সারাদেশ

হাইকোর্টের আদেশে কক্সবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন মিজান সাঈদ

ডেস্ক রিপোর্ট: হাইকোর্টের আদেশে কক্সবাজার-৩ আসনে মনোনয়ন জমা দিলেন মিজান সাঈদ

ছবিঃ সংগৃহীত 

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কক্সবাজার-৩ (সদর-রামু-ঈদগাঁও) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান। হাইকোর্টের আদেশে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের মনোনয়ন গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা।

মনোনয়নপত্র জমাদানের শেষ তারিখ (৩০ নভেম্বর) বিকেল ৪ টার পর মনোনয়নপত্র জমা না নেয়ায় উচ্চ আদালতে যান ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ। হাইকোর্টের বিচারপতি নাঈমা হায়দার ও কাজী জিনাত হকের বেঞ্চে মনোনয়ন পত্র না করা বিষয়ে চ্যালেঞ্জ করে রিট করলে আদালত তার মনোনয়ন পত্র গ্রহণ করার আদেশ দেয়।

হাইকোর্টের আদেশে জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের মনোনয়নপত্র গ্রহণ করেছেন বলে জানা গেছে। ফলে ব্যারিস্টার মিজান সাঈদ কক্সবাজার সদর-রামু-ঈদগাঁও আসনে একমাত্র স্বতন্ত্র প্রার্থী। 

এ আসনে অন্যান্য প্রার্থীরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী সাইমুম সরওয়ার কমল এমপি, জাতীয় পার্টি মনোনীত প্রার্থী মোহাম্মদ তারেক, বাংলাদেশ কল্যান পার্টির আবদুল আউয়াল মামুন, বাংলাদেশ ন্যাশনালিস্ট ফ্রন্টের মোহাম্মদ ইবরাহীম। ব্যারিস্টার মিজান সাঈদের মনোনয়নপত্র যাচাই বাছাইয়ে উত্তীর্ণ হলে তিনি প্রার্থী হিসেবে প্রতীক বরাদ্দ পাবেন বলে জানা গেছে।

নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না, গণতন্ত্রী পার্টিকে ইসির নোটিশ

ছবি: সংগৃহীত

আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের শরিক দল গণতন্ত্রী পার্টির নিবন্ধন কেন বাতিল করা হবে না, তা জনতে চেয়ে নোটিশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে ইসি এক বিজ্ঞপ্তিতে এতথ্য জানায়। ১৫ দিনের মধ্যে গণতন্ত্রী পার্টিকে নোটিশের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

এরআগে, নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মো. মাহবুব আলম শাহ স্বাক্ষরিত এক চিঠিতে জানানো হয়, নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ‘গণতন্ত্রী পার্টি’ নামীয় দলটির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক কর্তৃক পৃথক পৃথকভাবে দাখিলকৃত কমিটি কমিশন কর্তৃক নামঞ্জুর করা হয়েছে। সুতরাং গণতন্ত্রী পার্টি নামীয় রাজনৈতিক দলের অনুমোদিত কোনো কমিটি বিদ্যমান নেই। এ অবস্থায়, সংসদ নির্বাচনের জন্য ‘গণতন্ত্রী পার্টি’ নামীয় দলের কোনো পদধারী কর্তৃক দাখিলকৃত প্রার্থীর প্রার্থিতা বাতিল করার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা যাচ্ছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১২টি আসনে জমা দেওয়া সব প্রার্থীর মনোনয়নপত্র বাতিলের সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন।

তার আগে, গণতন্ত্রী পার্টির দুই পক্ষের সঙ্গে নির্বাচন কমিশন বৈঠক করে। বৈঠক শেষে কমিশন কোনো সিদ্ধান্ত দেয়নি।

উল্লেখ্য, গণতন্ত্রী পার্টি নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত একটি রাজনৈতিক দল হলেও সম্প্রতি দলটি দুই ভাগে বিভক্ত হয়েছে। সে কারণে সম্প্রতি নির্বাচন কমিশন রাজনৈতিক দলগুলোকে সংলাপের জন্য আমন্ত্রণ জানালেও গণতন্ত্রী পার্টির একটি দলকেও চিঠি দেওয়া হয়নি। ফলে দলটির কোন অংশ নির্বাচন কমিশনের নিবন্ধিত, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে।

;

আরও চার থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ ইসির

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সুষ্ঠু করার লক্ষ্য আরও চার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাকে (ওসি) প্রত্যাহারের নির্দেশ দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসি সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।

ইসির দেওয়া বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা থানার ওসি, গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা, চট্রগ্রাম জেলার খুলশি ও পটিয়া থানার ওসিকে প্রত্যাহারের নির্দেশ দেওয়া হয়।

এর আগে, গত ৭ ডিসেম্বর স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেশের ৩৩৮ থানার ওসি বদলির জন্য পাঠানো প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন।

গত ৩০ নভেম্বর সব উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানার ওসিকে বদলি করার জন্য জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেয় নির্বাচন কমিশন। কাদের বদলি করা হবে সেই প্রস্তাবও পাঠানোর জন্য বলে সংস্থাটি।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

;

বগুড়ায় স্বতন্ত্র প্রার্থীর নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-১ (সারিয়াকান্দি-সোনাতলা) আসনের স্বতন্ত্রপ্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপির নির্বাচনী ক্যাম্পে অগ্নিসংযোগ করেছে দুর্বৃত্তরা।

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) দিবাগত রাতে সারিয়াকান্দি উপজেলার সদর ইউনিয়নের দেলেয়াবাড়ী গ্রামে এ অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।

নির্বাচনী ক্যাম্পের দায়িত্বরত স্বতন্ত্র প্রার্থী লিপির সমর্থক শামীম আহম্মেদ বলেন, সোমবার নির্বাচনী অফিস হিসেবে ওই স্থানে একটি ক্যাম্প স্থাপন করা হয়। রাত সাড়ে ১১টা পর্যন্ত আমরা ক্যাম্পে বসেছিলাম। সকালে জানতে পারি নির্বাচনী ক্যাম্পে কে বা কারা আগুন দিয়েছে।

এ ব্যাপারে স্বতন্ত্রপ্রার্থী শাহাজাদী আলম লিপি বলেন, ওই গ্রামে নির্বাচনী ক্যাম্প স্থাপন না করার জন্য যুবলীগের এক নেতা আমার সমর্থকদের হুমকি-ধামকি দিচ্ছেন। আমার জনপ্রিয়তাকে ভয় পেয়ে তারা কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন। আওয়ামী লীগের প্রার্থীর সমর্থকরা এ অগ্নিসংযোগের সঙ্গে জড়িত বলে তিনি দাবি করেন।

সারিয়াকান্দি উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আলী হোসেন বলেন, এ ব্যাপারে আমি জানতে পেরেছি। প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার ক্যাম্প স্থাপন করা ঠিক হয়নি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও সহকারী রির্টানিং কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শন করা হয়েছে। এখনও এ ঘটনায় আমার কাছে কোন আবেদন আসেনি। তবে বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

;

নির্বাচনে বাধা হবে এমন সভা-সমাবেশ করা যাবে না: ইসি

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে নির্বাচনের প্রচারণা ছাড়া কোনো প্রকার সভা-সমাবেশ না করার নির্দেশনা দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসির উপসচিব মো. আতিয়ার রহমান স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি চিঠি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিবকে পাঠান।

চিঠিতে ইসি জানায়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের দিন আগামী বছরের ৭ জানুয়ারি ধার্য করা রয়েছে। আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের প্রচার প্রচারণা শুরু হবে। ১৮ ডিসেম্বর হতে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচার-প্রচারণা ব্যতীত নির্বাচনি কাজে বাধা হতে পারে বা ভোটারগণ ভোট প্রদানে নিরুৎসাহিত হতে পারে এরূপ কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য কোনো প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সকলকে বিরত রাখা বাঞ্ছনীয় ।

এই অবস্থায়, আগামী ১৮ ডিসেম্বর হতে ভোটগ্রহণ সমাপ্ত হওয়ার পূর্ববর্তী সময় পর্যন্ত নির্বাচনি প্রচার প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো প্রকার সভা, সমাবেশ বা অন্য সকল প্রকার রাজনৈতিক কর্মসূচি গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করা থেকে সকলকে বিরত রাখার লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য নির্দেশিত হয়ে অনুরোধ করা হলো।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *