সারাদেশ

নির্বাচনে দায়িত্বে ৬৫৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনে দায়িত্বে ৬৫৩ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় দায়িত্ব পালনের জন্য ৬৫৩ জন জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটকে মনোনয়ন প্রদান করা হয়েছে। জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটবৃন্দ ভোট গ্রহণের আগের দুইদিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন অর্থাৎ আগামী ৫ জানুয়ারি হতে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট পাঁচ দিন দায়িত্ব পালন করবেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার শাখা হতে একটি অফিস আদেশ জারি করা হয়েছে। আদেশে কোন এলাকায় কোন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করবেন তা উল্লেখ করা হয়েছে।

আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয় আইন ও বিচার বিভাগের বিচার শাখা-১ এর সিনিয়র সহকারী সচিব মোর্শেদ আল মামুন ভুঁইয়ার সই করা অফিস আদেশে বলা হয়, উপযুক্ত বিষয় ও সূত্রের পরিপ্রেক্ষিতে নির্দেশিত হয়ে আগামী ৭ জানুয়ারি (রোববার) দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষ্যে জাতীয় সংসদের ৩০০টি নির্বাচনী এলাকায় ভোট গ্রহণের আগের দুইদিন, ভোট গ্রহণের দিন ও ভোট গ্রহণের পরের দুইদিন অর্থাৎ আগামী ৫ জানুয়ারি হতে ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত মোট ৫ (পাঁচ) দিনের জন্য The Representation of the People Order, 1972 (PO 155 of 1972 ) এর Article 89A এ উল্লিখিত Article 73 (2B), Article 74 (24) (3), (4), (5). (6). Article 78, Article 79, Article 80, Article 81 (1) এবং Article 82 এর অধীন নির্বাচনী অপরাধসমূহ The Code of Criminal Procedure, 1898 এর section 190 এর sub-section (1) এর অধীনে আমলে নেওয়া ও তা সংক্ষিপ্ত পদ্ধতিতে বিচার সম্পন্নের নির্মিত The Representation of the People Order, 1972 (P. 0 155 of 1972 ) এর Article 89A প্রদত্ত ক্ষমতাবলে নির্বাচন কমিশন কর্তৃক প্রথম শ্রেণির ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে নিয়োগের উদ্দেশ্যে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের সঙ্গে পরামর্শক্রমে বাংলাদেশ জুডিসিয়াল সার্ভিসের নিম্ন বর্ণিত ৬৫৩ (ছয়শত তিপ্পান্ন) জন সদস্যকে মনোনয়ন প্রদানপূর্বক নির্বাচন সচিবালয়ে ন্যস্ত করা হলো।

অফিস আদেশটি নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিবকে ম্যানশন করা হয়েছে। এ আদেশের অনুলিপি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল, সব জেলা ও দায়রা জজ এবং মহানগর দায়রা বরাবরে অনুলিপি পাঠানো হয়।

নির্বাচন সংক্রান্ত অভিযোগ জানানো যাবে ৯৯৯ নম্বরে

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো সমস্যা বা অভিযোগ এখন থেকে জাতীয় জরুরি সেবার ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে জানানো যাবে। অভিযোগের বিষয়ে রিটার্নিং কর্মকর্তা ব্যবস্থা নেবেন।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের রাজনৈতিক শাখা-৬ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে, এই বিজ্ঞপ্তিতে স্বাক্ষর করেন সিনিয়র সহকারী সচিব হাবিবুল হাসান।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো সহায়তার জন্য জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন করার জন্য অনুরোধ করা হলো। জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এর মাধ্যমে প্রাপ্ত নির্বাচন সংক্রান্ত যে কোনো তথ্য, অভিযোগের বিষয়টি সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং অফিসার বা সংস্থাকে অবহিত করা হবে এবং সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

;

পাঁচদিনে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ২৫৭ জন

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে রিটার্নিং অফিসারদের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে দায়ের করা আপিলে শুনানিতে পঞ্চম দিনে আপিল শুনানিতে ৪৪ জন প্রার্থী প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছে। ওইদিন নামঞ্জুর হয়েছে ৫২ জনের। সিদ্ধান্ত হয়নি ৪ জনের। পাঁচদিনে মোট ২৫৭ জন প্রার্থী শুনাতিতে তাদের প্রার্থিতা ফিরে পায়।

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আগারগাঁও নির্বাচন কমিশনের আইন শাখা সূত্রে এই তথ্য জানা যায়।

ইসি জানায়, এর আগে প্রথম দিনে ৫৬ জন প্রার্থীতা ফিরে পায়। সেখানে ৩২ জন নামঞ্জুর ও সিদ্ধান্ত হয়নি ৬ জনের। দ্বিতীয় দিনে ৫১ মঞ্জুর। নামঞ্জুর হয়েছে ৪১ জন। তৃতীয় দিনে এসে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ৬১ জন আর চতুর্থ দিনে ৪৫ জন প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন।

রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে ৫৬১টি আপিল আবেদন জমা পড়েছে। আর ১০ থেকে ১৫ ডিসেম্বর শুনানি আপিল আবেদনগুলো নিষ্পত্তি করবে নির্বাচন কমিশন।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ১৭ ডিসেম্বর। রিটার্নিং কর্মকর্তারা প্রতীক বরাদ্দ করবেন ১৮ ডিসেম্বর। নির্বাচনি প্রচার চলবে ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টা পর্যন্ত। আর ভোটগ্রহণ হবে ৭ জানুয়ারি (রোববার)।

;

শুনানিতে প্রার্থিতা হারালেন নৌকার বৈধ প্রার্থী

শুনানিতে প্রার্থিতা হারালেন নৌকার বৈধ প্রার্থী

ময়মনসিংহ-৯ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আনোয়ারুল আবেদিন খানের আবেদনের প্রেক্ষিতে আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকার প্রার্থী আব্দুস সালামের প্রার্থিতা বাতিল করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। 

বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকেলে ইসিতে আপিল শুনানি শেষে তার প্রার্থিতা বাতিল করা হয়।

আপিল শুনানিতে প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা এই রায় ঘোষণা করেছেন।

জানা যায়, আব্দুস সালাম ১৯৯৬ এবং ২০০৮ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে জয় লাভ করেছিলেন। তিনি ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলা আওয়ামী লীগের বর্তমান সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।

এবার দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগের মনোনীত এমপি প্রার্থী হিসেবে প্রাথমিকভাবে বৈধ ঘোষিত হন। তবে তার বিরুদ্ধে বর্তমান সংসদ সদস্য আনোয়ারুল আবেদ খান আপিল করেন। আপিল নম্বর ৪৮৫/২০২৩। আপিলে আওয়ামী লীগ মনোনীত এমপি প্রার্থী আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে ঋণ খেলাপির অভিযোগ আনা হয়।

প্রসঙ্গত, রিটার্নিং কর্মকর্তার সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে অবৈধ প্রার্থীদের আপিল কার্যক্রম চলেছে ৫-৯ ডিসেম্বর। এসব আপিলের শুনানি শুরু হয়েছে গত ১০ ডিসেম্বর। যা চলবে আগামী ১৫ ডিসেম্বর পর্যন্ত। মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা যাবে ১৭ ডিসেম্বরের মধ্যে। আর প্রতীক বরাদ্দ দেওয়া হবে ১৮ ডিসেম্বর।

;

শাম্মী ও পঙ্কজ দেবনাথের শুনানি শুক্রবার 

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে বরিশাল-৪ আসনে নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ড. শাম্মী আহমেদ ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান এমপি পঙ্কজ দেবনাথের শুনানি শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় শুরু হবে। 

বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) বিকালে আগারগাঁও নির্বাচন কমিশন ভবনে তাদের আপিলের শুনানির প্রথমেই কমিশন শুক্রবার সকালে নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানিয়েছে।

সেক্ষেত্রে বলা হয়েছে, শাম্মী আহমেদের দৈত্ব নাগরিকত্বের তথ্য চেয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে প্রতিবেদন আসবে ১৪ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার । সেই প্রেক্ষিতে আগামীকাল শুক্রবার সকাল ১০ টায় শুনানির দিন ঠিক করে ইসি।

গত ৩০ নভেম্বর বরিশাল-৪ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন ড. শাম্মী আহমেদ। একই আসনে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে অনেকটাই চুপ থাকলেও শেষ দিকে স্বতস্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দেন পঙ্কজ দেবনাথ। 

এরপর তিনি ড. শাম্মীর বিরুদ্ধে দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তোলেন। পরে ৪ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাইয়ে শাম্মীর মনোনয়ন বাতিল ঘোষণা করেন রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক মো. শহীদুল ইসলাম।

মনোনয়ন পত্র ফিরে পেতে নির্বাচন কমিশনে আপিল করে শাম্মী আহম্মেদ। আর দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ এনে শাম্মী আহম্মেদের বিরুদ্ধে আপিল করে পংকজ দেবনাথ। অন্যদিকে পংকজ দেবনাথ হলফনামায় মিথ্যা তথ্যর অভিযোগ এনে ইসিতে পালটা আপিল করে শাম্মী আহম্মেদ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *