খেলার খবর

‘তারেক রহমানের নেতৃত্ব কোন নেতা মানছেন না’

ডেস্ক রিপোর্ট: বিএনপি পুনর্গঠনের উদ্যোক্তা কামরুল হাসান নাসিম বলেছেন, ৩০০ আসনে বিএনপির গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ের ৪৭ জন নেতা নির্বাচনে গেছেন। সমর্থক পর্যায়ে সে সংখ্যা শতাধিক পর্যায়ের হবে। নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণায় উদার হলে অর্থাৎ আরেকটু সময় বাড়ালে বিএনপির আরো শতাধিক নেতা নির্বাচনে যেতে পারত। তারেক রহমানের নেতৃত্ব বিএনপির কোন নেতা মানছে না বলেই, তাদের আন্দোলনটিও কথিত বলে দাবি করেছেন তিনি।

বিএনপি জনস্বার্থ উদ্ধারের রাজনীতি করে না। বিএনপিকে পুনর্গঠন করতে হবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন হওয়ার পরে কাউন্সিল করাটাই চ্যালেঞ্জ। নতুন নেতৃত্ব ছাড়া এই দলের ভবিষ্যৎ নেই। নির্বাচনে যাওয়া তৃনমূল বিএনপি ও বিএনএম এর মত দলকে অবশ্য প্রমাণ করেই রাজনীতি করতে হবে।

বুধবার ( ১৩ ডিসেম্বর ) বিকেলে রাজধানীর এক হোটেলে অনুষ্ঠিত জাতীয়তাবাদী রাজনীতির বর্তমান ও ভবিষ্যৎ- শীর্ষক সেমিনারে নাসিম এ কথা বলেন।

এদিন নির্বাচনে যাননি এমন দুইজন বিএনপি নেতাকে সেমিনারে দেখা যায়। যারা নাসিমের বক্তব্যকে সমর্থন করেন। তারা হলেন, সাবেক সাংসদ ও বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের সভাপতি এস এ সুলতান টিটু ও সাবেক সাংসদ শফি আহমেদ চৌধুরী।

এছাড়া সেমিনারে তৃনমূল বিএনপিতে যোগ দেয়া বিএনপি নেতাবর্গ আব্দুল কাদির তালুকদার, জব্বার হোসেন, এম এ ইউসুফ, জুলফিকার আলী, সরকার বাদল, মোজাফফ্র হোসেন, খলিলুর রহমানসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন। সেমিনারে মূল প্রবন্ধ মাঠ করেন, বিএনপি নেত্রী আসমা শহীদ।

বিল্ড বেটার বাংলাদেশ এর সহযোগিতায় কে এইচ এন রিসার্চ টিমের উদ্যোগে এই সেমিনারে কামরুল হাসান নাসিম বলেন, পৃথিবীতে নানা ধরনের শাসন ব্যবস্থা মানচিত্র ভিত্তিক রাষ্ট্রগুলোয় ভর করেছে। কোথাও গণতন্ত্র, কোথাও সমাজতন্ত্র, কিংবা কোথাও ইসলামী শাসনতন্ত্রও জায়গা করে নিয়েছে। বাংলাদেশে সংসদীয় গণতন্ত্র কার্যত ১৯৯১ সাল থেকে যাত্রা শুরু করেছে। গণতন্ত্রের পরিপূর্ণ বিকাশ বাংলাদেশে সাধিত না হলেও গণতন্ত্রের দরজায় টোকা দেয়ার চেষ্টাটা প্রায় সকল রাজনৈতিক দলের আছে। তবে, দেশ পরিচালনা করতে হলে সমালোচনায় বিদ্ধ হতে হবে, এমন প্রস্তুতি নিয়েই রাজনৈতিক দলগুলোর শীর্ষ নেতৃত্বের মানসিক প্রস্তুতি থাকে।

তিনি বলেন, বিএনপিকে বরাবরের মত কার্যত, বিদেশি শক্তির উপর নির্ভর করে রাজনীতি করার অপউদ্যোগে থাকতে দেখা যাচ্ছে। এহেন রাজনৈতিক অপশক্তিকে গেল একযুগে বাংলাদেশে বিনাশ করা যায়নি, যা ক্ষমতাসীন দলের ব্যর্থতা, গবেষক দল তা বলছে। এমতাবস্থায় দেশের সচেতন মানুষকে শপথ নিয়ে সেই ধরনের রাজনৈতিক অপশক্তি মোকাবিলা করতে উদ্যোগে ভাোতে পারলে বাংলাদেশ পথ হারাতে পারে না। ভবিষ্যতে টেকসই গণতন্ত্রের লক্ষ্যে থেকে আপাতভাবে চলমান গণতন্ত্রকে বিজয়ী করতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোন বিকল্পও নেই।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *