ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ভোটার ৯৫ লাখ, ভোটকেন্দ্র ৩ হাজার ৭৭
ডেস্ক রিপোর্ট: ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ভোটার ৯৫ লাখ, ভোটকেন্দ্র ৩ হাজার ৭৭
ছবি: বার্তা ২৪.কম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার ২২২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭ টি।
ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (নির্বাচন) শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
বিভাগের মোট ২৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ২০২টি, যার মধ্যে বৈধ ১৫৪ টি মনোনয়নপত্র, বাতিল ৪৮টি এবং প্রত্যাহার করা হয় ২৫টি মনোনয়নপত্র। বিভাগের ২৪ টি সংসদীয় আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৩৪ জন।
এ বিভাগের চার জেলার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ১১ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ২ হাজার ৪৭০ জন, হিজড়া ভোটার ৩৫ জন এবং জেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৬০টি। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৬৭ জন।
জামালপুর জেলার ৫ টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬০ জন, মহিলা ভোটার ১০ লাখ ৩ হাজার ৩৯১, হিজড়া ভোটার ১৫ জন এবং মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬২০ টি। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন।
শেরপুর জেলায় ৩ টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ১ হাজার ৪২৫, মহিলা ভোটার ৬ লাখ ১৬ হাজার ৩২১, হিজড়া ভোটার ১৩ জন এবং স্থায়ী ৪২৩ টি ও ১ টি অস্থায়ীসহ মোট ৪২৪ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন।
এ বিভাগের অন্যতম জেলা নেত্রকোনার ৫টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৪ হাজার ৪০৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৭, মহিলা ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০, হিজড়া ভোটার ২৯ জন এবং এ জেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭৩ টি। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী সংখ্যা ২৬ জন।
এছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন উপলক্ষে এই বিভাগের চার জেলায় ১ জন করে মোট ৪ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ময়মনসিংহ জেলায় ১৫ জন, জামালপুর জেলায় ৭ জন, শেরপুর জেলায় ৫ জন, নেত্রকোনা জেলার ১০ জনসহ মোট ৩৭ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার রয়েছে।
ফেনীতে নৌকার প্রচারণায় শমী কায়সার- হারুন কিসিঞ্জার
ছবি: বার্তা ২৪.কম
ফেনীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি শমী কায়সার এবং জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা হারুন কিসিঞ্জার।
মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ফেনী-১ ও ফেনী-২ আসনে পৃথক পৃথক প্রচারণায় অংশ নেন তারা। এ সময় নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য ফেনীর সর্বোস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান তারা।
বিকেলে জেলার পরশুরাম ইউনিয়নের চিথলিয়া ইউনিয়নের শালধর মুহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নৌকার প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের সমর্থনে মহিলা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ফেনীর সন্তান অভিনেত্রী শমী কায়সার।
এসময় তিনি বলেন, এমন লোকই নৌকার মাঝি হওয়া দরকার, যার মানুষের জন্য উপকার করার মন আছে। এ আসনে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের ওই মন আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনাকে নৌকা মার্কা দিয়েছেন। উনি আসলে এই এলাকায় এমন উন্নয়ন হবে যা সারাদেশের মানুষ চেয়ে দেখবে। এমনটিই আমি বিশ্বাস করি।
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের মনোনয়ন পাননি তিনি।
একইদিন রাতে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে পৌর আওয়ামী লীগ। শহরের মাষ্টারপাড়ায় লমী হাজারী বাড়ির নির্বাচনী প্রচারণা মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন কৌতুক অভিনেতা হারুন কিসিঞ্জার।
নৌকার প্রচারণায় হারুন কিসিঞ্জার। এসময় তিনি বিভিন্ন কৌতুক পরিবেশনের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চান। এছাড়াও প্রচারণায় যোগ দেন আলোচিত ডিজে শিল্পী নাদিম সামি। তিনি তার গানের মাধ্যমে নৌকায় ভোট চান। অনুষ্ঠানে ফেনীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাটক, গান ও কবিতার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র পরিবেশন করেন।
এতে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লে.জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহম্মদ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আইনুল কবির শামীমসহ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।
;
সাভারে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা
ছবি: বার্তা ২৪.কম
আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুর রহমানের অনুসারী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।
সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুরে গেল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় সাভারের নামাগেন্ডা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
তৌহিদ জংয়ের অনুসারী নেতা-কর্মীরা জানান, সাভার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের নির্বাচনী প্রচরণার জন্য একটি অস্থায়ী কার্যালয় খোলা হয়। সোমবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে একটি নোহা ও একটি হায়েস গাড়িতে করে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাভারের সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবু ও পলাশের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যক্তি ওই কার্যালয়ের সামনে আসেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে।
পরে তারা কাতলাপুরে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও তৌহিদ জংয়ের সাভার পৌরসভার ৭৩টি কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবদুল হালিমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা করেন। হামলাকারীরা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড, তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। তারা সবাই নৌকার প্রার্থী এনামুর রহমানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত বলে জানান আবদুল হালিম।
এদিকে সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নামাগেন্ডা এলাকায় মোল্লা মার্কেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এ এন এম জিয়া উদ্দিন।
অভিযোগকারী এ এন এম জিয়া উদ্দিন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আবদুল মালেক কোম্পানি, বাবু, আনু, সুমনসহ ৪০-৫০ জন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে বের করে দিয়ে শাটার লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।
সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন জানান, দুটি ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ঢাকা ১৯ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, হামলা হয়েছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।
;
প্রার্থিতা ফিরে পেতে ফের চেম্বার আদালতে সাদিক আব্দুল্লাহ
ফাইল ছবি
বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আব্দুল্লাহ প্রার্থিতা ফেরত চেয়ে ফের আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেছেন। আবেদনে হাইকোর্টের আদেশে স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার চেয়েছেন তিনি। তার আইনজীবী খুরশীদ আলম খান গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সকালে সুপ্রিম কোর্টের সংশ্লিস্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়।
এর আগে হাই কোর্টে গিয়ে নিজের পক্ষে রায় পেলেও গতকাল মঙ্গলবার আপিল বিভাগে আটকে যায় সাদিক আব্দুল্লাহর প্রার্থিতা। মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছিল, আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম তা স্থগিত করে দেন।
পরে সাদিক আবদুল্লাহর আইনজীবী খুরশীদ আলম খান বলেন, চেম্বার কোর্ট বাতিল করেছে, এখন আমরা নিয়মিত লিভ টু আপিল করব।”
বরিশালের সাবেক মেয়র সাদিক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে পরে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন।
অন্যদিকে জাহিদ ফারুক মামলার বিষয়ে তথ্য গোপন করেছেন অভিযোগ তুলে তার প্রার্থিতা বাতিলের আপিল করেছিলেন সাদিক আব্দুল্লাহ। সেই আপিল নির্বাচন কমিশনে নামঞ্জুর করা হয়। ফলে জাহিদ ফারুকের প্রার্থিতা বহাল থাকে।
নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে এরপর হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন সাদিক।
সেই আবেদনের শুনানি করে সোমবার হাইকোর্টের বিচারপতি আবু তাহের সাইফুর রহমান ও বিচারপতি মো. বশির উল্লাহর বেঞ্চ বরিশাল-৫ আসনের এই স্বতন্ত্র প্রার্থীর প্রার্থিতা বৈধ ঘোষণা করে।
হাইকোর্টের ওই আদেশ স্থগিত চেয়ে এরপর আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে আবেদন করেন নৌকার প্রার্থী জাহিদ ফারুক শামীম। সেই আবেদনেই হাইকোর্টের রায় স্থগিত করে প্রার্থিতা বাতিক করে আপিল বিভাগ।
;
নৌকা না থাকলেও কপাল পুড়তে পারে জাপার প্রার্থীর
ছবি: সংগৃহীত
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জাতীয় পার্টিকে ছেড়ে দেওয়া ২৬ আসনের মধ্যে নীলফামারীতে দুটি আসনের মধ্যে নীলফামারী-৩ (জলঢাকা) আসনে জাতীয় পার্টির মনোনয়ন পেয়েছে বর্তমান সংসদ সদস্য রানা মোহাম্মদ সোহেল। অন্যদিকে এ আসনে হেভিওয়েট স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে লড়ছেন জাপার সাবেক নেতা কাজী ফারুক কাদের ও মার্জিয়া সুলতনা। এ আসনটিতে নৌকা না থাকলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন নৌকার প্রার্থীর স্ত্রী মার্জিয়া সুলতানা ও যুবলীগের কেন্দ্রীয় নেতা সাজ্জাম হোসেন পাভেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট হওয়ায় জাপার প্রার্থী ভোটে কিছুটা হিমশিম খাবে বলে মনে করছেন অনেকেই৷
আসনটিতে ২০১৮ সালের নির্বাচনে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয় রানা মোহাম্মদ সোহেল।
তিনি নির্বাচনী এলাকায় না থাকা। এলাকার অবকাঠামো উন্নয়ন না করায় নতুন নেতৃত্ব খুঁজছেন ভোটাররা। এতে করে কপাল পুড়তে পারে এ এমপির। জাপার এ প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে তৃনমুল বিএনপির খলিলুর রহমান, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির বাদশা আলমগীম, কাজী ফারুক কাদের, আবু সাঈদ শামীম ও হুকুম আলী খান, স্বতন্ত্র প্রার্থী মার্জিয়া সুলতানা ও সাদ্দাম হোসেন পাভেল ।
অপরদিকে নীলফামারী-৪ আসনে রয়েছেন বর্তমান সংসদ সদস্য আহসান আদেলুর রহমান আদেল। স্বতন্ত্র প্রার্থী হেভিওয়েট হওয়ায় ভোটের মাঠে জয়ী হওয়া নিয়ে রয়েছে শঙ্কা তারও। এরমধ্যে আসনটিতে নিজ দলের স্বতন্ত্র প্রার্থী ও আওয়ামী লীগের স্বতন্ত্র প্রার্থী পথের কাঁটা হয়ে উঠতে পারে বলে মনে করছেন অনেকেই।
তিনি ২০১৮ সালের নির্বাচনে এ আসন থেকে মহাজোটের প্রার্থী হিসেবে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
এবার নীলফামারি জেলা জাতীয় পার্টির সহসভাপতি সিদ্দিকুর আলম সিদ্দিকী লড়ছেন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে। অপরদিকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন না পেয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়েছেন মোকছেদুল মোমিন। আসনটিতে নৌকা না থাকায় ভোটে জয়ের আশা বুনছেন এ স্বতন্ত্র প্রার্থী। এতে ভোটে হিমশিম খেতে পারে জাপার এ প্রার্থী।
আসনটিতে জাপার প্রার্থীর প্রতিদ্বন্দ্বিতায় থাকবে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী আন্দোলনের এম সাজেদুল করিম , তৃনমুল বিএনপির ড. আব্দুল্লাহ আল নাসের , জাসদের আজিজুল হক , ন্যাশনাল পিপলস পার্টির আব্দুল হাই সরকার, স্বতন্ত্র প্রার্থী সিদ্দিকুর আলম সিদ্দিকী ও মোকছেদুল মোমিন ।
;
সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।