সারাদেশ

গুয়েতেমালার ৩০০ নাগরিকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ

ডেস্ক রিপোর্ট: গুয়েতেমালার ৩০০ নাগরিকের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভিসা বিধিনিষেধ

ছবিঃ সংগৃহীত 

মধ্য আমেরিকার সবচেয়ে জনবহুল দেশ গুয়েতেমালায় গণতন্ত্র ক্ষুণ্ন করায় এককক্ষ বিশিষ্ট কংগ্রেসের ১৬০ সদস্যের মধ্যে ১০০ জনসহ প্রায় ৩০০ নাগরিকের বিরুদ্ধে ভিসা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। তাদের মধ্যে দেশটির সংসদ কংগ্রেসের অন্তত ১০০ জন সদস্য রয়েছেন। 

সোমবার (১১ ডিসেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তর এক বিবৃতিতে গুয়েতেমালার বিরুদ্ধে এই পদক্ষেপ নেওয়ার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।

ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্সের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে,  বেসরকারি খাতের কিছু প্রতিনিধি এবং তাদের পরিবারের সদস্যদেরও লক্ষ্য করে এই ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের একজন কর্মকর্তার বলেছেন, মার্কিন আইনের গোপনীয়তা বিধির কারণে ভিসা বিধিনিষেধের আওতায় পড়া গুয়েতেমালানদের নাম প্রকাশ করা হবে না। তবে ভিসা নিষেধাজ্ঞার আওতায় পড়াদের ‘‘গণতন্ত্র বা আইনের শাসন ক্ষুণ্ন করার জন্য দায়ী বা জড়িত বলে মনে করা হয়।’’

গত সপ্তাহের শেষের দিকে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত বেরনার্ডো আরেভালোর নির্বাচনে বিজয় বাতিল চেয়ে আইনি পদক্ষেপ নেন দেশটির প্রসিকিউটররা। দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল কনসুয়েলো পোরাস নির্বাচনী জয়কে বাতিল করার অপচেষ্টা করেছেন বলে অভিযোগ করেন আরেভালোর। একই সঙ্গে তার জয়ের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপকে ‘ন্যায়ভ্রষ্ট’ ও ‘অভ্যুত্থানচেষ্টা’ বলে অভিহিত করেন তিনি।

গত আগস্টের রান-অব নির্বাচনে আরেভালোর নিরঙ্কুশ বিজয়ের পর গুয়েতেমালার নির্বাচনী কর্মকর্তা এবং দলীয় প্রতিনিধিদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও জারি করেছে দেশটির অ্যাটর্নি জেনারেল কনসুয়েলো পোরাসের কার্যালয়। মার্কিন পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘‘গুয়েতেমালার জনগণ তাদের কথা বলেছেন। তাদের বক্তব্যকে অবশ্যই সম্মান জানাতে হবে।’’

দুর্নীতিবিরোধী যুদ্ধ ঘোষণা করা আরেভালো গত জুনে গুয়েতেমালার প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রথম ধাপে ব্যাপক জনসমর্থন পান। এরপর গত আগস্টে দ্বিতীয় দফার রান-অব ভোটে সেনাবাহিনী-সমর্থিত বিরোধী প্রার্থীর বিপক্ষে জয় পেয়ে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট হন তিনি। কিন্তু তার বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ করেছেন বিরোধীরা।

ওই নির্বাচনের পর আরেভালো ও তার মধ্য-বামপন্থী রাজনৈতিক দল সিড ম্যুভমেন্ট পার্টি অ্যাটর্নি জেনারেল পোরাসের কার্যালয়ের একাধিক তদন্তের মুখোমুখি হয়েছে। কয়েক বছর আগে দলটির নিবন্ধনে অনিয়মের অভিযোগ তদন্ত করেছে অ্যাটর্নি জেনারেলের কার্যালয়।

এদিকে, মার্কিন ভিসা বিধিনিষেধের বিষয়ে গুয়েতেমালার বিদায়ী প্রেসিডেন্ট আলেজান্দ্রো গিয়ামাত্তেই এবং কংগ্রেসের কর্মকর্তারা তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধে সাড়া দেননি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।

মার্কিন সরকারের দুর্নীতিগ্রস্ত ও অগণতান্ত্রিক নেতাদের করা তালিকায় ইতিমধ্যে গুয়েতেমালার অ্যাটর্নি জেনারেল পোরাস, তার জ্যেষ্ঠ সহযোগী রাফায়েল কুরুচিচে এবং ফ্রেডি ওরেলানার নামও যুক্ত করা হয়েছে। জুনের প্রথম দফার ভোটে ভালো ফল করার পর আগস্টের দ্বিতীয় দফার রান-অবের আগ মুহূর্তে আরেভালোর মধ্য-বামপন্থী রাজনৈতিক দল সিড ম্যুভমেন্ট পার্টির নিবন্ধন বাতিলের আদেশ দিয়েছিলেন পোরাসের সহযোগী আইনজীবী ফ্রেডি।

মিলার বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র গুয়েতেমালার গণতন্ত্রকে দুর্বল করে এমন যেকোনও ব্যক্তির বিরুদ্ধে এই ধরনের বিধিনিষেধ আরোপ করার পদক্ষেপ অব্যাহত রাখবে।’

‘পাকিস্তানের নেতা নির্বাচনে কোনও ভূমিকা নেই যুক্তরাষ্ট্রের’

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

পাকিস্তানে সাধারণ নির্বাচনের আগে যুক্তরাষ্ট্র জোর দিয়ে বলেছে, তারা দেশটির নেতা বাছাইয়ের ক্ষেত্রে কোনও ভূমিকা পালন করছে না।

যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্টের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার সাংবাদিকদের বলেন, ‘পাকিস্তানের নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্রের কোনও ভূমিকা নেই।”

মিলারকে সোমবার (১১ ডিসেম্বর) একজন মার্কিন-পাকিস্তানি সাংবাদিক অভিযোগ করে বলেন, ‘দুর্নীতিবাজ অপরাধী নওয়াজ শরীফকে পাকিস্তানে ফিরিয়ে এনেছে যুক্তরাষ্ট্র।’ তখন মিলার ওই মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

ওই সাংবাদিক দাবি করেছেন যে, ‘যুক্তরাষ্ট্র কখনও নওয়াজ শরীফকে চ্যালেঞ্জ বা নিন্দা করেনি।’

মিলার বলেন, ‘আমরা পাকিস্তানের জনগণের দেখানো নেতৃত্বের সঙ্গে জড়িত থাকব। কিন্তু, নেতা নির্বাচনের ক্ষেত্রে আমাদের কোনও ভূমিকা থাকবে না।’

প্রসঙ্গত, পাকিস্তানে ৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হতে চলেছে সাধারণ নির্বাচন।

এদিকে, দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান চলতি বছরের আগস্ট থেকে একাধিক মামলায় বন্দী রয়েছেন এবং পাকিস্তানের বিভিন্ন আদালত থেকে প্রতিকূল বিচারের সম্মুখীন হচ্ছেন।

অন্যদিকে নেওয়াজ শরীফের বিরোধীরা দাবি করেছেন যে, সেনাবাহিনীর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে একটি আপোষের পরে তাকে পাকিস্তানে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।

উল্লেখ্য, স্টেট ডিপার্টমেন্টের মন্তব্য এমন এক সময়ে আসলো যখন পাকিস্তানের সেনাপ্রধান জেনারেল আসিম মুনির গত বছরের নভেম্বরে দায়িত্ব নেওয়ার পর বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রে তার প্রথম সরকারি সফরে রয়েছেন।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান সফরকালে সিনিয়র সামরিক এবং অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তাদের সঙ্গে সাক্ষাত করবেন বলে জানা গেছে।

;

গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েল

ইসরায়েলের গণহত্যার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

কয়েক দিন ধরে অবরোধ ও গোলাবর্ষণের পর মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) উত্তর গাজার কামাল আদওয়ান হাসপাতালে অভিযান চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে এ খবর জানিয়েছে আল-জাজিরা।

ফিলিস্তিনি স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আশরাফ আল-কুদরা বলেছেন, ‘ইসরায়েলি সেনারা মঙ্গলবার বেইট লাহিয়ার ওই হাসপাতালের মেডিক্যাল স্টাফসহ পুরুষ ও ছেলেদের ধরে নিয়ে গেছে।’

এর বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক হস্তক্ষেপের আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আমরা মেডিকেল টিম এবং বাকিদের হত্যার আশঙ্কা করছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা জাতিসংঘ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং রেডক্রসের আন্তর্জাতিক কমিটিকে হাসপাতালের রোগী এবং স্টাফদের জীবন বাঁচাতে অবিলম্বে কাজ করার আহ্বান জানাচ্ছি।’

আল-জাজিরা জানিয়েছে, হাসপাতালটির ভেতরে রোগী, চিকিৎসা কর্মী এবং হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক রয়েছেন, যারা তাদের বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়ে সেখানে আশ্রয় নিয়েছেন।

আল-জাজিরার হানি মাহমুদ মঙ্গলবার দক্ষিণ গাজা থেকে জানিয়েছেন, অভিযানে ব্যাপক গুলিবর্ষণ করছে ইসরায়েলি সেনারা। তারা কামান থেকে গোলাও নিক্ষেপ করছে।

তিনি বলেন, ‘ট্যাঙ্কগুলো গেটে আরও সজোরে ধাক্কা দিচ্ছে এবং পুরো ভবনটি ভারী বোমাবর্ষণের শিকার হয়েছে। ১৫ বছরের বেশি বয়সি সবাইকে হাত উপরে তুলে ভবন থেকে বেরিয়ে আসার জন্য লাউডস্পিকার ব্যবহার করা হচ্ছে।’

উল্লেখ্য, গাজার উত্তরাঞ্চলের মধ্যে কামাল আদওয়ানই একমাত্র অবশিষ্ট হাসপাতাল।

গত কয়েকদিন ধরে প্রচণ্ড বোমাবর্ষণ, বিমান হামলা এবং ট্যাঙ্কের গোলাবর্ষণের ফলে এর বেশিরভাগ স্থাপনা ধ্বংস হয়েছে বলে জানা গেছে।

;

উত্তর কোরিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি পাচারের চেষ্টা বানচাল করলো জাপান

কিম জং-উন। ছবি : সংগৃহীত

সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের (এসসিএমপি) এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত সপ্তাহে উত্তর কোরিয়ায় ৭০ হাজার মার্কিন ডলারের লেক্সাস সেডান গাড়ি পাচারের চেষ্টা ব্যর্থ করেছে জাপানের পুলিশ।

হাতির দাঁত পাচারের তদন্তের মধ্যে উত্তর কোরিয়া যেদিন সুইজারল্যান্ড থেকে তার রাষ্ট্রদূতকে প্রত্যাহার করেছিল, সেদিনই গাড়িটি আটক করা হয় বলে জানিয়েছে এসসিএমপি।

রয়টার্স জানিয়েছে, গত ৭ ডিসেম্বর চিবা প্রিফেকচারে একটি ব্যবহৃত গাড়ির শোরুমে অভিযান চালানোর সময় গাড়িটি জব্দ করা হয়। জাপানের দৈনিক আসাহি শিম্বুন জানিয়েছে, শোরুমটি যে কাগজপত্র জমা দিয়েছে, তাতে দেখানো হয়েছে বিলাসবহুল গাড়িটি বাংলাদেশ হয়ে সিঙ্গাপুরে যাবে।

এ বিষয়ে শোরুমের মালিকদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে এবং সব কাগজপত্র খতিয়ে দেখছে পুলিশ।

উল্লেখ্য, জাতিসংঘের একটি রেজুলেশনের অধীনে উত্তর কোরিয়ায় বিলাসবহুল গাড়ি এবং অন্যান্য উচ্চ মূল্যের পণ্য রপ্তানি নিষিদ্ধ করা হয়েছে। ২০০৬ সালে পিয়ংইয়ং ভূগর্ভস্থ পারমাণবিক পরীক্ষা চালালে ওই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর করা হয়।

যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক উত্তর কোরিয়াকেন্দ্রিক বার্তা সংস্থা এনকে নিউজ বলেছে, কিম জং-উন বিলাসবহুল গাড়ি পছন্দ করেন এবং এর আগে তাকে একটি মার্সিডিজ-মেবাচ জিএলএস ৬০০ এবং একটি লেক্সাস এলএক্স এসইউভিতে দেখা গেছে।

ওই মার্সিডিজ-মেব্যাচের বেস মূল্য প্রায় ২ লাখ মার্কিন ডলার।

ফাউন্ডেশন ফর ডিফেন্স অফ ডেমোক্রেসিসের সিনিয়র ডিরেক্টর অ্যান্থনি রুগিরো বলেছেন, ‘এটি সরাসরি কিমের জন্য নাও হতে পারে। তবে তার লোকেরা জানে সে কী পছন্দ করে এবং অভিজাতরা কী পছন্দ করে। তারা নিষেধাজ্ঞা ফাঁকি দিয়ে অর্জিত অর্থ ব্যবহার করে বিলাসবহুল পণ্য আমদানি করে এবং তারা সেই অর্থ উত্তর কোরিয়ার জনগণের জন্য ব্যয় করে না, যারা কিম শাসনের অধীনে ভুগছে।’

এদিকে, সুইজারল্যান্ডে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত হান তাই-সং আফ্রিকায় চোরাচালান করা হাতির দাঁত পাচারে জড়িত থাকার অভিযোগটি তদন্ত করছে জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের নিষেধাজ্ঞা কমিটি।

হান ২০১৭ সাল থেকে সুইজারল্যান্ডে উত্তর কোরিয়ার রাষ্ট্রদূত এবং জেনেভাতে জাতিসংঘের প্রতিনিধি হিসাবে উভয় দায়িত্ব পালন করেছেন।

তাকে ১৯৯২ সালে গন্ডারের শিং পাচারের অভিযোগে জিম্বাবুয়ে থেকে বহিষ্কার করা হয়েছিল।

;

সিরিয়া সীমান্তে মাদক পাচারকারীদের হত্যা করেছে জর্ডান সেনাবাহিনী

ছবি: আল জাজিরা

সিরিয়ার সীমান্তের কাছে বেশ কয়েকজন মাদক চোরাচালানকারীকে হত্যা করেছে জর্ডানের সেনাবাহিনী। দেশটির সেনাবাহিনী বলছে, অত্যন্ত আসক্তিযুক্ত ড্রাগ ক্যাপ্টাগনের বাণিজ্য দমন করতে গুলি করতে হয়েছে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়। অ্যামফিটামিন-সদৃশ মাদক সিরিয়ায় ব্যাপকভাবে উত্পাদিত হয় এবং জর্ডান হয়ে উপসাগরীয় রাজ্যগুলোতে পাচার করা হয়।

জর্ডানের সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে বলেছে, কয়েক ডজন মাদক চোরাচালানকারী মঙ্গলবার সিরিয়ার সীমান্ত অতিক্রম করে ঘন কুয়াশায় হারিয়ে যায়। এ সময় জর্ডানের সীমান্তরক্ষীদের উপর গুলি চালায় তারা। বন্দুকযুদ্ধে জর্ডানের একজন কর্মকর্তা এবং “বেশ কিছু” মাদক ব্যবসায়ী নিহত হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন এক জওয়ান। জর্ডানের সাথে ৩৭০ কিলোমিটার বেশিরভাগ মরুভূমির সীমান্ত দিয়ে অনেক মাদক ডিলার সিরিয়ায় পালিয়ে গেছে।

জর্ডানের সেনাবাহিনীর বিবৃতিতে বলা হয়, “আমাদের সীমান্ত রক্ষা করতে এবং আমাদের জাতীয় নিরাপত্তাকে ক্ষুণ্ন করার যে কোনো প্রচেষ্টাকে প্রতিরোধ করতে জোরপূর্বক কাজ করি।”

ঠিক কোথায় ঘটনাটি ঘটেছে তা নির্দিষ্ট করে কিছু জানায়নি সেনাবাহিনী। তবে সিরিয়ার সূত্র রয়টার্স বার্তা সংস্থাকে জানিয়েছে, ঘটনাটি জর্ডানের মাফ্রাক শহরের উত্তর-পূর্বে ঘটেছে।

জর্ডানে প্রচুর পরিমাণে ক্যাপ্টাগন বড়ি পরিবহনের চেষ্টা করার সময় আরও তিনজন চোরাচালানকারীকে গুলি করে হত্যা করার ঠিক এক সপ্তাহ পরে সীমান্ত সংঘর্ষ ঘটল।

পশ্চিমা মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তাদের মতে, চোরাকারবারীরা প্রায়ই উপসাগরীয় রাজ্যে ট্রানজিট করার জন্য জর্ডানে মাদক লুকিয়ে নিয়ে যায়।

জর্ডানের কর্মকর্তারা পশ্চিমার দাবির প্রতিবাদে জানায়, লেবাননের হিজবুল্লাহ গ্রুপ এবং অন্যান্য ইরান-মিত্র মিলিশিয়ারা চোরাচালান নেটওয়ার্কের পিছনে রয়েছে। তবে এ অভিযোগ হিজবুল্লাহ অস্বীকার করেছে।

জর্ডান ও সিরিয়ার কর্তৃপক্ষ এবং তাদের মিত্র রাশিয়ার সাথে মাদক ব্যবসা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তবে সিরিয়ার সরকার জড়িত থাকার বিষয়টি অস্বীকার করে এবং বলে যে তারা মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করছে।

এদিকে, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, জর্ডানের সীমান্ত নিরাপত্তা বাড়াতে আরও সামরিক সহায়তা পাঠানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। জর্ডানের কর্মকর্তারা বলেছেন, ২০১১ সালে সিরিয়ার সংঘাত শুরু হওয়ার পর থেকে ওয়াশিংটন ১ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি যোগান দিয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *