মানবপ্রাচীর নিয়ে শাহবাগে থাকতে পারেনি ‘মায়ের ডাক’
ডেস্ক রিপোর্ট: গুম হয়ে যাওয়াদের স্বজনদের সংগঠন ‘মায়ের ডাক’ তাদের মানব প্রাচীর নিয়ে শাহবাগে জাদুঘরের সামনে পুলিশি বাধায় দাঁড়াতে পারেনি বলে অভিযোগ করেছেন সংগঠনের সদস্যরা।
রোবরার (১০ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে ‘গুম-খুন, ক্রসফায়ার, কারা নির্যাতন বন্ধ করো! মানবাধিকার লঙ্ঘন রুখে দাঁড়াও!’ শীর্ষক মানবপ্রাচীর অনুষ্ঠানের আয়োজন করে ‘মায়ের ডাক’ সংগঠন।
শনিবার (৯ ডিসেম্বর) বেলা ১১ টায় কর্মসূচি পালনের উদ্দেশ্যে জাদুঘরের সামনে অবস্থান করতে চাইলে পুলিশ তাদের বাধা দিয়ে সেখান থেকে সরে যেতে বলেন। অন্যথায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়েছে বলে জানিয়েছেন ‘মায়ের ডাক’ সংগঠনের সদস্যরা। এমতাবস্তায়, তারা শাহবাগ থেকে মিছিল নিয়ে টিএসসি ও মৎস্য ভবন হয়ে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে অবস্থান নেয়।
এমন অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিশ বলছে, শাহবাগ এলাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অবস্থান কর্মসূচি পালনে যানজট সৃষ্টি হয়ে জনসাধারণের ভোগান্তি হবে। জনসাধারণের কথা চিন্তা করে সংগঠনটির সাথে তারা শুক্রবার রাত থেকেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছে কিন্তু তাদের কেউ সাড়া দেয়নি। আজ তারা জাদুঘরের সামনে জড়ো হলে পুলিশ তাদের বিষয়টি বুঝিয়ে বললে তারা নিজে থেকেই স্থান পরিবর্তন করেন। কোনভাবে তাদের জোর করা হয়নি।
প্রেসক্লাবে অবস্থান নিয়ে ‘মায়ের ডাক’-এর সমন্বয়ক সানজিদা ইসলাম তুলি বলেন, ‘বাংলাদেশের নাগরিক হিসেবে আমাদের অধিকার আছে দেশের যেকোনো জায়গায় দাঁড়ানোর। কিন্তু আজ আমাদের জাদুঘরের সামনে দাঁড়ানোর কথা থাকলেও আমাদের সেখানে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি। ঠিক কি কারণে গুম হওয়া সন্তানের মায়েদের ও ছোট ছোট বাচ্চাদের সেখানে দাঁড়াতে দেওয়া হয়নি আমরা তা জানি না। তারাই ভালো বলতে পারবেন।
সরকারের সমালোচনা করে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জানি না আপনারা কি করছেন বা আপনাদের পরিকল্পনা। আপনারা শুধু আমাদের স্বজনদের ফিরিয়ে দিন। তারা যদি বেঁচে থাকে তাদের সাথে আমাদের একটিবার দেখা করার সুযোগ দিন। আর যদি বেঁচে না থাকে তাহলে তাদের মৃত্যুর তারিখটা আমাদের জানিয়ে দিন। আমরা যেন তাদের নামে সেদিন মিলাদ দিতে পারি।’
কর্মসূচিতে উপস্থিত অন্যান্যরাও তাদের হারানো স্বজনদের স্মৃতিচারণ করে সরকারের প্রতি আবেদন করেন, হারানো স্বজনদের ব্যাপারে সরকার যেন তাদের সংস্থাগুলোকে সত্যিকার অর্থেই কাজে লাগিয়ে নিশ্চিত করেন তাদের স্বজন বেঁচে আছেন অথবা মারা গেছেন।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।