সারাদেশ

ডিএমপিতে বিএনপির প্রতিনিধি দল

ডেস্ক রিপোর্ট: ডিএমপিতে বিএনপির প্রতিনিধি দল

ছবি: বার্তা২৪.কম

১৬ ডিসেম্বর বিজয় র‌্যালি করার অনুমতি চাইতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কার্যালয়ে গেছে বিএনপির প্রতিনিধি দল।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) বিকাল ৪টার পর ডিএমপি কমিশনার অফিসে যায় বিএনপি প্রতিনিধি দলটি।

প্রতিনিধি দলে রয়েছেন বিএনপি ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরী ও জাতীয়তাবদী আইনজীবী ফোরামের প্রচার সম্পাদক এডভোকেট মাহবুবুর রহমান খান।

এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।

আগের মতোই সহযোগী হিসেবে কাজ করবে জাতীয় পার্টি: তথ্যমন্ত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘জাতীয় পার্টি আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী। আজকের পরিস্থিতিতেও জাতীয় পার্টি আগের মতো সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।’

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।

এক প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন বলেন, ‘জাতীয় পার্টি নির্বাচন করার জন্য নমিনেশন জমা দিয়েছেন এবং নির্বাচনও করবেন। আমিও বিশ্বাস করি তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভালো ফল করবেন। গণতন্ত্র ও সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার জন্য তারা সহযোগী হিসেবে কাজ করেছেন। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি আজকের পরিস্থিতিতেও জাতীয় পার্টি আগের মতো সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।’

বিএনপির তথাকথিত অবরোধ কোথাও পালিত হয়নি দাবি করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেশের নিবন্ধিত ৪৪টি রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি রাজনৈতিক দল নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করার লক্ষ্যে ক্রমাগতভাবে গুপ্তস্থান থেকে অবরোধের ডাক দেওয়া হচ্ছে। সেই অবরোধে দেশের মানুষের বিন্দুমাত্র সাড়া নেই। মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে।

তিনি বলেন, তাদের এই তথাকথিত অবরোধ কোথাও পালিত হয়নি। কিন্তু এ পর্যন্ত সাড়ে ৩০০ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে। গাড়িতে আগুন দেওয়া এ কোন রাজনীতি? পৃথিবীর কোথাও দেখিনি রাজনীতির নামে বাসে আগুন দেওয়া হয়? গাড়িতে আগুন দেওয়ায় এ পর্যন্ত সাতজন নিহত ও বহু মানুষ দগ্ধ হয়েছেন। এ অপরাজনীতি অচিরেই বন্ধ হওয়া দরকার।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপি বলছে তারা গণতান্ত্রিক আন্দোলন করছে। গাড়িঘোড়া পোড়ানো কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন? মানুষ পোড়ানো কি গণতান্ত্রিক আন্দোলন? এভাবে জনজীবন ব্যাহত করে জানমালের ক্ষতি করা কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়। এগুলো দেশবিরোধী, সন্ত্রাসী, জনবিরোধী কর্মকাণ্ড। তারা যে কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে এগুলো বর্বরতা, হিংস্রতা, যা হিংস্র হায়েনাকেও হার মানিয়েছে। তাদের এ অপরাজনীতি চিরদিনের মতো বন্ধ করতে হবে।

;

“শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ দেশপ্রেমের অনুপম অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে”

ছবি: সংগৃহীত

জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের বলেছেন, ‘আমাদের জাতীয় জীবনে এক শোকাবহ ও বেদনা-বিধুর দিন “শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস”। অতল শ্রদ্ধা আর অকৃত্রিম ভালোবাসায় স্মরণ করছি জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান শহীদ বুদ্ধিজীবীদের।’

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে দেওয়া এক বাণীতে তিনি এ মন্তব্য করেছেন।

তিনি বলেন, ‘যারা মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের মাত্র দুই দিন আগে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ও তাদের এদেশের দোসরদের হাতে নির্মমভাবে শাহাদত বরণ করেছেন। গভীর শ্রদ্ধা, সমবেদনা এবং ভালোবাসা জানাচ্ছি শহীদ পরিবারের প্রতিটি সদস্যের প্রতি।’

জিএম কাদের বলেন, পৃথিবীর বুকে যখন “বাংলাদেশ” নামে একটি স্বাধীন ভূ-খণ্ডের অভ্যুদয় সু-নিশ্চিত। যখন টেকনাফ থেকে তেতুলিয়ার বিভিন্ন জনপদে লাল-সুবুজের বিজয় পতাকা পতপত করে উড়ছিল। মুক্তিসেনারা যখন মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে বিজয়-উল্লাসের প্রস্তুতি নিচ্ছিলো। তখন, পাক হানাদার বাহিনী নিশ্চিত পরাজয় জেনে ঘৃণ্য ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছিল। স্বাধীনতাকামী বাঙালি জাতি যেন মেধা-মননে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য তারা জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান বুদ্ধিজীবীদের হত্যায় মেতে ওঠে।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশিদের পঙ্গু জাতিতে পরিণত করতেই বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করা হয়। এই নারকীয় হত্যাযজ্ঞে আত্মদান করেন অগণিত সূর্যসন্তান। শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মত্যাগ আজীবন দেশপ্রেমের অনুপম অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে। এখনো মিরপুর ও রায়ের বাজারের শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধ বাঙালি জাতির কাছে শ্রদ্ধা আর ভালোবাসার সৌধ হয়ে আছে।

;

কমলাপুরে ইশরাকের নেতৃত্বে মিছিল

কমলাপুরে ইশরাকের নেতৃত্বে মিছিল

সরকারের পদত্যাগসহ নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপিসহ সমমনা রাজনৈতিক দলগুলোর ডাকা অবরোধের সমর্থনে রাজধানীর কমলাপুরে মিছিল করেছে বিএনপির নেতাকর্মীরা

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক কমিটির সদস্য ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেনের নেতৃত্বে মিছিলটি কমলাপুর আইসিডি থেকে শুরু হয়। এসময় সরকার পতনের দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন নেতাকর্মীরা।

মিছিলে কেন্দ্রীয় যুবদলের সহ-সভাপতি গোলাম মোস্তফা সাগর, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবদলের সাবেক সদস্য ওভি আজাদ চৌধুরী নাহিদ, ছাত্রদল ঢাকা মহানগর দক্ষিণের যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহিম ভুইয়াসহ ওয়ারী ও গেন্ডারিয়া থানা যুবদল-ছাত্রদল নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

;

আসন সমঝোতার আলোচনার কথা স্বীকার করলেন জাপা মহাসচিব

ছবি: বার্তা২৪.কম

অবশেষে আসন সমঝোতার আলোচনার কথা স্বীকার করলেন জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু। ঘুরিয়ে বললেন নির্বাচনী কৌশল হিসেবে আসনসহ অনেক কিছু নিয়ে আলোচনা হচ্ছে।

বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) জাতীয় পার্টির বনানী কার্যালয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ মন্তব্য করেন ।

তিনি আরও বলেন, নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ে একাধিক বৈঠক হয়েছে, গতকালও (১২ ডিসেম্বর) বসেছিলাম। যদি বিশ্বাস না করতো, তাহলে গতকাল বসতাম না। তাদের আচরণেতো এমনটা মনে হয়নি। আলোচনা হয়েছে হৃদ্যতাপূর্ণ পরিবেশে, তাদেরকে আন্তরিক মনে হয়েছে।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, কারো বিশ্বাসে আমরা নির্বাচনে আসিনি। আমরা নির্বাচন নিজেরা করবো। আমরা জোটে যাবো না। আমরা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি বলেই, তারা বিশ্বাস -অবিশ্বাসের প্রসঙ্গ টানছে। আমাদের দাবি সুষ্ঠু পরিবেশ।

জাপা মহাসচিব বলেন, রওশন এরশাদের পদটি আলংকারিক। দলের সাংগঠনিক বিষয়ে তার কোন সিদ্ধান্ত দেওয়ার এখতিয়ার নেই। তিনি প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিরোধীদলীয় নেতা হিসেবে। সংসদ নেতার সঙ্গে বিরোধীদলীয় নেতা বৈঠক হওয়া স্বাভাবিক বিষয়। এতে আমরাও খুশি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ওনি (রওশন) নালিশ করেছেন। এক দলের বিষয়ে অনেক দলের বিরুদ্ধে নালিশ করা যায় কিনা, রাজনৈতিক সংস্কৃতির মধ্যে পড়ে কিনা আমার জানা নেই। দলের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই, কেন্দ্রীয় থেকে ওয়ার্ড পর্যন্ত পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদেরের নেতৃত্বে ঐক্যবদ্ধ রয়েছে।

নানা নাটকীয়তার মধ্যদিয়ে নির্বাচনে আসা জাতীয় পার্টি ২৯৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন দেন। দলীয় টিকেট পেলেও ৬ জন প্রার্থী শেষ পর্যন্ত মনোনয়নপত্র দাখিল করেননি। ছেলে সাদ এরশাদের আসন নিয়ে টান দেওয়া এবং অনুসারীদের মনোনয়ন নিশ্চিত না হওয়ায় ২৯ নভেম্বর নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ান রওশন এরশাদ। নির্বাচন কমিশন বাছাই শেষে ২৭২ আসনে জাপার প্রার্থীদের বৈধ ঘোষণা করেছে। আপিলে ৬ জনের মতো প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। আসন সমঝোতা নিয়ে কয়েকদিন ধরেই দর-কষাকষি চলছে বলে গুঞ্জন ছিল। জাতীয় পার্টির পক্ষ থেকে ৭০ আসনের তালিকা দিলেও আওয়ামী লীগ ৩০ থেকে ৩৫ আসনে আটকে রয়েছে। জাপার দাবি হচ্ছে ছাড় দেওয়া আসনে নৌকা ও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের সরিয়ে নিতে হবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *