সারাদেশ

নৌকা না থাকলেও কপাল পুড়তে পারে জাপার প্রার্থীর

ডেস্ক রিপোর্ট: নৌকা না থাকলেও কপাল পুড়তে পারে জাপার প্রার্থীর

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ২৬ আসনের মধ্যে নীলফামারীতে দুটি আসনের মধ্যে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল। অন্যদিকে এ আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জাপার সাবেক নেতা কাজী ফারুক কাদের ও মার্জিয়া সুলতনা। এ আসনটিতে নৌকা না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীর স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাম হোসেন পাভেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট হওয়ায় জাপার প্রার্থী ভোটে কিছুটা হিমশিম খাবে বলে মনে করছেন অনেকেই৷

আসনটিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় রানা মোহাম্মদ সোহেল।

তিনি নির্বাচনী এলাকায় না থাকা। এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন না করায় নতুন নেতৃত্ব খুঁজছেন ভোটাররা। এতে করে কপাল পুড়তে পারে এ এমপির। জাপার এ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে তৃনমুল বিএনপির খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বাদশা আলমগীম, কাজী ফারুক কাদের, আবু সাঈদ শামীম ও হুকুম আলী খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা ও সাদ্দাম হোসেন পাভেল ।

অপরদিকে নীলফামারী-৪ আসনে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট হওয়ায় ভোটের মাঠে জয়ী হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা তারও। এরমধ্যে আসনটিতে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এবার নীলফামারি জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি সিদ্দিকুর আলম সিদ্দিকী লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোকছেদুল মোমিন। আসনটিতে নৌকা না থাকায় ভোটে জয়ের আশা বুনছেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এতে ভোটে হিমশিম খেতে পারে জাপার এ প্রার্থী।

আসনটিতে জাপার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এম সাজেদুল করিম , তৃনমুল বিএনপির ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের , জাসদের আজিজুল হক , ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল হাই সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর আলম সিদ্দিকী ও মোকছেদুল মোমিন ।

রিটার্নিং কর্মকর্তার ফোনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাইক শোডাউন বাতিল

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাইক শোডাউন বাতিল

সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর ফোন পেয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন বাতিল করে পায়ে হেঁটে বিজয় র‍্যালি করেছেন লালমনিরহাট-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওই বিজয় মিছিল। র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

জানা গেছে, মোটরসাইকেল শোডাউনে বিজয় র‍্যালির আয়োজন করে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই বিজয় র‍্যালিটি পুরো উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয় বলে আগত নেতাকর্মীদের দাবি। তাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মী শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে দুপুরের আগে আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে জড়ো হন।

বিজয় র‍্যালির নামে ব্যাপক শোডাউন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এমন খবরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে ফোনে সতর্ক করেন। পরে মোটরসাইকেল শোডাউন থেকে সরে আসেন নৌকার মাঝি সমাজকল্যাণমন্ত্রী। পরে ওই মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে হেঁটে বিজয় র‍্যালি করেন তিনি।

তবে অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, মন্ত্রী আইনের প্রতি খুবই আস্থাশীল। শোডাউন করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে। তাই স্বল্প পরিসরে বিজয় র‍্যালি করা হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী শোডাউন বন্ধ করতে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনকালীন কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে মোটরযান বা কোনো যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল বা শোডাউন করা বিধিসম্মত নয়। তাই জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে বিষয়টি মন্ত্রীকে মোবাইলে জানানো হলে তিনি তা বন্ধ করে হেঁটে র‍্যালি করেছেন।

;

বরিশাল-৫ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকার প্রার্থী, মাঠে নেই কেউ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতে দৌড়াদৌড়ির কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতে দারস্থ হয়েছেন। 

অন্যদিকে জেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক নৌকা প্রতীক পেয়ে জাহিদ ফারুক শামীমের নির্বাচনী সমন্বয়ক সহ আওয়ামী লীগের এক অংশ সমর্থকরা মাঠে নির্বাচনী প্রচার করাসহ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিসিসি মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ জেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক বৈধতা পেলেও তার প্রতি নৌকা প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম দ্বৈত নাগরিকের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়। সেখানেও সাদিকের মনোনয়ন বাতিল রায় ঘোষণা করা হলে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে স্বতন্ত্র প্রাথী সাদিক আব্দুল্লাহর আপিল করে। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্ধের দিন অবকাশকালীন উচ্চ আদালত ( হাইকোর্ট) বেঞ্চ সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে মনোনয়ন বৈধতা রয়েছে বলে আদেশ দিলে নৌকা প্রার্থীর পক্ষ থেকে পুনরায় আপত্তি জানিয়ে আপিল করলে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফের বাতিল হয়।

বরিশাল সদর-৫ সংসদীয় আসনে অপর স্বতন্ত্রসহ ৫জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর শুধু নৌকার প্রচারণা ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনায় মাঠে এখনও নামেনি। অন্যকোন প্রার্থীর কোন পোস্টার শহরে দেখা যায় নাই।

বরিশাল মহানগর যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন তারাই নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যশা কামনা করছি আমাদের এখানে অন্য কোন বিরোধ নেই। এছাড়া আমরা কোন প্রতিহিংসা বা সহিংসতা কামনা করি না। এছাড়া আমরা নির্বাচনে অংশ নেয়া অপর ৫ প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি।

;

বিএনপি আমাদের স্বীকারই করে না: ইসি আহসান হাবিব

ইসি মো. আহসান হাবিব খান

বিএনপি বর্তমান নির্বাচন কমিশনকে স্বীকারই করে না বলে মন্তব্য করছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মো. আহসান হাবিব খান।

তিনি বলেন, বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে আসতে চেষ্টার কোনো ত্রুটি ছিল না। তাদের পা ধরতে বাকি রাখছি। ব্যক্তিগত ভাবেও আমি চেষ্টা করেছি।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় মেহেরপুর জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ইসি আহসান হাবিব এসব কথা বলেন।

অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের পরিবেশ নিয়ে কমিশনের জিরো টলারেন্স নীতি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের কাছে স্মরণীয় হওয়ার মতো নির্বাচন করবে কমিশন। কোনো ধরনের ছাড় দেওয়া হবে না।

নির্বাচনী মাঠে অনিয়ম থাকলে তার যথাযথ প্রমাণ সাপেক্ষে তুলে ধরার আহবান জানিয়ে সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোথাও কারচুপি কিংবা ভোটারদের বাধা দিলে ভোট গ্রহণ বন্ধ করে দেওয়া হবে। নির্বাচনের সঙ্গে সম্পৃক্ত রির্টার্নিং কর্মকর্তা থেকে শুরু করে যারাই দায়িত্ব পালন করবেন তাদের কারও কোন অনিয়ম ছাড় দেওয়া হবে। কেউ অন্যায় করলে তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

বিদেশি পর্যবেক্ষক অংশগ্রহণের বিষয়ে সাংবাদিকরদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সকলের জন্য নির্বাচন পর্যবেক্ষণ উন্মুক্ত। নির্বাচন কমিশন সম্পূর্ণ চাপমুক্ত বলেও তিনি দাবি করেন।

নির্বাচন কমিশন শক্তিশালী উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, আমাদের সঙ্গে মিলে যাচ্ছে সরকারের সদিচ্ছা। তাই ভাল নির্বাচন হবে। প্রার্থীদেরকে বলে দিয়েছি আমাদের অবস্থানের কথা। সেনাবাহিনীসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা চিহ্নিত করে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।

;

গফরগাঁওয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে হবে: ফাহমী গোলন্দাজ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ময়মনসিংহ-১০ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ও বর্তমান সংসদ সদস্য ফাহমী গোলন্দাজ বাবেল বলেছেন, গফরগাঁওয়ের মানুষ বরবরই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উপহার দেয়। আপনারা ২০০১ সালেও হায়েনার রক্ত চক্ষুকে উপেক্ষা করে এই আসনটি উপহার দিয়েছেন। গফরগাঁওয়ে নতুন রেকর্ড সৃষ্টি করতে হবে। গফরগাঁও বাংলাদেশের মধ্যে এমন একটি উপজেলা যারা সব সময় খবর তৈরি করে এবং ইতিহাস তৈরি করে। আপনাদের বিগত দিনের মতো খবর তৈরি করতে হবে ইতিহাস তৈরি করতে হবে।

মঙ্গলবার(১৯ ডিসেম্বর) বিকালে পৌর শহরের শিলাসী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে প্রথম নির্বাচনী পথ সভায় তিনি এসব কথা বলেন।

আগামী ৭ তারিখ নির্বাচনে নৌকায় ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, পিতার মতোই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৃতীয় বারের মতো আমাকে নৌকার মনোনয়ন দিয়েছেন। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার জন্য আবারও নৌকায় ভোট দিবেন।

এসময় পৌরসভা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মতিউর রহমান বাবুলের সভাপতিত্বে আরও উপস্থিত ছিলেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি আশরাফ উদ্দিন বাদল, সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আতাউর রহমান,সাবেক মেয়র মঞ্জুর মিয়া প্রমূখ।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *