সারাদেশ

বাড্ডায় বাসে আগুন

ডেস্ক রিপোর্ট: বাড্ডায় বাসে আগুন

বাড্ডায় বাসে আগুন

রাজধানীর বাড্ডায় বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাত ৭টা ৫৪ মিনিটে আগুন লাগে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের দুই ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কেন্টোল রুমের ডিউটি অফিসার রাকিবুল হাসান।

তিবি বলেন, বাড্ডা লিংক রোড এলাকায় দুর্বৃত্তরা বৈশাখী পরিবহনের একটি বাসে আগুন দিয়েছে। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের বারিধারা ফায়ার স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করেছে। রাত সোয়া ৮টার দিকে আগুন নিভানো হয়। 

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাণিজ্যে এখনো প্রভাব পড়েনি: বাণিজ্যমন্ত্রী

ছবি: সংগৃহীত

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের বাণিজ্যে এখনো কোন প্রভাব পড়েনি জানিয়ে বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, আমরা তাদের চাওয়া-পাওয়াগুলো অনুসরণ করছি।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় রংপুর মহানগরীর সেন্ট্রাল রোডের নিজ বাসভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, শ্রম অধিকার সুরক্ষায় যুক্তরাষ্ট্র আমাদের কাছে কিছু বিষয় জানতে চেয়েছে। আমরা উত্তর দিচ্ছি। আলোচনা চলছে।

বাংলাদেশ কোনো নিষেধাজ্ঞার মুখে পড়ছে কি না এমন প্রশ্নে মন্ত্রী বলেন, পণ্য না নেওয়া কিংবা অর্থ পরিশোধ না করার শর্ত যুক্ত করে তৈরি পোশাকের কোনো মালিক বাধার মুখে পড়েনি এখনও। এ নিয়ে উদ্যোক্তাদের উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই।

‘মার্কিন শ্রমনীতির কারণে রাষ্ট্রপতি কি শ্রম আইনের সংশোধনী সই না করে ফেরত পাঠিয়েছেন’ এমন প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, সংসদ শেষ ও জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ায় তিনি বিষয়টি আপাতত স্থগিত করেছেন। তবে এটি চলমান প্রক্রিয়া। নির্বাচনের পর নতুন সরকার এসে এর বাস্তবায়ন করবে।

তিনি আরও বলেন, প্রধান প্রতিদ্বন্দ্বী দল বিএনপি নির্বাচনে না আসার কারণে কিছুটা ভোটার কম হওয়ার শঙ্কা রয়েছে। তবে আগামী সংসদ নির্বাচনে উৎসাহ ব্যঞ্জক, প্রতিযোগিতামূলক সুষ্ঠু ভোট হবে।

এর আগে, ভোটের কার্যক্রম নিয়ে নেতকর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন টিপু মুনশি। এসময় তিনি বলেন, এই নির্বাচনে তার আসনে জাতীয় পার্টি মাঠে থাকলে নেতাকর্মীরা উৎসবমুখর পরিবেশে কাজ করতে পারবে। তা নাহলে নেতাকর্মীদের মন ভেঙে যাবে বলেও জানান তিনি। এছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী জাতীয় পার্টির প্রার্থীকে দুর্বল মনে করেন তিনি। এসময় তার সঙ্গে পীরগাছা-কাউনিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

;

গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত

ছবি: সংগৃহীত

গরুর মাংসের কেজি ৬৫০ টাকায় বিক্রির সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। আগামীকাল বৃহস্পতিবার থেকে রাজধানীতে নতুন নির্ধারিত এ মূল্য কার্যকর হবে।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সাদেক এগ্রোর কার্যালয়ে মাংস উৎপাদন ও বিপণনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশন ও মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

এ সময় জানানো হয়, প্রতি কেজি গরুর মাংসে ৭৫০ গ্রাম মাংস, ২০০ গ্রাম হাড় এবং ৫০ গ্রাম চর্বি থাকবে। এছাড়া রিজেক্ট গরুর মাংস বিক্রি করা যাবে না। এক মাস পরীক্ষামূলকভাবে মাংস বিক্রির পর আবার মূল্য সমন্বয় করা হবে।

মাংস ব্যবসায়ী সমিতির সভাপতি গোলাম মর্তুজা মন্টু বলেন, রাজধানীতে নতুন নির্ধারিত মূল্য কার্যকর হবে। এরপর সারা দেশে তা বাস্তবায়ন করার জন্য কার্যক্রম হাতে নেয়া হবে।

বাংলাদেশ ডেইরি ফার্মার্স অ্যাসোসিয়েশনের (বিডিএফএ) সভাপতি মো. ইমরান হোসেন বলেন, ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের সভায় আমাদের সংশ্লিষ্ট সবাইকে বসে মাংসের দাম নির্ধারণ নিয়ে আলোচনা করতে বলা হয়েছিল। এক্ষেত্রে খামারি, বিক্রেতা এবং ভোক্তাদের সবার কথা বিবেচনা করতে হবে। কারণ এর মধ্যে কেউ ক্ষতিগ্রস্ত হলে সবারই ক্ষতি।

;

থানার ভেন্টিলেটর ভেঙে পালিয়ে গেল চোর

ছবি: বার্তা ২৪.কম

সিলেটের জকিগঞ্জ থানা হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙে রাসেল আহমদ রাসু (২৪) নামে এক আসামি পালিয়ে গেছে। বুধবার (৬ডিসেম্বর) সকালে এ ঘটনা ঘটে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিলেট জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম এন্ড অপস্) শেখ মো.সেলিম।

এ ঘটনায় একটি তদন্ত কমিটি গঠন এবং পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় রাসেলের বিরুদ্ধে আরেকটি মামলা দায়ের করা হবে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পলাতক রাসেল আহমদ রাসু (২৪) জকিগঞ্জ পৌর এলাকার বিলের বন্দ গ্রামের আলকাছ মিয়ার ছেলে।

পুলিশ জানায়, চুরির মামলায় বুধবার ভোর ৭টায় বিলেরবন্দ এলাকা থেকে তাকে আটক করে থানা হাজতে রাখা হয়। ১০টার দিকে পুলিশ টের পায় হাজতের ভেন্টিলেটর ভেঙ্গে রাসেল পালিয়ে গেছে।

পুলিশ ও স্থানীয় সুত্র জানায়, রাসেল আহমদ রাসু চোর চক্রের একজন সক্রিয় সদস্য। সে ঘরের ভেন্টিলেটর ভেঙে ছোট ছিদ্র দিয়ে ঘরে প্রবেশ করে চুরির ঘটনা ঘটিয়ে থাকেন। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা ও ওয়ারেন্ট রয়েছে।

এ ব্যাপারে জকিগঞ্জ থানার সার্কেল অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইয়াহিয়া আল মামুন বলেন, পালিয়ে যাওয়া আসামিকে গ্রেফতারে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। দুই-তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি শিগগিরই গঠন করা হবে।

;

বিয়ের ৯ বছর পর ৭ বছরের কন্যাসহ স্ত্রীকে অস্বীকার

ছবি: বার্তা২৪.কম

২০১৪ সালে প্রেমের টানের ঘর ছেড়ে ধর্মান্তরিত হয়েছিলেন টিনা রিভারো নামের এক খ্রিষ্টান নারী। ওই সময় টিনার কাছ থেকে বিয়ের কথা বলে একটি কাগজে সই নেয় প্রেমিক। তবে কি রকম কাগজে সই নেওয়া হয়েছিল সেটি জানতেন না টিনা। একপর্যায়ে তাকে প্রেমিক বলে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে। নয় বছর সংসার করার পর এসে ঔরসজাত ৭ বছরের কন্যাসহ স্ত্রীকে অস্বীকার করছেন নাইম রহমান (৩৪)।

বুধবার (৬ ডিসেম্বর) এমন অভিযোগে ওই যুবকের বিরুদ্ধে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালতে একটি মামলা আবেদন করে টিনা রিভারো নামে এক ভুক্তভোগী।

অভিযুক্ত নাইম রহমান কোতোয়ালি থানার ১৯ নম্বর বান্ডেল রোড এলাকার মাহাবুর রহমানের ছেলে।

মামলার বাদী পক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট আসাদুজ্জামান খাঁন জানান, কোনো রকম কাবিননামা ছাড়াই অভিযুক্ত নাইম আমার মক্কেলের সঙ্গে সংসার করার পর ঔরসজাত কন্যাসহ অস্বীকার করেছেন। আদালতে মামলার আবেদন করলে আদালত শুনানি শেষে মামলাটি গ্রহণ করে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন।

মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, ‍ভুক্তভোগী নারী জন্মসূত্রে খ্রিষ্টান ধর্মাবলম্বী। ২০০৮ সালে নাইম রহমানের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। প্রেমের সম্পর্ক থেকে ২০১৪ সালে পরিবার-পরিজন ছেড়ে তিনি নাইমের সঙ্গে চলে যায়। ওই সময় নাইম তাকে একটি বাড়িতে নিয়ে যায়। সেখানে একজন মাওলানা ডেকে প্রথমে তিনি ভুক্তভোগীকে ধর্মান্তরিত করেন। এরপর মাওলানা সাহেব বিয়ে পড়ান। ওই সময় নারীর কাছ থেকে একটি কাগজে সই নেওয়া হয়। তবে কি রকম কাগজে সই নেওয়া হয়েছিল সেটি ভুক্তভোগী জানতেন না। একপর্যায়ে ভুক্তভোগীকে নাইম বলে তাদের মধ্যে বিয়ে হয়ে গেছে।

এ বিষয়ে ভুক্তভোগী নারী টিনা রিভারো বলেন, পরিবার-পরিজন সব ছেড়ে আমি নাইমের সঙ্গে সংসার শুরু করি। তার সবকিছু আমি বিশ্বাস করেছি। অথচ তিনি আমাকে এবং আমার কন্যাকে অস্বীকার করছেন। আমার কন্যার বয়স ৭ বছর। তাকে স্কুলে ভর্তি করাতে পারছি না। এখন নাইম বলছে সে আমাকে বিয়ে করেনি। তার কোনো সন্তান নেই।

টিনা রিভারো আরও বলেন, নাইম বলছে আমাদের বিয়ের সময় নাকি কোনো কাবিন করা হয়নি। অর্থাৎ সে আমার সঙ্গে বড় ধরনের প্রতারণা করে সংসার করেছে। এ নিয়ে কয়েক বছর আগে আমি একটি মামলাও করেছি। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও সমাজসেবা কর্মকর্তা তার কাবিন রেজিস্ট্রি না থাকাসহ নানা বিষয় উল্লেখ করে একটি প্রতিবেদন দিয়েছেন। যদিও প্রভাবশালী হওয়ায় সে মামলায় তিনি আগেভাগে জামিন নিয়ে নিয়েছেন। বর্তমানে আদালত অঙ্গনে আমি বিচারের আশায় দিনের পর দিন ঘুরছি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *