সারাদেশ

নেতানিয়াহুকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে : জো বাইডেন

ডেস্ক রিপোর্ট: নেতানিয়াহুকে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে : জো বাইডেন

জো বাইডেন। ছবি : সংগৃহীত

মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুকে সতর্ক করে বলেছেন, ‘গাজায় নির্বিচারে বোমা হামলার কারণে হামাসের বিরুদ্ধে যুদ্ধের জন্য বৈশ্বিক সমর্থন হারানোর ঝুঁকি নিয়েছে ইসরায়েল।’

রয়টার্স জানিয়েছে বাইডেন দাতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘ফিলিস্তিনিদের জন্য দ্বি-রাষ্ট্র সমাধানের বিষয়ে তার অবস্থান পরিবর্তন করতে হবে নেতানিয়াহুকে।’

এদিকে নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘সংঘাত পরবর্তী গাজাকে কীভাবে শাসন করা হবে তা নিয়ে বাইডেনের সঙ্গে মতবিরোধ ছিল।’

বাইডেন ওয়াশিংটনে একটি প্রচারাভিযান অনুষ্ঠানে বলেন, হামাসের হামলার পরে বিশ্ব ইসরায়েলকে সমর্থন করেছে। কিন্তু, নির্বিচারে বোমা হামলার কারণে তারা সেই সমর্থন হারাতে শুরু করেছে।’

অন্যদিকে, গাজায় হামাস পরিচালিত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) জানিয়েছে, উপকূলীয় অঞ্চলে ইসরায়েলের প্রতিশোধমূলক বোমাবর্ষণে ১৮,৪০০ জনেরও বেশি বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।

বাইডেন এর আগে ইসরায়েলি বোমা হামলাকে ‘নির্বিচার’ হিসাবে বর্ণনা করা থেকে বিরত ছিলেন।

বাইডেন বলেন, ‘গত ৭ অক্টোবরের বর্বরতার মুখে যুক্তরাষ্ট্রকে ইসরায়েলকে সমর্থন করতে হবে। তবে নিরপরাধ ফিলিস্তিনিদের নিরাপত্তাও এখন বড় উদ্বেগের বিষয়।’

তিনি আরও ঘোষণা করেন যে, মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা জ্যাক সুলিভানকে চলতি সপ্তাহে মন্ত্রিসভার সঙ্গে আলোচনার জন্য ইসরায়েলে পাঠানো হবে।

লোকসভায় দুই যুবকের রং বোমা হামলা, আতঙ্কিত সাংসদরা

লোকসভায় রং বোমা হামলার চিত্র। ছবি : সংগৃহীত

ভারতের লোকসভার গ্যালারি থেকে চেম্বারের ভেতর দুই যুবক ঝাঁপিয়ে পড়ে রং বোমা ছুড়েছেন বলে জানা গেছে। অবশেষে তাদের আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি।

২২ বছর আগে সংসদে হামলার স্মৃতিই ফিরিয়ে যেন ফিরে এসেছিল বুধবার (১৩ ডিসেম্বর)। এর আগে ২০০১ সালে এই ১৩ ডিসেম্বরেই সংসদে জঙ্গি হামলা হয়েছিল।

বুধবার লোকসভায় শীতকালীন অধিবেশন চলছিল। সভায় ওই সময়ে মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মু বক্তৃতা করছিলেন। আচমকা দুই যুবক সভার মাঝে লাফিয়ে পড়েন। বেঞ্চের উপর উঠে দাঁড়িয়ে পড়েন তারা। সাংসদরাও তখন আসন ছেড়ে উঠে পড়েন।

প্রত্যক্ষদর্শীদের অভিযোগ, হামলাকারীরা হলুদ রঙের গ্যাস জাতীয় পদার্থ সভায় ছড়িয়ে দিচ্ছিলেন। এক বেঞ্চ থেকে অন্য বেঞ্চে লাফিয়ে লাফিয়ে ধোঁয়া ছড়াচ্ছিলেন তারা। সেগুলোকে পরে ‘রং বোমা’ বলে দাবি করা হয়।

গ্যাস দেখে সাংসদরা আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। এ সময় হামলাকারীরা স্লোগান দিচ্ছিলেন। দুই সাংসদ দ্রুত তাদের ধরে ফেলেন এবং নিরাপত্তারক্ষীদের হাতে তুলে দেন। ধরা পড়ে যাওয়ার পরেও হামলাকারীদের স্লোগান দিতে দিতে সভা থেকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়।

দুই যুবক চিৎকার করে বলছিলেন, ‘একনায়কতন্ত্র চলবে না।’ লোকসভার পরিবহণ ভবনের সামনে থেকে আরও দুজনকে পুলিশ আটক করেছে। তাদের মধ্যে একজন নারীও রয়েছেন। তারাও একই ধরনের স্লোগান দিচ্ছিলেন।

এ প্রসঙ্গে লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, ‘দুজন গ্যালারি থেকে হঠাৎ ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের হাতে কিছু ছিল। হলুদ রঙের গ্যাস বেরোচ্ছিল তা থেকে। সাংসদরাই তাদের ধরে ফেলেন। পরে নিরাপত্তারক্ষীরা হামলাকারীদের ধরে বের করে আনেন।’

;

থাইল্যান্ডে আটক ১১ বাংলাদেশি

থাইল্যান্ডে আটক ১১ বাংলাদেশি

অবৈধ অনুপ্রবেশের দায়ে ১১ বাংলাদেশিকে কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী শহর ক্ষলং হাট থেকে আটক করেছে থাই পুলিশ। গত শনিবার (৯ ডিসেম্বর) তাদেরকে আটক করা হয়েছে বলে জানিয়েছে স্থানীয় পুলিশ।

পুলিশ জানান, আটককৃতরা সবাই ২২ থেকে ৪৭ বছর বয়সী। সা কায়ো প্রদেশের তামবন মহাসড়কে এই অবৈধ অভিবাসীদের বহনকারী পিকআপটিকে তাড়া করে থাই পুলিশ। এসময় পিকআপটি দ্রুতগতিতে পালানোর সময় উল্টে যায়। পুলিশ সেখান থেকে থাই ড্রাইভারসহ ১১ জন বাংলাদেশিকে উদ্ধার করে।

আটককৃত ১১ জন বাংলাদেশিকে ক্ষলং হাট থানায় পাঠানো হয়েছে। তবে উদ্ধারকাজ চলার সময় থাই চালক পালিয়ে যান। আটককৃত বাংলাদেশিদের কাছে পাসপোর্ট পাওয়া গেলেও থাইল্যান্ডে প্রবেশের ভিসা বা কোস সিল নেই।

পুলিশ ক. নাফাতফোং সুপহাপর্ন জানান, সন্দেহজনক একটি গ্রুপের অবস্থান সম্পর্কে আমরা জানতে পেরে সকাল ১০টার দিকে সা কায়ো ইমিগ্রেশন পুলিশকে নিয়ে অভিযানে নামি। এবং চেকপোস্টে তল্লাশি শুরু হয়। ক্ষলং হাট-ওয়াত্তানা নাখোন সড়ক ধরে তল্লাশি করা হয়।

পুলিশের প্রাথমিক তদন্তে জানা যায়, কম্বোডিয়ান দালালের মাধ্যমে এই ১১ বাংলাদেশিকে থাইল্যান্ড প্রবেশ করানো হয়। এই জন্য আটককৃতরা কম্বোডিয়ান দালালকে ৫ হাজার বাথ করে দেন। তারা কম্বোডিয়া থেকে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করে এবং গন্তব্য ছিল মালয়েশিয়া। তবে থাই-মালয়েশিয়া সীমান্তে যাওয়ার আগে তাদের ব্যাংককে অবস্থান করার কথা ছিল।

;

হামাসের সুড়ঙ্গে সমুদ্রের পানি ঢোকানো শুরু করেছে ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

ইসরায়েলের সামরিক বাহিনী গাজায় ফিলিস্তিনি গোষ্ঠী হামাসের ব্যবহৃত টানেলে সুড়ঙ্গে পানি ঢুকানো শুরু করেছে। বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) আনাদোলুর এক প্রতিবেদনে এ তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইসরায়েল বিশ্বাস করে যে গাজায় হামাস তাদের এই টানেলের মধ্যে বন্দি, সেনা ও যুদ্ধাস্ত্র লুকিয়ে রেখেছে। তাই হামাসকে ধ্বংস করে দেয়ার জন্য ইসরায়েলি সেনা বাহিনী সুড়ঙ্গের ভেতর সমুদ্রের পানি পাম্প করা শুরু করেছে বলে মার্কিন কর্মকর্তাদের উদ্ধৃতি দিয়ে মঙ্গলবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল।

সুড়ঙ্গ ব্যবস্থাটি ৩০০ মাইল পর্যন্ত প্রসারিত এবং সুড়ঙ্গে পানি পাম্প করার প্রচেষ্টাটি প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে বলে জানা গেছে। তবে এই প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হতে সম্ভবত কয়েক সপ্তাহ সময় নেবে বলে জানিয়েছে মার্কিন কর্মকর্তারা।

তারা আরও জানিয়েছেন, গত মাসে এই প্রক্রিয়ার প্রাথমিক পরীক্ষা করা হয়েছিল। এ মাসে পাঁচটি পাম্পের পরিপূরক করার জন্য ইসরায়েল দুইটি অতিরিক্ত পাম্প স্থাপন শুরু করেছে।

এদিকে এ খবর সংবাদ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ায় অনেকে এর সমালোচনা করেছেন। বাইডেন প্রসাশনের অনেক কর্মকর্তা বলেছেন, এটি পরিবেশগত বিপর্যয় সৃষ্টি করবে এবং গাজার মিঠা পানির সংকট আরও তীব্র করে তুলবে।

এ পরিস্থিতে ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ (পিএ) সতর্কতা উচ্চারণ করে বলে, যদি গাজায় পাম্পের মাধ্যমে সুড়ঙ্গগুলো সমুদ্রের পানি দিয়ে ভরা হয়, তাহলে সেটির নেতিবাচক প্রভাব পড়বে পুরো গাজার ওপর।

তারা জানায়, সুড়ঙ্গে পানি দিলে এগুলোর আশেপাশে যেসব ভবন আছে সেগুলো ধসে পড়বে। যার মধ্যে আবাসিক ভবনও রয়েছে। এতে অনেক সাধারণ মানুষের মৃত্যু হবে।

এছাড়া এর মাধ্যমে ভূগর্ভস্থ পানি এবং ময়লা পানির সঙ্গে সমুদ্রের পানির মিশ্রন হয়ে যাবে। এতে স্বাস্থ্যখাতে বিপর্যয় দেখা দেবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছিল ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ।

তবে ইসরায়েল বিশ্বাস করে ভূগর্ভস্থ ব্যবস্থা যুদ্ধক্ষেত্রে হামাসের কার্যক্রমের মূল চাবিকাঠি। তাই তারা হামাসকে প্রতিহত করতে এই টানেলকেই বেছে নিয়েছে।

;

মালয়েশিয়ায় স্বদেশির হাতে খুন বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ায় স্বদেশির হাতে খুন বাংলাদেশি

মালয়েশিয়ার কেলুয়াং প্রদেশে বাংলাদেশি ব্যক্তিকে হত্যা করেছেন তার সঙ্গে একই রুমের বাসিন্দা আরেক বাংলাদেশি। মঙ্গলবার সকালে (ডিসেম্বর ১২, ২০২৩) কেলুয়াংয়ের ফ্ল্যাট হাজি মানানে ঘুমন্ত অবস্থায় তাকে হত্যা করা হয়।

কেলুয়াং পুলিশের প্রধান এসিপি বাহরিন মোহাম্মহ নোহ বুধবার (ডিসেম্বর ১৩, ২০২৩) বলেন, মৃতের নাম মোহাম্মদ সবুজ (২৮)। তিনি একটি সুপারমার্কেটে চাকরি করতেন। তার মাথায় এবং কাঁধে চাপাতি দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে হত্যা করা হয়।

এই ঘটনায় এখন পর্যন্ত ৫ জন বাংলাদেশিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করা হয়েছে। এদের সকলের বয়স ২৫ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে।

তিনি বলেন, সকাল ১০ টার সময় পুলিশের কাছে ফোন আসে। ওখানকার একজন বাংলাদেশি বাসিন্দা জানান, সুইমিং পুলে একজন ব্যক্তির দেহ ভাসছে এবং রক্তে লাল হয়ে রয়েছে পুল। অজ্ঞান দেহটিতে অনেক আঘাতের চিহ্ন এবং সম্ভবত মৃত।

বাহরিন জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আটককৃতরা জানান, তারা একই ফ্ল্যাটে সবুজের সঙ্গে বসবাস করতেন। এর মধ্যে একজনকে ঘুমের মধ্যে খুব জ্বালাতন করছিলেন সবুজ। তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে চাপাতি দিয়ে সবুজেন মাথায় ও ঘাড়ে আঘাত করে। অনুসন্ধানে ওই ফ্ল্যাট থেকে ব্যবহৃত চাপাতি উদ্ধার করা হয়েছে।

প্রাথমিক তদন্তে আরো জানা যায়, সবুজ মৃত জানার পরও এই ব্যাক্তিরা সকলেই সকাল ৮টায় কাজে চলে যায়।

মূল সন্দেহভাজন ব্যাক্তিকে বিকাল পাচটায় তামান গুনুং সেলাতান এমপাতের বিপরীতে জালান নিওর এলাকা থেকে আটক করা হয়। এসময় তিনি পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছিলেন। মৃতের শরীর এন্চ বেসার হাজ্জাহ খালসোম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।

খুনের অপরাধে ৩০২ ধারায় মামলা করা হয়েছে এবং আটককৃতদের রিমান্ডে নেয়া হবে বলে জানান তিনি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *