সারাদেশ

সাভারে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা

ডেস্ক রিপোর্ট: সাভারে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুর রহমানের অনুসারী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুরে গেল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় সাভারের নামাগেন্ডা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

তৌহিদ জংয়ের অনুসারী নেতা-কর্মীরা জানান, সাভার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের নির্বাচনী প্রচরণার জন্য একটি অস্থায়ী কার্যালয় খোলা হয়। সোমবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে একটি নোহা ও একটি হায়েস গাড়িতে করে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাভারের সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবু ও পলাশের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যক্তি ওই কার্যালয়ের সামনে আসেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে।

পরে তারা কাতলাপুরে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও তৌহিদ জংয়ের সাভার পৌরসভার ৭৩টি কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবদুল হালিমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা করেন। হামলাকারীরা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড, তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। তারা সবাই নৌকার প্রার্থী এনামুর রহমানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত বলে জানান আবদুল হালিম।

এদিকে সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নামাগেন্ডা এলাকায় মোল্লা মার্কেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এ এন এম জিয়া উদ্দিন।

অভিযোগকারী এ এন এম জিয়া উদ্দিন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আবদুল মালেক কোম্পানি, বাবু, আনু, সুমনসহ ৪০-৫০ জন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে বের করে দিয়ে শাটার লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন জানান, দুটি ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা ১৯ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, হামলা হয়েছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের চেম্বার আদালতে সাদিক আব্দুল্লাহ

ফাইল ছবি

বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন। আবেদনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন তিনি। তার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।

এর আগে হাই কোর্টে গিয়ে নিজের পক্ষে রায় পেলেও গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আটকে যায় সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তা স্থগিত করে দেন।

পরে সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চেম্বার কোর্ট বাতিল করেছে, এখন আমরা নিয়মিত লিভ টু আপিল করব।”

বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।

কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে পরে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন।

অন্যদিকে জাহিদ ফারুক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। সেই আপিল নির্বাচন কমিশনে নামঞ্জুর করা হয়। ফলে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বহাল থাকে।

নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরপর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সাদিক।

সেই আবেদনের শুনানি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ বরিশাল-৫ আসনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে।

হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। সেই আবেদনেই হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে প্রার্থিতা বাতিক করে আপিল বিভাগ।

;

নৌকা না থাকলেও কপাল পুড়তে পারে জাপার প্রার্থীর

ছবি: সংগৃহীত

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ২৬ আসনের মধ্যে নীলফামারীতে দুটি আসনের মধ্যে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল। অন্যদিকে এ আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জাপার সাবেক নেতা কাজী ফারুক কাদের ও মার্জিয়া সুলতনা। এ আসনটিতে নৌকা না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীর স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাম হোসেন পাভেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট হওয়ায় জাপার প্রার্থী ভোটে কিছুটা হিমশিম খাবে বলে মনে করছেন অনেকেই৷

আসনটিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় রানা মোহাম্মদ সোহেল।

তিনি নির্বাচনী এলাকায় না থাকা। এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন না করায় নতুন নেতৃত্ব খুঁজছেন ভোটাররা। এতে করে কপাল পুড়তে পারে এ এমপির। জাপার এ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে তৃনমুল বিএনপির খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বাদশা আলমগীম, কাজী ফারুক কাদের, আবু সাঈদ শামীম ও হুকুম আলী খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা ও সাদ্দাম হোসেন পাভেল ।

অপরদিকে নীলফামারী-৪ আসনে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট হওয়ায় ভোটের মাঠে জয়ী হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা তারও। এরমধ্যে আসনটিতে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।

তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।

এবার নীলফামারি জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি সিদ্দিকুর আলম সিদ্দিকী লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোকছেদুল মোমিন। আসনটিতে নৌকা না থাকায় ভোটে জয়ের আশা বুনছেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এতে ভোটে হিমশিম খেতে পারে জাপার এ প্রার্থী।

আসনটিতে জাপার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এম সাজেদুল করিম , তৃনমুল বিএনপির ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের , জাসদের আজিজুল হক , ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল হাই সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর আলম সিদ্দিকী ও মোকছেদুল মোমিন ।

;

রিটার্নিং কর্মকর্তার ফোনে সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাইক শোডাউন বাতিল

সমাজকল্যাণ মন্ত্রীর বাইক শোডাউন বাতিল

সহকারি রিটার্নিং কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকীর ফোন পেয়ে মোটরসাইকেল শোডাউন বাতিল করে পায়ে হেঁটে বিজয় র‍্যালি করেছেন লালমনিরহাট-২ আসনে আওয়ামী লীগের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী ও সমাজকল্যাণ মন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে লালমনিরহাটের আদিতমারী শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ওই বিজয় মিছিল। র‍্যালিতে নেতৃত্ব দেন লালমনিরহাট-২ (আদিতমারী-কালীগঞ্জ) আসনের নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ।

জানা গেছে, মোটরসাইকেল শোডাউনে বিজয় র‍্যালির আয়োজন করে আদিতমারী উপজেলা আওয়ামী লীগ। সেই বিজয় র‍্যালিটি পুরো উপজেলার ৮টি ইউনিয়ন প্রদক্ষিণ করার ঘোষণাও দেওয়া হয় বলে আগত নেতাকর্মীদের দাবি। তাই উপজেলার ৮টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার নেতাকর্মী শত শত মোটরসাইকেল নিয়ে দুপুরের আগে আদিতমারী জিএস মডেল সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ মাঠে জড়ো হন।

বিজয় র‍্যালির নামে ব্যাপক শোডাউন করার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে এমন খবরে সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুর-ই-আলম সিদ্দিকী নৌকার প্রার্থী সমাজকল্যাণমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদকে ফোনে সতর্ক করেন। পরে মোটরসাইকেল শোডাউন থেকে সরে আসেন নৌকার মাঝি সমাজকল্যাণমন্ত্রী। পরে ওই মাঠে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য রেখে হেঁটে বিজয় র‍্যালি করেন তিনি।

তবে অনুষ্ঠান শেষে মন্ত্রীর ব্যক্তিগত কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মিজান বলেন, মন্ত্রী আইনের প্রতি খুবই আস্থাশীল। শোডাউন করলে নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন হতে পারে। তাই স্বল্প পরিসরে বিজয় র‍্যালি করা হয়েছে।

আদিতমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নূর-ই-আলম সিদ্দিকী শোডাউন বন্ধ করতে ফোন দেওয়ার কথা স্বীকার করে বলেন, নির্বাচনকালীন কোনো প্রার্থী বা প্রার্থীর পক্ষে মোটরযান বা কোনো যানবাহন ব্যবহার করে মিছিল বা শোডাউন করা বিধিসম্মত নয়। তাই জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তার নির্দেশে বিষয়টি মন্ত্রীকে মোবাইলে জানানো হলে তিনি তা বন্ধ করে হেঁটে র‍্যালি করেছেন।

;

বরিশাল-৫ আসনে নির্বাচনী প্রচারণায় নৌকার প্রার্থী, মাঠে নেই কেউ

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর বৈধতা নিয়ে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতে দৌড়াদৌড়ির কারণে আওয়ামী লীগের দলীয় সমর্থকরা দু’ভাগে বিভক্ত হয়ে রয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে। স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহর মনোনয়ন বাতিল করার জন্য চ্যালেঞ্জ করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী প্রাণী সম্পদ প্রতিমন্ত্রী কর্ণেল (অবঃ) জাহিদ ফারুক শামীম নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে উচ্চ আদালতে দারস্থ হয়েছেন। 

অন্যদিকে জেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক নৌকা প্রতীক পেয়ে জাহিদ ফারুক শামীমের নির্বাচনী সমন্বয়ক সহ আওয়ামী লীগের এক অংশ সমর্থকরা মাঠে নির্বাচনী প্রচার করাসহ লিফলেট বিতরণ কার্যক্রম শুরু করেছে।

স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক বিসিসি মেয়র ও বরিশাল মহানগর আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ জেলা রিটানিং অফিসার কর্তৃক বৈধতা পেলেও তার প্রতি নৌকা প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম দ্বৈত নাগরিকের অভিযোগ এনে নির্বাচন কমিশনে আপিল করা হয়। সেখানেও সাদিকের মনোনয়ন বাতিল রায় ঘোষণা করা হলে পরবর্তীতে উচ্চ আদালতে স্বতন্ত্র প্রাথী সাদিক আব্দুল্লাহর আপিল করে। ১৮ ডিসেম্বর প্রতীক বরাদ্ধের দিন অবকাশকালীন উচ্চ আদালত ( হাইকোর্ট) বেঞ্চ সাদিক আব্দুল্লাহর পক্ষে মনোনয়ন বৈধতা রয়েছে বলে আদেশ দিলে নৌকা প্রার্থীর পক্ষ থেকে পুনরায় আপত্তি জানিয়ে আপিল করলে সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা ফের বাতিল হয়।

বরিশাল সদর-৫ সংসদীয় আসনে অপর স্বতন্ত্রসহ ৫জন প্রার্থীর মাঝে প্রতীক বরাদ্দ দেওয়ার পর শুধু নৌকার প্রচারণা ছাড়া অন্য কোন দলের প্রার্থীরা প্রচার-প্রচারনায় মাঠে এখনও নামেনি। অন্যকোন প্রার্থীর কোন পোস্টার শহরে দেখা যায় নাই।

বরিশাল মহানগর যুবলীগ যুগ্ম আহবায়ক মাহমুদুল হক খান মামুন বলেন, যারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সহ আওয়ামী লীগকে ভালবাসেন তারাই নৌকা মার্কায় ভোট দেবেন। আমরা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের প্রত্যশা কামনা করছি আমাদের এখানে অন্য কোন বিরোধ নেই। এছাড়া আমরা কোন প্রতিহিংসা বা সহিংসতা কামনা করি না। এছাড়া আমরা নির্বাচনে অংশ নেয়া অপর ৫ প্রার্থীকে প্রতিদ্বন্দ্বী মনে করি।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *