সে আচরণ বিধি অনুযায়ী কেউ যদি ইলেকশনের জন্য এলিজিবল হয়, আমরা কেন বাধা দিবো? যদি এলিজিবল না হয় তাহলে ইলেকশন কমিশনকে একশন নিতে দিন। সেখানে আমাদের কিছু করার নেই।

তিনি আরও বলেন, লন্ডনে বসে কি? বাংলাদেশে আন্দোলন করবেন। এই যে ভুলের রাজনীতির সপক্ষে দলের অনেক নেতাকর্মীকে হারাবেন। সঠিক যারা সবাই ফিরে আসতে চায়। বাংলাদেশের রাজনীতি সুষ্ঠু হবে। নির্বাচন ব্যবস্থায় আমরা পরিবর্তন এনেছি। শেখ হাসিনার একক প্রচেষ্টায় নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। তাদের সকল ব্যবস্থাকে আমরা স্বাগত জানাচ্ছি। ওসি, ইউএনও, ডিসি ট্রান্সফার সবই ইলেকশন কমিশন করছে। কারণ তারাই এসব জিনিস নিয়ন্ত্রণ করবে, করছে। এখানে আমাদের কোন অভিযোগ নেই। 

হাইকোর্টে মির্জা ফখরুলের জামিনের আবেদন

মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর

প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার মামলায় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিনের জন্য হাইকোর্টে জামিনের আবেদন করা হয়েছে।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) মির্জা ফখরুলের পক্ষে তার জামিনের অ্যাডভোকেট সগীর হোসেন লিয়ন এ আবেদন করেন।

হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানান মির্জা ফখরুলের অন্যতম আইনজীবী অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল।

২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ হতে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলার ঘটনায় এ মামলা করা হয়।

২৯ অক্টোবর সকালে গুলশানের বাসা থেকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরকে আটক করে পুলিশ। এরপর ঢাকা সিএমএম আদালতে জামিনের আবেদন করা হলে ম্যাজিস্ট্রেট তা নাকচ করে দেন।

ওই আদেশের বিরুদ্ধে ঢাকা মহানগর দায়রা আদালতে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের জামিন আবেদন করা হলে বিচারক তাও নামঞ্জুর করেন। 

;

রাজধানীতে জামায়াতের মিছিল

ছবি: বার্তা২৪

বিএনপি-জামায়াত ও সমমনা দলগুলোর ডাকা নবম দফার অবরোধের দিন রাজধানীর বিভিন্ন স্পটে মিছিল করেছে জামায়াতে ইসলামী। নিবন্ধন বাতিলের প্রতিবাদ, কেয়ারটেকার সরকার পূনর্বহাল, নেতাকর্মীদের মুক্তি, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ সহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দেয় তারা।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল ৭টায় রাজধানীর খিলগাঁও এলাকায় অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে নেতাকর্মীরা। জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগর দক্ষিণের কর্মপরিষদ সদস্য আব্দুস সালাম মিছিলের নেতৃত্ব দেন।

এদিন সকালে শাহবাগে সড়ক অবরোধ করে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের নেতাকর্মীরা। ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য শাহীন আহমদ খানের নেতৃত্বে এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মজলিসে শুরা সদস্য এডভোকেট মাহফুজুল হক চৌধুরী, মোস্তাফিজুর রহমান শাহীন।

এছাড়া জুরাইন, নারায়ণগঞ্জ, যাত্রাবাড়ী, ওয়ারী ও কলাবাগান এলাকায় সড়ক অবরোধ করে মিছিল দেয় জামায়াতে ইসলামীর নেতাকর্মীরা। 

;

ঘোষণাতেই সীমাবদ্ধ অবরোধ, প্রভাব নেই রাজধানীতে

ছবি: বার্তা২৪

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল বাতিল, সরকারের পদত্যাগ, নির্দলীয় সরকার গঠন ও কারাবন্দি নেতাদের মুক্তির দাবিতে নবম দফায় ডাকা বিএনপির ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ শুরু হলেও তেমন প্রভাব নেই জনমনে। নির্বিঘ্নে চলছে যানবাহন, অন্যান্য দিনের তুলনায় রাস্তায় বেড়েছে পথচারীও।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকাল থেকে রাজধানীর মহাখালী, ফার্মগেট, শাহবাগসহ বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা গেছে রাস্তায় স্বাভাবিক দিনের মতই যানচলাচলের ফলে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। ব্যক্তিগত গাড়ি, সিএনজি ও ছোট যানবাহনগুলোর সংখ্যাও বেড়েছে সড়কে। এছাড়া সকালে কর্মস্থানে যাওয়ার প্রয়োজনে অবরোধ উপেক্ষা করেই চলাচল করছে সাধারণ মানুষও। তবে দূরপাল্লার বাস চলাচল কিছুটা কম দেখা গেছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গাবতলি, মহাখালী ও সায়দাবাদ বাস টার্মিনাল থেকে দূর পাল্লার বাস ছাড়ার প্রস্তুতি নিয়ে যাত্রীদের জন্য অপেক্ষা করছে পরিবহণ সংশ্লিষ্টরা। কাঙ্ক্ষিত যাত্রী না পাওয়ায় অলস সময় কাটাচ্ছে এসব টার্মিনালের শ্রমিকরা। রাজধানীতে কর্মব্যস্ততা থাকলেও ভয় ও উৎকণ্ঠায় দূরের পথে যাওয়া থেকে বিরত থাকছে যাত্রীরা।

এদিকে অবরোধ বাস্তবায়নের সকালে কাকরাইল থেকে শান্তিনগর পর্যন্ত মিছিল করেছে মৎস্যজীবী দল। মিছিলে অংশ নিয়েছিলেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবীর রিজভী। এসময় তিনি, সারাদেশে সর্বাত্মকভাবে নবম দফার এই অবরোধ পালনে নেতাকর্মীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।

তবে যে কোন প্রকার বিশৃঙ্খলা এড়াতে সজাগ আছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।

;

‘আমরা আর মামুরা’ স্টাইলে নির্বাচন হতে দেওয়া হবে না: রিজভী

মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে এই মিছিল হয়

‘অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার দেশে ‘আমরা আর মামুরা স্টাইলে’ নির্বাচন করার অপচেষ্টা করছে। কিন্তু বাংলাদেশের জনগণ এ ধরনের নির্বাচন হতে দেবে না’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির ডাকা ৯ম দফার অবরোধ কর্মসূচির প্রথম দিনে কাকরাইল থেকে শান্তিনগর মোড় পর্যন্ত মিছিল শেষ এসব কথা বলেন তিনি।

সরকারের পদত্যাগ, নির্বাচনী তফসিল বাতিল, খালেদা জিয়া ও দলের মহাসচিবসহ নেতাকর্মীদের মুক্তির দাবিতে মৎস্যজীবী দলের আয়োজনে এই মিছিল হয়।

তিনি বলেন, শেখ হাসিনা দেশকে বিক্রি করে হলেও ক্ষমতায় থাকতে চান। তার মধ্যে কোনো ধরনের দেশপ্রেম নেই। দেশ থাকলো না থাকলো, দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব থাকলো না থাকলো তাতে তার কোনো কিছু আসে যায় না। তর চাই শুধু ক্ষমতা। কিন্তু চক্রান্ত করে আর ক্ষমতায় থাকা যাবে না। নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার ছাড়া বাংলাদেশে আর কোনো নির্বাচন জনগণ হতে দেবে না।

মিছিলে অংশ নেয় বিএনপির সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী নেওয়াজ, জাতীয়তাবাদী মৎসাজীবী দলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম, কেন্দ্রীয় যুগ্ম আহ্বায়ক ওমর ফারুক পাটোয়ারী, মো. শাহ আলম, কবির উদ্দিন মাস্টার, মহানগর দক্ষিণের সদস্য সচিব কেএম সোহেল রানা, মহানগর উত্তরের সদস্য সচিব মোহাম্মদ বাকীবিল্লাহ, নারায়ণগঞ্জ জেলার সভাপতি এইচ এম হোসেন, মুন্সীগঞ্জ জেলার আহ্বায়ক হাজী আনোয়ার হোসেন, কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইব্রাহিম চৌধুরী প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *