সারাদেশ

নির্বাচনে আনতে বিএনপি নেতাদের মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল : কৃষিমন্ত্রী

ডেস্ক রিপোর্ট: নির্বাচনে আনতে বিএনপি নেতাদের মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল : কৃষিমন্ত্রী

কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। ছবি : সংগৃহীত

নির্বাচনে আনার জন্য বিএনপির নেতাদের কারাগার থেকে মুক্তির প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী আব্দুর রাজ্জাক। তবে বিএনপি সেই প্রস্তাব গ্রহণ করেনি।

একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে এসব কথা বলেন তিনি। সাক্ষাৎকারটির ওপর ভিত্তি করে একটি প্রতিবেদন আজ রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) ওই টিভি চ্যানেলের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়।

প্রতিবেদনে দেখা যায় আব্দুর রাজ্জাক সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘২০ হাজার (বিএনপি নেতা–কর্মী) গ্রেপ্তার না করলে আজকে এই যে গাড়ি চলতেছে হরতালে, আপনি কি রাস্তায় গাড়ি দেখতেন? এ ছাড়া আমাদের জন্য কোনও গত্যান্তর ছিল না, কোনও অলটারনেটিভ (বিকল্প) ছিল না। যেটা করেছি, আমরা চিন্তা-ভাবনা করে করেছি।’

উল্লেখ্য, বিএনপি দাবি করছে, গত ২৮ অক্টোবর ঢাকায় তাদের মহাসমাবেশ ঘিরে এবং এরপরে এখন পর্যন্ত ২০ হাজারের বেশি নেতা–কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

ঢাকায় বিএনপির মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের পর পুলিশ অভিযান চালায়। এতে বিএনপির মহাসমাবেশ পণ্ড হয়ে যায়। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ কেন্দ্রীয় নেতাদের অনেকে এখন কারাগারে। অনেকে আত্মগোপনে, নেতা–কর্মীরা বাড়িছাড়া।

আদালতে একের পর মামলায় বিএনপি নেতা–কর্মীদের সাজা হচ্ছে। সাড়ে চার মাসে অন্তত ৬৭টি মামলায় ১ হাজারের বেশি নেতা–কর্মীর সাজা হয়েছে।
বিএনপি ও যুগপৎ আন্দোলনে থাকা দলগুলো এবং ইসলামী আন্দোলন নির্বাচন বর্জন করছে।

বিএনপিকে নির্বাচনে আনতে সরকার চেষ্টা করেছে বলে উল্লেখ করেন আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, ‘বারবার বলা হয়েছে নির্বাচন কমিশন থেকে যে, তারা যদি নির্বাচনে আসে, নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হবে। এবং পিছিয়ে দেওয়া নয়, বলা হয়েছিল তাদের জেল থেকে ছেড়ে দেওয়া হবে।’

ঘোষণা দিলেই হয় কে কোন আসনের এমপি: নজরুল ইসলাম খান

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান

প্রহসনের নির্বাচন না করে ঘোষণা করে দিলেই হয় কে কোন আসনের এমপি বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।

তিনি বলেন, কারা এমপি হচ্ছেন, এটা তো আগেই ঠিক করা হয়েছে। এই গরিব দেশে কেন এতো টাকা খরচ করা হচ্ছে, যেখান মানুষ না খেয়ে থাকে। ঘোষণা করে দিলেই হয় কে কোন আসনের এমপি।

বোরবার (১৭ ডিসেম্বর) বিকেলে জাতীয় প্রেসক্লাবে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ আয়োজিত বিজয় দিবসের আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

নজরুল ইসলাম খান বলেন, আগামীকালের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে কারা এমপি হচ্ছেন । নির্বাচনী খেলা বাদ দিয়ে এখনই তা ঘোষণা করে দিলে রাষ্ট্রের টাকা অপচয় হয় না। নির্বাচনের নামে খেলা হচ্ছে। অবাক লাগে এই শীতের দিনে সরকারি বাহিনী, সরকারি কর্মচারীদের গ্রামে গ্রামে পাঠানো হচ্ছে।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের গণতন্ত্র আওয়ামী লীগ ধ্বংস করেছে। কখনো নিজেরা করেছে কখনো অন্যদের দিয়ে করেছেন। স্বৈরশাসনের গোরস্থানের ওপর দাঁড়িয়ে বহুদলীয় গণতন্ত্রের বাগান রচনা করেছিলো জিয়াউর রহমান।

বিএনপির এই নেতা বলেন, খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশে আবার গণতন্ত্র ফিরে আসবে।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএসপিপির সাবেক আহ্বায়ক এবং ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের সাবেক সভাপতি রুহুল আমিন গাজী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কবি আবদুল হাই সিকদার, বিএসিপির সদস্য সচিব কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ।

;

কপাল পুড়ল ফিরোজ-বাবলা ও রত্নার

ছবি: সংগৃহীত

আসন সমঝোতার খেলায় ছিটকে গেলেন জাতীয় পার্টির দুই কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি ও প্রেসিডিয়াম সদস্য রত্না আমিন হাওলাদার এমপি। তিন জনই ২০১৪ ও ২০১৮ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ছাড়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এবারও তারা সমঝোতার আসন পেতে শেষ পর্যন্ত লবিং তদবির চালিয়ে যান। কিন্তু আওয়ামী লীগ যে সব আসনের প্রার্থীদের সরিয়ে নিয়েছে সেই তালিকায় নেই তারা কেউই। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সাবেক মন্ত্রী কাজী ফিরোজ রশীদ বিগত ২টি নির্বাচনে ঢাকা-৬ আসন থেকে নির্বাচিত হয়ে সংসদে প্রতিনিধিত্ব করেন। এবার ওই আসনে আওয়ামী লীগ প্রার্থী দিয়েছে সাবেক মেয়র সাঈদ খোকনকে। সমঝোতার আসন না পাওয়ায় শেষ মুহূর্তে এসে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন কাজী ফিরোজ রশীদ।

আরেক কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা ঢাকা-৪ আসন থেকে বিগত দুটি নির্বাচনে বিজয়ী হন। এবার আর সেই সুযোগ পেলেন না। আওয়ামী লীগ আসনটিতে সাবেক এমপি সানজীদা ইসলামকে মনোনয়ন দিয়েছেন। সমঝোতায় আসন না পেলেও লাঙল প্রতীক নিয়ে লড়তে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে।

কপাল পুড়েছে বরিশাল-৬ (বাকেরগঞ্জ) আসন থেকে দুই বারের সংসদ সদস্য জাপার সাবেক মহাসচিব এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদারের স্ত্রী রত্না আমিনেরও। ২০১৪ সালে স্বামী-স্ত্রী দু’জনেই পৃথক আসন থেকে এমপি নির্বাচিত হয়েছিলেন। ২০১৮ সালে এসে শুধু রত্না আমিন নির্বাচিত হন। এবার স্ত্রীর আসন ছাড় না দিলেও স্বামী এবিএম রুহুল আমিন হাওলাদার পেয়েছেন পটুয়াখালী-১ আসন।

ছিটকে গেছেন নারায়ণগঞ্জ-৩ (সোনারগাঁ) আসন থেকে নির্বাচিত প্রেসিডিয়াম সদস্য লিয়াকত হোসেন খোকাও। বিগত ২টি সংসদে নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগবিহীন নির্বাচনী মাঠে। এবার আর তার আসনটি ছাড় দেয়নি আওয়ামী লীগ।

সমঝোতায় যুক্ত নতুন আসন

সমঝোতার আসনে নতুন করে কপাল খুলেছে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও পার্টির চেয়ারম্যানের সহধর্মীনী শেরিফা কাদেরের। তার ঢাকা-১৭ আসন থেকে আওয়ামী লীগ তাদের প্রার্থী গোলাম হাবিব হাসানের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছে। সমঝোতায় যুক্ত হওয়া নতুন আসনগুলো হচ্ছে মানিকগঞ্জ-১ আসনে জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য জহিরুল ইসলাম রুবেল, হবিগঞ্জ-১ আসনে মিয়া মোহাম্মদ আব্দুল মুনিম চৌধুরী, চট্টগ্রাম-৮ আসনে প্রেসিডিয়াম সদস্য সোলায়মান আলম শেঠ, গাইবান্ধা-২ আসনে আব্দুর রশীদ সরকার।

রাজধানী ঢাকায় মাত্র একটি আসন ছাড় দেওয়া হয়েছে। পার্টির কো-চেয়ারম্যান যমুনা গ্রুপের কর্ণধার সালমা ইসলাম ঢাকা-১ ও ১৭ আসন থেকে মনোনয়ন নিলেও শেষ পর্যন্ত ঢাকা-১৭ আসন থেকে প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে বার্তা২৪.কমকে নিশ্চিত করেছেন।

জাতীয় পার্টির সঙ্গে আওয়ামী লীগের প্রথম নির্বাচনী জোট হয় ২০০৮ সালে। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে শেষ পর্যন্ত ৩২ আসন ছেড়ে দেয়। আর উন্মুক্ত ১৭টি আসন উভয়দলের প্রার্থীরা নিজ নিজ প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। অন্যদিকে ২০১৪ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ২০ আসনে এবং পরে নির্বাচনে ১৩টি আসনে বিজয়ী হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ২৬টি আসন ছেড়ে দেয় আওয়ামী লীগ, সব মিলিয়ে ২৭৮টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে জাতীয় পার্টির প্রার্থীরা। এরমধ্যে জোটগতভাবে ২১টি আরও উন্মুক্ত থেকে একটি আসনে বিজয়ী হন জাতীয় পার্টির প্রার্থী।

;

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে শেখ হাসিনার তালিকায় ভাসানী

ছবি: সংগৃহীত

নির্বাচন কমিশনে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনার দেওয়া চিঠিকে কেন্দ্র করে ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসন নিয়ে নতুন করে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। আওয়ামী লীগ সভাপতি ইসি সচিব বরাবরে প্রেরিত চিঠিতে নৌকার প্রার্থীর পরিবর্তে জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হামিদ ভাসানীর নাম উল্লেখ করেছেন।

আসনটিতে আব্দুল হামিদ ভাসানীর পাশাপাশি প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াও মনোনয়ন দাখিল করেছেন। আসনটিকে মূলত জাপার পক্ষে কে লড়বেন সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। একাধিকবার ফোন দিলেও রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া কিংবা আব্দুল হামিদ ভাসানী কল রিসিভ করেননি।

ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ আসনে ২০০৮ সালে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে জাপা নেতা জিয়াউল হক মৃধা বিজয়ী হন। ২০১৪ সালেও তিনি নির্বাচিত হন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে জাতীয় পার্টি শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধার পরিবর্তে জামাই অ্যাড. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে মনোনয়ন দেন। অন্যদিকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচন করেন শ্বশুর জিয়াউল হক মৃধা। এতে বিএনপির প্রার্থীর কাছে ধরাশায়ী হন জিয়াউল হক মৃধা। রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া মাত্র ২৭৯ ভোট পান।

বিএনপির সংসদ সদস্যরা পদত্যাগ করলে উকিল আব্দুস সাত্তারও পদত্যাগ করেন। উপ-নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন আব্দুস সাত্তার। ওই নির্বাচনে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন আব্দুল হামিদ ভাসানী। উকিল আব্দুস সাত্তারের মৃত্যূর পর ফের উপ-নির্বাচনে হলে তখনও জাপার প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ভাসানী।

এবার আসনটিতে দুই জনকে মনোনয়ন দিয়েছে জাতীয় পার্টি। প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়ার পাশাপাশি সাবেক ছাত্রনেতা জাতীয় পার্টির যুগ্ম মহাসচিব আব্দুল হামিদ ভাসানীকেও মনোনয়ন দিয়েছে। তারা উভয়েই বৈধ প্রার্থী হিসেবে ঘোষিত হয়েছেন।

জাতীয় পার্টির যুগ্ম দফতর সম্পাদক মাহমুদ আলম বার্তা২৪.কমকে বলেছেন, আসনটিতে আমরা মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছি প্রেসিডিয়াম সদস্য রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়াকে। সেই আমাদের প্রার্থী হিসেবে লড়বেন।

;

সোমবার নয়, মঙ্গলবার আ.লীগের বিজয় র‍্যালি

ছবি: বার্তা২৪

কুয়েতের আমিরের মৃত্যুতে রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করার ফলে আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা মিছিল একদিন পিছিয়ে মঙ্গলবারে নেওয়া হয়েছে।

রোববার (১৭ ডিসেম্বর) ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক রিয়াজ উদ্দিন রিয়াজ বার্তা২৪ ডট কমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের বিজয় শোভাযাত্রা মিছিল আগামীকাল সোমবারের পরিবর্তে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুর ২টা ৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে।

উল্লেখ্য, কুয়েতের আমির শেখ নাওয়াফ আল-আহমাদ আল-জাবের আল-সাবাহ দেশটির একটি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল শনিবার মারা যান। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৬ বছর।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *