সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা
ডেস্ক রিপোর্ট: সিলেটে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধা পরিবারকে সংবর্ধনা
ছবি: বার্তা২৪.কম
মহান বিজয় দিবসে সিলেটে ৬০৬ জন বীর মুক্তিযোদ্ধা ও শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের পরিবারের সদস্যদেরকে সংবর্ধনা এবং উপহার দেয়া হয়েছে।
সিলেট জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদ যৌথভাবে এ সংবর্ধনার আয়োজন করে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) নগরীর কবি নজরুল অডিটোরিয়ামে অনুষ্ঠিত সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দীকী।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সিলেটের জেলা প্রশাসক শেখ রাসেল হাসান।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিভাগীয় কমিশনার আবু আহমদ ছিদ্দিকী এনডিসি বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ডাকেই এদেশের দামাল ছেলেরা ১৯৭১ সালে মহান মুক্তিযুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল। জাতির সূর্য সন্তান মুক্তিযোদ্ধাদের ত্যাগের বিনিময়েই আজ আমরা একটি স্বাধীন দেশ পেয়েছি। একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে বিশ্বের দরবারে আমরা মাথা উচুঁ করে দাঁড়াতে পেরেছি। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গঠনে তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নিরলস ভাবে কাজ করে যাচ্ছেন। বাংলাদেশ এখন বিশ্বের উন্নয়ণের রোল মডেল।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি শাহ মিজান শাফিউর রহমান, সিলেট পুলিশ কমিশনার মো. জাকির হোসেন খান, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সাবেক এমপি সৈয়দা জেবুন্নেছা হক, সিলেট জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট মো. নাসির উদ্দিন খান, সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল মামুন ও সিলেট জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা সন্দ্বীপ কুমার সিংহ।
মহানগর ইউনিট কমান্ডের সাবেক কমান্ডার সিলেট বীর মুক্তিযোদ্ধা সুব্রত চক্রবর্তী জুয়েল, সিলেট সদর উপজেলা ইউনিট কমান্ড বীর মুক্তিযোদ্ধা ভবতোষ রায় বর্মন, সাবেক কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা ইরশাদ আলী।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন জেলা পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান মো. মতিউর রহমান, মস্তাক আহমদ পলাশ ও আমাতুজ জোহরা রওশন জেবিন।
সহকারী কমিশনার মো. মাহবুবুল ইসলামম ও নিশাত আনজুমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে রবীন্দ্র সঙ্গীত শিল্পী প্রতিক এন্দ’র নেতৃত্বে সমবেত কন্ঠে জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন মুক্তিযোদ্ধাগণ।
মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস উদযাপিত
ছবি: বার্তা২৪.কম
যথাযোগ্য মর্যাদায় মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনে মহান বিজয় দিবস ২০২৩ উদযাপিত হয়েছে। শনিবার ( ১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০ টায় জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে অনুষ্ঠান শুরু হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম খাস্তগীর।
পতাকা উত্তোলন শেষে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনার শুরুতে বীর শহীদদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করা হয়। এরপর মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয় এবং মুক্তিযুদ্ধের উপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন করা হয়।
ভারপ্রাপ্ত হাই কমিশনার তার বক্তৃতায় শুরুতে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সশ্রদ্ধচিত্তে স্মরণ করেন। সেইসঙ্গে তিনি জাতীয় চার নেতা এবং সকল বীর মুক্তিযোদ্ধার স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানান।
বিজয় দিবসে প্রবাসী বাংলাদেশিদের আন্তরিক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধুর ‘সোনার বাংলা ‘ নির্মাণের স্বপ্নকে অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একটি সমৃদ্ধ ও জ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বদ্ধপরিকর। তাঁর কার্যকর পদক্ষেপের ফলে বাংলাদেশ একটি গতিশীল অর্থনীতি ও সম্ভাবনার দেশে পরিণত হয়েছে। দারিদ্র বিমোচন, নারীর ক্ষমতায়ন, পরিবেশ সুরক্ষা, স্বাস্থ্য , শিক্ষা বিভিন্ন সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের অগ্রগতি ঈর্ষণীয়। বাংলাদেশ আজ বিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে পরিগণিত হয়েছে।
হাইকমিশনার প্রবাসীদের ব্যাংকের মাধমে রেমিট্যান্স পাঠানোর আহবান জানিয়ে বলেন, বৈধ পথে টাকা পাঠানো হলে দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। তাছাড়া অবৈধ পথে পাঠানো হলে প্রবাসীদের কষ্টার্জিত অর্থ সন্ত্রাস, জঙ্গীবাদসহ বিভিন্ন অপকর্মে ব্যবহৃত হতে পারে। এতে দেশ যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হবে তেমনি মানি লন্ডারিংসহ এ ধরেনের অপরাধে ব্যক্তিগত দায়ও সৃষ্টি হবে।
তিনি আরো বলেন, প্রবাসীবান্ধব এই সরকার প্রবাসীদের কল্যাণে বহুমাত্রিক কার্যক্রম হাতে নিয়েছে। বাংলাদেশ হাই কমিশন প্রবাসীদের চাহিত সেবা যেমন পাসপোর্ট-ভিসা, কনসুলার সেবা, কর্মসংস্থানসহ কল্যানমূলক সকল প্রকার সেবা প্রদানে সর্বোচ্চ আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করছে। কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কোন প্রকার শৈথিল্য হাই কমিশন প্রশয় দেয় না , ভবিষ্যতে দিবেও না।
অনুষ্ঠানে মালয়েশিয়ায় বসবাসরত বাংলাদেশ কমিউনিটির বিশিষ্ট নেতৃবৃন্দ এবং হাইকমিশনের কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
;
ব্যাংককে বাংলাদেশ দূতাবাসের বিজয় দিবস উদযাপন
ছবি: সংগৃহীত
যথাযোগ্য মর্যাদায় থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে বিজয় দিবস উদযাপন করেছে বাংলাদেশ দূতাবাস। শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বিজয় দিবস উপলক্ষে নানা কর্মসূচীর আয়োজন করে দূতাবাস।
সকাল থেকেই দূতাবাস প্রাঙ্গন জমজমাট হয়ে ওঠে থাইল্যান্ডে অবস্থানরত প্রবাসী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তা কর্মচারী এবং তাদের পরিবারের উপস্থিতিতে।
বিজয় দিবসের সকালে রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এসময় শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের আত্মার মাগফেরাত ও দেশের শান্তি এবং উন্নতির জন্য প্রার্থনা করা হয়। এরপর দূতাবাস চত্ত্বরে অবস্থিত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানে প্রতিকৃতিতে পুস্পস্তবক অর্পন করা হয়।
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর বানী পাঠ করেন দূতাবাসের কর্মকর্তারা।
বিজয় দিবসের তাৎপর্যভিত্তিক আলোচনা করেন দূতাবাসের কর্মকর্তাবৃন্দ এবং আগত অতিথিরা।
রাষ্ট্রদূত আবদুল হাই তার বক্তব্যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়তে প্রবাসীদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করেন এবং ভবিষ্যত বাংলাদেশ বিনির্মানে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান।
রাষ্ট্রদূতের বক্তব্য শেষে বিজয় দিবস ভিত্তিক সাংস্কৃতিক আয়োজন অনুষ্ঠিত হয়। দূতাবাসের কাউন্সেলর (পলিটিক্যাল) এবং ইউনেস্কেপের বাংলাদেশের ডেপুটি পার্মানেন্ট রিপ্রেজেন্ন্টেটিভ নির্ঝর অধিকারীর পরিচালনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপস্থাপন করেন বাংলাদেশ দূতাবাসের কর্মকর্তারা। ‘ধনধান্যে পুষ্পে ভরা…’ গানের সঙ্গে গলা মেলান আগত অতিথিরাও।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন দূতাবাসের মিনিস্টার এন্ড ডিসিএম মালেকা পারভীন এনডিসি, মিনিস্টার (কনস্যুলার) হাসনাত আহমেদসহ প্রমুখ।
এরপর চিত্রাংকন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহনকারী শিশুদের মধ্যে পুরস্কার বিতরন করা হয়। এর আগে গত বুধবার (ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩) দ্য থাই রেডক্রসের সহযোগীতায় বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজন করে বিশেষ রক্তদান কর্মসূচি। ব্যাংককের পাথুম ওয়ানের ১৮৭১ হেনরি দুনান্ত রোডে দ্য থাই রেডক্রস সোসাইটির কার্যালয়ে এই কর্মসূচিতে প্রবাসী এবং দূতাবাসের কর্মকর্তারা অংশ নেন।
;
কক্সবাজার শহরের ফুটপাত এখন মাছ বাজার
ছবি: বার্তা২৪.কম
কক্সবাজার শহরের পান বাজার রোড, বড় বাজার রোড, খুরুশকুল রাস্তার মাথা, কলাতলীসহ কয়েকটি এলাকার ফুটপাতে বিক্রি হচ্ছে মাছ। প্রথমে দেখে মনে হবে যেন এক একটি বাজার বসেছে। ফুটপাতের উপর বাজার বসিয়ে মাছ বিক্রি করায় দুপাশে সৃষ্টি হয়েছে যানজট। পথচারীরা হাঁটছে রাস্তায় নেমে।
মাছ বিক্রেতা মঞ্জুর বলেন, কিছু মাছ অবিক্রি থেকে গিয়েছিলে যেগুলো বিক্রি করতে হচ্ছে। আরেক মাছ বিক্রেতা সৈয়দ হোসেন বলেন, আমাদের আর কোন জায়গা নেই মাছ বিক্রি করার। তাই এখানেই বিক্রি করতে হচ্ছে।
পথচারী জসিম উদ্দিন বলেন, ফুটপাতে মাছ বাজার বসার কারণে খুবই কষ্ট হচ্ছে পথচারীদের। সবার সামনে কিভাবে ফুটপাত মাছ বাজারে পরিণত হতে পারে।
আরেক পথচারী মোহাম্মদ ইমরান বলেন, আমরা ফুটপাতে হাঁটতে পারছি না। আমাদের হাঁটতে হচ্ছে রাস্তায়। আমাদের এক্সিডেন্টও হতে পারে। ঝুঁকি নিয়ে হাঁটতে হচ্ছে। এটা খুবই দুঃখজনক। যেন প্রশাসনবিহীন শহরে বসবাস করছি।
তবে কক্সবাজার শহরের ফুটপাতের বাজার থেকে লাখ লাখ টাকার মাসোহারা নেওয়ার অভিযোগ রয়েছে রাজনৈতিক নেতা থেকে শুরু করে প্রভাবশালীদের বিরুদ্ধে।
বিষয়টি নিয়ে কক্সবাজার পৌরসভার প্যানেল মেয়র সালাউদ্দিন সেতু বার্তা২৪.কমকে বলেন, কক্সবাজার পৌরসভা ফুটপাতের উপর কোন বাজার নিলাম দেয়নি। পৌরসভা থেকে বারবার অভিযান চালালো হলেও অভিযান শেষে আবারও ফুটপাতে গিয়ে বসে যায়। আমাদের সবাইকে এগুলোকে নিয়ে একসাথে কাজ করতে হবে।
তবে সচেতন মহল বলছে, ফুটপাতে যারা ব্যবসা করেন তারা ছিন্নমূল মানুষ। তাদের জন্যও একটা স্থায়ী ব্যবস্থা করতে হবে। ব্যবস্থা না করে তাদের উচ্ছেদ করাটা খারাপ হবে।
কক্সবাজার শহরের ফুটপাতগুলোতে শুধুমাত্র মাছ বাজার নয় সেখানে জুতা, শীতবস্ত্রসহ বিভিন্ন পণ্যের পসরা সাজিয়ে বসেছে ব্যবসায়ীরা। এগুলো থেকে মুক্তি চান সাধারণ মানুষ।
;
আগারগাঁওয়ে ট্রাকে আগুন
ছবি: বার্তা২৪.কম
রাজধানীর শেরে বাংলা নগর থানার আগারগাঁও এলাকায় একটি ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফায়ার সার্ভিসের কন্ট্রোল রুমের ডিউটি অফিসার।
তিনি বলেন, আগারগাঁও এলাকায় একটি ড্রাম ট্রাকে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। খবর পেয়ে ফায়ার সার্ভিসের মোহাম্মদপুর স্টেশনের দুটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করতে গেছে। হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।