সিরিয়া সীমান্তে মাদক পাচারকারীদের হত্যা করেছে জর্ডান সেনাবাহিনী
ডেস্ক রিপোর্ট: সিরিয়ার সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকজন মাদক চোরাচালানকারীকে হত্যা করেছে জর্ডানের সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, অত্যন্ত আসক্তিযুক্ত ড্রাগ ক্যাপ্টাগনের বাণিজ্য দমন করতে গুলি করতে হয়েছে।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। অ্যামফিটামিন-সদৃশ মাদক সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে উত্পাদিত হয় এবং জর্ডান হয়ে উপসাগরীয় রাজ্যগুলোতে পাচার করা হয়।
জর্ডানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, কয়েক ডজন মাদক চোরাচালানকারী মঙ্গলবার সিরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে ঘন কুয়াশায় হারিয়ে যায়। এ সময় জর্ডানের সীমান্তরক্ষীদের উপর গুলি চালায় তারা। বন্দুকযুদ্ধে জর্ডানের একজন কর্মকর্তা এবং “বেশ কিছু” মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক জওয়ান। জর্ডানের সাথে ৩৭০ কিলোমিটার বেশিরভাগ মরুভূমির সীমান্ত দিয়ে অনেক মাদক ডিলার সিরিয়ায় পালিয়ে গেছে।
জর্ডানের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের সীমান্ত রক্ষা করতে এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে জোরপূর্বক কাজ করি।”
ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি সেনাবাহিনী। তবে সিরিয়ার সূত্র রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, ঘটনাটি জর্ডানের মাফ্রাক শহরের উত্তর-পূর্বে ঘটেছে।
জর্ডানে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপ্টাগন বড়ি পরিবহনের চেষ্টা করার সময় আরও তিনজন চোরাচালানকারীকে গুলি করে হত্যা করার ঠিক এক সপ্তাহ পরে সীমান্ত সংঘর্ষ ঘটল।
পশ্চিমা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের মতে, চোরাকারবারীরা প্রায়ই উপসাগরীয় রাজ্যে ট্রানজিট করার জন্য জর্ডানে মাদক লুকিয়ে নিয়ে যায়।
জর্ডানের কর্মকর্তারা পশ্চিমার দাবির প্রতিবাদে জানায়, লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপ এবং অন্যান্য ইরান-মিত্র মিলিশিয়ারা চোরাচালান নেটওয়ার্কের পিছনে রয়েছে। তবে এ অভিযোগ হিজবুল্লাহ অস্বীকার করেছে।
জর্ডান ও সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সাথে মাদক ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সিরিয়ার সরকার জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং বলে যে তারা মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।
এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডানের সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াতে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জর্ডানের কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০১১ সালে সিরিয়ার সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যোগান দিয়েছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।