যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে গাজায় স্থল আক্রমণ বিলম্বিত করতে সম্মত ইসরায়েল
ডেস্ক রিপোর্ট: যুক্তরাষ্ট্রের অনুরোধে গাজায় স্থল আক্রমণ বিলম্বিত করতে সম্মত হয়েছে ইসরায়েল। যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েলি কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে এ বিষয়ে বুধবার (২৫ অক্টোবর) প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।
এদিকে, লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ, ফিলিস্তিনের সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাস এবং ইসলামিক জিহাদের শীর্ষ প্রধানরা এক বৈঠকে মিলিত হয়েছেন বলে জানিয়েছে আল-জাজিরা।
হিজবুল্লাহর বিবৃতি অনুসারে, ওই বৈঠকে তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বিজয় অর্জনের জন্য তাদের জোটকে কী করতে হবে তা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
আলোচনার স্থান উল্লেখ না করেই ওই বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বুধবারের (২৫ অক্টোবর) বৈঠকে হিজবুল্লাহর সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ, হামাসের ডেপুটি চিফ সালেহ আল-আরোরি এবং ইসলামিক জিহাদের প্রধান জিয়াদ আল-নাখালা উপস্থিত ছিলেন।
লেবাননের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম আল-মানার হিজবুল্লাহর বিবৃতি উদ্ধৃত করে বলেছে, ‘ইসলামিক আন্দোলনের নেতারা অপারেশন আল-আকসা ফ্লাড শুরু হওয়ার পর থেকে সর্বশেষ অগ্রগতি এবং লেবানন ও অধিকৃত ফিলিস্তিনের সীমান্তজুড়ে সংঘর্ষসহ সমস্ত ফ্রন্টে পরবর্তী ঘটনাগুলো নিয়ে পর্যালোচনা করেছেন।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘সাইয়েদ হাসান নাসরাল্লাহ গাজা এবং পশ্চিমতীরে সর্বাত্মক বিজয় অর্জন এবং নিপীড়িত জনগণের উপর নৃশংস আক্রমণ বন্ধ করার জন্য এই সংকটময় পর্যায়ে প্রতিরোধের পক্ষের করণীয় আন্তর্জাতিক এবং আঞ্চলিক অবস্থানের বিষয়টি নাখালে এবং আল-আরৌরির সঙ্গে মূল্যায়ন করেছেন।’
গত ৭ অক্টোবর ইসরায়েলে হামাসের হামলার পর থেকে হিজবুল্লাহ ইসরায়েল-লেবানিজ সীমান্তে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে প্রায় প্রতিদিনই গুলি বিনিময় করেছে।
হিজবুল্লাহ বুধবার ঘোষণা করেছে যে, তাদের আরও দুই জন যোদ্ধা নিহত হয়েছে এবং সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে তাদের দলের যোদ্ধাদের মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৪০ জনে দাঁড়িয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার বলেছে, ছিটমহলের বিরুদ্ধে ইসরায়েলি আগ্রাসন বাড়ার কারণে ৩০৫ শিশুসহ ৭০৪ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।
জাতিসংঘের মানবিক বিষয়ক সমন্বয়ের কার্যালয় বলেছে, সংঘর্ষ শুরু হওয়ার পর থেকে মঙ্গলবারের মৃত্যুর সংখ্যা এক দিনে রিপোর্ট করা সর্বোচ্চ সংখ্যা।
ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, অধিকৃত পশ্চিমতীরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে অন্তত ১০০ জন নিহত হয়েছে।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।