সারাদেশ

হাফেজ, ইমাম ও মাদ্রাসার ছাত্রদের বিনামূল্যে কম্পিউটার শেখার সুযোগ

ডেস্ক রিপোর্ট: হাফেজ, ইমাম ও মাদ্রাসার ছাত্রদের বিনামূল্যে কম্পিউটার শেখার সুযোগ

হাফেজ, ইমাম ও মাদ্রাসার ছাত্রদের বিনামূল্যে কম্পিউটার শেখার সুযোগ, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র কোরআনের হাফেজ, মসজিদের ইমাম, মাদ্রাসার ছাত্র ও বেকার যুবকদের বিনামূল্যে কম্পিউটার প্রশিক্ষণের সুযোগ দিচ্ছে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি। কম্পিউটার কোর্সে অফিস এপ্লিকেশন কোর্স, গ্রাফিক্স ডিজাইন ও ফ্রিল্যান্সিংসহ প্রয়োজনীয় বিষয়ে বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে।

মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমি থেকে প্রকাশিত ভর্তি বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

ভর্তি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৬ ডিসেম্বর থেকে ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির অধীনে দুই মাসব্যাপী হাফেজ, ইমাম, মাদ্রাসার ছাত্র ও বেকার যুবকদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণের তৃতীয় কোর্স ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, বরিশাল, সিলেট ও দিনাজপুর কেন্দ্রে শুরু হবে। প্রশিক্ষণ শেষ হবে আগামী ২৩ ফেব্রুয়ারি।

প্রশিক্ষণে অংশ নিতে আগ্রহীদের ইমাম প্রশিক্ষণ একাডেমির কেন্দ্ৰসমূহে আবেদন করতে বলা হয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে প্রশিক্ষণার্থীদের ইসলামিক ফাউন্ডেশন কর্তৃক সরকারি সনদপত্র প্রদান করা হবে। ২৩ ডিসেম্বরে মধ্যে আগ্রহীদের স্বহস্তে লিখিত দরখাস্ত ও প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদন জমা দিতে হবে।

ভর্তির যোগ্যতা
ক. নূন্যতম দাখিল বা সমমান পরীক্ষায় পাশ। হাফেজদের ক্ষেত্রে শিক্ষাগত যোগ্যতা শিথিলযোগ্য। তবে উচ্চতর শিক্ষাগত যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

খ. প্রার্থীকে কম্পিউটার চালনায় বেসিক জ্ঞান থাকতে হবে। যাদের নিজস্ব কম্পিউটার আছে ভর্তির ক্ষেত্রে তাদের অগ্রাধিকার দেওয়া হবে।

গ. শিক্ষাগত যোগ্যতার সকল সনদপত্রের সত্যায়িত ফটোকপিসহ জাতীয় পরিচয়পত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে।

ঘ. ইমামদের ক্ষেত্রে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান অথবা ওয়ার্ড কমিশনার কর্তৃক ইমামতির স্বপক্ষে প্রদত্ত প্রমাণপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি জমা দিতে হবে। মাদ্রাসা ছাত্রদের ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান কর্তৃক প্রদত্ত প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে।

ঙ. এক কপি পাসপোর্ট সাইজের সত্যায়িত ছবি এবং এক কপি স্ট্যাম্প সাইজের ছবি জমা দিতে হবে।

চ. কোনো প্রকার কোর্স ফি দিতে হবে না; তবে মনোনীত প্রার্থীকে নিবন্ধন ফি বাবদ পাঁচশত টাকা প্ৰদান করতে হবে।

ছ. ভর্তির সময় জামানত বাবদ এক হাজার টাকা জমা দিতে হবে, যা কোর্স সাফল্যজনকভাবে সম্পন্ন করার পর সনদপত্রের সঙ্গে ফেরত দেওয়া হবে।

মসজিদ হবে সবার জন্য উন্মুক্ত

বাংলাদেশের দুইটি মসজিদ, ছবি : সংগৃহীত

মসজিদ আল্লাহর ঘর। তা আল্লাহর সব শ্রেণির বান্দার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। সেখানে তারা নির্বিঘ্নে ইবাদত করবে। মসজিদে আল্লাহর ইবাদত ও দ্বিনি কাজ করতে বাধা দেওয়া জঘন্যতম অপরাধ। আল্লাহতায়ালা হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেছেন, ‘যে আল্লাহর মসজিদে তার নাম (আল্লাহর নাম, ইবাদত-বন্দেগি) স্মরণ করতে বাধা দেয় এবং তা বিরান করতে প্রয়াসী হয়, তার চেয়ে বড় জালিম আর কে…?’ -সুরা বাকারা : ১১৪

মসজিদের নাম সুন্দর হওয়া বাঞ্ছনীয়। যা শ্রুতিমধুর ও অর্থবহ হবে। মসজিদুল হারাম, মসজিদুল আকসা, বায়তুল মামুর ইত্যাদি নামের ভেতর যেসব বৈশিষ্ট্য পাওয়া যায়। তবে স্থান ও ব্যক্তির নাম অনুযায়ী মসজিদের নামকরণও বৈধ। যেমন- হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমার এই মসজিদে এক নামাজ পড়া অন্য মসজিদে এক হাজার নামাজ পড়ার চেয়ে উত্তম। তবে মসজিদুল হারামের কথা ভিন্ন।’ -ইবনে মাজাহ : ১৪০৬

মসজিদে প্রবেশের পবিত্রতা অর্জন করা আবশ্যক। শুধু পবিত্রতা নয় বরং পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা অর্জন করাও আবশ্যক। মুসলিমরা সুন্দর ও পরিচ্ছন্ন পোশাক-পরিচ্ছদ পরিধান করে মসজিদে যাবে। এমনকি শরীরে বা পোশাকে কোনো প্রকার দুর্গন্ধ থাকলে তাও দূর করে নেবে। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘হে মানব সন্তান! তোমরা প্রতি নামাজের সময় তোমাদের সৌন্দর্য (পবিত্র পোশাক) গ্রহণ করো।’ -সুরা আরাফ : ৩১

মসজিদ পরিচ্ছন্ন রাখাও মুসলিম সমাজের দায়িত্ব। মসজিদে ময়লা-আবর্জনা ফেলবে না এবং কোনো ময়লা চোখে পড়লে তা নিজ থেকে পরিষ্কার করা উচিত। হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, ‘মসজিদে থুতু ফেলা পাপ। এ পাপের মার্জনা হলো তা পরিষ্কার করা।’ -সহিহ ইবনে হিব্বান : ১৬৩৭

হাদিস ও ফিকহের গ্রন্থগুলোতে মসজিদে প্রবেশের পর থেকে বের হওয়া পর্যন্ত বেশ কিছু আদব বা শিষ্টাচার বর্ণিত হয়েছে। সেগুলো রক্ষা করা আবশ্যক। যেমন- ডান পা দিয়ে প্রবেশ করা, বিসমিল্লাহ ও দোয়া পাঠ করা, ইতিকাফের নিয়ত করা, দুই রাকাত ‘তাহিয়্যাতুল মসজিদ’ নামাজ আদায় করা, আল্লাহর জিকিরে মগ্ন থাকা, মানুষের ইবাদত বিঘ্ন হয় এমন সব কাজ পরিহার করা, ইস্তেগফার ও দোয়া পড়তে পড়তে বের হওয়া, বাঁ পা দিয়ে বের হওয়া ইত্যাদি। -আহকামুল মাসাজিদ : ৪৩১-৩৫

;

মক্কার মসজিদে আয়েশা থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধা নিয়ে ফতোয়া

মক্কার মসজিদে আয়েশা, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র হজ ও ওমরা পালন করতে প্রতিবছর বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে মক্কা শরিফ যাচ্ছেন লাখ লাখ মুসলমান। মক্কা শরিফ যাওয়ার পর কিছু মাসয়ালা-মাসায়েল নিয়ে সাধারণ মানুষের মাঝে ভুল বোঝাবুঝি হয়। অনেকে অনেক মতামত পেশ করেন। যে কারণে সাধারণ মুসল্লিদের নানাবিধ বিড়ম্বনা ও সিদ্ধান্তহীনতায় ভুগতে হয়। যা কোনোভাবেই কাম্য নয়। এমনই একটি বিষয় হলো, মক্কার মসজিদে আয়েশা থেকে ওমরার ইহরাম বাঁধা নিয়ে মাসয়ালা ও ফতোয়া।

বস্তুত সৌদি আরবের বাইরে থেকে হজ ও ওমরার জন্য মক্কায় গমনকারী এবং অবস্থানকারী যদি ওই অবস্থায় নফল ওমরা করতে চান- তাহলে কোন জায়গা থেকে ইহরাম বাঁধতে হবে, এটা নিয়ে নানা মত রয়েছে। বিষয়টি নিয়ে উপমহাদেশের অন্যতম ইসলামি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দের ইফতা বিভাগে বাংলাদেশের একজন আলেম ফতোয়া জানতে চান। দেওবন্দের ফতোয়া বিভাগের পক্ষ থেকে বিশদ আকারে আলোচ্য বিষয়ে ফতোয়া দেওয়া হয়েছে।

ফতোয়ায় প্রশ্নকারী জানতে চান-
১. যারা সৌদি আরবের নাগরিক নন, মক্কা শরিফে ব্যবসা অথবা চাকরির উদ্দেশ্যে অবস্থান করছেন,
২. ওমরা পালন করে মক্কায় অবস্থান করছেন। এখন নফল ওমরা করতে চান। ইহরাম কোথা থেকে বাঁধবেন? ওমরার ইহরাম মসজিদে আয়েশায় গিয়ে কি বাঁধতে পারবেন? কেউ কেউ বলেন, এই আমল শুধু নারীদের জন্য। পুরুষের জন্য জায়েজ নয়। কেউ কেউ বলেন, বিশেষ অবস্থায় হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) হজরত আয়েশা (রা.) কে প্রেরণ করেছিলেন; বর্তমানে বৈধ নয়। ইহরাম কোনো মিকাত গিয়ে বাঁধা জরুরি। মসজিদে আয়েশা থেকে ইহরাম বাঁধলে ওমরা হবে না। আবার কেউ বলেন, আয়েশা মসজিদ থেকে ইহরাম বাঁধা উত্তম নয়, মিকাত থেকে ইহরাম বাঁধা উত্তম।
৩. যারা মক্কার বাইরে থেকে ওমরা পালন করতে আসেন, তারা কি মসজিদে আয়েশা থেকে ইহরাম বাঁধতে পারবেন?

প্রশ্নের (১-২) উত্তরে বলা হয়, যে ব্যক্তি ব্যবসা অথবা অন্যকোনো কারণে মক্কায় অবস্থান করছেন, যদি তিনি ওমরা করতে চান অথবা মক্কার বাইরের হাজি কিংবা ওমরা পালনকারী যিনি হজ ও ওমরা পালনের পর মক্কায় অবস্থান করছেন। তিনি যদি আরো নফল ওমরা করতে চান তাহলে মসজিদে আয়েশা থেকে ইহরাম বাঁধতে পারবেন। বরং হানাফি মাজহাব অনুযায়ী ওই ব্যক্তির জন্য মসজিদে আয়েশা (তানইম) থেকে ইহরাম বাঁধা উত্তম।
৩. যদি কোনো ব্যক্তি মক্কার বাইরে থেকে ওমরা পালন করার জন্য মক্কায় শরিফ যেতে চান তাহলে মিকাত থেকেই ইহরাম বাঁধা জরুরি। তান‌ইম (মসজিদে আয়েশা) থেকে ইহরাম বাঁধা জায়েজ হবে না। -বোখারি শরিফ : ১/১২০

;

ছয় লক্ষাধিক হজযাত্রী সেবা পেয়েছে ‘মক্কা রুটে’

বাংলাদেশের হজযাত্রীরাও মক্কা রুটের সুবিধা পাচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

ক্রমবর্ধমান হজযাত্রীদের উন্নত সেবা দিতে বাংলাদেশসহ কয়েকটি মুসলিম দেশের জন্য ‘মক্কা রুট’ উদ্যোগ চালু করে সৌদি আরব। ২০১৮ সালে শুরু হওয়া এই বিশেষ কর্মসূচিতে সংখ্যাগরিষ্ঠ মুসলিম দেশগুলো থেকে এখন পর্যন্ত ছয় লাখের বেশি মানুষ বিশেষ সেবা পেয়েছেন।

সৌদি বার্তা সংস্থা জানিয়েছে, এখন পর্যন্ত মক্কা রুট ব্যবহার করেছেন সাতটি দেশের ছয় লাখ ১৭ হাজার ৭৫৬ জন হজযাত্রী। দেশগুলো হলো- মরক্কো, ইন্দোনেশিয়া, মালয়েশিয়া, পাকিস্তান, বাংলাদেশ, তুরস্ক ও আইভরি কোস্ট।

এসব দেশের হজযাত্রীরা নিজ দেশের বিমানবন্দরেই ইলেকট্রনিক ভিসা ইস্যু, ফিঙ্গারপ্রিন্ট গ্রহণ, স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ সব আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে বিমানে উঠতে পারেন। ফলে সৌদি আরবে পৌঁছে তাদের আর বিমানবন্দরে অপেক্ষা করতে হয় না।

নিজ নিজ দেশেই সব হজযাত্রীর লাগেজে, পাসপোর্টে ফ্লাইট ডাটা ও বাসস্থানের তথ্যসংবলিত স্টিকার লাগানো হয়। জেদ্দার কিং আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এবং মদিনার প্রিন্স মোহাম্মদ বিন আবদুল আজিজ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে হজযাত্রীদের গ্রহণ করে তাদের বাসস্থানে পৌঁছে দেওয়া হয়। লাগেজও পৌঁছে যায় হাজিদের থাকার হোটেলে।

উল্লেখ্য, করোনার কারণে ২০২০ ও ২০২১ সালে কঠোর বিধি-নিষেধ অনুসরণ করে সীমিতসংখ্যক লোক হজপালন করেন। ২০২২ সালে নির্ধারিত শর্ত পূরণ সাপেক্ষে ১০ লাখ লোক হজ করেন। আর ২০২৩ সালে ১৮ লাখের বেশি মানুষ হজ করেন। চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী বছরের ১৪ জুন পবিত্র হজ অনুষ্ঠিত হবে।

সৌদি আরবের ঘোষণা অনুসারে আগামী ১ মার্চ (২০ শাওয়াল) হজের ভিসা ইস্যু শুরু হবে এবং ২৯ এপ্রিল শেষ হবে। এরপর ৯ মে (১ জিলকদ) থেকে সৌদি আরবে হজযাত্রীদের গমন শুরু হবে। বাংলাদেশেও শুরু হয়েছে হজের চূড়ান্ত নিবন্ধন।

;

পবিত্র কাবাঘরের নিয়মিত সংস্কারকাজ চলছে

পবিত্র কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হচ্ছে, ছবি : সংগৃহীত

পবিত্র কাবা ঘরের পর্যায়ক্রমিক নিয়মিত সংস্কারমূলক রক্ষণাবেক্ষণের কাজ চলছে।

রোববার (১০ ডিসেম্বর) থেকে শুরু হওয়া সংস্কারকাজ শেষ হতে কয়েকদিন সময় লাগবে। সৌদি আরবের অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধানে এবং বিভিন্ন সরকারি সংস্থার সহযোগিতায় অত্যাধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে বিশেষজ্ঞ দল সংস্কার কাজ করছেন।

সংস্কারকাজ উপলক্ষে মাকামে ইবরাহিম ঘেঁষে হাতিমে কাবারসহ কাবার চারপাশে বেষ্টনী দেওয়া হয়েছে। তওয়াফকারী বেষ্টনীর বাইরে থেকে কাবা তওয়াফ করছেন। চলতি মৌসুমে পবিত্র কাবার ছাদ, দেয়াল ও দরজাসহ প্রয়োজনীয় স্থানে সংস্কার কাজ চলবে।

মক্কা ও মদিনার পবিত্র দুই মসজিদের ধর্মবিষয়ক পরিচালনা পর্ষদের প্রধান শায়খ ড. আবদুর রহমান আস সুদাইস জানিয়েছেন, ‘পবিত্র কাবা ঘরকে সম্মান করা, তা পবিত্র রাখা ও রক্ষণাবেক্ষণ করা ইসলামের গুরুত্বপূর্ণ বিধান। মুসলিমদের অন্তরে এই ঘরের আধ্যাত্মিক ও ধর্মীয় গুরুত্ব অনেক বেশি। কারণ তা নামাজের কিবলা এবং হজ ও ওমরা পালনের স্থান। সৌদি আরবে বাদশাহ সালমান ও যুবরাজ মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে এই ঘরের পরিচ্ছন্নতা ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ হচ্ছে।’

তিনি আরও বলেন, মহান আল্লাহ কোরআন মাজিদে ও নবী কারিসম (সা.) হাদিসে এ ঘরের পবিত্রতার কথা তুলে ধরেছেন। আল্লাহতায়ালা বলেন, ‘আমি ইবরাহিম ও ইসমাঈল (আ.)-কে নির্দেশ দিয়েছি, যেন তারা আমার ঘরকে পবিত্র রাখবে তাওয়াফকারী, ইতিকাফকারী ও নামাজ আদায়কারীদের জন্য।’ -সুরা বাকারা : ১২৫

তা ছাড়া হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, এই উম্মত যত দিন পবিত্র এই ঘরের সম্মান করবে, তত দিন পর্যন্ত তারা কল্যাণের মধ্যে থাকবে। আর যখন তারা তা বিনষ্ট করবে, তখন ধ্বংস হবে। -ইবনে মাজাহ : ৩১১০

উল্লেখ্য, ১৪৩৮ হিজরি সালে অর্থ মন্ত্রণালয়ের তত্ত্বাবধানে প্রকল্প ব্যবস্থাপনা বিভাগ প্রতিষ্ঠিত হয়, যা শুরু থেকেই পবিত্র দুই মসজিদ গ্র্যান্ড মসজিদ ও মসজিদে নববি সম্প্রসারণের পুরো বিষয় তত্ত্বাবধান করছে। এর মাধ্যমে বৃহত্তম সৌদি সম্প্রসারণ, গ্র্যান্ড মসজিদ ও মাতাফের ধারণক্ষমতা বৃদ্ধি প্রকল্প, মসজিদে নববির তৃতীয় সৌদি সম্প্রসারণ প্রকল্প সম্পন্ন হয়েছে। এর আগে ১৪৪০ ও ১৪৪২ হিজরিতে এর তত্ত্বাবধানে পবিত্র কাবা ঘরের রক্ষণাবেক্ষণের কাজ করা হয়। সর্বশেষ গত রমজানে পবিত্র কাবার ছাদ অত্যাধুনিক রোবট দিয়ে পরিষ্কার ও প্রয়োজনীয় সংস্কার করা হয়। এছাড়া কাবার গিলাফ কিসওয়ার রক্ষণাবেক্ষণের কাজ নিয়মিত করা হয়।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *