সারাদেশ

বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএসএফ’র গুলিতে দুই বাংলাদেশি নিহত

ছবি: সংগৃহীত

ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনীর (বিএসএফ) গুলিতে দুই বাংলাদেশি যুবক নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ নভেম্বর) ভোরে ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার গেদুড়া ইউনিয়নের কাঠালডাঙ্গী সীমান্তে এ ঘটনা ঘটে। গেদুড়া ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ তরিকুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

নিহত যুবকেরা হলেন, উপজেলার গেরুয়াডাঙ্গী গ্রামের নজরুল ইসলাম ছেলে মোখলেছুর রহমান (২৮) ও একই এলাকার আবদুল বাসেদের ছেলে জহুরুল ইসলাম (২৭)।

ইউপি চেয়ারম্যান বলেন, ভোররাতে কাঠালডাঙ্গী সীমান্তের ৩৭০/৩ এস, ভারত নারগাও ক্যাম্প পিলার-৭২ সীমানা এলাকায় বাংলাদেশি কয়েকজন গরু পারাপার করতে গেলে তাঁদের লক্ষ্য করে বিএসএফ ৭ থেকে ৮ রাউন্ড গুলি চালায়। এ সময় বিএসএফের গুলিতে দুই যুবক গুলিবিদ্ধ হয়। এর মধ্যে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে মোখলেছুর রহমান বাংলাদেশ অংশে চলে আসে। অন্যদিকে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় জহুরুলকে বিএসএফ সীমান্তের একটি হাসপাতালে ভর্তি করলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। সকালে গ্রামবাসীরা মোখলেছুর রহমানের পড়ে থাকা নিথর মরদেহ উদ্ধার করে।

তিনি আরও বলেন, জহুরুলের মরদেহ ফেরত দিতে বিজিবি পতাকা বৈঠক করেছে। আগামীকাল বিএসএফ মরদেহ ফেরত দেওয়ার কথা রয়েছে।

হরিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এবি এম ফিরোজ ওয়াহিদ বলেন, গুলিবিদ্ধ একজনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঠাকুরগাঁও হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের পর লাশ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হবে।

মর্গে পড়ে ছিল প্রবাসীর লাশ, ৫ মাস পর দেশে

ছবি: সংগৃহীত

পরিবারে ও নিজের ভাগ্য বদলাতে মাত্র ৮ মাস আগে সৌদি আরবে গিয়েছিলেন নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ হানিফ (৩৩)। কিন্তু ভাগ্যের নির্মমতায় প্রবাসে গিয়ে প্রতারকদের খপ্পরে পড়ে হতে হয় নির্যাতিত। দালাল চক্রের নির্যাতনে আহত হয়ে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রাণই হারাতে হয় হানিফের। হাসপাতালের মর্গে পড়ে ছিল মরদেহ। নানা চেষ্টা করেও ফেরত আনা যাচ্ছিল না নিষ্প্রাণ দেহটি। অবশেষে মৃত্যুর ৫ মাস পর বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) এবং ব্র‍্যাকের সহযোগিতায় দেশে ফিরেছে প্রবাসী মোঃ হানিফের মৃতদেহ।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) পরিবারের কাছে মৃতদেহ হস্তান্তর করা হয়। রাতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক।

জিয়াউল হক বলেন, ব্র্যাক ও এপিবিএনের যৌথ সহযোগিতায় বাংলাদেশ দূতাবাসের মাধ্যমে দীর্ঘ ৫ মাস পর দেশে ফেরে নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার আব্দুল মোতালেবের ছেলে মোঃ হানিফের (৩৩) মরদেহ। সকালে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লাশ গ্রহণ করেন হানিফের স্ত্রী আফিয়া খাতুন এবং তার ভাই। এসময় সেখানে আবেগঘন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ জিয়াউল হক আরও বলেন, ‘রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে সৌদি গিয়ে নির্যাতনে যুবকের মৃত্যু, লাশ দেশে আনার আকুতি’ শিরোনামে চলতি বছরের ৩ জুলাই গণমাধ্যমে সংবাদ প্রচার হলে বিষয়টি এপিবিএনের নজরে আসে। সংবাদের সূত্রধরে পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে ব্র্যাক ও এপিবিএন। মৃত হানিফের মরদেহ সরকারি খরচে দেশে আনার বিষয়ে আশ্বস্ত করা হয় পরিবারকে।

জীবিকার সন্ধানে রিক্রুটিং এজেন্সি অপশন ম্যানপাওয়ার ওভারাসীজের মাধ্যমে সৌদি আরবের আভা শহরে গিয়ে প্রতারণা ও নির্যাতনের শিকার হয়ে হানিফের মৃত্যু হয়। গত ১৬ জুন রিয়াদের একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। তার মৃত্যুর পর সেখানে বসবাসকারী নিকটাত্মীয়রা লাশ দেশে আনার বিষয়ে দায়িত্ব নিতে অপারগতা প্রকাশ করে। ফলে লাশ দেশে ফিরিয়ে আনা নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দেয়।

মৃত হানিফের পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে আলাপ করে জানা গেছে, পঞ্চম শ্রেণি পর্যন্ত লেখাপড়া করা হানিফ অভাবের তাড়নায় ছোটবেলা থেকে নির্মাণ শ্রমিকের (রাজমিস্ত্রি) কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ভাগ্যের চাকা পরিবর্তনের আশায় চলতি বছরের ১২ মার্চ সৌদি আরবে যান হানিফ।

দেশটিতে যাওয়ার পর তাকে রাজমিস্ত্রির কাজ না দিয়ে আভা শহরে ভেড়া চরানোর চাকরি দেওয়া হয়। যে মালিকের অধীন তাকে চাকরি দেওয়া হয়েছিল ওই ব্যক্তি তাকে নানা ধরনের শারীরিক নির্যাতন করতো। বিষয়টি রিক্রুটিং এজেন্সিকে জানানোর পর তারা যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। সেখানে নির্যাতনে অসুস্থ হয়ে পড়লে গত ১৬ জুন রিয়াদের একটি হাসপাতালে ভর্তি করা হয় হানিফকে। ওই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় একইদিন স্থানীয় সময় বিকেল ৩টায় হানিফ মারা যান।

এপিবিএন এ বিষয়ে সৌদি আরবে অবস্থিত বাংলাদেশ দূতাবাসের সঙ্গে বারবার যোগাযোগ করলে গত ৩ ডিসেম্বর ৫ মাস পর তার মৃতদেহ সরকারি ব্যবস্থাপনায় দেশে ফেরত আসে।

;

টাঙ্গাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

সড়ক দুর্ঘটনায় দুই মোটরসাইকেল আরোহী নিহত

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে সড়ক দুর্ঘটনায় আদনান সোহাগ (১৮) ও মো. সবুজ (২০) নামের দুই মোটরসাইকেল নিহত হয়েছেন।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার সাগরদিঘি ইউনিয়নের কামালপুর এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।

সাগরদিঘি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের এএসআই আমিরুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

নিহত আদনান ও সবুজ সাগরদিঘি উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল। আদনান লক্ষিন্দর ইউনিয়নের ইন্দ্রা বাইদ গ্রামের জসিম উদ্দিনের ছেলে এবং মো. সবুজ একই এলাকার মিন্টু মিয়ার ছেলে।

নিহতের পরিবার ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সোমবার বিকেলের দিকে মোটরসাইকেল নিয়ে বেড়াতে যাচ্ছিল দুই বন্ধু। কামালপুর এলাকায় গেলে মোটরসাইকেলটি নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে অটোভ্যানের সঙ্গে ধাক্কা লাগে। এসময় চালকসহ মোটরসাইকেলটি সড়কে ছিটকে পড়ে। ঘটনাস্থলেই সোহাগের মৃত্যু হয়। অপরদিকে মোটরসাইকেল চালক সবুজ ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়ার পথে মৃত্যু হয়েছে। তাদের মৃত্যুতে পরিবার ও এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

;

নভেম্বরে মূল্যস্ফীতি সামান্য কমে ৯.৪৯ শতাংশ

ছবি: বার্তা২৪.কম

সদ্যসমাপ্ত নভেম্বর মাসে দেশের মূল্যস্ফীতি পরিস্থিতির সামান্য উন্নতি হয়েছে। এ মাসে মূল্যস্ফীতি ৯ দশমিক ৪৯ শতাংশে নেমে এসেছে, আগের মাসে যা ৯ দশমিক ৯৩ শতাংশ ছিল।

সোমবার (৪ ডিসেম্বর) প্রকাশিত বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর তথ্য অনুসারে, নভেম্বরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কমে ১০ দশমিক ৭৬ শতাংশ হয়েছে, অক্টোবরে যা ছিল ১২ দশমিক ৫৬ শতাংশ।

এ সময় গ্রামাঞ্চলের তুলনায় শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি কম ছিল। নভেম্বরে শহর এলাকায় মূল্যস্ফীতি দাঁড়িয়েছে ৯ দশমিক ১৬ শতাংশে, অক্টোবরে যা ছিল ৯ দশমিক ৭২ শতাংশ। শহরে খাদ্য মূল্যস্ফীতি ১০ দশমিক ৫৮ শতাংশ এবং খাদ্যবহির্ভূত পণ্যের মূল্যস্ফীতি ৮ দশমিক ১৭ শতাংশ।

যদিও খাদ্যবহির্ভূত খাতে বিপরীত চিত্র দেখা যায়। নভেম্বরে খাদ্যবহির্ভূত মূল্যস্ফীতি হয়েছে ৮ দশমিক ১৬ শতাংশ। অক্টোবরে যা ছিল ৮ দশমিক ৩০ শতাংশ। চলতি মাসের মধ্যে মূল্যস্ফীতি ৮ শতাংশে নামিয়ে আনার লক্ষ্য বাংলাদেশ ব্যাংকের। গত মাসে মজুরি সূচকও বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ দশমিক ৭২ ভাগ।

চলতি অর্থবছর গড় মূল্যস্ফীতি ৬ শতাংশের মধ্যে রাখার লক্ষ্যমাত্রা ছিল সরকারের। কিন্তু ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হওয়ায় সংকট আরও বেড়েছে। তবে মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক নীতি সুদহার বাড়িয়েছে। মূল্যস্ফীতি বৃদ্ধির জন্য এতদিন মূলত ডলারের মূল্যবৃদ্ধিকে দায়ী করে আসছিল বাংলাদেশ ব্যাংক। এখন সুদের হার বাড়িয়ে মূল্যস্ফীতি কমানোর চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। সুদের হার বাড়লে মানুষ সাধারণত ব্যাংকে আমানত রাখতে উৎসাহিত হন।

;

ডেঙ্গু বৃদ্ধির কারণ জলবায়ু পরিবর্তন: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, বাংলাদেশসহ বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গুরোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে গেছে। ডেঙ্গুরোগসহ অন্যান্য ভেক্টর-বর্ণ ডিজিজসমূহ বৃদ্ধির জন্য জলবায়ু পরিবর্তনই দায়ী।

রোববার (৩ ডিসেম্বর) দুবাইয়ে বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলনে ২০২৩ (কপ ২৮) এক দিনের বিশেষ হেলথ ডে উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।

দিবসটি উপলক্ষে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক বৈঠক ও আলোচনা সভায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে বাংলাদেশ সরকারের পক্ষে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী ও সচিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন।

জাহিদ মালেক বলেন, জলবায়ু পরিবর্তন ও এর ক্ষতিকর প্রভাব বিস্তারে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলো দায় এড়াতে পারে না। এ কারণে জলবায়ু পরিবর্তনে ক্ষতি কমিয়ে নিতে বিশ্বের শক্তিশালী দেশগুলোকে সহযোগিতার হাত আরও প্রসারিত করতে হবে, পিছিয়ে থাকা দেশগুলোতে সহোযোগিতা বৃদ্ধি করতে হবে।

এশিয়ান ডেভলপমেন্ট ব্যাংক আয়োজিত জলবায়ু ও স্বাস্থ্য বিষয়ক গোলটেবিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠকে বাংলাদেশের পক্ষে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে স্বাস্থ্যখাতে বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জসমূহ এবং এসকল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় বর্তমান সরকারের উদ্যোগসমূহ তুলে ধরে সভায় বিশ্বব্যাপী আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানান। বাংলাদেশে জলবায়ুবান্ধব ভ্যাকসিন প্ল্যান্ট স্থাপনে উদ্যোগ ও সহায়তার জন্য এডিবিকে ধন্যবাদ জানান স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

একই সঙ্গে তিনি অন্যান্য উন্নয়ন সহযোগিদের জলবায়ুবান্ধব স্বাস্থ্য ব্যবস্থা বিনির্মাণে কার্যকরী পদক্ষেপসহ কারিগরি ও আর্থিক সহযোগিতা বৃদ্ধি করার আহ্বান জানান।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *