সারাদেশ

নাটোরে ৩ বাসে আগুন

ডেস্ক রিপোর্ট: গরুর মাংস ঢাকার বাজারে ৬০০ টাকা কেজি দরে কোথাও কোথাও বিক্রি হচ্ছে। কোথাও আবার এর চাইতে বেশিও রাখছেন কেউ কেউ। এভাবে একেক জায়গায় একেক দামে মাংস বিক্রি হওয়ায় ক্রেতারা বিভ্রান্ত হচ্ছেন।

তাই মাংসের দাম সমন্বয় করতে রবিবার (৩ ডিসেম্বর ) সংশ্লিষ্ট সব পক্ষকে নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় বসে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সভায় দফায় দফায় হট্টগোল করেন মাংস ব্যবসায়ীরা।

সভায় ব্যবসায়ীদের একটি অংশ অভিযোগ করেন, কেউ কেউ প্রতি কেজি গরুর মাংস ৬০০ টাকা দরে বিক্রি করছেন। তাতে কয়েকজন ব্যবসায়ীর হাতে চলে যাচ্ছে গরুর মাংসের বাজার। ফলে পাড়া-মহল্লার অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা করতে পারছেন না।

যেসব ব্যবসায়ী কম দামে মাংস বিক্রি করছেন, তাদের প্রতি নানা ধরনের ইঙ্গিতপূর্ণ কথা বলেন অভিযোগকারী ব্যবসায়ীরা। এতে সভায় অন্তত পাঁচবার উত্তেজনা দেখা দেয়। তখন পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান।

তিনি সব পক্ষকে কথা বলার সুযোগ দিলেও ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীদের একাংশের মধ্যে সভা শেষ হওয়া পর্যন্ত এক ধরনের অসন্তোষ দেখা গেছে। তাদের অভিযোগ, কিছু ব্যবসায়ী কম দামে মাংস বিক্রি করে বাজার নষ্ট করছেন।

শেষ পর্যন্ত সভায় সিদ্ধান্ত হয় যে, আগামী বুধবার বাংলাদেশ মাংস ব্যবসায়ী সমিতি, বাংলাদেশ ডেইরি ফারমার্স অ্যাসোসিয়েশনসহ (বিডিএফএ) ব্যবসায়ীদের সব পক্ষ বসে গরুর মাংসের দাম কত হবে, তা ঠিক করবে।

ওই সভার সিদ্ধান্ত আগামী রবিবারের মধ্যে ভোক্তা অধিদপ্তরে প্রতিবেদন আকারে জমা দিতে হবে। অন্যদিকে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশনও (বিটিটিসি) গরুর মাংসের বাজার যাচাই করবে।

এরপর ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বসবে ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর। সভায় মাংস ব্যবসায়ীদের পাকা রসিদের মাধ্যমে বেচাকেনা করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি ব্যবসায়ীদের যথাযথ স্থানে মূল্যতালিকা প্রদর্শনের মাধ্যমে মাংস বিক্রি করতে বলা হয়েছে।

সভায় ভোক্তা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘বাজারে গরুর মাংসের দাম কত হবে, তা ব্যবসায়ীরা ঠিক করবেন। অস্বাভাবিক কোনও পরিস্থিতি তৈরি হয়ে ভোক্তারা যেন ক্ষতিগ্রস্ত না হন, সেটা নিয়ে আমরা কাজ করছি। আর একজন ব্যবসায়ী কম দামে বিক্রি করতে পারলে অন্যরা কেন পারবেন না, সেই প্রশ্নের উত্তরও খুঁজে দেখার প্রয়োজন আছে।’

সভায় বিটিটিসির উপপরিচালক মাহমুদুল হাসান বলেন, ‘কে কোন গ্রেডের মাংস বিক্রি করছেন, তা নিয়ে সমীক্ষা হওয়া উচিত। সেই অনুযায়ী দাম নির্ধারণ হতে হবে। কারণ, মাংসের মান সব ক্ষেত্রে সমান নয়। তবে এটা মাথায় থাকা উচিত, দিন শেষে ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে না থাকলে অনেক ভোক্তা মাংস কিনতে চাইবেন না।’

ঢাকার মাংস ব্যবসায়ীদের একাংশ জানায়, আগে যারা ৫০০ কেজি মাংস বিক্রি করতেন, গত কয়েক মাসে তাদের বেচাকেনা ১০০ কেজিতে নেমে এসেছে। আবার যখন কেজি ৭০০ টাকার নিচে নেমেছে, তখন বেচাকেনা ৪০ শতাংশ বেড়ে গেছে।

তারা বলেন, দেশে এখনো ওয়েট দিয়ে লাইভ গরু বিক্রির সংস্কৃতি গড়ে ওঠেনি। ফলে অনেক ব্যবসায়ী গরু কিনতে গিয়ে ঠকে যান। সেই চাপ পড়ে ক্রেতাদের ওপর।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *