রিশাদ নৈপুণ্যে জয় দিয়ে প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ
ডেস্ক রিপোর্ট: আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে এখনো ওয়ানডে ম্যাচ খেলেননি রিশাদ হোসেন। লেগ স্পিন খ্যাত এই ক্রিকেটার মূলত বোলিং বিভাগে নজর কেড়ে জায়গা পান জাতীয় দলে। প্রথম শ্রেণির কিকেটেও ব্যাট হাতে সেভাবে দেখা মেলেনি তার। তবে নিউজিল্যান্ড সফরের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে দেখা মিলল রিশাদের অন্য এক রুপে। ব্যাট হাতে রীতিমত তাণ্ডব চালালেন ডানহাতি এই ব্যাটার। এরপর বল হাতেও দেখালেন নৈপুণ্যে। এতে নিউজিল্যান্ড একাদশকে ২৬ রানে হারিয়ে প্রস্তুতি বেশ ভালোভাবেই সারল বাংলাদেশ।
৩৩৫ রানের বিশাল লক্ষ্য দাঁড় করিয়ে স্বাগতিকদের শুরুতেই চাপে রাখে ফেলে বাংলাদেশ। তবে মাঝে পোপলি-প্যাটেল জুটি হয়ে উঠে ভয়ঙ্কর। তবে সেখানে বাঁধা দেন অফ স্পিনিং অলরাউন্ডার আফিফ হোসেন। এরপর শেষ দিকে বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩০৮ রান থামে নিউজিল্যান্ড একাদশ।
আগে ব্যাট করতে নেমে ৪৯ ওভার ৫ বলে সবকটি উইকেট হারিয়ে ৩৩৪ রান তোলে সফরকারীরা।
বিশাল এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শুরুতেই চাপে পড়ে যায় নিউজিল্যান্ড একাদশ। ৮০ রানেই শুরুর চার ব্যাটারের উইকেট হারায় তারা। তবে সেখানে ঢাল হয়ে দাঁড়ান ভারত পোপলি ও সন্দীপ প্যাটেল। সময় গড়ালে থিতু হওয়া এই জুটি দাঁড়ায় ১৫৬ রানের। সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকেন পোপলি। ভয়ঙ্কর হয়ে উঠা এই ডানহাতি ব্যাটারকে থামান আফিফ। বোল্ড হয়ে ফেরার আগে ৯০ বলে নিজের ব্যক্তিগত খাতায় ৯২ রান যোগ করেন পোপলি।
এরপর সেঞ্চুরির দিকে এগোতে থাকা প্যাটেলকেও ফেরান আফিফ। ৭৭ বলে ৮৯ করা প্যাটেল ফেরেন ৪২তম ওভারে, সৌম্যর হাতে ক্যাচ দিয়ে। সেখানেই ম্যাচ ফের নিজেদের দখলে নেয় বাংলাদেশ। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে ৪৯ ওভার ২ বলে ৩০৮ রানে থামে নিউজিল্যান্ড একাদশ।
রিশাদ নেন সর্বোচ্চ তিন উইকেট, আফিফ ও হাসান মাহমুদ নেন দুটি করে।
এর আগে ব্যাট করতে নেমে এনামুল হক বিজয়ের সাবলীল ব্যাটিংয়ে শুরুটা বেশ ভালো হয়েছিল বাংলাদেশের। তবে ইনিংস লম্বা করতে পারেননি এই ডানহাতি ব্যাটার। ২৬ বলে ৩৩ রানে করে ফিরলে ভাঙে ৪৭ রানের ওপেনিং জুটি।
এরপর সৌম্য সরকারকে নিয়ে রানের গতি সচল রেখে এগোন আরেক ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম। গড়েন ১০১ রানের দলীয় সর্বোচ্চ জুটি। ৪৬ বলে ৫৮ রান করে ফেরেন তামিম। এরপর সৌম্যও টিকলেন না বেশিক্ষণ। লম্বা ইনিংসের আভাস দিয়েও ফিরলেন দলীয় ১৭০ রানের মাথায়। এর আগে ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৭১ বলে ৫৯ রান।
এরপরই কিছুটা ট্র্যাক হারায় সফরকারীরা। এক ওভার বাদে তাওহীদ হৃদয় ফেরেন খালি হাতে। এবং আফিফ হোসেন ফেরেন ১০ রানে। স্কোরবোর্ডে তখন ৫ উইকেটে ১৮৪ রান। তবে সেখানে সময় গড়িয়ে থিতু হন লিটন দাস এবং ব্যাট হাতে নিজের নৈপুণ্য দেখান রিশাদ।
৬৬ বলে ৫৫ রান করে লিটন ফিরলেও রিশাদ টিকে থাকেন শেষ ওভার পর্যন্ত। ইনিংস শেষের এক বল আগে পোমারের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফেরেন তিনি। এর আগে ৫৪ বলে ১১ চার ও ৪ ছক্কায় ব্যক্তিগত খাতায় যোগ করেন ৮৭ রান। কিউইদের মধ্যে সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন সামার্থ সিং।
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।