বিনোদন

১২ বার গুলিবিদ্ধ হয়েও বেঁচে আছেন ইসরায়েলের এই নারী সেনা

ডেস্ক রিপোর্টঃ ইসরায়েলের এক নারী সেনা কর্মকর্তারা জানিয়েছেন যে, গত ৭ অক্টোবরের হামলার সময় হামাস যোদ্ধারা দ্বারা তাকে ১২ বার গুলি করেছিল। কিন্তু, তারপরও তিনি প্রাণে বেঁচে গেছেন।

গত ৭ অক্টোবরের হামলার সময় বেঁচে যাওয়াদের গল্পের তালিকাসহ একটি ওয়েবসাইটে আবেগঘন এক পোস্টে ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট ইডেন রাম বলেন, তিনি তার মৃত বন্ধুদের মধ্যে চূড়ান্ত বুলেটের জন্য অপেক্ষা করছিলেন।

ইডেন রাম বলেন, ‘এটি আমার গল্প। গত ৭ অক্টোবর হামলার সময় আমি যেন হরর মুভির মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলাম।’

রয়টার্স জানিয়েছে, ইডেন রাম পায়ে গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর তিনি তার ছয় সহকর্মীসহ একটি কক্ষে আটকা পড়েন। কারণ, তারা সাত জন সেনা হামাসের হামলার বিরুদ্ধে কিছুই করে উঠতে পারেননি। হামাস প্রতিটি নিরাপত্তা দরজা দিয়ে উড়িয়ে দিয়ে তাদের কাছে পৌঁছায় এবং তাদের উপর গুলিবর্ষণ করে।

ইডেন রাম লিখেছেন, ‘এই পুরো সময়ে আমি নিশ্চিত ছিলাম না যে, আমি মৃত না জীবিত। আমি মৃত বোধ করেছি। কিন্তু, আমি এখনও দেখতে, শুনতে এবং অনুভব করতে পারি। আমি চূড়ান্ত বুলেটের জন্য অপেক্ষা করছিলাম, যা আমাকে আঘাত করবে এবং আমাকে মেরে ফেলবে।’

তিনি আরও বলেন, সন্ত্রাসীরা লাশ পরীক্ষা করার সময় তিনি চার ঘন্টা তার বন্ধুদের লাশের মধ্যে নিজের রক্তের পুকুরে পড়ে ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়ার জন্য আমার এক বন্ধু ইউনিফর্ম খুলে ফেলেছিল। আমি কোথায় আঘাত পেয়েছি, আমার কতটা রক্তপাত হচ্ছে এবং কতটা সময় বাঁচতে হবে তা দেখার জন্য আমি আমার পুরো শরীর স্পর্শ করতে লাগলাম। আমার মনে হচ্ছিল আমি মারা যাচ্ছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘তারপর চার ঘন্টা পর যখন আমি খুব ব্যথায় ছিলাম, তখন ফেরেশতারা আমাকে বাঁচাতে এসেছিল। তারা আমাকে সোরোকা হাসপাতালে নিয়ে যায় এবং পথে আমি আমার পরিবারকে ফোন করে জানাই যে, আমি সমস্ত প্রতিকূলতার বিরুদ্ধে বেঁচে আছি।’

ফার্স্ট লেফটেন্যান্ট ইডেন রাম দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠেছেন এবং ইতিমধ্যেই তিনি হাঁটতে পারছেন। তিনি গত ৭ অক্টোবরে তার বীরত্বের জন্য ইসরায়েলের প্রেসিডেন্ট আইজ্যাক হারজোগের কাছ থেকে পুরস্কার পেয়েছেন।

ইসরায়েল জানিয়েছে, হামাস যোদ্ধারা সীমান্ত শহর কিবুতজিমে একটি সঙ্গীত উৎসবে হামলা চালালে ১,২০০ জন নিহত হয় এবং ২৪০ জনকে জিম্মি করে হামাস শাসিত গাজায় নিয়ে যায়।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *