সারাদেশ

নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার মিশনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি রক্ষার মিশনে মেয়র আনোয়ারুজ্জামান

সিলেটের সড়কে নান্দনিক আলোকসজ্জা। ছবি : সংগৃহীত

দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকলেও তার মন পড়ে থাকতো জন্মভূমিতে। কেউ কোনও বিপদে পড়লে সাহায্যের জন্য হাত বাড়িয়ে দিতেন সব সময়। ইচ্ছে ছিল মানুষের জন্য কাজ করার। আর মানুষই তাকে সেই সুযোগ করে দিয়েছেন। এবার দেখার বিষয় তিনি তার কাজের মাধ্যমে কতটা মন জয় করতে পারেন মানুষের। বলছি সিলেট সিটি করপোরেশনের মেয়র মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরীর কথা।

তিনি দায়িত্ব গ্রহণের হয়েছে মাত্র ১ মাস ১০ দিনের মাথায় নতুন রূপে সাজাতে শুরু করেছেন পুরো সিটি করপোরেশন এলাকা।

মো.আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী গত সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচনে নৌকার মনোনয়ন পেয়ে মেয়র নির্বাচিত হন। গত নভেম্বর মাসের ৮ তারিখ মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন। মেয়র হিসেবে নির্বাচিত হওয়ার আগে তিনি সিলেট নগরবাসীকে একটি গ্রিন-ক্লিন (সবুজ ও পরিচ্ছন্ন) নগরী উপহার দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছিলেন।

নির্বাচনের সময় জনগণকে দেওয়া সবুজ ও পরিচ্ছন্ন নগরী উপহার দেওয়ার প্রতিশ্রুতি রাখতে মিশন শুরু করেছেন। তাই তো দায়িত্ব গ্রহণের দ্বিতীয় দিনেই তিনি শুরু করেন পরিচ্ছন্নতা অভিযান। এছাড়া দেড় মাসের ভেতরেই নগরীতে আধুনিক আলোক-সজ্জায় সাজিয়ে তুলেছেন। শুধু আলোকসজ্জায়ই নয়, বরং সেই সঙ্গে নগরীর বিভিন্ন সড়ক ও ফুটপাতে লেগেছে রং তুলির ছোঁয়া।

নগরীর সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে করছেন নানা পরিকল্পনা। সেই পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ করবেন বলে জানা গেছে।

গত কয়েকদিন ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে বেশ কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়েছে।এরমধ্যে একটি ছবি সবার নজরে এসেছে। সেটা হচ্ছে সিলেট নগরীর চৌহাট্টা-রিকাবিবাজার সড়কের ছবি। ওই ছবিটি স্যোশাল মিডিয়া পোস্ট করে যে যার মতো মন্তব্য করছেন।

যদিও কেউ কেউ বলছেন আগামী ২০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সিলেট আগমন উপলক্ষে নগরীতে এমন আলোকসজ্জা করা হয়েছে।

তবে সিসিক বলছে, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগমন উপলক্ষে কিছু আলোকসজ্জা করা হলেও সড়কে যেসব নতুন বাতি দেয়া হয়েছে সেগুলো সিসিকের রুটিনভিত্তিক কাজ। ধারাবাহিকভাবে পুরো নগরীতে এভাবে নান্দনিক বাতি দেওয়া হবে।

নগরীকে নান্দনিক রূপ দেওয়ার জন্য সরকার ও সংশ্লিষ্টদের ভূয়সী প্রশংসা করতে দেখা যাচ্ছে নগরবাসীদের। নাগরিকেদের মতে, সদিচ্ছা থাকলে পুরো দেশকে পাল্টে দেওয়া সম্ভব। শহরের ভেতরে এমন সুন্দর সড়ক আগে দেখা যায়নি।এভাবে একে একে দেশের প্রতিটি শহর বদলে যাবে। এক্ষেত্রে সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে সিলেট সিটি কর্পোরেশনের (সিসিক) জনসংযোগ কর্মকর্তা সাজলু লস্কর জানান, সিসিক মেয়রের নির্বাচনী ইশতেহারে গ্রিন ক্লিন সিলেটের কথা ছিল। নির্বাচনের সময় তিনি যেভাবে জনগণকে কথা দিয়েছিলেন, সেই কথা রাখতে কাজ শুরু করেছেন। ক্রমান্বয়ে তার দেওয়া প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়িত হবে। এর মধ্যে নগরের ফুটপাতকে দখলমুক্ত ও হকারমুক্ত করার উদ্যোগ অগ্রাধিকারে রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, শুক্রবার নগরীর সকল সড়ক থেকে ব্যানার ফেস্টুনের জঞ্জাল সরানো হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীকে স্বাগত জানিয়ে চৌহাট্টায় যেসব ব্যানার, ফেস্টুন বিলবোর্ড লাগানো হয়েছিল সেগুলোও সরিয়ে ফেলা হয়েছে। সড়কবাতিও নতুন করে লাগানো হয়েছে। আলোকসজ্জা করা হয়েছে সড়কে।

হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেলেন ৬ জন

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনের আদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে চ্যালেঞ্জ করে প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন ছয়জন।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) বিচারপতি মো. ইকবাল কবির এবং বিচারপতি এস এম মনিরুজ্জামানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

গত ১০ ডিসেম্বর সোহানা তাহমিনা এবং সৈয়দ মাহমুদ ইলাহর আপিল আবেদন নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল নামঞ্জুর করে। পরে তারা ইসির দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন। তার আগে তাদের প্রার্থিতা বাতিল করেন সংশ্লিষ্ট রিটার্নিং কর্মকর্তা।

যে ছয়জন প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন তারা হলেন– মুন্সীগঞ্জ-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সোহানা তাহমিনা, টাঙ্গাইল-৬ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সৈয়দ মাহমুদুল ইলাহ, মানিকগঞ্জ-২ আসনের তৃণমূল বিএনপির মো. জসীম উদ্দিন, লক্ষ্মীপুর-২ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেলিনা ইসলাম, রাজশাহী-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. গোলাম রব্বানী এবং বগুড়া-৩ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী মো. ফেরদৌস স্বাধীন ফিরোজ।

মো. জসীম উদ্দিন এবং মো. ফেরদৌসের প্রার্থিতা বাতিলের বিরুদ্ধে নির্বাচন কমিশনে করা আবেদন গত ১১ ডিসেম্বর নামঞ্জুর হয়। এরপর তারা প্রার্থিতা ফিরে পেতে হাইকোর্টে আবেদন করেন তারা।

সেলিনা ইসলামের করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে গত ১২ ডিসেম্বর আদেশ দেয় ইসির নির্বাচন আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে ইসির দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে আবেদন করেন সেলিনা ইসলাম।

আর গত ১৩ ডিসেম্বর মো. গোলাম রব্বানীর করা আপিল আবেদন নামঞ্জুর করে নির্বাচন কমিশনের আপিল ট্রাইব্যুনাল। পরে ইসির দেওয়া আদেশ চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টের রিট করেন গোলাম রব্বানী।

আজ এ ছয়জনের রিটের শুনানি শেষে হাইকোর্ট নির্বাচন কমিশনের দেওয়া আদেশ স্থগিত করে তাদের প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার পাশাপাশি রুল জারি করেছেন।

;

২ টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডা, গরম তেলে পুড়ল চালক-যাত্রী

ছবি: বার্তা২৪.কম

ফেনীতে যাত্রীকে সিএনজি অটোরিকশা চালক ২ টাকা ফেরত না দেওয়ার বিষয়ে কেন্দ্র করে চালক-যাত্রীর বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে রাস্তার পাশে বুট-পিঁয়াজুর দোকানের গরম তেলের কড়াইয়ে পড়ে চালক-যাত্রী দু’জনেই পুড়ে আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় শহরের ট্রাংক রোড শহীদ মিনার সংলগ্ন এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এতে সিএনজি চালকের শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ গরম তেলে ঝলসে যায়। পরে তাকে স্থানীয় এক দোকানি উদ্ধার করে ২৫০ শয্যা ফেনী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। যাত্রীর গায়েও গরম তেল পড়েছে বলে জানিয়েছেন প্রত্যক্ষদর্শীরা।

আহত সিএনজি চালক সাহাব উদ্দিন (৩৫) খাগড়াছড়ি জেলার রামগড় উপজেলার উত্তর লামকু পাড়ার আবুল কাশেমের ছেলে। তিনি ফেনী ফেনী পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ড মৌলভি ইব্রাহিম সড়ক এলাকায় স্ত্রী ও ৩ সন্তান নিয়ে ভাড়া বাসায় থাকেন।

আহত সিএনজি চালক সাহাব উদ্দিন বলেন, মৌলভি ইব্রাহিম সড়ক থেকে ২ জন যাত্রী ট্রাংক রোড যাওয়ার জন্য উঠে। ট্রাংক রোড এসে এক যাত্রী ১০ টাকা দিয়ে ২ টাকা ফেরত চান। আমি ভাঙতি নাই বললে তিনি রেগে যান। আমাকে গালমন্দ করা শুরু করেন এবং ২ টাকার জন্য জোরজবরদস্তি শুরু করেন। আমি বাধ্য হয়ে বললাম ঠিক আছে আপনি টাকা রেখে দেন। এ কথা বলে গাড়ি স্টার্ট দিলে সে আমার কলার চেপে ধরে গাড়ি থেকে নামিয়ে পেলে।

তিনি বলেন, কথা বলার এক পর্যায়ে সে আমাকে ধাক্কা দিয়ে পাশের দোকানের কড়াইয়ের ওপর ফেলে দেয়। কড়াইয়ের সব গরম তেল আমার সারা শরীরে ছড়িয়ে যায়। আমি মাটিতে গড়াগড়ি করতে দেখে স্থানীয় লোকজন আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসে।

সিএনজি চালকের স্ত্রী রশিদা বেগম কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, শুধু ২ টাকার জন্য আমার স্বামীর সাথে এরকম নির্মম ঘটনা ঘটল। তার কোমর থেকে দুই পা, পেট ও বাম হাত ঝলসে গেছে। আমার স্বামী পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম ব্যক্তি। আমি এখন কি করে তার চিকিৎসা করাবো কি করেইবা ৩ সন্তান নিয়ে সংসার চালাবো। রশিদা বেগম বলেন, আমার স্বামীর সাথে এমন নির্মম আচরণ যে করেছে তার উপযুক্ত শাস্তির দাবি করছি।

ফেনী জেনারেল হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক ডা. মো. শহিদুলল্লাহ বলেন, গরম তেলে ঝলসে যাওয়া দুজন ব্যক্তি হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এদের একজন সিএনজি চালক ও অন্যজন যাত্রী বলে জেনেছি। চালকের শরীরের প্রায় ৪০ শতাংশ গরম তেলে ঝলসে গেছে। আপাতত প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে হাসপাতালের সার্জারি বিভাগে ভর্তি দেয়া হয়েছে। আগামীকাল ড্রেসিং করার পর দগ্ধের গভীরতা বুঝা যাবে। অন্যজন তুলনামূলক কম ঝলসেছে। তিনি হাসপাতালে চিকিৎসা নিলেও রেজিস্টারে নাম না লিখিয়ে চলে যান।

ফেনী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মো: শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, ট্রাংক রোডে ভাড়া নিয়ে সিএনজি চালক ও যাত্রীর ধাক্কাধাক্কির এক পর্যায়ে সিএনজি চালক ও যাত্রী দুজনেই রাস্তার পাশের পিঁয়াজুর দোকানের গরম তেলের কড়াইয়ে পড়ে আহত হয়েছেন। সিএনজি চালক বেশি আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ঘটনাস্থলের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে পুলিশ তদন্ত করছে। এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

;

বড়দিন উপলক্ষ্যে ডিএমপি’র নির্দেশনা

ছবি: সংগৃহীত

আগামী ২৫ ডিসেম্বর খ্রিস্ট ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় উৎসব বড়দিন। দিনটি উৎসবমুখর ও নিরাপদ পরিবেশে সম্পন্ন করার লক্ষ্যে সব প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। বড়দিনের উৎসব ঘিরে প্রত্যেক গীর্জায় স্থায়ীভাবে পুলিশ মোতায়েনের পাশাপাশি পুলিশি টহল বৃদ্ধিসহ শহরের গুরুত্বপূর্ণ স্থানে চেকপোস্ট স্থাপন ও গোয়েন্দা কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে বলে জানিয়েছে ডিএমপি। 

শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ডিএমপি কমিশনার হাবিবুর রহমানের স্বাক্ষরিত এক বার্তায় নিরাপত্তা নির্দেশনা মেনে চলার অনুরোধ করা হয়।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগ থেকে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

নির্দেশনা নিম্নরূপ–

১. প্রতিটি গির্জায় রাত্রিকালীন ভিডিও ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পর্যাপ্ত সিসি ক্যামেরা স্থাপন এবং ক্যামেরার ফুটেজ সংরক্ষণের ব্যবস্থা করা।

২. প্রতিটি গির্জার জন্য নিজস্ব স্বেচ্ছাসেবক নিয়োগ এবং স্বেচ্ছাসেবকদের আলাদা পোশাক, দৃশ্যমান পরিচয়পত্র ও আর্মডব্যান্ড নির্ধারণ করে দেওয়া। স্বেচ্ছাসেবকদের নামের তালিকা স্থানীয় থানায় প্রেরণ করা ও থানার অফিসারের উপস্থিতিতে স্বেচ্ছাসেবকদের ব্রিফিং করার ব্যবস্থা করা।

৩. গির্জায় দর্শনার্থীদের ব্যাগ/পোটলা ইত্যাদি নিয়ে প্রবেশ না করার জন্য অনুরোধ করা। তাছাড়া গির্জা এলাকায় সন্দেহজনক কোনো ব্যাগ/পোটলা পড়ে থাকতে দেখলে বা দৃষ্টিগোচর হলে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে তাৎক্ষণিক অবহিত করা।

৪. আর্চওয়ে গেট স্থাপন এবং মেটাল ডিটেক্টর ব্যবহার করে তল্লাশির ব্যবস্থা করা।

৫. প্রতিটি গির্জায় অগ্নিনির্বাপক যন্ত্র স্থাপন এবং অগ্নিদুর্ঘটনা এড়ানোর জন্য প্রয়োজনীয় সতর্কতামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা।

৬. আলোকসজ্জার কাজে গুণগতমান সম্পন্ন বৈদ্যুতিক তার ব্যবহার করা।

৭. আনন্দ উৎসবে মাদকের ব্যবহার, ফানুস ওড়ানো ও আতশবাজি করা থেকে বিরত থাকা।

৮. প্রতিটি গির্জা ও অনুষ্ঠান এলাকায় পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা এবং বিকল্প আলোর (জেনারেটর) ব্যবস্থা রাখা।

৯. প্রতিটি গির্জার জন্য পরিদর্শন রেজিস্টার প্রণয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের ব্যবস্থা করা।

১০. আবাসিক এলাকায় বাড়ির ছাদ, রেস্টুরেন্ট ও হোটেলে ডিজে পার্টি এবং উচ্চ শব্দে সাউন্ড সিস্টেম ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকা।

১১. ধর্মীয় সম্প্রীতি বজায় রাখা। ব্যক্তিগত পর্যায়ে উৎসব উদযাপনের ক্ষেত্রে প্রতিবেশীর যাতে কোনো অসুবিধা না হয় সে বিষয়ে সচেতন থাকা।

১২. স্থানীয় কাউন্সিলর, গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ ও পুলিশ কর্মকর্তাদের সমন্বয়ে শান্তি-শৃঙ্খলা কমিটি গঠন করা এবং তাদের নাম ও মোবাইল নম্বর সম্বলিত ব্যানার দৃশ্যমান স্থানে প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।

১৩. কোনো দুর্ঘটনা বা অপরাধ সংঘটনের আশঙ্কা তৈরি হলে অতি দ্রুত পুলিশকে জানানো এবং জরুরি প্রয়োজনে গির্জা কমিটি কর্তৃক সংশ্লিষ্ট থানার ফোকাল পয়েন্ট অথবা ৯৯৯ এর সেবা গ্রহণ করা অথবা ম্যাসেজ টু কমিশনারের জরুরি নম্বর ০১৩২০-২০২০২০ ও ০১৩২০-১০১০১০ এসএমএস করা।

;

দেড় শতাধিক সিসিটিভি ফুটেজ দেখে চোর ধরলেন গোয়েন্দারা

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর বিমানবন্দর থানার মানিকদী এলাকার একটি দোকান থেকে ১৪ লাখ টাকার সিগারেট চুরির ঘটনায় একটি মামলা তদন্তে নেমে অত্যন্ত ধৈর্য্যের পরীক্ষা দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) গুলশান বিভাগ।

গোয়েন্দা পুলিশের কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল থেকে সিগারেট চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সড়ক ধরে নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদী পর্যন্ত অভিযান চালিয়েছেন। আর এই পুরো পথে চোরের লাগাম পর্যন্ত পৌঁছাতে পথের পাশে থাকা অন্তত দেড় শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করেছেন। শনাক্ত করেছেন চুরির সঙ্গে জড়িত চোর চক্র ও চোরাই মামলাল ক্রেতাকে। এর আগে গত ২৭ নভেম্বর দিবাগত রাতে মানিকদীর সিরাজ মার্কেটের হাসান স্টোর নামের একটি প্রতিষ্ঠানের গোডাউন থেকে বিপুল পরিমাণ সিগারেট চুরি করে নিয়ে যায় চোর চক্রের সদস্যরা। সেই সঙ্গে নিজেদের আড়াল করতে চোরেরা প্রতিষ্ঠানটিতে থাকা সিসিটিভি ক্যামেরার ডিভিআর নিয়ে যায়।

নারায়ণগঞ্জ ও নরসিংদীতে পৃথক অভিযানে গ্রেফতার করা হয় চোর চক্রের তিন সদস্য ও চোরাই মাল ক্রেতাকে। গ্রেফতারকৃত চোর চক্রের সদস্যরা হলো- মো. নুর ইসলাম(৩১), রুবেল খা (২৪), মনির মিয়া(২৩) ও চোরাই সিগেটের ক্রেতা রিফাত হাসান ভূঁইয়া (২৯)। রবিবার তাদের গ্রেফতার করা হয়।

অভিযানে উদ্ধার করা হয় চোরাই সিগারেট পরিবহনে ব্যবহার করা পিক আপ, ড্রেন থেকে উদ্ধার করা হয় ডিভিআর ও চুরি যাওয়া বেশ কিছু সিগারেট।

রবিবার রাতে চুরি যাওয়া মালামাল ও  একেরপর এক সিসিটিভি বিশ্লেষণের বিষয়টি বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন ডিবি গুলশান বিভাগের অতিরিক্ত উপ কমিশনার(এডিসি) এস এম রেজাউল হক।

তিনি বলেন, রাজধানীর ক্যান্টনমেন্ট থানার মানিকদী এলাকার একটি দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ সিগারেট চুরির ঘটনায় ফিরোজ মিয়া(৬৫) নামের এক ব্যবসায়ী একটি মামলা করেন। এই মামলাটি তদন্ত করতে গিয়ে ৩০ কিলোমিটার সড়কের দেড়শতাধিক সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ দেখা হয়। এই সকল ফুটেজ ধরে শনাক্ত করা হয়  তিন চোরকে, উদ্ধার করা হয় চোরাই সিগারেট।

চোর চক্রের বিষয়ে এডিসি রেজাউল হক বলেন, এই চোর চক্রের সদস্যরা পেশায় বাসা-বাড়ি ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের মালামাল পরিবহন করা। তারা এই পেশার আড়ালে দীর্ঘদিন ধরে চুরি করত। তারা মিনি ট্রাক দিয়ে বাসা বাড়ি ও দোকানের মালামাল পরিবহন করে। এই সকল মালামাল পরিবহনের সময় তারা দেশের বিভিন্ন এলাকা রেকি করে এবং সুবিধামতন জায়গায় চুরি করে। এই চক্রটি রাজধানীসহ শরীয়তপুর, মাদারীপুর, নরসিংদীর বিভিন্ন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও গোডাউন থেকে সয়াবিন তেল, নারিকেল তেল, সাবান, শ্যাম্পু ও দামি ব্র্যান্ডের বিদেশি সিগারেট সহ নিত্য প্রয়োজনীয় পণ্য চুরি করত। এই চক্রের নামে দেশের  বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

যেভাবে শনাক্ত করা হয় চোর:
মামলার তদন্তে নেমে প্রথমেই ঘটনাস্থল ও আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজে একটি মিনিট্রাক সনাক্ত করা হয়। রাজধানীল কালশী ফ্লাইওভার-খিলক্ষেত-কুড়িল  ফ্লাইওভার, শাহজাদপুরের ক্যামব্রিয়ান কলেজ, মেরুল বাড্ডা ব্রিজ, মেরাদিয়া-ডেমরা স্টাফ কোয়াটার সারুলিয়া, কাঁচপুর ব্রিজ, মদন চৌরাস্তা, বিসিক শিল্প নগরীসহ ঢাকা ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকার ৩০ কিলোমিটার পথ সেই মিনিট্রাকটির গতি অনুসরণ করা হয়। এই পথের প্রায় দেড় শতাধিক সিসিক্যামেরা বিশ্লেষণ করা হয়। ফুটেজে দেখা যায় মিনি ট্র্যাক থেকে সিগারেট নামিয়ে রিকশায় করে পরিবহন করা হয়। পরবর্তীতে রিক্সা চালককে খুঁজে বের করা হয়। রিক্সা চালক নারায়ণগঞ্জের মুদি ব্যবসায়ী ও চোরাই সিগারেটের ক্রেতা রিফাতকে সনাক্ত করে দেয়। রিফাতের বাসায় তল্লাশী চালিয়ে বেশ কিছু সিগারেট উদ্ধার করা হয়। এরপর রিফাতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে নারায়ণগঞ্জের রুপসী এলাকায় অভিযান চালিয়ে নুর ইসলাম, রুবেল ও মনিরকে গ্রেফতরা করা হয়। তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চুরির কাজে ব্যবহৃত মিনিট্রাকটি উদ্ধার করা হয়।

গ্রেফতার চোর চক্রের সদস্যরা প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গোয়েন্দা পুলিশের কাছে ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে। গ্রেফতার মনির জানায় ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ডিভিআর ভেঙে নরসিংদীর বেলাবো থানার উজিলাবো গ্রামের একটি কুয়ায় ফেলা হয়েছে। পরবর্তীতে কুয়ার ভেতর থেকে ডিভিআরের ভাঙ্গা অংশ উদ্ধার করা হয়। 

গোয়েন্দা পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও জানান, গ্রেফতার আসামিদের রিমান্ডে এনে চোরাই যাওয়া সিগারেটের অবশিষ্ট মালামাল উদ্ধার করা হবে। এই ঘটনায় গ্রেফতার রুবেলের বিরুদ্ধে দুটি টি হত্যা ও একটি গণধর্ষণ মামলার তথ্য পাওয়া গেছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *