সারাদেশ

অপ্রীতিকর ঘটনায় কঠোরতার চরম পর্যায়ে যাবে নির্বাচন কমিশন: ইসি আনিছুর

ডেস্ক রিপোর্ট: অপ্রীতিকর ঘটনায় কঠোরতার চরম পর্যায়ে যাবে নির্বাচন কমিশন: ইসি আনিছুর

ছবি: বার্তা২৪.কম

‘দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, অর্থনীতি এবং অস্তিত্বের সাথে সম্পর্কিত। এই নির্বাচনে বিশ্ববাসীর দৃষ্টি রয়েছে। কাজেই কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটলে নির্বাচন কমিশন কঠোরতার চরম পর্যায়ে যাবে। প্রয়োজনে প্রার্থিতা বাতিল ও ভোট বন্ধ করে ওই স্থানে উপনির্বাচন দেয়া হবে।’

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর)  সন্ধ্যায় লক্ষ্মীপুর টাউন হল মিলনায়তনে বিশেষ আইনশৃঙ্খলা ও মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো: আনিছুর রহমান এসব কথা বলেন।

প্রার্থীদের অভিযোগ সম্পর্কে তিনি বলেন, আমাদের কাছে অভিযোগ আসছে। আমরা অভিযোগগুলো তদন্ত করে দেখছি এবং সত্যতা পেয়েছি। এক্ষেত্রে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় মামলা করবে। এতে কে ফেঁসে যাবেন, তা আমরা দেখবো না। 

তিনি বলেন, পুলিশ তো সরকার পক্ষের লোক। যিনি অভিযোগকারী তাকেই প্রথমে থানায় অভিযোগ করতে হবে। অভিযোগ না দিলে বিষয়টি দুর্বল হয়ে যায়। এই বিষয়টিও স্বতন্ত্র প্রার্থীদের দেখতে হবে। কাউকে ছাড় দেয়া হবে না, অপকর্ম করলেই প্রার্থীতা বাতিল করা হবে।

আনিছুর রহমান বলেন, এ বছর নির্বাচনের আগের দিন ব্যালট পেপার কেন্দ্রে যাবে না। ভোটের দিন সকালে যাবে। এক্ষেত্রে নির্বাচনী কাজে নিয়োজিত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে। এজন্য আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১৩ দিন সেনাবাহিনী মাঠে থাকবে। পাশাপাশি র‍্যাব-বিজিবি, ব্যাটালিয়ন আনসার মোতায়েন করা হবে। ভাল নির্বাচনের মাধ্যমে দেশ কলংকমুক্ত হবে। তাই নির্বাচনে সকলকে সহযোগিতা করার আহবান জানান ইসি।

জেলা প্রশাসক ও জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা সুরাইয়া জাহানের সভাপতিত্বে উপস্থিত ছিলেন কুমিল্লার নির্বাচন আঞ্চলিক কর্মকর্তা ফরহাদ মিয়া, পুলিশ সুপার তারেক বিন রশিদসহ  জেলার ৪ টি আসনের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত ও স্বতন্ত্র প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া নির্বাচন সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারাও উপস্থিত ছিলেন সভায়।

এর আগে প্রার্থীদের বিরুদ্ধে প্রার্থীরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ এনে বক্তব্য দিয়েছেন। নির্বাচনী প্রচারকালে বাধা-হামলার শিকার হওয়ার 

আশঙ্কাও প্রকাশ করে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীকে ইঙ্গিত করে বক্তব্য দিয়েছেন কোন কোন প্রার্থী।  সভায় জেলার ৪ টি আসনের প্রার্থীদের অনেকেই তাদের বক্তব্যে এসব অভিযোগ ও আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

প্রার্থীদের বক্তব্যে উঠে আসা অভিযোগ ও আশংকা শুনে কঠোর সতর্ক বার্তা দিয়েছেন নির্বাচন কমিশন। একই সাথে অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠানে সকলের সহযোগীতাও কামনা করেছেন কমিশন। তবে প্রার্থীরা একে অন্যের প্রতি উত্থাপিত অভিযোগ ও আশঙ্কার পাশাপাশি সুন্দর পরিবেশ নিশ্চিতে সহযোগীতা প্রদান সহ সুষ্ঠু নির্বাচন সম্পন্নে বিধি বিধান সম্পূর্ণ মেনে চলার অঙ্গিকারও ব্যক্ত করেন।

প্রসঙ্গত, এবারের নির্বাচনে লক্ষ্মীপুরের ৪টি আসনে আওয়ামীলীগ, জাতীয়পার্টি, জাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মনোনীত প্রার্থী ও স্বতন্ত্রসহ মোট ২৮ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন।

‘আচরণবিধি লঙ্ঘন করলে কোনো ছাড় নয়’

ছবি: বার্তা২৪.কম

চট্টগ্রামে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গকারীকে কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) চট্টগ্রাম-৩ আসন সন্দ্বীপে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী, প্রিজাইডিং ও সহকারী প্রিজাইডিং অফিসারদের সঙ্গে নির্বাচনী আচরণবিধি প্রতিপালন সংক্রান্ত মতবিনিময় সভায় এই বলে প্রার্থীরদের সতর্কতা করেন তিনি।

এদিন বেলা ১১টায় সদ্বীপ উপজেলা পরিষদ কমপ্লেক্সের বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব সম্মেলন কক্ষে মতবিনিময় সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এরপর বেলা ১২টায় কবি আব্দুল হাকিম পাবলিক অডিটরিয়ামে নির্বাচনে ভোটগ্রহণকারী কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় এবং প্রশিক্ষণ কর্মশালার শুভ উদ্বোধন করেন। পরে দুপুর ১টায় সন্দ্বীপ ৮ জন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে ডিজিটাল সনদ প্রদান করেন এবং অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মাঝে কম্বল ও শুকনো খাবার বিতরণ করেন। পাশাপাশি মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের কিশোর-কিশোরী ক্লাবে বই বিতরণ এবং প্রান্তিক কৃষকের মাঝে কৃষি বীজ বিতরণ করেন।

জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, সোমবার প্রতীক বরাদ্দ চূড়ান্ত হয়েছে। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর)) থেকে প্রচার-প্রচারণা শুরু। এসময় অনেক প্রার্থীর নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভাঙনের অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়, আমরাও লক্ষ্য করি। সে লক্ষ্যে জেলা রিটার্নিং অফিসার, পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা সহ অন্যান্য আরও কর্মকর্তা সন্দ্বীপ আসনের ৮ জন প্রার্থীসহ প্রস্তাব ও সমর্থনকারী সকলের সাথে আচরণ বিধিমালা নিয়ে মতবিনিময় করা হয়।

এসময় সকল প্রার্থী এবং তার অনুসারী, সমর্থক, প্রচার-প্রচারণাকারীকে নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা অনুসরণ করার জন্য অনুরোধ করা হয়।

তিনি আরও বলেন, প্রার্থীরা আগামী দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন শতভাগ সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও শান্তিপূর্ণ এবং আনন্দঘন পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠানের আশ্বাস ব্যত্যয় করেন। নির্বাচনী আচরণ বিধিমালা ভঙ্গকারীকে কোনরূপ ছাড় দেওয়া হবে না বলে সতর্ক করা হয়। সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের বিষয়ে ৮জন প্রার্থী মতামত গ্রহণ করা হয়েছে এবং মতামত অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেওয়া হয়েছে।

একই সঙ্গে ভোট গ্রহণকারী দায়িত্বপ্রাপ্ত সকল কর্মকর্তাকে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শতভাগ স্বচ্ছতা ও ন্যায়ের সাথে পবিত্র দায়িত্ব পালনের জন্য আহ্বান করা হয়েছে।

চট্টগ্রাম পুলিশ সুপার বলেন, কোনো কর্মকর্তার যেকোনো ধরনের অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে আইন ও বিধি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সকলকে দায়িত্বশীলতার সাথে কর্তব্য পালন করতে হবে।

এসময় উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার, আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব), সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকতা।

;

ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না: ইসি আলমগীর

ছবি: সংগৃহীত

ট্রেনে অগ্নিসংযোগসহ বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে নির্বাচন বানচাল করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) মো. আলমগীর।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নারায়ণগঞ্জ জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তার কার্যালয়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা বলেন।

ইসি আলমগীর বলেন, আমরা আশা করছি এই নির্বাচনে ভালো ভোটার উপস্থিতি হবে। আমি কিশোরগঞ্জ থেকে এখানে এসেছি। পথে কোনো প্রতিবন্ধকতা পাইনি। এবার উৎসবমুখর পরিবেশে নির্বাচন হবে। দু-একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা ছাড়া সারা দেশে নির্বাচনের পরিবেশ খুব ভালো আছে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

তিনি বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশন দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে যে কয়েকটি স্থানে ব্যালটে ভোট হয়েছে, সব জায়গায় এভাবেই নির্বাচন করেছি। কেউ বলার সুযোগ পাবে না যে, আগের রাতে ভোট পড়েছে। এ ধরনের অপবাদের সুযোগ যেন না থাকে সেজন্য আমরা সকালে কেন্দ্রে ব্যালট পাঠাব। তবে দুর্গম এলাকাগুলোতে আমরা রিটার্নিং অফিসারদের সঙ্গে কথা বলব। কেন দুর্গম এলাকায় আগে ব্যালট দিতে হবে, ব্যাখ্যা নেওয়ার পর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

মন্ত্রী ও এমপিদের প্রভাব অন্য প্রার্থীদের ক্ষেত্রে কোনো সমস্যা হবে কি না, এমন প্রশ্নে এই নির্বাচন কমিশনার বলেন, কোথাও যদি বাঘ থাকে এবং তার চেয়ে ছোটখাটো কোনো প্রাণী যদি থাকে, সেখানটা তো ভারসাম্যহীন হয়ে যায়। পুলিশ ও ম্যাজিস্ট্রেট আছে। তারা এসব দেখবে। মাঠ সবার জন্য সমান, আইন সবার জন্য সমান। কেউ যেন কাউকে বাধা না দেয়।

ভোটারদের মাঝে নির্বাচনের আমেজ কেমন- এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ১৮ তারিখ থেকে উৎসব শুরু হয়েছে। নির্বাচনী প্রচারণা শুরু হয়ে গেছে। ভোটারদের মাঝে আমেজ আসতে কিছুটা সময় লাগবে। তারা প্রার্থীদের কথা শুনবেন।

এ সময় জেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহমুদুল হক, জেলা পুলিশ সুপার (এসপি) গোলাম মোস্তফা রাসেল, র‍্যাব ১১ এর অধিনায়ক (সিও) তানভীর মাহমুদ পাশাসহ জেলা নির্বাচন কমিশন, জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বিভিন্ন বাহিনীর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

;

ভোটের প্রচারণায় পোস্টারের সাইজ নির্ধারণ করেছে ইসি

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ কারী প্রার্থীদের নির্বাচনে প্রচারে জন্য ব্যবহার করা নির্বাচনি প্রতীক, পোস্টার ও পোর্ট্রেট এর সাইজ নির্ধারণ করে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।

সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনের নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব আতিয়ুর স্বাক্ষরিত পরিপত্রে এই তথ্য জানানো হয়।

ইসি জানায়, নির্বাচনে প্রদর্শনীর জন্য প্রার্থীদের প্রতীকের সাইজ, দৈর্ঘ্য, প্রস্থ বা উচ্চতা তিন মিটারের অধিক হবে না। প্রার্থীদের প্রচারের পোস্টার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৬০ (ষাট) সেন্টিমিটার × ৪৫ (পঁয়তাল্লিশ) সেন্টিমিটার হবে। কাপড় ব্যানার ব্যতীত প্লাস্টিকের ব্যানার সাদা-কালো রঙের ও আয়তন অনধিক ৩ (তিন) মিটার × ১ (এক) মিটার হতে হবে। 

ইসি আরও জানায়, প্রার্থী প্রচারের পোস্টার ও ব্যানারে প্রার্থী তার প্রতীক ও নিজের ছবি ব্যতীত অন্য কোনো ব্যক্তির ছবি বা প্রতীক ছাপাতে পারবেননা।

এছাড়া ২৭ টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে ১হাজার আটশত ৯৬ জন প্রার্থী নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। একাধিক আসনের প্রার্থীদের প্রার্থীতা ফিরে পেতে হাইকোর্ট মামলা রায় হলে সংখ্যা আরও বাড়বে বলে ইসি কর্মকর্তারা। 

এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোটকেন্দ্র রয়েছে ৪২ হাজার ১০৩টি। আর ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন।

চার লাখ ছয় হাজার ৩৬৪ জন প্রিজাইডিং অফিসার, দুই লাখ ৮৭ হাজার ৭২২ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার এবং পাঁচ লাখ ৭৫ হাজার ৪৪৩ জন পোলিং অফিসার, মোট নয় লাখ নয় হাজার ৫২৯ জন ভোটগ্রহণ কর্মকর্তা নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করবেন।

ইসি কর্মকর্তা আরও জানান, ভোটের মাঠে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে আগে পরে ১৩ দিন নিয়োজিত থাকবে আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। আনসারের পাঁচ লাখ ১৬ হাজার সদস্য, কোস্টগার্ডের ২ হাজার ৩৫০ জন, বিজিবির ৪৬ হাজার ৮৭৬ সদস্য, পুলিশের (র‌্যাবসহ) থাকবে ১ লাখ ৮২ হাজার ৯১ জন সদস্য। অর্থাৎ সাত লাখ ৪৭ হাজার ৩২২ জন সদস্য ভোটের নিরাপত্তায় নিয়োজিত থাকবেন। এছাড়া মাঠে থাকবে সেনাবাহিনী। যা আগামী ২৯ ডিসেম্বর থেকে ১০ জানুয়ারি পর্যন্ত থাকার কথা রয়েছে।

ইসি ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। বর্তমানে চলছে প্রচার, যা আগামী ৫ জানুয়ারি সকাল ৮টায় শেষ হবে।

;

ভোট গণনা ভিডিও করতে পারবেন সাংবাদিকরা: ইসি হাবিব

‘ভোট গণনা ভিডিও করতে পারবেন সাংবাদিকরা’

খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাচন কমিশনার (ইসি) বিগ্রেডিয়ার জেনারেল (অব.) আহসান হাবিব খান বলেছেন- ‘সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবেন সাংবাদিকরা।’

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দুপুরে কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নির্বাচনী কর্মকর্তা, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কর্মকর্তা, গোয়েন্দা কর্মকর্তা ও প্রার্থীদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।

আহসান হাবিব খান বলেন, ‘নতুন আইন করা হয়েছে, সাংবাদিকদের ক্যামেরা কেউ ভাঙচুর করলে দুই থেকে সাত বছরের জেল হবে। আমরা সাংবাদিকদের কার্যবান্ধব এবং সহযোগী হিসেবে রাখার জন্য সকল সুযোগ রেখেছি। সাংবাদিকরা স্বাধীনভাবে কাজ করবে। যখন ভোট গণনা হবে, সেটাও ভিডিও করতে পারবেন সাংবাদিকরা। এরচেয়ে বেশি স্বচ্ছতা কি হতে পারে। সাংবাদিক হিসেবে আপনারা সঠিক জিনিসটা প্রকাশ করবেন। এতে নির্বাচন কর্মকর্তারা সচেতন ও সতর্ক হবে।’

তিনি বলেন, ‘ভোটাররা নির্বিঘ্নে ভোট কেন্দ্রে যাবে এবং ভোট প্রদান করবে, সেই পরিবেশ সৃষ্টির দায়িত্ব আমাদের। যেখানে ঝামেলা আছে সেগুলো সমাধান করা হবে। প্রয়োজনে সেনাবাহিনী কাজ করবে এবং টহল দেবে। অংশগ্রহণমূলক, অবাধ-সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে। কেউ ঝামেলা করলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। অসদাচরণের জন্য প্রার্থিতা বাতিল হতে পারে বলেও জানান তিনি।’

নির্বাচন কমিশনার বলেন, ‘নির্বাচন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, অনিয়ম করলে ছাড় নয়। ভোটকেন্দ্রের বাইরে কেউ ঝামেলা করলে পুলিশ অ্যাকশন নেবে। বিশৃঙ্খলা করার সুযোগ নেই, সেই সুযোগ আমরা দেব না। কোথাও অনিয়ম হলে সেই কেন্দ্রের ভোট বন্ধ হবে। তদন্ত সাপেক্ষে দায়িত্বরতদের সাসপেন্ড করা হবে, অ্যাকশন নেওয়া হবে। আমাদের কাছে কোনো ছাড় নেই। আমরা জিরো টলারেন্স মন্ত্রে বিশ্বাসী।’

কুষ্টিয়ার জেলা প্রশাসক মো. এহেতেশাম রেজার সভাপতিত্বে পুলিশ সুপার এএইচএম আবদুর রকীবসহ সংশ্লিষ্টরা উপস্থিত ছিলেন।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *