সারাদেশ

চট্টগ্রামে অবরোধ সমর্থনে বিএনপির ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৫

ডেস্ক রিপোর্ট: চট্টগ্রামে অবরোধ সমর্থনে বিএনপির ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৫

ছবি: বার্তা২৪.কম

সরকার পতনের একদফা দাবি ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে বিএনপির ডাকা ৯ম দফা অবরোধের দ্বিতীয় দিন সোমবার (৪ ডিসেম্বর) নগরী ও জেলার বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল ও সড়ক অবরোধ করেছে চট্টগ্রামের বিএনপি নেতাকর্মীরা। অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির আরও ৫ নেতাকর্মীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে দাবি দলটির।

নগর বিএনপি জানায়, অবরোধের সমর্থনে চট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার বেলায়েত হোসেন, সরওয়ার আলমগীর, কাজী মো. সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে ঢাকা ট্রাঙ্ক রোড়ের ভাটিয়ারী এলাকায় উত্তর জেলা বিএনপির বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে অবরোধের সমর্থনে নগরীর টাইগার পাস, আগ্রাবাদ, প্রবর্তক মোড়, গোলপাহাড়, কালামিয়া বাজার, কদমতলী মো‌ড়, সিডিএ মার্কেট মোড়, পাহাড়তলী ডিটি রোড, বহদ্দারহাট এক কিলোমিটার, রাহাত্তার পুল, কর্নেলহাট ও অক্সিজেন এলাকায় ঝটিকা মিছিল করে বিএনপি অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা। মহানগর ছাড়াও জেলার পটিয়ার, আনোয়ারা, বাঁশখালীতে বিক্ষোভ মিছিল বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

চট্টগ্রাম নগর বিএনপির দফতরের দায়িত্বপ্রাপ্ত মো. ইদ্রিস আলী বলেন, ‘অবরোধকে কেন্দ্র করে বিএনপির আরও ৬ জন নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এরমধ্যে রোববার অবরোধের সমর্থনে মিছিল করায় সীতাকুন্ড উপজেলা ছাত্রদলের আহ্বায়ক কাজী সেলিম উদ্দিনকে না পেয়ে তার ছোট ভাই কাজী নাজিম উদ্দিনকে গ্রেফতার করেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ।

‘একইদিন গভীর রাতে কাজী সেলিমকে গ্রেফতারে উদ্দেশ্যে তার ভাটিয়ারী নয়াপাড়াস্থ বাসায় অভিযান চালায় পুলিশ। তল্লাশিকালে পুলিশ তার বৃদ্ধ পিতা ও পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে চরম দুর্ব্যবহার করে। পুলিশ প্রথমে তার পিতাকে গ্রেফতারের জন্য টানাটানি করে। পরে তাকে ছেড়ে দিয়ে তার নিরপরাধ ছোট ভাইকে খালি গায়ে গ্রেফতার করে গায়েবি মামলায় আটক দেখিয়ে কারাগারে পাঠিয়ে দিয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‌‌’পাথরঘাটা ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আবুল কালামকে কোতোয়ালি থানা, চান্দগাঁও ওয়ার্ড স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা জসিম উদ্দিন, মোক্তার হোসেনকে চান্দগাঁও থানা ও পটিয়া উপজেলা ছাত্রদল নেতা রবিউল হাসান আদরকে কাশিয়াইশ নয়া হাট থেকে গ্রেফতার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ।’

‘সরকার এবারও নির্বাচন নিয়ে তামাশা করছে ’

ছবি: বার্তা ২৪.কম

বিপ্লবী ওয়ার্কাস পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেছেন, ২০১৪ এবং ১৮ সালে এদেশের মানুষের ভোটাধিকার নিয়ে সরকার যে তামাশা করেছে , যে প্রহসন করেছে সে প্রহসন এবার ২০২৪ সালে ভোটাধিকার নিয়ে করছে। দেশকে দুর্যোগ, সংঘাতের দিকে ঠেলে দিচ্ছে। এটা খুবই উদ্বেগের, খুবই আতঙ্কের।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে গণতন্ত্র মঞ্চের অবরোধ সমর্থন মিছিল শেষে সংক্ষিপ্ত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।

সাইফুল হক বলেন, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের যে নাটক আমরা দেখলাম গত ১৫ বছরে সরকারকে যারা মদদ জুগিয়েছে, সমস্ত অবৈধ কাজে যারা সহযোগী হয়েছে এরকম অনেকের মনোনয়ন তারা (আওয়ামী লীগ ) বাতিল করে দিয়েছে। এর কারণ হলো সরকারের সাথে যে সিন্ডিকেট তাদের সাথে সম্ভবত বোঝাপড়া সম্পূর্ণ হয়নি। তাদের সাথে ভাগবাটোয়ারার ব্যাপারে হয়তো কোনো সমস্যা হয়েছিল।

তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী ১৪ দলের সাথে নাকি সভা করবেন। ১৪ দল শরিকদের খুবই মন খারাপ। শরিকদের প্রায় সমস্ত আসনে নৌকার প্রার্থী দিয়ে দেওয়া হয়েছে। নতুন করে আজকে তিনি ( শেখ হাসিনা ) ভাগ-বাটোয়ারা করবেন। নতুন করে তিনি বন্দোবস্তের আয়োজন করবেন। এই হচ্ছে নির্বাচনের তামাশা । জবরদস্তি করে ক্ষমতায় থাকতে গিয়ে এখন সমস্ত সিন্ডিকেট একত্রিত হয়েছে।

জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি ) সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মো. স্বপন বলেন, ২০১৪ সালে যে নির্বাচন হয়েছে সেটিকে আমরা ভোট চুরির নির্বাচন হিসেবে দেখেছি এবং ২০১৮ সালে যে নির্বাচন হয়েছে সেটি নিশিরাতের নির্বাচন হিসেবে জাতীয় এবং আন্তর্জাতিকভাবে খ্যাতি পেয়েছে। আর ২০২৪ সালে যে নির্বাচনটি হতে যাচ্ছে আজকের এই শাসক ( শেখ হাসিনা ) একতরফা নীল নকশার যে নির্বাচন অনুষ্ঠান করতে যাচ্ছে যাকে ইতিমধ্যে এদেশের জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। আজকে সেই নির্বাচনের নতুন তকমা লেগেছে সেটি একটি ডামি নির্বাচন।

এতে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকিসহ আরো অনেক নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

‘নির্বাচনে না আসলে বিএনপির নাম-নিশানাও থাকবে না’

ছবি: সংগৃহীত

২০২৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ না নিলে আগামীদিনে বিএনপির নাম-নিশানাও থাকবে না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও গোপালগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) বিকেলে দক্ষিণ সিটির প্রধান কার্যালয় নগর ভবন প্রাঙ্গণে মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, শেখ ফজলুল হক মণি’র ৮৫তম জন্মদিবসের স্মরণসভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে শেখ ফজলুল করিম সেলিম এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, মাওলানা ভাসানী ন্যাপের নেতৃত্ব দিয়েছেন। উনি মুরব্বি মানুষ। আমি ওনার সমালোচনা করতে চাই না। কিন্তু বাস্তবতা হলো, চায়না যে রকম ইঙ্গিত দিয়েছিলো উনি সে মোতাবেক চলতেন। এর আগে পাকিস্তান ও আইয়ুবের প্রশংসাও গেয়েছিলেন। সত্তরের নির্বাচনের আগে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া ভাষণে মাওলানা ভাসানী ভোলা, লক্ষ্মীপুর, চট্টগ্রামে সাইক্লোনে অজুহাত দেখিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেন নাই। বঙ্গবন্ধু বলেছিল, যে দশটি জায়গায় সাইক্লোন হয়েছে সেখানে নির্বাচন পরে হবে। কিন্তু নির্বাচন না হলে পাকিস্তান তো আরও বেনিফিটেড হবে। তখন বঙ্গবন্ধু বললো, আমি নির্বাচনে যাবো। এই বাংলায় কে নেতৃত্বে দেবে? সবাই বড় নেতা। অহিদুজ্জামান বড় নেতা। ছবুর খান বড় নেতা। ফকা চৌধুরী বড় নেতা। শাহ আজিজ বড় নেতা। তারা মুসলিম লীগের সঙ্গে ছিল। ইতিহাস তার নিজস্ব গতিতে চলে। তোমরা ইলেকশনে আসো বা না আসো। তোমরা সত্তরেও আসো নাই। তাতে কি হয়েছে? মাওলানা ভাসানীর ওই দলটা এখন আর আছে? এই দলই তো নাই। একইভাবে এবার যদি বিএনপি নির্বাচনে না আসে, তাহলে, ইনশাল্লাহ — সামনের দিনে তোমাদের নাম-নিশানা-ঠিকানাও থাকবে না।

জিয়াউর রহমান বাংলাদেশকে পাকিস্তানি ভাবধারায় পরিচালিত করতে বিএনপি গঠন করেছিল মন্তব্য করে শেখ সেলিম বলেন, বিএনপির জন্ম কোথা থেকে হয়েছে? না, ক্যান্টনমেন্ট থেকে না। এটা হয়েছে — আমরা কি স্বাধীন বাংলাদেশ নাকি পাকিস্তানি ভাবধারায় চলবো, সেই চিন্তা-চেতনা থেকে। বিএনপির সমর্থক ছিল যত রাজাকার, আল-বদর, আল-শামস। আরেকটা হল মাওলানা ভাসানী পার্টি — ন্যাপ । জিয়াউর রহমান অবৈধভাবে ক্ষমতা গ্রহণ করে। মোস্তাক হলো ন্যাপের সমার্থক। জিয়াউর রহমান যখন পার্টি গঠন করছে তখন ফখরুল ইসলাম, খোকা, মান্না ছাত্র ইউনিয়ন করতো। এটা নিয়েই সে বিএনপি করছে। এদের উদ্দেশ্য হলো বঙ্গবন্ধু ও এদেশের স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো।

সভাপতির বক্তব্যে দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ঢাদসিক) মেয়র ও শেখ ফজলুল হক মণি’র ছোট ছেলে ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নুর তাপস তার প্রয়াত পিতাকে বাংলাদেশের চে গুয়েভারা হিসেবে অভিহিত করেন।

অনুষ্ঠানে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগের বিভিন্ন স্তরের নেতৃবৃন্দ, দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের আওতাধীন থানা ও ওয়ার্ডের আওয়ামী লীগ এবং আওয়ামী লীগের অঙ্গ, সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতিম সংগঠনের সভাপতি সাধারণ-সম্পাদকবৃন্দ, করপোরেশনের কাউন্সিলরবৃন্দ, বিভিন্ন বিভাগের বিভাগীয় প্রধানসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

;

‘তামাশার নির্বাচনের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে জনগণের মুক্তি ঘটবে’

ছবি: সংগৃহীত

বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর আওয়ামী লীগ রাজাকার, আলবদর, আলশামস ও শান্তি বাহিনীর মতো গুপ্ত হামলা করছে বলে অভিযোগ করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।

সোমবার (৪ নভেম্বর) বিকেলে এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই অভিযোগ করেন।

রিজভী বলেন, মাথায় হেলমেট, মুখে মুখোশ পরে নম্বর প্লেটবিহীন মাইক্রোবাস অথবা মোটরসাইকেলে রাতের অন্ধকারে এসে গুপ্ত হামলা করছে আওয়ামী গুপ্ত ঘাতকেরা। রাতের অন্ধকারে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাসাবাড়িতে ইটপাটকেল নিক্ষেপ, বাড়িঘর ভাঙচুর ও ককটেল-বোমা মারা হচ্ছে। এসব ঘটনায় সরাসরি পুলিশ প্রশাসন মদদ দিচ্ছে।

ক্ষমতাসীনদের গুপ্ত হামলায় এখন পর্যন্ত চারজন নেতা-কর্মী নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন অনেকে। একই কায়দা-কৌশলে এক মাস ধরে দেশে রক্ত ঝরাচ্ছে আওয়ামী সন্ত্রাসবাদী দল।

গুপ্ত হামলাকারীদের শান্তি বাহিনী ও হানাদার বাহিনী আখ্যা দিয়ে রিজভী বলেন, বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের না পেলে তাঁদের সন্তান, স্ত্রী, মা-বোন-ভাই-বাবাকে ধরে নিয়ে যাচ্ছে পুলিশ। ভাঙচুর-লুটপাট করছে। মুক্তিপণ আদায় করছে। ১৯৭১ সালে রাজাকার, আলবদর, আলশামস, শান্তি বাহিনীর লোকজন পাকিস্তানি বাহিনীকে বীভৎস হত্যার মদদ দিত, ধরিয়ে দিত মুক্তিযোদ্ধা বা তাঁদের পরিবারের লোকজনদের। আওয়ামী লীগ এখন সেভাবে বিএনপি নেতা-কর্মীদের বাড়িঘর ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানে আগুন দিচ্ছে।

আরো পড়ুন: ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ ঘোষণা বিএনপির

রিজভী আরও বলেন, এত কিছুর পরও প্রবল শক্তিতে হানাদারমুক্ত বাংলাদেশ পুনঃপ্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে আন্দোলনের মাঠে লড়ছে বিএনপিসহ গণতন্ত্রকামী রাজনৈতিক দলগুলো। বৈপ্লবিক স্তরে প্রবেশ করেছে তারা। শেখ হাসিনার একদলীয় তামাশার নির্বাচনের স্বপ্ন ধূলিসাৎ করে জনগণের মুক্তি ঘটবে যেকোনো সময়ে।

সারা দেশে নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের চিত্র তুলে ধরে সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় সারা দেশে ৩৫৫ জনের অধিক নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ১৪টি মামলায় অন্তত ১ হাজার ২৬৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। এই সময়ে বিভিন্ন হামলায় দলের অন্তত ৭০ জন নেতা-কর্মী আহত হয়েছেন বলেও জানান রিজভী।

সংবাদ সম্মেলনে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের কর্মসূচি ঘোষণা করেন রিজভী। একই সঙ্গে ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবসে সারা দেশে মানববন্ধনের কর্মসূচিও ঘোষণা করেন তিনি।

আরো পড়ুন: ১০ ডিসেম্বর দেশব্যাপী বিএনপির মানববন্ধন

;

ফেনীতে নাশকতার সরঞ্জামসহ গ্রেফতার ২

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীতে নাশকতার সরঞ্জামসহ ২ অবরোধকারীকে শহরের চাড়ীপুর রাস্তার মাথা নামক স্থান থেকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। সোমবার (৪ ডিসেম্বর) দুপুরে নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান পুলিশ সুপার জাকির হাসান।

গ্রেফতারকৃতরা হলেন ফেনী পৌর স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব মো. ইকবাল হোসেন (৩৩) এবং ফেনী সদর উপজেলা যুবদল নেতা সালমান ফারসী (৩৫)।

পুলিশ সুপার জানান, গত কয়েকদিন ধরে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কসহ ফেনী বড় বাজারে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা অবরোধের সমর্থনে পিকেটিং, গাড়ি ভাঙচুর ও বিভিন্নস্থানে অগ্নিসংযোগ করে আসছে। তারই প্রেক্ষিতে সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সকালে ওইসব এলাকায় পুলিশ বিশেষ অভিযান পরিচালনা করে। তখন ফেনী শহরের চাড়ীপুর রাস্তার মাথা এলাকা থেকে নাশকতার চেষ্টার সময় চটের বস্তায় রাখা লোহার তৈরি বিভিন্ন সরঞ্জামসহ তাদের গ্রেফতার করা হয়। সেখান থেকে জুনিয়র মিরাজ (২০) নামে একজন পালিয়ে যান।

সংবাদ সম্মেলনে ফেনীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. শাহাদাত হোসেন, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) থোয়াই অংপ্রু মারমা, ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শহিদুল ইসলাম চৌধুরীসহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ফেনী জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাঈদুর রহমান জুয়েল বলেন, নিরপরাধ নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলায় গ্রেফতার করা হচ্ছে। এসব করে আন্দোলন দমানো যাবেনা। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই। গ্রেফতারকৃত নেতাকর্মীদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন তিনি।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গ্রেফতারকৃতদের আজ আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *