চলতি মাসের টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু বুধবার
ডেস্ক রিপোর্ট: চলতি মাসের টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
ডিসেম্বর মাসের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। এ মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল চিনি ও চালের সঙ্গে পেঁয়াজ যুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) চলতি মাসের মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। টিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান। জুলাই মাস থেকে এ বিক্রি কার্যক্রমে টিসিবি পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেওয়া চাল যুক্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইস ব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ
ছবি: সংগৃহীত
লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়ন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩৫ বছর পর এ উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। কমবে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি। ঘটবে আর্থ সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন। বৃদ্ধি পাবে সরকারি রাজস্ব আয়।
বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে ১১ একর ১৫ শতক জমির ওপর বুড়িমারী স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও আমদানি-রফতানিকারকদের সেবা দিয়ে আসছে। বন্দরে একটি প্রশাসনিক ভবন, তিনটি ডিজিটাল স্কেল, একটি ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ভবন, একটি শ্রমিক বিশ্রামাগার, দুটি ৪০০ টন ধারণ ক্ষমতার শেড, একটি ১ হাজার টন ধারণক্ষমতার শেড, দুটি ট্রান্সশিপমেন্ট শেড ও দুটি ওপেন ইয়ার্ড রয়েছে। কিন্তু জায়গা সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সকল সমস্যার সমাধান হবে।
লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবু জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। বৃদ্ধি পাবে সরকারি রাজস্ব আয়।
বুড়িমারী কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলীম বলেন, পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের যে ভলিয়ম বুড়িমারী স্থলবন্দরের সে তুলনায় সেবার মান নিম্নমুখী। এজন্য সরকার ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সেবার মান নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে সব পক্ষের জন্য সুবিধা হবে।
বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল। এতে সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, সরকার এ স্থলবন্দরটিকে আধুনিকায়ন করার জন্য বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।
;
হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ, ভোগান্তিতে রোগীরা
ছবি: সংগৃহীত
ফেনীর সোনাগাজী উপজেলার ৫০ শয্যা বিশিষ্ট স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে বিগত এক সপ্তাহ যাবত পানি সরবরাহের পাম্প নষ্ট। সংস্কার না হওয়ায় বিগত ৭ দিন ধরে হাসপাতালটিতে বন্ধ রয়েছে পানি সরবরাহ । এতে ভর্তি হওয়া রোগী, তাদের স্বজন এবং ডাক্তার-নার্সরা পড়েছেন চরম ভোগান্তিতে। হাসপাতালে পানি নেই এমন আলোচনায় সরগরম এলাকা। বাধ্য হয়ে রোগীরা আশেপাশের আত্মীয় স্বজনদের বাড়িতে গিয়ে পানির জরুরি প্রয়োজন সারছেন।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে হাসপাতালে পানি ওঠানোর একমাত্র পাম্পটি বৃহস্পতিবার (৩০ নভেম্বর) থেকে নষ্ট হয়ে যায়। এতে হাসপাতালে পানি সরবরাহ বন্ধ থাকায় রোগী এবং তাদের স্বজনরা বিপাকে পড়েছেন। পানির সংকটে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রোগীদের গোসল করা এবং শৌচাগার এ যাওয়া কষ্টসাধ্য হয়ে পড়েছে।
স্থানীয়রা জানায়, পানি না থাকায় রোগী ও তাদের স্বজনরা বাইরের দোকান, পুকুর ও টিউবওয়েলের পানি নিয়ে আসছেন। পানি সংকটে শৌচাগারে পানি ব্যবহার কম হওয়ায় ছড়াচ্ছে দুর্গন্ধ।
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রাব্বী মজুমদার নামে এক রোগীর স্বজন বলেন, গত কয়েকদিন দিন ধরে এখানে ভর্তি আছি। রোগীকে ভালো করতে এসে মনে হচ্ছে আমরাও অসুস্থ হয়ে যাব। বাইরে থেকে পানি এনে চলা যায় না। আমাদের দুর্ভোগের শেষ নেই।
হাসপাতালে ভর্তিকৃত রোগীরা বলেন, পানি ছাড়া হাসপাতালে চিকিৎসাসেবা নেয়া যায় না। বাধ্য হয়ে বাইরে গিয়ে এক আত্মীয়ের বাসা থেকে গোসল করে আসতে হচ্ছে। নিরুপায় হয়ে এখানে পড়ে আছি।
বিবি কুলসুম নামে একজন বলেন, এ যেন বেহাল দশা, রোগীর সেবা যত্ন করতে এসে অন্যরাও রোগী হয়ে যাচ্ছেন। ৭ দিন যাবত সমস্যা সমাধান না হওয়া দুঃখজনক। রোগীদের স্বার্থে দ্রুত সমাধান করা উচিত।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. উৎপল দাস বলেন, পানির পাম্পটি নষ্ট হয়ে যাওয়াতে এ সমস্যা সৃষ্টি হয়েছে। এবিষয়ে কর্তৃপক্ষকে চিঠি দিয়ে জানানো হয়েছে। স্বাস্থ্য প্রকৌশল বিভাগের প্রকৌশলী দুইবার ইতোমধ্যে এসেছেন কিন্তু পাম্প ঠিক হয়নি। দ্রুত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
সোনাগাজী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জহির উদ্দিন মাহমুদ লিপটন বলেন, এ বিষয়ে ইতোমধ্যে উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা হয়েছে। সমস্যা সমাধানে কাজ চলছে। দ্রুত সমস্যা সমাধান হবে বলে জানান তিনি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) কামরুল হাসান বলেন, হাসপাতালের পানির সমস্যার বিষয়টি আমি অবগত ছিলাম না। স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে কথা বলে পানির সমস্যা সমাধানের জন্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
;
নৌকা প্রার্থীর কার্যালয়ের সামনে ককটেল বিস্ফোরণ
ছবি: সংগৃহীত
রাজধানী বনানী ২৪ নম্বর রোডে ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। ঢাকা ১৭ আসনের আওয়ামীলীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী অধ্যাপক মো. এ আরাফাতের নির্বাচনী কার্যালয়ের পাশে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত দশটার দিকে বনানী ২৪ নম্বর রোডে তার বাসার সামনে এ ঘটনা ঘটেছে বলে জানিয়েছে বনানী থানা পুলিশ।
বনানী থানা পুলিশের একজন কর্মকর্তা বলেন, ঢাকা ১৭ আসনের নৌকা মার্কার প্রার্থী কার্যালয়ের পাশে একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। এতে কেউ হতাহত হয়নি।
কে বা কারা এই ককটেল হামলা করেছে জানতে চাইলে পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এ বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে এটি খতিয়ে দেখার জন্য আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
মোহাম্মদ এ আরাফাতের ব্যক্তিগত সহকারী মাইকেল চৌধুরী বলেন, ককটেল হামলার ঘটনায় মো. হারুনুর রশিদ নামের একজন আহত হয়েছেন।
;
পদোন্নতি না পেয়ে মন্ত্রণালয়ে ক্যাডারদের চিঠি
ছবি: সংগৃহীত
যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও প দোন্নতি না পেয়ে বাংলাদেশ সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর চিঠি পাঠিয়েছে প্রশাসনের আদার্স (অন্যান্য) ক্যাডারের ১০৫ জন কর্মকর্তা। উপসচিব থেকে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি না পেয়ে তারা এই চিঠি প্রেরণ করেন। ক্রমাগত জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন ও জুনিয়রদের অধীনে কাজ করতে বাধ্য হচ্ছেন বলে অভিযোগ তাদের। বঞ্চনার কারণে সামাজিক, মানসিক ও আর্থিকভাবে ক্ষতির মধ্যে পড়েছেন এমন দাবি করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন করেছেন তাঁরা।
বাংলাদেশ সচিবালয়ের জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সচিব বরাবর পাঠানো চিঠির সূত্রে এসব তথ্য জানা গেছে। ৩ ডিসেম্বর পাঠানো আবেদনের অনুলিপি মন্ত্রিপরিষদ সচিব, অর্থ মন্ত্রণালয়সহ সরকারের সংশ্লিষ্ট আটটি দপ্তরে প্রেরণ করা হয়েছে বলেও জানা গেছে।
বেদনে বলা হয়েছে, পদোন্নতির সকল যোগ্যতা ও শর্ত পালন করা সত্ত্বেও যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি প্রদান না করে ন্যায়সংগত অধিকার থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। নিয়মিত ব্যাচের যখন যুগ্ম সচিব হিসেবে পদোন্নতি হয়, তার আগেই অথবা সেই সময় অনেকে উক্ত পদে পদোন্নতির সকল শর্ত পূরণ করেছে। কিন্তু দুঃখজনকভাবে নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি দেওয়া হয়নি।
শুধু তা-ই নয়, পরবর্তী অনেকগুলো জুনিয়র ব্যাচের কর্মকর্তারা যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি পেয়েছেন অথচ ১০৫ জন উপসচিবকে এখনো পদোন্নতি প্রদান করা হয়নি। এভাবে ক্রমাগত আমাদের জ্যেষ্ঠতা লঙ্ঘন করা হয়েছে এবং জুনিয়রদের অধীনে কাজ করতে বাধ্য করা হচ্ছে। প্রাপ্য পদোন্নতি হতে অজ্ঞাত কারণে বারবার বঞ্চিত হওয়ায় মানসিক, শারীরিক, আর্থিক ও সামাজিকভাবে অপূরণীয় ক্ষতির মধ্যে পতিত হয়েছে বলে বঞ্চিতরা মনে করছেন।
এ অবস্থায় সরকারের উপসচিব, যুগ্ম সচিব, অতিরিক্ত সচিব ও সচিব পদে পদোন্নতি বিধিমালা, ২০০২, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের রায়, ১৯৮৩ সালের বিসিএস সিনিয়রটি রুলস, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধান এবং ন্যাচারাল জাস্টিস অনুসরণ করে অতি দ্রুত যার যার নিয়মিত ব্যাচের সঙ্গে জ্যেষ্ঠতা প্রদানপূর্বক যুগ্ম সচিব পদে পদোন্নতি প্রদান করার জন্য আবেদন করেছেন কর্মকর্তারা।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।