খেলার খবর

আমি একজন গর্বিত ভারতীয় মুসলিম: শামি

ডেস্ক রিপোর্ট: ঘরের মাটিতে গেল বিশ্বকাপ আসরে দলগত পারফরম্যান্সের তুঙ্গে ছিল ভারত। একের পর এক টানা জয়ে নাস্তানাবুদ করেছে বিপক্ষ সকল দলকে। যদিও ফাইনালে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পরাজয়ে নত হতে হয় কোহলি-রোহিতদের।

গেল আসরে বল হাতে ২২ গজে ঝড় বইয়ে দিয়েছেন ভারতের পেসার মোহাম্মদ শামি। প্রথম চার ম্যাচে একাদশে সুযোগ পাননি, এরপর হার্দিকের ইনজুরির পর দলে ডাক পরে এই বোলারের। প্রথম ম্যাচে নেমেই জাত চিনিয়েছিলেন তিনি, তুলে নিয়েছিলেন ৫ উইকেট! পুরো আসর জুড়ে নিয়েছিলেন মোট ২৪ উইকেট, যা যেকোনো ভারতীয় হিসেবে সর্বোচ্চ।

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৫ উইকেট শিকার করার পর ইন্টারনেট দুনিয়ায় শামির সেলেব্রেশন নিয়ে আলোচনা শুরু হয়েছিল। অনেকেই প্রশ্ন তুলেছিলেন যে, তিনি কেন সিজদাহ দিতে যেয়েও দেননি? ভারতীয় বলেই কি তার মনে কোনো কারণে বাঁধা এসেছিল?

এই বিতর্ক নিয়ে এবার নিজেই মুখ খুললেন শামি। তিনি সাফ জানিয়েছেন যে, একজন মুসলিম খেলোয়াড় হিসেবে চাইলে মাঠের মধ্যেই তিনি অবশ্যই সিজদাহ দিতে পারতেন। এর সাথে ভারতীয় হওয়ার কোনো সম্পৃক্ততা নেই।

পাকিস্তানের একাংশ মানুষ দাবি করে বলেছেন যে, ভারতীয় মুসলিম বলেই কি তিনি ‘ভয়ে’ সিজদাহ করেননি? কারণ ভারত মুসলমানদের অনেক ক্ষেত্রেই হেয় করে।

এই প্রশ্নের উত্তরে শামি সাফ জানিয়ে দেন, ‘সিজদাহ করতে চাইলে তো কেউ বাধা দিতে পারে না। আমার ধর্ম পালনে কেউ বাধা দেবে না। আমিও কারও ধর্ম পালনে বাধা দেব না। যদি সিজদাহ করতে ইচ্ছা হয় তাহলে অবশ্যই করব। গর্বের সঙ্গে বলতে পারি আমি ভারতীয় মুসলিম। আগেও তো পাঁচ উইকেট নিয়েছি, কখনও কি সিজদাহ করতে দেখেছেন? আমি যেখানে খুশি সিজদা করতে পারি।‘

বেশ রাগী স্বরেই এই বিষয়ে অযথা বিতর্ক বা কথা ছড়ানো বন্ধ করতে বলেছেন মোহাম্মদ শামি। তারকা এই পেসার বলেন, ‘সিজদাহ করার জন্য় অনুমতি নিতে হলে আমি ভারতে থাকতাম না। আসলে এরা সবসময় বিতর্ক তৈরি করে সেখান থেকে খবর বের করতে চায়। এরা কাউকেই ভালোবাসে না। আসলে ওইদিন আমি নিজের ক্ষমতার বাইরে গিয়ে বোলিং করছিলাম। তাই ক্লান্ত হয়ে মাঠে বসে পড়েছিলাম।‘

অর্থাৎ শামির কথাতে এটি পরিষ্কার যে, বিশ্বকাপের ঐ ম্যাচে মোটেও সিজদাহ করার ইচ্ছা ছিল না তাঁর। পরিস্থিতিটা দেখতে সেরকম দেখাচ্ছিল, এই বিষয়ে অযথা তর্কাতর্কি না করাটাই শ্রেয় বলে মনে করেন সময়ের অন্যতম সেরা এই পেস বোলার।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *