সারাদেশ

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে

ডেস্ক রিপোর্ট: মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে

মুখের অবাঞ্ছিত লোম দূর করুন ঘরোয়া উপায়ে

মুখের অবাঞ্ছিত লোম বা ফেসিয়াল হেয়ার নিয়ে কমবেশি প্রতিটি মেয়েকেই বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পরতে হয়। মুখের পশম শরীরের অন্যান্য অংশে পশম হওয়ার মতই স্বাভাবিক। তবে অনেকেরই পশম স্বাভাবিকের চেয়ে তুলনামূলক বেশি হয়ে থাকে বা পশমের গ্রোথ অনেক ফাস্ট হয়। বাসার যত কাছেই পার্লার হোক না কেনও দুই দিন পর পর সময় ম্যানেজ করে আমাদের যাওয়া হয়ে ওঠে না। তাছাড়া আমাদের অনেকের ফেইসের স্কিন সেনসিটিভ।
স্কিনের চামড়া যাদের তুলনামূলক পাতলা বা যাদের সেনসিটিভ স্কিন, তাদের জন্যে ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভ করতে গেলে থাকতে হয় একটু বেশি সচেতন। তা না হলে স্কিনে ইচিং, জ্বালা-পোড়া হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কেমন হয় যদি বাড়িতে আপনার নিজের কাছেই থাকে এর ইন্সট্যান্ট সমাধান? চলুন জেনে নিই ঘরে বসেই ফেসিয়াল হেয়ার রিমুভের সহজ উপায়টি!

১) আলু
আলু এমন একটা সবজি যা সহজেই পাওয়া যায়। আর আলু তো রূপচর্চার জন্য খুবই জরুরি। একটা আলু নিয়ে চাকা চাকা করে কেটে নিন। তার একটা স্লাইসের উপর পানি দিয়ে মুখে ঘষতে থাকুন। এটা আপনার মুখের লোমের রঙ কে ফ্যাকাশে করে দেবে। ত্বক হবে নরম।

২) টমেটো

টমেটোও ঘরোয়া ব্লিচ হিসেবে খুব কার্যকর। একটা টমেটো নিয়ে স্লাইস করে নিন। এবার পাঁচ মিনিট ধরে ওই টমেটোর টুকরো মুখে ঘষতে থাকুন। তার পরে ইষদুষ্ণ গরম পানিতে মুখ ধুয়ে ফেলুন। কয়েক দিন পর থেকে পরিবর্তনটা লক্ষ্য করবেন।

৩) পাতিলেবুর রস-মধু
পাতিলেবুর রস আর মধু ত্বকের জন্য খুবই উপকারী। মধুর মধ্যে কয়েক ফোঁটা লেবুর রস মিশিয়ে নিন। তার পরে মুখের যে জায়গায় লোম আছে, সেই জায়গাগুলোতে মিশ্রণটি লাগিয়ে নিন। ২০ মিনিট রাখার পরে মুখ ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার ব্যবহার করলে তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।

৪) পাকা পেঁপে
পাকা পেঁপের থেকে শাঁসটা বার করে নিন। তার মধ্যে এক টেবিল চামচ দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে ফেলুন। এ বার হালকা হাতে মুখে মাসাজ করুন। ১০ মিনিট পরে ধুয়ে ফেলুন। পেঁপে-দুধের এই মিশ্রণ ন্যাচারাল ব্লিচ হিসেবে কাজ করে।

এছাড়াও বাড়িতে তৈরি কয়েক ধরনের স্ক্রাব এক্ষেত্রে আপনার ত্বকের জন্য বিশেষ উপকারি হতে পারে। এই ধরনের স্ক্রাবগুলো বেশ স্বাস্থ্যকর হয় আর আপনার মুখের ত্বক থেকে লোম অপসারণ করতেও দারুণ কার্যকর হয়।

১) বেসন
বেসনের মধ্যে হলুদ, গোলাপ জল আর দুধ মিশিয়ে একটা পেস্ট বানিয়ে নিতে হবে। ওই পেস্ট দিয়ে দুই মিনিট ধরে মুখে স্ক্রাব করুন। এই স্ক্রাব যত ব্যবহার করবেন, তত তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।

২) লবণ
হলুদ আর লবণ নিয়ে তার মধ্যে লেবুর রস আর দুধ মিশিয়ে স্ক্রাব বানিয়ে ফেলুন। পাঁচ মিনিট ধরে স্ক্রাব করে মুখ ধুয়ে ফেলুন। লবণ মুখের অতিরিক্ত লোম দূর করে।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

লিপস্টিকের কোন রং কী বার্তা দেয়!

লিপস্টিকের কোন রং কী বার্তা দেয়!

লিপস্টিক পছন্দ করেন অনেকেই। কিন্তু প্রত্যেকেরই প্রিয় শেড আছে। আপনি কি জানেন, প্রিয় লিপস্টিকের রং আপনার ব্যক্তিত্বের সম্পর্কে অনেক কথা বলে।

নারী প্রধানত ঠোঁটের সৌন্দর্য বাড়াতে লিপস্টিক ব্যবহার করেন। লিপস্টিকের পাশাপাশি লিপলাইনার এবং লিপগ্লস ব্যবহার করেন অনেকে। আবার অনেকে এটি আত্মবিশ্বাসী হতে ব্যবহার করেন। লিপস্টিক মূলত নারীদের মানসিক শক্তি দেয়।
বয়স বাড়ার সঙ্গে অনেকের শরীরে ছাপ পড়তে থাকে। ছাপ পড়ে ঠোঁটেও। সেই ছাপ অনেকাংশেই কমিয়ে দেয় লিপস্টিক। ফলে নারীকে অপেক্ষাকৃত কম বয়সের মনে হয়।

মানুষ সামাজিক বা পারিবারিক যে কোনো অনুষ্ঠানে নিজেকে আকর্ষণীয় হিসেবে দেখতে চান। অনেক নারী আকর্ষণ বাড়াতে লিপস্টিক ব্যবহার করেন। মূলত ব্যক্তিগত পছন্দ থেকেই নারীরা লিপস্টিক ব্যবহার করেন।

কোন রঙের লিপস্টিক কি অর্থ প্রকাশ করে

লাল রং : লাল রঙের লিপস্টিক সবচেয়ে বেশি ব্যবহার করেন নারীরা। সহজেই এটি নজর কাড়ে। লাল রঙের গ্লসি লিপস্টিক ভালোবাসার প্রকাশ ঘটায়। অন্যদিকে ম্যাট রং ফুটিয়ে তোলে আবেদন।

গোলাপি : গোলাপি ঠোঁটের কদর সর্বত্র। হালকা গোলাপি ঠোঁট ফুটিয়ে তোলে নারীর কোমলতা। কোনো নারীর এই রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করা মানে এই বার্তা দেয় যে সে নমনীয় ও কোমল।

কমলা : কমলা রঙের লিপস্টিক অনেকেই ব্যবহার করেন। এই রং তারুণ্যের বার্তা দেয়। অন্তরের খুশি, উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে এই রঙের লিপস্টিক। নিজেকে প্রাণবন্ত ও তরুণ দেখাতে এই রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করেন অনেকে।

লিপগ্লস : লিপগ্লস খুব ব্যবহার করে থাকেন নারীরা। সাধারণত যারা খুব সিম্পল থাকতে পছন্দ করেন তারা লিপগ্লস বেশি ব্যবহার করেন। এছাড়াও লিপগ্লস ব্যবহারে আপনাকে প্রাণোচ্ছল মানুষ হিসেবেও পরিচিতি দেয়।

বেগুনি : বেগুনি রঙের লিপস্টিক হাজারো মানুষের মাঝে আপনাকে আলাদা করতে পারে। এই রঙের লিপস্টিক মর্যাদা, অভিজাত্য এবং ক্ষমতার জানান দেয়। তাই জমকালো সাজের সাথে ব্যবহার করতে পারেন বেগুনি কালার লিপস্টিক।

ব্রাউন বা ন্যুড শেড : বর্তমানে এই রঙের লিপস্টিকের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এই রং জানান দেয় নিরপেক্ষতা।

নীল : সাধারণত এই রঙের লিপস্টিক বেশি ব্যবহার হয় না। তবে যারা এ ধরনের গাঢ় রঙের লিপস্টিক ব্যবহার করেন তারা অত্যন্ত সাহসী হন বলে ধরে নেয়া হয়।

তথ্যসূত্র- টিভি৯ বাংলা

;

পোশাকে বিজয়ের উল্লাস

ম্যাকয়্-এর বিজয় দিবস কালেকশন

বিজয়ের ৫২ পেরিয়ে ৫৩ বছরে পদার্পণ করতে চলেছে বাংলাদেশ। দীর্ঘ ৯ মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর পাওয়া আমাদের সাধের স্বাধীনতা। ১৬ ডিসেম্বর পরাধীনতা থেকে সম্পূর্ণ মুক্তি পাওয়ার আনন্দ উদযাপনে মেতে ওঠে সবাই। এই উদযাপনের এক অনন্য মাধ্যম হলো পোশাক। পতাকা রঙের কাপড় গায়ে জরিয়ে বিজয়ের চেতনায় শহীদদের স্মরণ করে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করি। তাইতো বাংলাদেশের ফ্যাশন হাউজগুলো বিজয়ের পোশাকের এক্সক্লুসিভ কালেকশন নিয়ে আসে। এবারের কালেকশনে নজর দেওয়া যাক-

ম্যাকয়্ বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে ধামাকাদার অফার দিচ্ছে বিখ্যাত পেইজ অনলাইন ম্যাকয়্। ১৬ ডিসেম্বরের সম্মানে ১৬% ছাড় দিচ্ছে তাদের সকল কাপড়ে। নারীকেন্দ্রিক এই ব্র্যান্ড বিজয়ের থিমে সব ধরণের পোশাক নিয়ে এসেছে। সব বয়সী মেয়ে ও নারীদের জন্য আছে থ্রিপিস, ওয়ান পিস, শর্ট কামিজ, স্কার্ট, ফ্রোক ইত্যাদী পোশাক। তাদের এই বিশেষ ছাড় থাকবে ১৬ তারিখ অবধি।

ম্যাকয়্-এর বিজয় দিবস কালেকশনের মডেল হয়েছেন প্রখ্যাত চিত্রনায়িকা রোজিনা দেশি দশ বাংলাদেশের টপ দেশীয় ব্রান্ডের মধ্যে অন্যতম দেশিদশ। বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে তারা লাল সবুজ রঙের নানা পোশাক নিয়ে এসেছে। শাড়ি, কুর্তি, সালোয়ার কামিজ, পাঞ্জাবিসহ আছে টিশার্টও। বিজয়ের ভাবনা উদজ্জীবিত করতে তারা শিশুদের জন্যও এই থিমের পোশাক এনেছে। অঞ্জনস, কে ক্র্যাফটস, দেশাল, সৃষ্টির মতো দশটি নাম করা ব্র্যান্ডের সম্মিলিত এই দেশি দশ। তাদের এবারের আকর্ষণ বিজয় দিবস, উপলক্ষ্যে ৬ থেকে ১৬ ডিসেম্বর পর্যন্ত তাদের আউটলেট গুলোতে বিশেষ প্রদর্শনী।

বিশ্বরঙের বিজয় দিবস কালেকশন বিশ্বরঙ বিখ্যাত ব্র্যান্ড বিশ্বরঙও মাসের শুরুতেই তাদের বিজয় দিবস কালেকশন প্রকাশ করেছে। তাদের কালেকশনে এবার বুকে পতাকা খচিত টিশার্ট অনেক বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছে। তার সাথে আছে বিভিন্ন ডিজাইনের লাল ও সবুজ রঙের পাঞ্জাবি। সাদা, হলুদ সহ অন্যান্য রঙের কম্বিনেশনের এক্সক্লুসিভ কালেকশনে সকলের নজর কেড়েছে। নারীদের জন্যও বিশ্বরঙের অনন্য সব ডিজাইন রয়েছে।

;

ইন্টারনেটে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আতঙ্ক

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমানে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) বা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার আতঙ্ক বিরাজ করছে। বিভিন্ন অ্যাপ ও ওয়েবসাইটে এর সাহায্যে নারীদের বস্ত্র উন্মোচক কিছু নকল ছবি ছড়িয়ে দিচ্ছে। সামাজিক যোগাযোগ পর্যবেক্ষণকারী প্রতিষ্ঠান ‘গ্র্যাফিকা’ এই ব্যাপারে তথ্য প্রকাশ করেছে। তাদের  মতে চলতি বছর সেপ্টেম্বর মাসে পুরো বিশ্বে ২৪ মিলিয়নের বেশি মানুষ এইসব ওয়েবসাইটে গিয়েছে। যা সত্যিই শঙ্কাজনক।  

গ্রাফিকার মতে, এসবের মধ্যে অধিকাংশ ওয়েবসাইট শুধুমাত্র প্রচারের জন্য এরকম নগ্নতার অসৎ পথ বেছে নিয়েছে। পরিলক্ষিত হয়, ২০২৩ সালের শুরু থেকেই এসবের প্রকোপ বেড়েছে। বিজ্ঞাপনে মাধ্য়মে এক্স(সাবেক টুইটার) ও রেডি্ডটের মতো সোস্যাল মিডিয়ায় ওয়েবসাইটগুলো ২৪০০% দর্শক বাড়িয়েছে। এসব সাইটগুলো এআই ব্যবহার করে মানুষের নিখুঁত নগ্ন প্রতিচ্ছবি তৈরি করে। এদের মধ্যে অধিকাংশ শুধুমাত্র নারীদের নিয়েই কাজ করে। গুগলের এক প্রতিনিধি জানিয়েছেন তারা এসব প্রচারণা করার পক্ষপাতি নন। ইতোমধ্যে এসব বিজ্ঞাপন সরিয়ে ফেলার কাজ করছেন তারা।

গ্রাফিকার পর্যবেক্ষক সেন্টিয়াগো লাকাটোস বলেন, ‘এখানে আপনি এমন কিছু তৈরি করতে পারবেন যা অনেক বাস্তবসম্মত। আগে ডিপফেইক ভিডিওগুলো অনেকটা ঘোলাটে হতো। কিন্তু এখন সময় পরিবর্তন হয়ে গেছে।’ 

তিনি আরও জানান, কিছু ওয়েবসাইট টাকার বিনিময়ে সাবক্রিপশন বিক্রি করছে। দর্শকদের আকর্ষণকে কাজে লাগিয়ে মাসিক ৯.৯৯ ইউএস ডলারের বিনিময়ে তারা এসব নকল ভিডিও দিয়ে দর্শক কামিয়ে নিচ্ছে।

এই ঘটনাগুলো সকলের মনে ভয় ধরিয়ে দিচ্ছে। কারণ, এগুলো বানোয়াট অনৈতিক ভিডিও প্রকাশ করে থাকে। এখন এআই এর মাধ্যমে নিরপরাধ মানুষের চেহারা ব্যবহার করা হচ্ছে। সাধারণ জনগণ এই নিয়ে বিভিন্ন মন্তব্য করছে। অনেকে নিজেদের ভুক্তভোগী হওয়ার কথা জানাচ্ছেন। কেউ প্রতিবাদ জানিয়ে এসব বন্ধ করার জন্য পদক্ষেপ গ্রহণের দাবী জানাচ্ছেন।

এসব অপরাধের সাথে সংশ্লিষ্টদের খুঁজে বের করা হচ্ছে। পাশাপাশি তাদের শাস্তির ব্যবস্থাও করা হচ্ছে। নভেম্বর মাসে উত্তর ক্যারোলিনার এক শিশু মনোরোগ বিশেষজ্ঞকে ৪০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। এই চিকিৎসক তার রোগীদের ছবি নিয়ে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাধ্যমে নকল ভিডিও তৈরি করতেন। 

সূত্র: এনডিটিভি

;

সুস্বাস্থ্য রক্ষা ও ওজন নিয়ন্ত্রণে ব্যায়ামের বিকল্প কী?

ছবি: সংগৃহীত

বয়স বাড়ার সাথে সাথে সাধারণত সবার ওজন বাড়তে শুরু করে। অতিরিক্ত ওজন সুস্বাস্থ্য রক্ষায় সবসময়ই একটি বড় বাধা। তাই সবাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে চায়। ওজন কমাতে বা নিয়ন্ত্রণে রাখার কথা ভাবতেই প্রথমে সবার ভাবনায় আসে ব্যায়াম। কিন্তু সবসময় ব্যায়াম করা সবার জন্য সম্ভব হয়না। বিভিন্ন শারীরিক জটিলতা ও দুর্বলতার কারণে ব্যায়ামের বিকল্প পথ খুঁজতে হয়। সৌভাগ্যবশত এমন কিছু কার্যকর পন্থা আছে যার মাধ্যমে শারীরিক পরিশ্রম ছাড়াই ওজন কমানো সম্ভব। চলুন সেগুলো জেনে নেওয়া যাক-

১.খাদ্যতালিকার পরিবর্তন ওজন কমানোর জন্য ব্যায়ামের এক প্রাথমিক বিকল্প। এতে ক্যালরি নিয়ন্ত্রণ করে ওজনের উপর কার্যকরভাবে প্রভাব ফেলা যায়। সুচিন্তিত খাদ্যাভ্যাসে পুষ্টিকর কম ক্যালোরির খাবার বেছে নিতে হবে। যেমন-ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং শস্যজাতীয় খাবার। প্রক্রিয়াজাত খাবার এবং চিনিযুক্ত পানীয় পান করা এড়ানো ভালো।

২.ওজনহ্রাস পদ্ধতির আরেকটি জনপ্রিয় বিকল্প হল সবিরাম উপবাস। অর্থাৎ, সারাদিনে অল্প কয়েক ঘন্টায় অনেকখানি খাবার খাওয়া। আর বাকি লম্বা সময়টুকুতে খাদ্যবিরতি নেওয়া। এই পদ্ধতি ইন্টারমিটেন্ট ফাস্টিং নামে বেশি পরিচিত। এর মধ্যে ১৬/৮পদ্ধতি (১৬ ঘন্টা উপবাস, ৮ ঘন্টা খাওয়া) এখন তরুণদের মধ্যে এখন জনপ্রিয়। এতে বিপাকের সাথে জড়িত হরমোনগুলো নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

৩.আচরণগত ও জীবনযাত্রার পরিবর্তনগুলোও ওজন ব্যবস্থাপনায় একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যেমন, পর্যাপ্ত ঘুম মানসিক চাপ নিয়ন্ত্রণ ও ওজন কমাতে অবদান রাখতে পারে। এসব ছোট অভ্যাস হরমোনের ভারসাম্য, ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ এবং ক্ষুধা হ্রাসে প্রভাব ফেলে।

৪.প্রতিদিনের শারীরিক কার্যকলাপ বৃদ্ধি করেও ওজন কমানো যায়। যেমন এলিভেটরের পরিবর্তে সিঁড়ি বেয়ে ওঠা, বসার পরিবর্তে দাঁড়িয়ে থাকা, গৃহস্থালির কাজ করা  ইত্যাদি। সারাদিন এই ছোট কাজগুলো করলে ব্যায়াম ছাড়াই সুস্বাস্থ্য বজায় রাখা যায়।

৫.অনেকে চিকিৎসা গৃহণ করছেন এবং শারীরিক সীমাবদ্ধতার কারণে ব্যায়াম  করতে পারছেন না। তাদের জন্য বিকল্প পদ্ধতি রয়েছে। যেমন ওজন কমানোর জন্য ওষুধ বা ব্যারিয়াট্রিক সার্জারির মতো কিছু চিকিঃসা পদ্ধতি রয়েছে। তবে অবশ্যই পেশাদার চিকিৎসকের  নির্দেশ এবং তত্ত্বাবধান এই পদ্ধতি বিবেচনা করতে হবে।

সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *