সারাদেশ

ফের জাতীয় পাটির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ

ডেস্ক রিপোর্ট: ফের জাতীয় পাটির সঙ্গে বৈঠকে আওয়ামী লীগ

ছবিঃ জাপা-আওয়ামী লীগ বৈঠক

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে জাতীয় পার্টির সঙ্গে ফের বৈঠক করেছে আওয়ামী লীগ। মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) রাতে বনানীর একটি বাড়িতে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

বৈঠকে আওয়ামী লীগের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির দুই নেতার মধ্যে উপস্থিত ছিলেন মহাসচিব মুজিবুল হক (চুন্নু) ও আনিসুল ইসলাম মাহমুদ। প্রায় আড়াই ঘন্টা বৈঠক এই অনুষ্ঠিত হয়।

আলোচনার বিষয়ে জাহাঙ্গীর কবির নানক বলেন, সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য ও প্রতিদ্বন্দ্বীতামূলক নির্বাচনে গণতান্ত্রিক দলগুলোকে এগিয়ে আসতে হবে। এক্ষেত্রে জাতীয় পার্টির ভূমিকা রয়েছে। সারাদেশে যেভাবে নির্বাচনী উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি হয়েছে তা অব্যাহত কিভাবে রাখা যায় এবং সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্ন কিভাবে করা যায় এসব বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। রাজনৈতিক দল গুলোকে বন্ধ থাকলে তা সম্ভব। এই আলোচনা চলমান থাকবে। আগামীকাল ও পরশু আবার আলোচনা হতে পারে।

আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, জাতীয় পার্টির সঙ্গে আমাদের সৌহাদ্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। নির্বাচনকে অর্থবহ করার জন্য অনেক সুন্দর আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন যাতে প্রতিযোগিতামূলক হয় সেই বিষয়টিও আলোচনা গুরুত্ব পেয়েছে। নির্বাচনকে প্রতিযোগিতামূলক করার জন্য, অংশগ্রহণমুলক করার জন্য এই ব্যাপারে উভয় দলই ঐক্যমত পোষণ করে।

তিনি আরও বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আগামী দু- এক দিনের ভিতরে সমস্ত বিষয়গুলি আমরা যৌথভাবে সংবাদ সম্মেলন করে জানাবো। আমাদের সমস্ত বিষয়গুলো নিয়ে যে রাজনৈতিক আলোচনা হচ্ছে, এই আলোচনা ভবিষ্যতেও হবে। আমরা মনে করি, রাজনৈতিক বিষয়গুলো গুরুত্বপূর্ণ, সেগুলো প্রকাশ্যে আসা উচিত। আমরা আশা করছি, দুই এক দিনের ভিতরেই জাতিকে আমরা একটি পরিচ্ছন্ন ধারণা দিতে পারব। সেটা যৌথভাবেই প্রকাশ করা হতে পারে।’  

আসন সমঝোতার প্রসঙ্গে জানতে চাইলে বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, এটা নিয়ে অর্থবহ ও তাৎপর্যপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এটা পজিটিভ দিকে আগাচ্ছে। সামগ্রিক বিষয়গুলো একটি ভালো দিকে আলোচনা হচ্ছে। একমত হয়েই আমরা সামনে আগাচ্ছি।

বর্তমান সরকার কিছু দেশের স্বার্থরক্ষা করছে: রিজভী

ছবি: সংগৃহীত

বর্তমান সরকার ক্ষমতা ধরে রাখতে দেশকে নরকে পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, আওয়ামী লীগের নেতৃত্বের সরকার কিছু দেশের স্বার্থ রক্ষা করছে। যারা অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক আধিপত্য বিস্তারের চেষ্টা করছে। বাংলাদেশে গণতন্ত্র থাকল, কী থাকল না, সেটাকে তারা তোয়াক্কা করে না।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে রিজভী এ কথা বলেন।

রিজভী বলেন, বিশ্বের গণতন্ত্রকামী দেশগুলো বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায়। আর এই সরকারের পদত্যাগ ছাড়া বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। কেবলমাত্র একজন নিরপেক্ষ ব্যক্তি যিনি কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নয় তার অধীনেই অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হতে পারে।

বিএনপির এই মুখপাত্র বলেন, প্রধানমন্ত্রী থেকে শুরু করে তাদের মন্ত্রী নেতাকর্মীরা এত কথা বলেন, কিন্তু অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের কথা বললে তারা এত বিচলিত হয় কেন? তারা অস্থির হয়ে যান এক ভীতির মধ্যে পড়ে। অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন হলে তাদের পরিণতি কী হয় এই ভয় থেকেই তারা অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচন দিতে চান না।

তিনি বলেন, সরকার রাষ্ট্রযন্ত্রকে ব্যবহার করে, রাষ্ট্রের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা বাহিনী ব্যবহার করে, প্রতিবেশী বন্ধু রাষ্ট্রের শক্তিকে ব্যবহার করছে তা প্রতিদিন সুস্পষ্ট হয়ে উঠছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের মানুষ এখন পরাধীন। আমরা এখন একক উপনিবেশ শাসকের অধীনে রয়েছি এবং আওয়ামী লীগের নেতৃত্বাধীন সরকার কোনো শক্তির প্রতিনিধি হিসেবে এ দেশে কাজ করছে।

রিজভী বলেন, যারা এদেশে আধিপত্য বিস্তার করতে চায় তারা এদেশের জনগণের ভালো-মন্দ বিচার করে না। এটা করে না বলেই বাংলাদেশের মানুষকে তুচ্ছ তাচ্ছিল্য করে। কিন্তু অনেক দেশ বাংলাদেশের জনগণের ভালো-মন্দ এবং গণতন্ত্র চায়। গতকাল অস্ট্রেলিয়া থেকে বলা হয়েছে বাংলাদেশে অবাধ সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্যে তাদের দেশ আপসহীন।

;

জিএম কাদের দলের মধ্যে ‘ক্যু’ করে আমাকে সরিয়েছে: রওশন এরশাদ

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠকে রওশন এরশাদ

সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন চূড়ান্ত করতে জিএম কাদের দলের মধ্যে ‘ক্যু’ করে নেতৃত্ব নিয়েছেন বলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘অবগত’ করেছেন দলটির প্রধান পৃষ্ঠপোষক রওশন এরশাদ।

তিনি বলেছেন, জিএম কাদের অবৈধভাবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দখল এবং সংসদ নির্বাচনে মনোনয়ন চূড়ান্ত করার ক্ষেত্রে সুকৌশলে আমাকে, আমার সন্তান এরশাদপুত্র সাদ এরশাদকে এবং দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতাদেরকে সরিয়ে দলের মধ্যে ‘ক্যু’ করে নেতৃত্ব গ্রহণ করেছেন। আমরা মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সকল বিষয় অবহিত করেছি।

এর আগে মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) দুপুরে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করেন রওশন এরশাদ। বৈঠক শেষে তিনি এক লিখিত বিবৃতিতে গণমাধ্যমে এসব কথা জানান।

রওশন এরশাদের হাতে লেখা বিবৃতি বিবৃতিতে তিনি খণ্ডিত জাতীয় পার্টি ও গোলাম কাদেরের (জিএম কাদের) সাথে কোন নির্বাচনী জোট না করার অনুরোধ করেছেন বলে জানিয়েছেন।

রওশন এরশাদ বলেছেন, দ্বাদশ নির্বাচন অধিক গ্রহণযোগ্য করার জন্য জাতীয় পার্টির এককভাবে সারা দেশে প্রতিযোগিতামূলক নির্বাচন নিশ্চিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছি। প্রধানমন্ত্রীকে নির্বাচনে কোন জোট না করারও অনুরোধ করেছি।

রওশান এরশাদ বিবৃতিতে নিজেকে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান দাবি করে বলেন, আমি রওশন এরশাদ জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কো-চেয়ারম্যান ও প্রধান পৃষ্ঠপোষক এবং সংসদের বিরোধী দলীয় নেতা হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। বলেছি, জিএম কাদের অবৈধভাবে জাতীয় পার্টির নেতৃত্ব দখল করেছে।

;

নির্বাচন বানচালে বিএনপির সাথে বিদেশিরাও ষড়যন্ত্র করছে: কাদের

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচালের জন্য বিএনপি ও কিছু বিদেশিরা ষড়যন্ত্র করছে বলে জানিয়েছেন ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় তেজগাঁওয়ে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এর আগে তিনি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংশ্লিষ্ট আওয়ামী লীগের দফতর বিষয়ক উপ-কমিটির মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন।

তিনি বলেন, ‘আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন বানচাল করতে বিএনপি সন্ত্রাস ও ষড়যন্ত্র করছে। এতে কিছু বিদেশিরও হাত আছে। এ ক্ষেত্রে তাদের এই অঞ্চলে সামরিক দিক থেকে আধিপত্য বিস্তার ও ভূ-রাজনৈতিক স্বার্থ জড়িত থাকতে পারে।

এই নির্বাচন আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জ জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা একটা চ্যালেঞ্জিং সময় অতিক্রম করছি। সম্মানের সঙ্গে চ্যালেঞ্জ অতিক্রম করতে হবে। গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার আরেকটি চমৎকার সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে। সংকটকে সম্ভাবনায় রূপ দেওয়ার এই কঠিন লড়াইয়ে কাণ্ডারি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বর্তমান সংকট পেরিয়ে যেতে যে দিকনির্দেশনা তিনি দিয়েছেন, সেটিকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে এগিয়ে যেতে হবে। এর কোনো রকম ব্যত্যয় হওয়া যাবে না।’

নির্বাচন অবাধ ও নিরপেক্ষ হবে জানিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘কোনো নীলনকশার নির্বাচন হবে না। জনগণ তাদের ম্যান্ডেট দেবে। এখনো বিরোধী দলীয় পার্লামেন্ট ভেঙে দেওয়া হয়নি, সুপ্ত আছে। সেই হিসেবে সংসদীয় দলের নেতা রওশন এরশাদ। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেছেন। তাদের দলের অভ্যন্তরীণ কথা বলেছেন। শুধু একটি কথাতেই জাতীয় পার্টির (জাপা) সঙ্গে সম্পর্কের টানাপোড়েন আসবে-এমনটি নয়। দল হিসেবে জাপার সঙ্গে অ্যালায়েন্স হবে না- এটা এখনো প্রধানমন্ত্রী বলেননি।’

এসময় তিনি ১৬ ডিসেম্বরের পর নেতাকর্মীদের নির্বাচনের মাঠে নামার আহ্বান জানিয়ে বলেন, সোশ্যাল নেটওয়ার্কে আমাদের উপস্থিতি একেবারে নগণ্য। প্রয়োজনে বাইরের দুই-একজনকেও যুক্ত করতে হবে। এই দুর্বলতা কাটিয়ে উঠতে হবে।

;

মন্ত্রী হলেও আমিও মানুষ, হয়তো আমারও ভুল আছে: আ ক ম মোজাম্মেল হক

ছবি: বার্তা২৪.কম

মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেছেন, মন্ত্রী হলেও আমিও আপনাদের মতোই একজন মানুষ। গত ১৫ বছরে হয়তো আমারও কিছু ভুল হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) বিকেলে গাজীপুর-১ আসনের মৌচাক ইউনিয়নের বাঁশতলী গ্রামের বাসিন্দাদের মিলনায়তনে এসব কথা বলেন আ ক ম মোজাম্মেল হক।

মন্ত্রী বলেন, গত ১৫ বছর আগে এই অঞ্চল কি ছিল, আর এখন প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে কত পাল্টে গেছে। রাস্তা হয়েছে, ঘরে ঘরে বিদ্যুৎ হয়েছে, স্কুল কলেজ হয়েছে। যাদের জমি-ঘর ছিল না তারা জমি-ঘর পেয়েছে। আর যারা এখনো পাননি তারা আবেদন করুন আপনাদের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দরজা খোলা আছে।

তিনি বলেন, বিএনপির আমলে এই এলাকায় কোনো সড়ক ছিল না। আমি ছোটবেলায় মকস বিলে মাছ ধরতে আসতাম। দেখতাম ধান ক্ষেতের আইল দিয়ে মানুষ চলাচল করতেন। আজ সেই অঞ্চল উন্নত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে আপনারা নানা সুবিধা ভোগ করছেন।

এসময় আ ক ম মোজাম্মেল হক জনগণের কাছে আওয়ামী লীগ সরকার ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন কর্মকাণ্ডের নানা কথা তুলে ধরে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দেওয়ার আহবান জানান।

এসময় উপস্থিত ছিলেন, মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য হাবিবুর রহমান সিকদার, মৌচাক ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব লোকমান হোসেন, কালিয়াকৈর পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সিকদার জহিরুল ইসলাম জয়, মৌচাক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের নেতা হাবিবুল্লা বেলালী, ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের নেতা মতিয়ার রহমান মতিন, আওয়ামী লীগ নেতা বোরহান সিকদার, ছাত্রলীগ নেতা লাবিবুর রহমান প্রমুখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *