শিক্ষা, গণমাধ্যম ও চাকরিতে নারীর সমতা নিশ্চিত জরুরি: জবি উপাচার্য
ডেস্ক রিপোর্ট: শিক্ষা, গণমাধ্যম ও চাকরিতে নারীর সমতা নিশ্চিত জরুরি: জবি উপাচার্য
ছবি: বার্তা২৪.কম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) উপাচার্য অধ্যাপক ডক্টর সাদেকা হালিম বলেছেন, ‘নারী জাগরণ ও সমৃদ্ধতা বাংলাদেশে অনেক বেশি গুরুত্ব পেয়েছে, তবুও প্রায়োগিক ও সংখ্যাতাত্ত্বিক উপায়ে নারীকে মূল ধারাকরণ করতে হবে। সরকারি-বেসরকারি চাকরি, গণমাধ্যম ও শিক্ষায় নারীর সমতা ও ন্যায্যতা নিশ্চিত করা জরুরি’।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ভারতের মালদাহে রাইগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ও চাচোল কলেজের যৌথ উদ্যোগে চাচোল কলেজে অনুষ্ঠিত এক আন্তর্জাতিক কনফারেন্সের মূল প্রবন্ধিকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আলোচনায় সমাজবিজ্ঞানী সাদেকা হালিম উইমেন এমপাওয়ারমেন্ট ইন সাউথ এশিয়া: রাইটস এন্ড জাস্টিস শিরোনামের মূল প্রবন্ধে দক্ষিণ এশিয়ার নারীর সমসাময়িক পরিস্থিতির সার্বিক রূপরেখা তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে একটি কেস হিসেবে নিয়ে বিভিন্ন প্রায়োগিক ও সংখ্যাতাত্তিক তথ্য-উপাত্তের মাধ্যমে বাংলাদেশের নারীর ক্ষমতায়ন, অধিকার এবং ন্যায্যতা ও সমতায় মূলস্রোতে নারীর মূল ধারাকরণের আলোকপাত করেন।
এছাড়া রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, সরকারি ও বেসরকারি চাকুরির ক্ষেত্রে নারীর স্বক্ষমতায় উদ্যোগক্তার ক্ষেত্রে, শিক্ষায় নারীর ক্ষমতায়ন, সমতা এবং বিভিন্নক্ষেত্রে নারীর ক্ষমতায়নের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরেন। একইসাথে বর্তমান সরকার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গুরুত্বপূর্ণ কৃতিত্বের বিষয়টি আলোকপাত করেন ড. সাদেকা হালিম।
রাইগঞ্জ বিশ্ববিদ্যালয় ও চাচোল কলেজের যৌথ উদ্যোগে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল ফর সোশ্যাল সায়েন্স রিসার্চ (আইসিএসএসআর) এর অর্থায়ন এবং সার্বিক সহযোগিতায় ‘জেন্ডার ইকুয়ালিটি এন্ড উইমেনস রাইট: এক্সপ্লোরিং উইমেন্স ভয়েস এন্ড এক্সপেরিয়েন্স ইন সাউথ এশিয়া’ শীর্ষক দু’দিনব্যাপী এ কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়।
কনফারেন্সে দক্ষিণ এশিয়ার স্বনামধন্য নারীবাদী ও মানবাধিকার স্কলারসদের প্রবন্ধে উঠে আসে বিভিন্ন টেকনিক্যাল সেশনে নারীদের প্রতি অসমতা, বৈষম্য ও লিঙ্গ বৈচিত্র্যময় জনগোষ্ঠীর অধস্তনা। এছাড়া দক্ষিণ এশিয়ায় নারীর অধিকার, সমতা, ন্যায্যতা ও নারীর ক্ষমতায়ণের উপর গুরুত্বারোপ করেন প্রবন্ধিকরা।
অনুষ্ঠানে ড. সাদেকা হালিম জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নারীর ক্ষমতায়নে সুদূরপ্রসারি চিন্তা এবং বীরাঙ্গনাদের মুক্তিযুদ্ধে অবদানের বিষয়টির উপরও একটি ঐতিহাসিক পর্যালোচনা প্রদান করেন।
এর আগে গত ৫ ডিসেম্বর কলকাতায় বাংলাদেশ হাইকমিশন কতৃক আয়োজিত ১১তম বাংলাদেশ বইমেলায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন জবি উপাচার্য ড. সাদেকা হালিম। সেখানে ‘দেশভাগ ও বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসচর্চা’ শীর্ষক আলোচনায় তিনি দেশভাগের সমাজতাত্ত্বিক বিশ্লেষণ করেন।
কলকাতায় নিযুক্ত ডেপুটি হাইকমিশনার আন্দালিব ইলিয়াস এর সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বাংলাদেশের মুক্তিযোদ্ধা ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান মফিদুল হক।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্যে ড.সাদেকা হালিম বলেন, দুই বাংলার মেলবন্ধনের বিষয় এবং উন্নত, মানবিক, অসাম্প্রদায়িক ও ধর্মনিরপেক্ষ মনস্ক-মানস গঠনে বই পড়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসামান্য অবদানের কথা তুলে ধরেন। বাংলাদেশকে স্বাধীন স্বার্বভৌম রাষ্ট্র গঠনে ৪টি মূলস্থম্ভ- বিশেষভাবে ধর্মনিরপেক্ষতা, অসাম্প্রদায়িকতা এবং মুক্তিযুদ্ধের চেতনার বিষয়টি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার বার্তা দেন তিনি।
চুয়েটে বর্ণাঢ্য আয়োজনে ‘স্থাপত্য উৎসব’
ছবি: সংগৃহীত
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যলয়ে স্থাপত্য বিভাগের উদ্যোগে নানা অনুষ্ঠানমালায় ’স্থাপত্য উৎসব-২০২৩’ উদযাপিত হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা ১১টায় এক আনন্দ র্যালি বের করা হয়। এতে নেতৃত্ব দেন চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। র্যালিটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থাপত্য বিভাগ থেকে শুরু হয়ে গোল চত্বর হয়ে প্রশাসনিক ভবন-২ গিয়ে শেষ হয়। এতে অতিথিরাসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও কর্মকর্তা-কর্মচারীরা অংশগ্রহণ করেন।
চুয়েটের একাডেমিক কাউন্সিল কক্ষে আয়োজিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম। গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউটের সভাপতি স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ। বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থাপত্য ও পরিকল্পনা অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রাশিদুল হাসান, স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ, চুয়েটের ছাত্রকল্যাণ অধিদপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ রেজাউল করিম, বাংলাদেশ স্থপতি ইনস্টিটিউট চট্টগ্রাম চ্যাপ্টারের সাধারন সম্পাদক স্থপতি নবী নেওয়াজ খান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে আত্নপ্রকাশের অগ্রযাত্রায় আছি। এই স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার মিশনে স্থাপতিদের বড় ভূমিকা রয়েছে। টেকসই ও উন্নত অবকাঠামো গড়ে তোলা, বৈশ্বিক নানা চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে এগিয়ে যাওয়া প্রভৃতিক্ষেত্রে স্থপতিদের অগ্রণী ভুমিকায় থাকতে হবে। বাংলাদেশের ভূ-প্রকৃতি বিশেষ করে এতদ্ অঞ্চলের পাহাড়-নদী-সমুদ্র বিবেচনায় এনে সুন্দর স্থাপত্যশৈলীতে অবকাঠামো গড়ে তোলা প্রয়োজন।
তিনি বলেন, চুয়েট এর স্থাপত্য বিভাগ একটি সমৃদ্ধ ও যুগোপযোগী বিভাগ। যাত্রার শুরু থেকেই এই বিভাগ সুনাম ও দক্ষতার পরিচয় দিয়েছে। মাত্র এক দশকের পথচলায় চুয়েটের স্থাপত্য বিভাগ দারুণ সফলতা দেখিয়েছে। স্থাপত্য বিভাগের অ্যালামনাইরাও বিভাগের উন্নয়নে ভূমিকা রাখছেন। বিষয়টা আমাদের জন্য আশাব্যাঞ্জক।
গেস্ট অব অনার স্থপতি অধ্যাপক ড. খন্দকার সাব্বির আহমেদ বৈশ্বিক স্থাপত্য শিক্ষা ব্যবস্থার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশের স্থাপত্যশিক্ষার সময়কাল পরিবর্তন ও পরিমার্জনের আহ্বান করেন। পাশাপাশি সমাজে স্থাপতিদের আরো অংশগ্রহণ ও অংশিদারিত্বের গুরুত্ব তুলে ধরেন।
উৎসবের অংশ হিসেবে স্থাপত্য বিষয়ক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন স্থপতি নবী নেওয়াজ খান।স্থাপত্য উৎসব উপলক্ষে আয়োজিত ‘স্কেপ স্পে’ বিষয়ে আইডিয়া ডিজাইন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রথম পুরস্কার লাভ করে ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিক এর ছাত্র ফিদ আল মুগনী। দ্বিতীয় পুরস্কার লাভ করে চুয়েটের স্থাপত্য বিবাগের মানতাকা জননুরাইন আদৃত ও তৃতীয় পুরস্কার লাভ করে কুয়েটের আতিকুর রহমান আতিক।
অনুষ্ঠানের কো-অরডিনেটর ছিলেন স্থাপত্য বিভাগের সকারী অধ্যাপক সজল চৌধুরী। এতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন অনুষ্ঠানের আহ্বায়ক ও চুয়েট-এর স্থাপত্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জনাব অমিত ইমতিয়াজ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন ‘১৮ ব্যাচের শিক্ষার্থী হৃদি দাশ গুপ্তা ও মহসিনা ইসলাম তটিনি। অনুষ্ঠানে আমন্ত্রিত অতিথিসহ স্থাপত্য বিভাগের সকল শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
বিকেলে পিঠা উৎসব, ফানুস উত্তোলন, প্রদীপ সন্ধ্যা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
;
সন্তানের যৌন হয়রানি মামলায় দ্রুত বিচারের দাবি রাবি শিক্ষিকার
ছবি: বার্তা ২৪
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ফলিত রসায়ন ও রসায়ন প্রকৌশল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. সাবিনা ইয়াছমীনের ১৩ বছর বয়সী কন্যা সন্তানকে যৌন হয়রানির ঘটনায় পাল্টা মামলা দায়ের করেছেন অভিযুক্ত চিকিৎসক ডা. রাজ আহমেদ। রাজশাহী কোর্টে গত ১৩ নভেম্বর ৮টি ধারায় দায়েরকৃত এই মামলায় ড. সাবিনা ইয়াছমীনসহ আরও দুইজনকে আসামি করেছেন তিনি। দায়েরকৃত এই মামলাকে ‘সম্পূর্ন মিথ্যা এবং বানোয়াট’ দাবি করে মামলাটি প্রত্যাহার করার পাশাপাশি ডা. রাজুর দ্রুত শাস্তির দাবি জানিয়েছেন ড. সাবিনা ইয়াছমীন।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) বেলা সাড়ে ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ক্যাফেটেরিয়ায় আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে গত ৩০ অক্টোবর নিজের কন্যা সন্তানের সঙ্গে ঘটে যাওয়া ঘটনার বিবরণ দিয়ে লিখিত বক্তব্যে ড. সাবিনা ইয়াছমীন বলেন, ‘ডা. রাজু আহমেদকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসা কেন্দ্রে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করার পর থেকে আমার সাথে যারা কাজ করেছে তাদের হুমকি দেয়া, আমাকে মামলার ভয়, মীমাংসা করার আহ্বান ইত্যাদি করেই যাচ্ছে। ঘটনা ঘটার ১৪ দিন পর ১৩ই নভেম্বর ডা. রাজু আমিসহ আরও দুইজনের নামে হয়রানি করার জন্যে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে ১৪৯, ৪৪৮, ৩২৩, ৩২৪, ৩০৭, ৪২৭, ১১৪ এবং ৩৪ ধারায় রাজশাহী কোর্টে মামলা দায়ের করেছে, যেটা আমি গত ৪ ডিসেম্বর কোর্টে গিয়ে জানতে পারি।’
মামলাটি মিথ্যা এবং বানোয়াট দাবি করে ড. সাবিনা ইয়াছমীন বলেন, ‘ডা. রাজুর পাল্টা মামলাটি সম্পূর্ণ মিথ্যা, বানোয়াট এবং আসল ঘটনাকে অন্যখাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা। ঘটনার দিন আনুমানিক সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত ৯ টা ২০ মিনিট পর্যন্ত আমেনা ক্লিনিকে আমাদের অবস্থান এবং ওই সময়ে আমার কন্যার সঙ্গে তার দ্বারা ঘটে যাওয়া ঘটনাটিকে সে পুরোপুরি অস্বীকার করেছে এবং মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে আমার বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে। এই ঘটনার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের বেশকিছু সাবেক এবং বর্তমানে কর্মরত শিক্ষক ও কর্মকর্তা জড়িত আছে।’
এ সময় তিনি ডা. রাজুকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির আওতায় আনার পাশাপাশি নিজের নামে দায়েরকৃত ‘মিথ্যা’ মামলা অবিলম্বে প্রত্যাহারের জন্য আইন-শৃঙ্খলাবাহিনী, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন, ইউজিসি এবং প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ড. সাবিনা ইয়াছমীনের দাবির সঙ্গে একাত্মতা পোষণ করে উপস্থিত ছিলেন রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী, সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক বোরাক আলী ও সহ-সভাপতি অধ্যাপক মীর ইমাম ইবনে ওয়াহেদ, বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য অধ্যাপক মাহবুবা কানিজ কেয়া, মহিলা পরিষদ বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক মোবাররা সিদ্দিকা, রাবি মহিলা ক্লাবের সহ-সাধারণ সম্পাদক রোজী খন্দকার রোজ ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক আফরোজা আখতার এবং বাংলাদেশ জাতীয় মহিলা আইনজীবী সমিতির বিভাগীয় প্রধান এডভোকেট দিলসেতারা চুনি প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে রাবি শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক সফিকুন্নবী সামাদী বলেন, ‘ডা. রাজু একটি যুবলীগের কমিটিতে আছেন বলে জানি। যুবলীগ, মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন এবং স্বাধীনতা চিকিৎসক পরিষদের প্রতি স্পষ্টভাবে আহ্বান জানাতে চাই ক্রিমিনালকে, ক্রিমিনাল হিসেবে দেখুন। ক্রিমিনালকে সমর্থন করবেন না। ক্রিমিনাল কোনো দলের সদস্য হতে পারেন না। তাকে সহযোগিতা করবেন না।’
এর আগে, গত ৩০ অক্টোবর রাত ৮টা ৪০ মিনিটের দিকে নগরীর তালাইমারি এলাকার আমেনা ক্লিনিকে যৌন হয়রানির এ ঘটনা ঘটে। পরে ৩১ অক্টোবর সকালে ভুক্তভোগী শিশুর মা বাদী হয়ে নগরীর বোয়ালিয়া থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন ডা. রাজু আহমেদের বিরুদ্ধে। উপচার্য বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করলে ৫ নভেম্বর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ডা. রাজুকে সাময়িক বহিস্কার করে। অভিযুক্ত ডা. রাজু আহমেদ রাবি চিকিৎসা কেন্দ্রের উপ-প্রধান চিকিৎসক। এছাড়া তিনি রাজশাহী মহানগর যুবলীগের স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে আছেন।
;
বৃষ্টিতেও অবরোধের সমর্থনে ছাত্রদলের বিক্ষোভ
ছবি: বার্তা২৪.কম
নির্বাচনের তফসিল বাতিল এবং শেখ হাসিনার পদত্যাগের একদফা দাবিতে বৃষ্টিতেও বিএনপির ডাকা অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর বাড্ডা প্রগতি স্বরণী ও ধানমন্ডিতে মিছিল করেছে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল ।
বুধবার (৭ ডিসেম্বর) ছাত্রদলের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদের নেতৃত্বে ধানমন্ডিতে ছাত্রদলের মিছিল হয়৷
মিছিলটি দুপুর একটায় ধানমন্ডি-২৭’র লেক সংলগ্ন সাম্পান মোড় থেকে শুরু হয়ে বাংলাদেশ আই হাসপাতালের সামনে গিয়ে রাস্তা অবরোধের মাধ্যমে শেষ হয় এবং প্রগতি স্বরণীতে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহ সভাপতি মারুফ এলাহী রনি ও শ্যামল মালুমের নেতৃত্বে একটি মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।
প্রগতি স্বরণীর মিছিলে উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় সংসদের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান শাওন, আশিক রহমান, সহ-সাধারণ সম্পাদক নাসরিন রহমান পপি, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শরীফ প্রধান শুভ, ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদিকা মানসুরা আলম, ঢাকা জেলা ছাত্রদল উত্তরের প্রতিষ্ঠাকালীন সদস্য সচিব সজিব রায়হান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আমান উল্লাহ, তারেক হাসান মামুন, নূর আলম ভূঁইয়া ইমন; বিজয় ৭১ হল ছাত্রদলের সহ-সভাপতি আলমগীর হোসেন আলম, তানভীর আজাদী সাকিব; মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হল ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক ওবায়দুল্লাহ রিদওয়ান; পল্লীকবি জসিমউদদীন হল ছাত্রদলের প্রচার সম্পাদক, তানভীর বারী হামিম, মুজিব হল ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক শরীফ উদ্দিন সরকার প্রমুখ।
মিছিলে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা কলেজ ছাত্রদলের সহ সভাপতি শাহাবউদ্দিন ইমন, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক সোহরাব হোসেন রাসেল,সহ দপ্তর সম্পাদক দেওয়ান নিয়ন, সহ সম্পাদক আসাদুল হক আসাদ, সদস্য ইমন ইকবাল, আক্তারুজ্জামান ইলিয়াস হলের সাংগঠনিক সম্পাদক নাদিম খান, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম-সম্পাদক মোঃ উবায়দুল্লাহ নাঈম, সহ-সভাপতি আব্দুল মোতালেব, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মো:সাজিব মিয়া, ইস্ট ওয়েস্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম-আহ্বায়ক সাখাওয়াত ইবনে আলী, ইন্ডিপেন্ডেন্ট বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম ইমরান, ইডেন কলেজ ছাত্রীনেত্রী বাবলি আক্তার সিমা,ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক আহবায়ক সদস্য সাইফুল ইসলাম সজিব, শহীদুল ইসলাম,তেজগাঁও কলেজ ছাত্রদলের সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিনহাজুল আবেদীন, তিতুমীর কলেজ ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মাহমুদুল হাসান বাপ্পী, সদস্য মাহমুদ, ঢাকা মহানগর উত্তরের হাতিরঝিল থানা ছাত্রদলের যুগ্ম-সম্পাদক নাজমুল হাসান মিরাজ, ছাত্রনেতা ইসমাইল হোসেন।
উল্লেখ্য, এ সময় অবরোধকারীরা তাদের দাবির পক্ষে বিভিন্ন স্লোগান দেন এবং রাস্তা অবরোধ করেন এবং দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত লড়াই চালিয়ে যাবার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন।
;
বাংলাদেশ-জাপানের যৌথ উদ্যোগে ‘কোড সামুরাই-২০২৪’
ছবি: সংগৃহীত
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশ-জাপানের যৌথ উদ্যোগে বহুল আকাঙ্খিত কোড সামুরাই-২০২৪ আয়োজন করা হচ্ছে। জাপানের বিজেআইটি লিমিটেড ও অন্যান্য কয়েকটি জাপান ভিত্তিক আইটি প্রতিষ্ঠান এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের উদ্যোগে এ আয়োজন করা হবে। যার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হবে আগামী ১০ ডিসেম্বর।
বৃহস্পতিবার (৭ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অডিটোরিয়াম কক্ষে একটি সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়। এতে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. সাইফুদ্দিন মোঃ তারিক, কোড সামুরাই-২০২৪ এর আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. উপমা কবির, সহ-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর- রশিদ এবং সহ-আহ্বায়ক ও বিজেআইটি লিমিটেডের সিওও জনাব মেহেদী মাসুদ, বিভাগের শিক্ষক ও কোড সামুরাই-২০২৪ এর আয়োজক কমিটির সদস্য জনাব মোঃ মাহমুদুর রহমান ও জনাব মোঃ ফাহিম আরেফিন।
অনুষ্ঠানের সহ-আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মোঃ মামুন-অর-রশিদ সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠকালে বলেন, অনলাইন (https://codesamuraibd.net) রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া আগামী ১০ ডিসেম্বর ২০২৩ থেকে ১০ জানুয়ারী ২০২৪ পর্যন্ত চলবে। যা সকল তথ্যপ্রযুক্তি ও এর সম্পর্কিত অন্যান্য বিষয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদের জন্য উন্মুক্ত।
রেজিট্রেশন সম্পন্নকারী প্রতিযোগী দলগুলোর অংশগ্রহণে প্রাথমিক প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০২৪। প্রাথমিক পর্যায়ে নির্বাচিত প্রথম ১২০ টি দলকে (৩ সদস্য বিশিষ্ট) নিয়ে চূড়ান্ত পর্যায়ের কার্যক্রম শুরু করা হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ের দুটি পর্বের মধ্যে প্রথম পর্ব ৯ মার্চ অনুষ্ঠিত হবে। চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রথম পর্ব হতে শীর্ষস্থান অর্জনকারী ৪০টি দলকে নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগে আগামী ১০-১১ মে (দুই দিন ব্যাপী) চূড়ান্ত পর্যায়ের দ্বিতীয় পর্ব অনুষ্ঠিত হওয়ার মাধ্যমে কোড সামুরাই-২০২৪ সম্পন্ন হবে।
প্রাথমিক নির্বাচন এবং চূড়ান্ত পর্যায়ের প্রাথমিক পর্বসমূহ অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে। এ বছরের আয়োজনে চূড়ান্ত পর্যায় শুরুর পূর্বেই প্রাথমিক পর্যায়ের হতে নির্বাচিত ১২০টি প্রতিযোগি দলের জন্য গ্রুমিং সেশনের ব্যবস্থা রাখার পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। যেখানে স্থানীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ের প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞগণ প্রশিক্ষণ প্রদান করবেন যা চূড়ান্ত পর্যায়ের জন্য প্রতিযোগীদের তৈরীর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে।
প্রসঙ্গত, কোড সামুরাই মূলত প্রযুক্তিজগতে উদ্ভাবনা, সহযোগিতা এবং সম্ভাবনার একটি যাত্রা। এতে অংশগ্রহণকারীরা প্রযুক্তি শিল্পের সবচেয়ে সফল ও অনুকরণীয় ব্যক্তিত্বদের সাথে যোগাযোগের মাধ্যমে তাদের দক্ষতা-অভিজ্ঞতা সঞ্চয়, জ্ঞানের বিকাশ ঘটানোর সুযোগ পায়। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী সেরা ফলাফলকারী দলের জন্য আর্থিক পুরস্কার এর পাশাপাশি অন্যান্য পুরস্কার জিতে নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। গত আসরগুলো থেকে বহু প্রতিযোগী এই হ্যাকাথনের মাধ্যমে জাপানের বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে ইন্টার্নশিপ করার সুযোগ পেয়েছে। মূলত এই আয়োজনটি প্রযুক্তিসংশ্লিষ্ট ও আগ্রহীদের জন্য একটি বিশ্বব্যাপী নেটওয়ার্কিং প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত। এই হ্যাকাথনে অংশগ্রহণকারীরা সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সংস্পর্শে আসার সুযোগ পায় যা নতুন সম্ভাবনার পথ উন্মোচন করে। দক্ষতা এবং ক্যারিয়ার উন্নত করার একটি অনন্য সুযোগ হিসাবে, কোড সামুরাই-২০২৪ শুধুমাত্র একটি প্রতিযোগিতা নয়, এটা সৃষ্টিশীলতার একটি অনন্য সুযোগ।
তথ্য প্রযুক্তি বিষয়ক উদ্ভাবন প্রদর্শনের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম প্রদানের পাশাপাশি, কোড সামুরাই-২০২৪ শিক্ষার্থীদের বিশ্বব্যাপী আইটি খাতের বিশেষজ্ঞদের সাথে সংযুক্ত হতে সহায়তা করবে। প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশের তথ্য প্রযুক্তির বিশেষজ্ঞদের পাশাপাশি জাপানের নেতৃস্থানীয় ও বিশ্বব্যাপী পরিচিত প্রযুক্তি সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরা উপস্থিত থাকবেন এবং অংশগ্রহণকারীরা বিশ্বব্যাপী অন্যান্য আইটি কর্মীদের সাথে নেটওয়ার্ক করার সুযোগ পাবেন।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।