খেলার খবর

বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়নের উদ্যোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: লালমনিরহাটের বুড়িমারী স্থলবন্দর আধুনিকায়ন করার প্রকল্প হাতে নিয়েছে সরকার। প্রতিষ্ঠার প্রায় ৩৫ বছর পর এ উদ্যোগ হাতে নেওয়া হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সৃষ্টি হবে কর্মসংস্থান। কমবে যাত্রী ও ব্যবসায়ীদের হয়রানি। ঘটবে আর্থ সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন। বৃদ্ধি পাবে সরকারি রাজস্ব আয়।

বুড়িমারী স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৮ সালে ১১ একর ১৫ শতক জমির ওপর বুড়িমারী স্থলবন্দরটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাসপোর্টধারী যাত্রী ও আমদানি-রফতানিকারকদের সেবা দিয়ে আসছে। বন্দরে একটি প্রশাসনিক ভবন, তিনটি ডিজিটাল স্কেল, একটি ফায়ার হাইড্রেন্ট সিস্টেম ভবন, একটি শ্রমিক বিশ্রামাগার, দুটি ৪০০ টন ধারণ ক্ষমতার শেড, একটি ১ হাজার টন ধারণক্ষমতার শেড, দুটি ট্রান্সশিপমেন্ট শেড ও দুটি ওপেন ইয়ার্ড রয়েছে। কিন্তু জায়গা সংকটের কারণে ব্যবসায়ীরা বিভিন্ন সময় কাঙ্ক্ষিত সেবা পাচ্ছেন না। ব্যবসায়ীরা বিভিন্নভাবে হয়রানির শিকার হচ্ছেন। তবে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে সকল সমস্যার সমাধান হবে।

লালমনিরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্ট্রিজের সভাপতি শেখ আব্দুল হামিদ বাবু জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে স্থানীয় পর্যায়ে ব্যাপক কর্মসংস্থান সৃষ্টির পাশাপাশি এ অঞ্চলের আর্থ সামাজিক অবস্থার আমূল পরিবর্তন হবে। বৃদ্ধি পাবে সরকারি রাজস্ব আয়।

বুড়িমারী কাস্টমসের ডেপুটি কমিশনার আব্দুল আলীম বলেন, পাসপোর্টধারী যাত্রী এবং আমদানি-রফতানি কার্যক্রমের যে ভলিয়ম বুড়িমারী স্থলবন্দরের সে তুলনায় সেবার মান নিম্নমুখী। এজন্য সরকার ভূমি অধিগ্রহণের মাধ্যমে সেবার মান নিশ্চিত করার উদ্যোগ নিয়েছে। প্রকল্পটি দ্রুত বাস্তবায়িত হলে সব পক্ষের জন্য সুবিধা হবে।

বুড়িমারী স্থলবন্দরের সহকারী পরিচালক (ট্রাফিক) গিয়াস উদ্দিন জানান, প্রকল্পটি বাস্তবায়নের ফলে আধুনিক পদ্ধতিতে পরিচালিত হবে বুড়িমারী স্থলবন্দরের আমদানি-রফতানি কার্যক্রম ও পাসপোর্টধারী যাত্রী চলাচল। এতে সরকারি রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।

লালমনিরহাট জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ উল্যাহ বলেন, সরকার এ স্থলবন্দরটিকে আধুনিকায়ন করার জন্য বড় প্রকল্প হাতে নিয়েছে। জমি অধিগ্রহণের কাজ এখন শেষ পর্যায়ে।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *