সারাদেশ

মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

ডেস্ক রিপোর্ট: মুন্সীগঞ্জে ট্রলারডুবি: নিখোঁজ ২ জনের মরদেহ উদ্ধার

ছবি: বার্তা২৪.কম

মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার পদ্মার শাখা নদীতে বাল্কহেডের ধাক্কায় যাত্রীবাহী ট্রলার ডুবিতে নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। 

উদ্ধার হওয়া মরদেহ দুটি মুন্সীগঞ্জের সিরাজদিখান উপজেলার মালখানগর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য মো. হারুন অর রশিদ খান (৫০) ও রাজধানীর ধানমন্ডির শংকর এলাকার মাহফুজুর রহমান (৩৫) এর। এ নিয়ে ট্রলারডুবির ঘটনায় মোট ৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হলো।

মুন্সীগঞ্জ সদরের চর আবদুল্লা নৌ পুলিশ ফাঁড়ির দায়িত্বপ্রাপ্ত পরিদর্শক মো. হাসনাত জামান বলেন, নিখোঁজ দুই ব্যক্তির মরদেহ ভাসমান অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতের আত্মীয় স্বজনরা মরদেহ দুটি তাদের বলে শনাক্ত করেছেন। মরদেহ দুটি হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

তিনি আরও বলেন, এ ঘটনায় ইতিমধ্যে টঙ্গীবাড়ী থানায় ৫ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। 

উল্লেখ্য, শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মুন্সীগঞ্জের হাসাইলের চর থেকে ৪০-৫০ জন যাত্রী নিয়ে ট্রলারটি হাসাইল ঘাটের উদ্দেশে রওনা হয়। তখন দক্ষিণ দশআনি নামের বাল্কহেডটি চাঁদপুর থেকে বালু আনতে পদ্মার শাখানদী দিয়ে মূল নদীর দিকে যাচ্ছিল। সন্ধ্যা সোয়া ছয়টার দিকে বাল্কহেডটি ট্রলারের ওপর উঠে যায়। এ ঘটনায় নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার কাশিপুর এলাকার মো. ফারুকের মেয়ে ফাইজা আক্তার (৬) ও মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলা পাঁচগাঁও ইউনিয়নের মান্দ্রা এলাকার নজরুল ব্যাপারীর মেয়ে শিফার (১৫) মরদেহ ঘটনার পরপরই উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।

রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে জামায়াতের মিছিল

ছবি: বার্তা ২৪

হরতালের সমর্থনে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে মিছিল ও পিকেটিং করেছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের নেতাকর্মীরা বিভিন্ন জোনে ভাগ হয়ে এসব কর্মসূচি পালন করে।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় মিছিল ও সমাবেশ করে জামায়াতের নেতাকর্মীরা। দলের মজলিসে শূরা সদস্য ও ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের সহকারি সেক্রেটারি দেলাওয়ার হোসেন মিছিলের নেতৃত্ব দেন।

তিনি বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার অতীতের মত ছলেবলে কৌশলে আবারও ক্ষমতা দখলের জন্য প্রহসনের নির্বাচন করার অপচেষ্টা চালাচ্ছে। বানরের পিঠা ভাগাভাগির মতো নিজেরা নিজেরাই আসন ভাগাভাগি করে পুরো নির্বাচনকে একটা তামাশার নির্বাচনে পরিণত করেছে। আমরা সরকারকে হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলতে চাই, অবিলম্বে এ ধরনের নির্বাচনী খেলা ও তামাশা বন্ধ করুন, একতরফা প্রহসনের নির্বাচন এদেশের মানুষ আর মেনে নিবেনা, এই পাতানো নির্বাচনকে জনগণ প্রতিহত করবে, ইনশাআল্লাহ। জনগণ নিজেদের অধিকার আদায়ে স্বতঃস্ফূর্তভাবে রাজপথে নেমে এসেছে। নির্বাচনকালীন কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠিত না হওয়া পর্যন্ত তারা আর ঘরে ফিরে যাবেনা। এদেশের জনগণ ৫২’র ভাষা আন্দোলন, ৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রাম ৯০ এর স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনে রক্ত ও জীবন দিয়ে দাবি আদায় ও এদেশকে মুক্ত করেছিল। প্রয়োজনে আবারও জীবন দেব, রক্ত দেব। আমাদের জীবনের বিনিময়ে হলেও ফ্যাসিবাদি সরকারের হাত থেকে এদেশকে মুক্ত করেই ছাড়বো ইনশাআল্লাহ।’ 

এছাড়াও একই দাবিতে রাজধানীতে ঢাকা মহানগরী দক্ষিণের মতিঝিল, রমনার বেইলী রোড, খিলগাঁও, যাত্রাবাড়ী, সবুজবাগ, ডেমরা, সূত্রাপুর, বাদামতলী, ধোলাইপাড়, ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ রোডে জামায়াতে ইসলামীর মিছিল ও পিকেটিং অনুষ্ঠিত হয়।

এদিকে ঢাকা মহানগর উত্তরের উদ্যোগে বসিলা, বিমানবন্দর সড়ক, মিরপুর কাজীপাড়া, পান্থপথ, মগবাজার ও শ্যামলীতে মিছিল ও পিকেটিং করে।

;

ট্রেনের আগুনে মা-শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যু: দু’জনের পরিচয় মিলেছে

ছবি: বার্তা২৪.কম

রাজধানীর তেজগাঁও এলাকায় ঢাকার কমলাপুরগামী মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনে আগুনের ঘটনায় নিহত চারজনের মধ্যে দুজনের পরিচয় মিলেছে।

নিহতদের মধ্যে দুজনের পুরুষ, একজন নারী ও এক শিশু রয়েছে। এরমধ্যে নারী ও শিশুর পরিচয় নিশ্চিত করেছেন স্বজন মিনহাজুর রহমান।

নিহত শিশু ও নারী; মা-ছেলে। মায়ের নাম নাদিরা আক্তার পপি ও ছেলে ইয়াসিন। বয়স ৩ বছর। তাদের বাড়ি নেত্রকোনা সদর গ্রাম- বুরুনা।

তিনি বলেন, নেত্রকোনা থেকে আমার পরিবারের মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের শোভন চেয়ারে জ বগিতে উঠেছিল। এরমধ্যে বিমানবন্দরে স্টেশনে ৫ জন নেমে যায়। বাকি চারজন কমলাপুর যাচ্ছিলো। তেজগাঁও আসার পর ট্রেনে আগুন লাগলে দুজন নেমে যান। আর ধোয়ার কারণে আটকে মারা যান মা ও ছেলে। মা ছেলে মারা গেলেও বেঁচে গেছেন একই বগিতে আসা শিশু ইয়াসিনের মামা হাবিবুর রহমান ও ইয়াসিনে বড় ভাই মাহিম (৯)। তাদের বাসা তেজগাঁও এলাকার তেজতুরি বাজার।

;

‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বাতাস নিয়ে শীর্ষে ঢাকা

‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বাতাস নিয়ে শীর্ষে ঢাকা

দিন দিন রাজধানী ঢাকার বাতাস বাসিন্দাদের জন্য ভয়াবহ স্বাস্থ্যঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়ছে। আজও ঢাকার বাতাস ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ রয়েছে।

মঙ্গলবার সুইজারল্যান্ডভিত্তিক বায়ুমান পর্যবেক্ষণকারী প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান এয়ার কোয়ালিটি ইনডেক্স (একিউআই) ঢাকার অবস্থান প্রথমে রয়েছে। মানে দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষে রয়েছে ঢাকা।

এদিন সকাল ৮টার দিকে একিউআই স্কোর ৩২২ নিয়ে শীর্ষ স্থানে রয়েছে মেগাসিটি ঢাকা, যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ হিসেবে বিবেচিত। আর তালিকার দ্বিতীয় স্থানে বসনিয়া হার্জেগোভিনার সারাজেভো রয়েছে, যার স্কোর ২২৩। এ ছাড়া একিউআই স্কোর ২১১ নিয়ে দূষিত বাতাসের শহরের তালিকার তৃতীয় স্থানে রয়েছে ভারতের কলকতা। আবার ভারতের দিল্লিও রয়েছে ২০৭ স্কোর নিয়ে চর্তুথ স্থানে। ১৯৩ স্কোর নিয়ে তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছে ঘানার শহর আকরা। এরপর রয়েছে পাকিস্তানের শহর লাহোর, যার স্কোর ১৭৯।

একিউআই স্কোর শূন্য থেকে ৫০ ভালো হিসেবে বিবেচিত। ৫১ থেকে ১০০ মাঝারি হিসেবে গণ্য করা হয়; আর সংবেদনশীল গোষ্ঠীর জন্য অস্বাস্থ্যকর বিবেচিত হয় ১০১ থেকে ১৫০ স্কোর। স্কোর ১৫১ থেকে ২০০ হলে তাকে ‘অস্বাস্থ্যকর’ বায়ু বলে মনে করা হয়। ২০১ থেকে ৩০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই স্কোরকে ‘খুব অস্বাস্থ্যকর’ বলা হয়।

এ অবস্থায় শিশু, প্রবীণ এবং অসুস্থ রোগীদের বাড়ির ভেতরে এবং অন্যদের বাড়ির বাইরের কার্যক্রম সীমাবদ্ধ রাখার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এ ছাড়া ৩০১ থেকে ৪০০-এর মধ্যে থাকা একিউআই ‘ঝুঁকিপূর্ণ’ বলে বিবেচিত হয়, যা নগরের বাসিন্দাদের জন্য গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে।

সাধারণত একিউআই নির্ধারণ করা হয় দূষণের পাঁচটি ধরনকে ভিত্তি করে; যেমন: বস্তুকণা (পিএম১০ ও পিএম২.৫), এনও২, সিও, এসও২ ও ওজোন (ও৩)। বায়ুদূষণ গুরুতর স্বাস্থ্যঝুঁকি তৈরি করে থাকে। এটা সব বয়সি মানুষের জন্য ক্ষতিকর। তবে শিশু, অসুস্থ ব্যক্তি, প্রবীণ ও অন্তঃসত্ত্বাদের জন্য বায়ুদূষণ খুবই ক্ষতিকর।

;

মোহাম্মদপুরে ১৩ নম্বর বাসে আগুন

ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে ১৩ নম্বর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। 

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ৮টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মোহাম্মদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজ ভূঁইয়া।

তিনি বলেন, আজিমপুর থেকে ছেড়ে আসা ১৩ নম্বর পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে আগুন দেওয়ার ঘটনা ঘটে। চলন্ত বাসটি যখন শংকর আসে তখন আগুন দেয়। পরবর্তীতে মোহাম্মদপুর থানার আল মানার হাসপাতালের সামনে বাসের চালকও ও স্থানীয়রা মিলে আগুন নেভায়।

হতাহতের বিষয় জানতে চাইলে ওসি বলেন, আগুনে কোন হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, আজিমপুর থেকে ছেড়ে আসা মিনিবাস ১৩ নম্বর পরিবহনের একটি বাসে শংকর এলাকায় দুর্বৃত্তরা গাড়ির পেছনে আগুন ধরিয়ে দেয়। গাড়ির পেছনের দিকে ৭ থেকে ৮ টি সিট পুড়ে যায়, গাড়িতে থাকা ১০ থেকে ১২ জন যাত্রী নেমে যায়। পরবর্তীতে মোহাম্মাদপুরের আল মানার হাসপাতালের সামনে গাড়ির আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন স্থানীয়রা।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *