উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও ৩ খুন
ডেস্ক রিপোর্ট: উখিয়ায় রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আবারও ৩ খুন
ছবি: সংগৃহীত
কক্সবাজারের উখিয়া রোহিঙ্গা ক্যাম্পে পৃথক ঘটনায় ৩ রোহিঙ্গা খুন হয়েছে। পুলিশের দাবি ক্যাম্পে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও ২জন আহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে উখিয়া ১৭ নম্বর মধুর ছড়া ও জামতলির ১৫ নম্বর ক্যাম্পে পৃথক এই হত্যার ঘটনা ঘটে।
উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামীম হোসাইন জানান, আরাকান রোহিঙ্গা স্যালভেশন আর্মি (আরসা)’র সন্ত্রাসীরা ১৫ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ৪ জনকে তুলে নিয়ে গিয়ে ক্যাম্পের ব্লক জি৩ ও ব্লক ৭ এর খালি জায়গায় গুলি করে ও এলোপাতাড়ি কুপিয়ে চলে যায়। এতে ২ জন নিহত হয় ও ২ গুরুতর আহত হয়।
সন্ত্রাসীরা আরসা’র বললেও নিহত ও আহতরা রোহিঙ্গা সলিডারিটি অর্গানাইজেশন (আরএসও) কিনা সে সম্পর্কে কিছু বলেননি তিনি।
এছাড়াও পৃথক আরেকটি ঘটনা ঘটে ১৭ নং ক্যাম্পে। ওসি শামীম হোসাইন জানান, কথা আছে বলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে এ হত্যাকাণ্ড ঘটানো হয়। তাকেও গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা।
নিহতরা হলেন, ১৫ নম্বর ক্যাম্পের মো. জোবাইর (১৮), আনোয়ার সাদিক (১৭) ও ১৭ নম্বর ক্যাম্পের কাশিম (৩৪)।
নিহতদের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার জেলা সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে এবং অপরাধীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে বলে জানান ওসি শামীম হোসাইন।
এদিকে এ নিয়ে এক দিনে ৪ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটল আশ্রয় শিবিরে। এর আগে বিকেলে ৪ নং ক্যাম্পে আরেকটি ঘটনায় গুলি করে হত্যা করা হয় ইমাম হোসেন নামের এক যুবককে।
জামালপুরে অবরোধ সমর্থনে বিক্ষোভ মিছিল
ছবি: বার্তা ২৪
বিএনপির ডাকা ১০ম ধাপে দেশব্যাপী ৪৮ ঘণ্টা অবরোধের প্রথমদিনে জামালপুরে অবরোধের সমর্থনে মিছিল-সমাবেশ করেছে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সকালে জামালপুর শহরে বিএনপির উদ্যোগে দেওয়ানগঞ্জ-জামালপুর-ঢাকা মহাসড়কে অবরোধের সমর্থনে মিছিল করে। মিছিল শেষে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সহ সাংগঠনিক সম্পাদক ও জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক এড. শাহ মো. ওয়ারেছ আলী মামুন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, শহর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শাহ্ মো. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, জেলা কৃষকদলের সদস্য সচিব গাউসুল আজম শাহিন, জেলা মৎস্যজীবী দলের সভাপতি মো. আব্দুল হালিম, বিএনপি নেতা এনামুল হক প্রমুখ।
;
বগুড়ায় যুবককে কুপিয়ে হত্যা
ছবি: সংগৃহীত
বগুড়া শহরের নামাজগড় এলাকায় আরিফ হোসেন (৩২) নামের এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১১ টার দিকে নামাজগড় সুলতানগঞ্জ সড়কে এ হত্যাকণ্ড ঘটে। নিহত আরিফ হোসেন বগুড়া পৌরসভার ১৬ নং ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামের ছেলে। তিনি নামাজগড় সংলগ্ন গোয়ালগাড়ি এলাকায় ভাড়া বাড়িতে বসবাস করতেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আরিফ পায়ে হেঁটে গলির সড়ক দিয়ে বাসার দিকে যাচ্ছিলেন। মটরসাইকেলে আসা দুর্বৃত্তরা তাকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলা ও হাতে কুপিয়ে দুইটি মটরসাইকেলে চারজন এবং অপর দুইজন দৌড়ে গলিপথ দিয়ে দ্রুত পালিয়ে যায়। আরিফ কিছুদূর দৌড়ে এসে পড়ে যায়।
পরে তাকে উদ্ধার করে বগুড়া শহিদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। ঘটনার পরপরই পুলিশ ওই এলাকায় তল্লাশি করে ড্রেন থেকে একটি হাসুয়া উদ্ধার করে।
বগুড়া সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইহান ওলিউল্লাহ বলেন তাৎক্ষণিকভাবে বিস্তারিত কিছু জানা যায়নি। পুলিশের একাধিক টিম মাঠে নেমেছে জড়িতদের শনাক্ত করতে।
;
৬ ডিসেম্বর: লালমনিরহাট মুক্ত দিবস
৬ ডিসেম্বর, সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট মুক্ত দিবস
আজ ৬ ডিসেম্বর, সীমান্তবর্তী লালমনিরহাট মুক্ত দিবস। ১৯৭১ সালের এদিনে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের মরণপণ লড়াই আর মুক্তিকামী জনগণের দুর্বার প্রতিরোধে পাক হানাদার বাহিনী পিছু হটে জেলা শহর থেকে।
চূড়ান্ত বিজয়ের পূর্ব মুহূর্তে ৫ ডিসেম্বর মধ্য রাতে বীর মুক্তিযোদ্ধারা লালমনিরহাট ঘিরে ফেললে। ৬ ডিসেম্বর ভোর ৬টায় লালমনিরহাট রেলওয়ে স্টেশন থেকে পাক সেনা, রাজাকার আলবদর ও তাদের দোসররা দুটি স্পেশাল ট্রেনে করে রংপুর ক্যান্টনমেন্টে পালিয়ে যায়।
তিস্তা নদী পার হওয়ার পরে পাক সেনারা তিস্তা রেল সেতুতে বোমা বর্ষণ করে। এতে সেতুর মারাত্মক ক্ষতি হয়। লালমনিরহাটে ‘৭১-এর এদিনে সর্বত্রই ছড়িয়ে পড়ে মুক্তির উল্লাস। লালমনিরহাট শত্রুমুক্ত হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে চারদিক থেকে লোকজন ছুটে আসতে থাকে শহরের দিকে।
সন্ধ্যার মধ্যে শহরে (বর্তমান মিশন মোড়) এলাকায় লোকে পূর্ণ হয়ে যায়। স্লোগানে মুখরিত হয়ে উঠে শহর ও আশপাশের গ্রাম। আনন্দে উদ্বেলিত কণ্ঠে স্বদেশের পতাকা নিয়ে ছুটোছুটি করতে থাকে তরুণ, যুবক, আবাল বৃদ্ধ বনিতা সবাই। শহরের বিভিন্ন রাস্তায় বের হয় আনন্দ মিছিল।
মুক্তিযুদ্ধের সময় ৬নং সেক্টরের কমান্ডার ছিলেন বিমান বাহিনীর এম খাদেমুল বাশার। ৬ ডিসেম্বর মিত্র বাহিনীর সঙ্গে সর্বস্তরের মানুষ শহরে প্রবেশ করলে স্বাধীন বাংলার পতাকা ওড়ান তিনি।
লালমনিরহাটের একমাত্র বীর প্রতীক প্রাপ্ত মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ্টেন (অব.) আজিজুল হকের সাথে কথা হলে অশ্রুসিক্ত নয়নে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন।
অবিস্মরণীয় দিনটি যথাযথভাবে উদ্যাপনের জন্য লালমনিরহাটের বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, মুক্তিযোদ্ধা সংগঠন নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
;
চলতি মাসের টিসিবি পণ্য বিক্রি শুরু বুধবার
ছবি: সংগৃহীত
ডিসেম্বর মাসের ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)র পণ্য বিক্রি কার্যক্রম শুরু হচ্ছে আজ। এ মাসে দেশব্যাপী এক কোটি ফ্যামিলি কার্ডধারী নিম্ন আয়ের পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি কার্যক্রমে সয়াবিন তেল, মসুর ডাল চিনি ও চালের সঙ্গে পেঁয়াজ যুক্ত করা হয়েছে।
বুধবার (৬ ডিসেম্বর) চলতি মাসের মাসিক কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য বিক্রি শুরু করবে সরকারি সংস্থা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি মঙ্গলবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে এ কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন। টিসিবির এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উদ্যোগে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সার্বিক নির্দেশনায় নিম্ন আয়ের এক কোটি উপকারভোগী কার্ডধারী পরিবারের মধ্যে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য (তেল ও ডাল) সাশ্রয়ী মূল্যে বিক্রয় কার্যক্রম চলমান। জুলাই মাস থেকে এ বিক্রি কার্যক্রমে টিসিবি পণ্যের সঙ্গে খাদ্য অধিদপ্তরের (খাদ্য মন্ত্রণালয়) দেওয়া চাল যুক্ত হয়েছে। ডিসেম্বর মাসের বিক্রি কার্যক্রমে সর্বোচ্চ ২ লিটার সয়াবিন তেল, ২ কেজি মসুর ডাল, এক কেজি চিনি ও ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন উপকারভোগীরা। এ ক্ষেত্রে প্রতি লিটার সয়াবিন তেল বা রাইস ব্র্যান তেলের দাম পড়বে ১০০ টাকা, প্রতি কেজি মসুর ডালের দাম ৬০ টাকা এবং প্রতি কেজি চালের দাম পড়বে ৩০ টাকা।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।