সারাদেশ

সিদ্ধান্ত ছাড়ায় শেষ হলো ১৪ দলের বৈঠক

ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটে হযরত শাহজালাল ও শাহ পরানের মাজার জিয়ারতের মাধ্যমে আগামী ২০ ডিসেম্বর থেকে  নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) আওয়ামী লীগ সভাপতির ধানমন্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, মাজার জিয়ারতের পর জনসভা হবে। সেটাই হবে প্রথম নির্বাচনী জনসভা।

ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশের মানবাধিকার লঙ্ঘন প্রবর্তন কবে? দেশের স্বাধীনতার পর ১৫ আগস্টের মতো মানবাধিকার লঙ্ঘন পৃথিবীর ইতিহাসে বিরল এবং বাংলাদেশে এমন ঘটনা তার আগে ঘটেনি। নেত্রী বলেছিলেন, এদেশে আমার বাবার হত্যার বিচার চেয়েও বিচার পাইনি। চট্টগ্রামের মৌলভী আবুলকে গুম করে দেশের রাজনীতিতে ঘুমের ধারা প্রথম চালু করেছিল জিয়াউর রহমান। সেই ধারা খালেদা জিয়া অব্যাহত রেখেছেন।

বিশ্ব মানবাধিকার দিবসে কথা বলতে গিয়ে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, এদেশে বিএনপির মানবাধিকার লঙ্ঘনে ঘৃণ্য ও জঘন্যতম উদাহরণ সৃষ্টি করেছে। তার নজীর সমসাময়িক বিশ্বের কোথাও নেই। মানবাধিকার লঙ্ঘনের সব রেকর্ড তারা ভঙ্গ করেছে।

বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলনের কারণে যে মানবাধিকার লঙ্ঘন হচ্ছে সে ব্যাপারে পশ্চিমা দেশগুলোর কাছে আপনারা কোনো বিচার চাইবেন কিনা? জবাবে তিনি বলেন, যারা গাজার সিজ ফায়ারের বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কি লাভ? আমাদের একাত্তরকেও তো হার মানিয়েছে। যারা গাঁজার বিরুদ্ধে ভোট দেয় তাদের কাছে বিচার চেয়ে কি লাভ আমাদের বলুন? আর আমাদের এখানে যা ঘটছে সেসব তথ্য তো আমরা দিয়েই থাকি। সেটা আমরা পারস্পরিক বিনিময় করেই থাকি।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে গোপনে আলোচনা কেন? জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, আলোচনা গোপনে হয় না, গোপনীয়তা রক্ষা করেছি। কারণ এইগুলো বিভ্রান্তি সৃষ্টি হয়। আপনি এক কথা বলবেন, আরেকজন আরেক কথা বলবেন। এইজন্য একটু গোপনীয়তা রক্ষা করা।

বিএনপি আন্দোলন চালিয়ে যাবে সরকার পতন না হওয়া পর্যন্ত। এ বিষয়ে আপনারা কি ভাবছেন? উত্তরে তিনি বলেন, আন্দোলন চালিয়ে যাক। সরকার আগামী মেয়াদে আসলে তখনও অবরোধ হরতাল দেবে। এগুলো আমরা এখন আর পাত্তা দিচ্ছি না।

যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্কের টানাপোড়েনের কারনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর ওপর হামলার আশঙ্কা আছে কিনা? জবাবে তিনি বলেন, আমাদের কারো সঙ্গে কোন কনফ্লিক্ট নাই। আমরা পরাশক্তি হতে চায় না। আমরা আমাদের জনগণ নিয়ে এই দেশে তে জন্মেছি, এ দেশে তে মরবো। আমরা সুপার পাওয়ার হতে চাই না। আমরা যেভাবে আছি, আমাদের জনগণকে নিয়ে ভাল থাকতে চাই, সুখে থাকতে চাই।

ভূ-রাজনীতির কারণে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রভাব পড়ছে এবং দেশের অভ্যন্তরীণ রাজনৈতিক দলগুলোর মতোবিরোধ নিরসনের আহ্বান জানানো হয়েছে এফবিসিসিআই এর সভাপতি। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ভাল কথায় সবাই বলার চেষ্টা করে। বাস্তবতাটা যে বড় কঠিন। যারা ভালো কথা বলেন তারাও জানেন। আমাদের অর্থনীতি নিজেদের বিষয়। সারা বিশ্বের অর্থনীতি এখন আবর্তিত হচ্ছে ইউক্রেন ও রাশিয়ার যুদ্ধের ওপর। যে কারণে সারা বিশ্বের অর্থনীতি ও বাণিজ্য হুমকির মুখে পড়েছে। সেখান থেকে আমরাও মুক্তি পাইনি। আমরা সংকট সৃষ্টি করিনি অথচ আমাদেরই এই সংকটের মূল্য দিতে হচ্ছে। 

সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ, ড. হাছান মাহমুদ, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ। 

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *