সারাদেশ

গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল

ডেস্ক রিপোর্ট: গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের গণহত্যার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

কয়েক দিন ধরে অবরোধ ও গোলাবর্ষণের পর মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা মঙ্গলবার বেইট লাহিয়ার ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টাফসহ পুরুষ ও ছেলেদের ধরে নিয়ে গেছে।’

এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মেডিকেল টিম এবং বাকিদের হত্যার আশঙ্কা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটিকে হাসপাতালের রোগী এবং স্টাফদের জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আল-জাজিরা জানিয়েছে, হাসপাতালটির ভেতরে রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, যারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

আল-জাজিরার হানি মাহমুদ মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজা থেকে জানিয়েছেন, অভিযানে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করছে ইসরায়েলি সেনারা। তারা কামান থেকে গোলাও নিক্ষেপ করছে।

তিনি বলেন, ‘ট্যাঙ্কগুলো গেটে আরও সজোরে ধাক্কা দিচ্ছে এবং পুরো ভবনটি ভারী বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে। ১৫ বছরের বেশি বয়সি সবাইকে হাত উপরে তুলে ভবন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গাজার উত্তরাঞ্চলের মধ্যে কামাল আদওয়ানই একমাত্র অবশিষ্ট হাসপাতাল।

গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ, বিমান হামলা এবং ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণের ফলে এর বেশিরভাগ স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গেছে।

উত্তর কোরিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি পাচারের চেষ্টা বানচাল করলো জাপান

কিম জং-উন। ছবি : সংগৃহীত

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের (এসসিএমপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় ৭০ হাজার মার্কিন ডলারের লেক্সাস সেডান গাড়ি পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে জাপানের পুলিশ।

হাতির দাঁত পাচারের তদন্তের মধ্যে উত্তর কোরিয়া যেদিন সুইজারল্যান্ড থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছিল, সেদিনই গাড়িটি আটক করা হয় বলে জানিয়েছে এসসিএমপি।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর চিবা প্রিফেকচারে একটি ব্যবহৃত গাড়ির শোরুমে অভিযান চালানোর সময় গাড়িটি জব্দ করা হয়। জাপানের দৈনিক আসাহি শিম্বুন জানিয়েছে, শোরুমটি যে কাগজপত্র জমা দিয়েছে, তাতে দেখানো হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িটি বাংলাদেশ হয়ে সিঙ্গাপুরে যাবে।

এ বিষয়ে শোরুমের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের একটি রেজুলেশনের অধীনে উত্তর কোরিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে পিয়ংইয়ং ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উত্তর কোরিয়াকেন্দ্রিক বার্তা সংস্থা এনকে নিউজ বলেছে, কিম জং-উন বিলাসবহুল গাড়ি পছন্দ করেন এবং এর আগে তাকে একটি মার্সিডিজ-মেবাচ জিএলএস ৬০০ এবং একটি লেক্সাস এলএক্স এসইউভিতে দেখা গেছে।

ওই মার্সিডিজ-মেব্যাচের বেস মূল্য প্রায় ২ লাখ মার্কিন ডলার।

ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিসের সিনিয়র ডিরেক্টর অ্যান্থনি রুগিরো বলেছেন, ‘এটি সরাসরি কিমের জন্য নাও হতে পারে। তবে তার লোকেরা জানে সে কী পছন্দ করে এবং অভিজাতরা কী পছন্দ করে। তারা নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে অর্জিত অর্থ ব্যবহার করে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি করে এবং তারা সেই অর্থ উত্তর কোরিয়ার জনগণের জন্য ব্যয় করে না, যারা কিম শাসনের অধীনে ভুগছে।’

এদিকে, সুইজারল্যান্ডে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হান তাই-সং আফ্রিকায় চোরাচালান করা হাতির দাঁত পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগটি তদন্ত করছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি।

হান ২০১৭ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জেনেভাতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসাবে উভয় দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাকে ১৯৯২ সালে গন্ডারের শিং পাচারের অভিযোগে জিম্বাবুয়ে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

;

সিরিয়া সীমান্তে মাদক পাচারকারীদের হত্যা করেছে জর্ডান সেনাবাহিনী

ছবি: আল জাজিরা

সিরিয়ার সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকজন মাদক চোরাচালানকারীকে হত্যা করেছে জর্ডানের সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, অত্যন্ত আসক্তিযুক্ত ড্রাগ ক্যাপ্টাগনের বাণিজ্য দমন করতে গুলি করতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। অ্যামফিটামিন-সদৃশ মাদক সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে উত্পাদিত হয় এবং জর্ডান হয়ে উপসাগরীয় রাজ্যগুলোতে পাচার করা হয়।

জর্ডানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, কয়েক ডজন মাদক চোরাচালানকারী মঙ্গলবার সিরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে ঘন কুয়াশায় হারিয়ে যায়। এ সময় জর্ডানের সীমান্তরক্ষীদের উপর গুলি চালায় তারা। বন্দুকযুদ্ধে জর্ডানের একজন কর্মকর্তা এবং “বেশ কিছু” মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক জওয়ান। জর্ডানের সাথে ৩৭০ কিলোমিটার বেশিরভাগ মরুভূমির সীমান্ত দিয়ে অনেক মাদক ডিলার সিরিয়ায় পালিয়ে গেছে।

জর্ডানের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের সীমান্ত রক্ষা করতে এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে জোরপূর্বক কাজ করি।”

ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি সেনাবাহিনী। তবে সিরিয়ার সূত্র রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, ঘটনাটি জর্ডানের মাফ্রাক শহরের উত্তর-পূর্বে ঘটেছে।

জর্ডানে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপ্টাগন বড়ি পরিবহনের চেষ্টা করার সময় আরও তিনজন চোরাচালানকারীকে গুলি করে হত্যা করার ঠিক এক সপ্তাহ পরে সীমান্ত সংঘর্ষ ঘটল।

পশ্চিমা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের মতে, চোরাকারবারীরা প্রায়ই উপসাগরীয় রাজ্যে ট্রানজিট করার জন্য জর্ডানে মাদক লুকিয়ে নিয়ে যায়।

জর্ডানের কর্মকর্তারা পশ্চিমার দাবির প্রতিবাদে জানায়, লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপ এবং অন্যান্য ইরান-মিত্র মিলিশিয়ারা চোরাচালান নেটওয়ার্কের পিছনে রয়েছে। তবে এ অভিযোগ হিজবুল্লাহ অস্বীকার করেছে।

জর্ডান ও সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সাথে মাদক ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সিরিয়ার সরকার জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং বলে যে তারা মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডানের সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াতে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জর্ডানের কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০১১ সালে সিরিয়ার সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যোগান দিয়েছে।

;

ভারতের প্রজাতন্ত্র দিবসের আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিলেন বাইডেন

নরেন্দ্র মোদি ও জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের আগামী প্রজাতন্ত্র দিবসের কুচকাওয়াজে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।

কিন্তু, অন্য কর্মসূচিতে ব্যস্ত থাকার কারণে সেই আমন্ত্রণ ফিরিয়ে দিয়েছেন বাইডেন। ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর একটি সূত্রে খবরটি নিশ্চিত করেছে এনডিটিভি।

বাইডেনের অনুপস্থিতির কারণে জানুয়ারির চতুর্থ সপ্তাহে কোয়াড্রিল্যাটেরাল সিকিউরিটি ডায়লগ (কোয়াড) বৈঠকও বাতিল হচ্ছে বলে ওই সূত্রের দাবি।

উল্লেখ্য, গত সেপ্টেম্বরে নয়াদিল্লিতে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনের পার্শ্ববৈঠকে বাইডেনকে ২৬ জানুয়ারির কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন মোদি। তবে কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ওই বিষয়ে কোনও আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়নি।

যদিও ভারতে নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এরিক গারসেটি জানিয়েছিলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট জানুয়ারির শেষ দিকে ভারত সফরের বিষয়ে বিবেচনা করছেন।’

শুধু বাইডেন নয়, চর্তুদেশীয় ব্লকের (কোয়াড) বোঝাপড়া বৃদ্ধির লক্ষ্যে আগামী ২৬ জানুয়ারি প্রজাতন্ত্র দিবসে বিশেষ অতিথি হিসেবে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী অ্যান্টনি আলবানিজ এবং জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদাকে আমন্ত্রণ জানানো হতে পারে বলে সে সময় কেন্দ্রের একটি সূত্রে জানা গিয়েছিল।

সে ক্ষেত্রে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে চীনের মোকাবিলায় কোয়াড-এর চার সদস্য রাষ্ট্র ভারত, যুক্তরাষ্ট্র, অস্ট্রেলিয়া এবং জাপানের সমন্বয় আরও নিবিড় করার লক্ষ্যে নয়াদিল্লিতে চার রাষ্ট্রনেতার বৈঠক হবে বলেও জানা গিয়েছিল।

কিন্তু বাইডেনের অনুপস্থিতির কারণে ওই বৈঠক হবে না বলে দেশটির সরকারি সূত্রে জানা গেছে।

প্রসঙ্গত, ২০১৮ সালে নয়াদিল্লির রাজপথে প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল ভারত। কিন্তু, কর্মসূচির কারণে সেই আমন্ত্রণ রক্ষা করতে পারেননি ট্রাম্প।

তার আগে, ২০১৫ সালে প্রধান অতিথি হিসাবে প্রজাতন্ত্র দিবসের কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি হিসাবে হাজির ছিলেন যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা।

;

বিশ্বের শীর্ষ আফিম উৎপাদনকারী দেশ মিয়ানমার : জাতিসংঘ

মিয়ানমারে আফিম চাষের চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

জাতিসংঘের একটি নতুন প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ২০২৩ সালে আফগানিস্তানকে পেছনে ফেলে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় আফিম উৎপাদনকারী দেশ হয়েছে মিয়ানমার।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, ২০২২ সালে তালেবান কর্তৃক মাদক নিষেধাজ্ঞার পর আফগানিস্তানে আফিম চাষ ৯৪ শতাংশ হ্রাস পাওয়ার পর বিশ্বব্যাপী সরবরাহের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে মিয়ানমার।

জাতিসংঘের ড্রাগস ও ক্রাইম অফিস (ইউএনওডিসি) মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, ২০২১ সালের অভ্যুত্থানের কারণে রাজনৈতিক, সামাজিক এবং অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতা মিয়ানমারকে পপি চাষে প্ররোচিত করেছে।

ইউএনওডিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারের কৃষকরা এখন আফিম পোস্ত চাষ থেকে প্রায় ৭৫ শতাংশ বেশি আয় করে। কারণ, পপি ফুলের গড় দাম প্রতি কিলোগ্রামে প্রায় ৩৫৫ ডলারে পৌঁছেছে।’

২০২২ সাল থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত মিয়ানমার অবৈধ ফসল ফলানোর জন্য ব্যবহৃত জমির আনুমানিক পরিমাণ ৪০,১০০ হেক্টর থেকে ৪৭,০০ হেক্টর পর্যন্ত সম্প্রসারিত করেছে, যা আফিম উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রায় ১৮ শতাংশ বৃদ্ধি।

জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘মিয়ানমারে পপি চাষ সম্প্রসারিত হচ্ছে এবং দেশটি এক্ষেত্রে আরও বেশি উৎপাদনশীল হচ্ছে।’

আফিম চাষের ক্ষেত্রগুলো সবচেয়ে বেশি সম্প্রসারিত হয়েছে মিয়ানমারের উত্তর শান রাজ্যের সীমান্ত অঞ্চলে এবং তারপরে চিন এবং কাচিন রাজ্যে।

মিয়ানমারের সহিংস রাজনৈতিক অস্থিরতা আফিম উৎপাদন বৃদ্ধিতে ভূমিকা রেখেছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকরা।

ইউএনওডিসি আঞ্চলিক প্রতিনিধি জেরেমি ডগলাস বলেন, ‘২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সামরিক দখলের পর অর্থনৈতিক, নিরাপত্তা এবং শাসনের ব্যাঘাতগুলো জীবিকা নির্বাহের জন্য প্রত্যন্ত অঞ্চলের কৃষকদের আফিম চাষের দিকে ধাবিত করে।’

তিনি বলেন, ‘ঐতিহ্যবাহী অঞ্চল শান রাজ্যে সশস্ত্র সংঘাত অন্যান্য সীমান্ত এলাকায়ও আফিম চাষের ওই প্রবণতাকে ত্বরান্বিত করবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *