সারাদেশ

ভোটে অনিয়মের সঙ্গে ইসির কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

ডেস্ক রিপোর্ট: ভোটে অনিয়মের সঙ্গে ইসির কেউ জড়িত থাকলে ব্যবস্থা: ইসি আলমগীর

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে যদি নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কোনো কর্মকর্তা-কর্মচারী জড়িত থাকে তাহলে আরপিও অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনার মো. আলমগীর।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) দুপুরে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এসব কথা বলেন তিনি।

ভোটের অনিয়ম নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমরা দুই রকমের ব্যবস্থা নেব, একটি হলো কোথাও ব্যাপক অনিয়ম হলে সেখানে ভোট বন্ধ থাকবে, প্রয়োজনে ভোটকেন্দ্র বাতিল করা হবে, আবার ভোট হবে। সেইসঙ্গে অনিয়মের সাথে কোনো প্রার্থী, তার সমর্থকদের অপরাধ সংশ্লিষ্টতা পাওয়া গেলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। একই সঙ্গে ওই ভোট নেওয়ার ক্ষেত্রে আমাদের যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীরা জড়িত তাদের কোনো যোগাযোগ বা অবহেলা থাকলে আরপিও অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আগুন দেওয়াসহ নানান কর্মকাণ্ডে ভোটে প্রভাব পড়বে কিনা জানতে চাইলে ইসি আলমগীর বলেন, এটি একটি গণতান্ত্রিক দেশ, এখানে স্বাধীনভাবে যেমন নির্বাচনে অংশগ্রহণের অধিকার আছে তেমনি নির্বাচনে অংশগ্রহণ না করার অধিকারও আছে। কোন রাজনৈতিক দল যদি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে না চায় সেটা তাদের ইচ্ছা এবং রাজনৈতিক কৌশল হিসেবে তারা অংশগ্রহণ না করতে পারেন। একই সঙ্গে তারা ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে যেতে নিষেধও করতে পারেন সেটাও কোনো সমস্যা না। তবে তা শান্তিপূর্ণভাবে করতে হবে। কোন নাশকতা বা উসকানি দেওয়া, বিশৃঙ্খলা করা যাবে না।

তিনি জানান, বিশৃঙ্খলা করা আরপিও এবং আচরণবিধি অনুযায়ী অপরাধ। তাই নির্বাচন কমিশন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে সে অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে চিঠি দিয়েছি।

সহিংসতা ভোটে প্রভাব ফেলবে কিনা এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, সহিংসতা দু-একটি ক্ষেত্রে বলা যায়। এটাকে যদি পার্সেন্টেজের মাত্রায় বলেন, তাহলে এটার মাত্রা একেবারেই নগণ্য। যেটা করছে খুবই বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটাচ্ছে। আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে গোয়েন্দা বিভাগ অত্যন্ত তৎপর। তারা তথ্য বিভিন্ন জায়গা থেকে নিচ্ছেন। নাশকতার কেউ চেষ্টা করছে কিনা সে ব্যাপারে তারা অত্যন্ত সজাগ। তারা যখন খবর পাচ্ছে সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে জানাচ্ছে। এবং আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নিচ্ছে। যাদের ধরা হচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

নির্বাচনের পর স্মার্ট এনআইডি বিতরণের সিদ্ধান্ত

ছবি: বার্তা২৪.কম

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোট গ্রহণের পর উন্নতমানের জাতীয় পরিচয়পত্র বা স্মার্টকার্ড বিতরণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। সম্প্রতি ইসির মাসিক সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। ইতিমধ্যে নির্বাচন কমিশন সচিব মো. জাহাংগীর আলম এনআইডি অণুবিভাগকে সিদ্ধান্তটি বাস্তবায়নের জন্য নির্দেশনাও দিয়েছেন।

এর আগে নির্বাচনের কার্যক্রম চলমান থাকায় গত পহেলা নভেম্বর থেকে নির্বাচন শেষ হওয়া পর্যন্ত স্মার্ট কার্ড বিতরণ কার্যক্রম স্থগিত রাখা হয়।

এই বিষয়ে জাতীয় পরিচয়পত্র নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক (এনআইডি) এ কে এম হুমায়ুন কবীর বলেন, সম্পূরক ভোটার তালিকা মাঠ পর্যায়ে খুব শীঘ্রই প্রদান করা হবে। প্রাপ্ত তালিকা মাঠ পর্যায় থেকে যাচাই-বাছাইপূর্বক সঠিক আছে কিনা তা জানিয়ে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা কমিশনকে অবহিত করবেন।

তিনি আরও জানান, ভোটার তালিকা আইন অনুযায়ী; ২০২৪ সালের হালনাগাদকৃত খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। জাতীয় সংসদ নির্বাচন চলমান থাকায় কমিশনের অনুমোদন নিয়ে যথা সময়ে খসড়া ভোটার তালিকা প্রকাশ করতে হবে। তবে, খসড়া ভোটার তালিকা যাচাই-বাছাই করে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে চূড়ান্ত হবে। মাঠ পর্যায়ে সংরক্ষিত অবিতরণকৃত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পরপরই বিতরণের উদ্যোগ নেওয়া হবে।

ইসির সর্বশেষ হালনাগাদ অনুযায়ী, দেশে ভোটার সংখ্যা ১১ কোটি ৯৬ লাখ ৯১ হাজার ৬৩৩ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ কোটি ৭ লাখ ৭১ হাজার ৫৭৯ জন এবং নারী ভোটার ৫ কোটি ৮৯ লাখ ১৯ হাজার ২০২ জন। আর হিজড়া ভোটার রয়েছেন ৮৫২ জন। এদের মধ্যে প্রায় সাড়ে ১১ কোটি স্মার্ট কার্ড ছাপিয়েছে ইসি। বিতরণ বাকি রয়েছে এক কোটির মতো।

;

ময়মনসিংহ বিভাগে মোট ভোটার ৯৫ লাখ, ভোটকেন্দ্র ৩ হাজার ৭৭

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ বিভাগের চার জেলায় মোট ভোটার সংখ্যা ৯৫ লাখ ৬৫ হাজার ২২২ জন। মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৩ হাজার ৭৭ টি।

ময়মনসিংহ আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তার কার্যালয়ের অতিরিক্ত আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা (নির্বাচন) শেখ মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

বিভাগের মোট ২৪টি সংসদীয় আসনের মধ্যে দাখিলকৃত মনোনয়নপত্রের সংখ্যা ২০২টি, যার মধ্যে বৈধ ১৫৪ টি মনোনয়নপত্র, বাতিল ৪৮টি এবং প্রত্যাহার করা হয় ২৫টি মনোনয়নপত্র। বিভাগের ২৪ টি সংসদীয় আসনের মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৩৪ জন।

এ বিভাগের চার জেলার মধ্যে ময়মনসিংহ জেলার ১১ সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪ লাখ ৪৩ হাজার ৯১ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ৪০ হাজার ৫৮৬ জন, মহিলা ভোটার সংখ্যা ২২ লাখ ২ হাজার ৪৭০ জন, হিজড়া ভোটার ৩৫ জন এবং জেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ১৩৬০টি। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ৬৭ জন।

জামালপুর জেলার ৫ টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৯৯ হাজার ৯৬৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৯৬ হাজার ৫৬০ জন, মহিলা ভোটার ১০ লাখ ৩ হাজার ৩৯১, হিজড়া ভোটার ১৫ জন এবং মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬২০ টি। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ২৬ জন।

শেরপুর জেলায় ৩ টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৯ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৬ লাখ ১ হাজার ৪২৫, মহিলা ভোটার ৬ লাখ ১৬ হাজার ৩২১, হিজড়া ভোটার ১৩ জন এবং স্থায়ী ৪২৩ টি ও ১ টি অস্থায়ীসহ মোট ৪২৪ টি ভোটকেন্দ্র রয়েছে। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর সংখ্যা ১৫ জন।

এ বিভাগের অন্যতম জেলা নেত্রকোনার ৫টি সংসদীয় আসনে মোট ভোটার সংখ্যা ১৯ লাখ ৪ হাজার ৪০৬ জন। যার মধ্যে পুরুষ ভোটার ৯ লাখ ৬৬ হাজার ৯৮৭, মহিলা ভোটার ৯ লাখ ৩৭ হাজার ৩৯০, হিজড়া ভোটার ২৯ জন এবং এ জেলায় মোট ভোটকেন্দ্রের সংখ্যা ৬৭৩ টি। বর্তমানে জেলায় মোট প্রতিদ্বন্দ্বী সংখ্যা ২৬ জন।

এছাড়াও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন ‍উপলক্ষে এই বিভাগের চার জেলায় ১ জন করে মোট ৪ জন রিটার্নিং অফিসার এবং ময়মনসিংহ জেলায় ১৫ জন, জামালপুর জেলায় ৭ জন, শেরপুর জেলায় ৫ জন, নেত্রকোনা জেলার ১০ জনসহ মোট ৩৭ জন সহকারী রিটার্নিং অফিসার রয়েছে।

;

ফেনীতে নৌকার প্রচারণায় শমী কায়সার- হারুন কিসিঞ্জার

ছবি: বার্তা ২৪.কম

ফেনীতে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ প্রার্থীদের প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই’র সহ-সভাপতি শমী কায়সার এবং জনপ্রিয় কৌতুক অভিনেতা হারুন কিসিঞ্জার।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) ফেনী-১ ও ফেনী-২ আসনে পৃথক পৃথক প্রচারণায় অংশ নেন তারা। এ সময় নৌকা প্রতীকে ভোট দেয়ার জন্য ফেনীর সর্বোস্তরের মানুষের প্রতি আহবান জানান তারা।

বিকেলে জেলার পরশুরাম ইউনিয়নের চিথলিয়া ইউনিয়নের শালধর মুহাম্মদ আলী উচ্চ বিদ্যালয়ে নৌকার প্রার্থী আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের সমর্থনে মহিলা সমাবেশের আয়োজন করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দেন ফেনীর সন্তান অভিনেত্রী শমী কায়সার।

এসময় তিনি বলেন, এমন লোকই নৌকার মাঝি হওয়া দরকার, যার মানুষের জন্য উপকার করার মন আছে। এ আসনে আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিমের ওই মন আছে বলেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উনাকে নৌকা মার্কা দিয়েছেন। উনি আসলে এই এলাকায় এমন উন্নয়ন হবে যা সারাদেশের মানুষ চেয়ে দেখবে। এমনটিই আমি বিশ্বাস করি।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-৩ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে চেয়েছিলেন এ অভিনেত্রী। আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়নও সংগ্রহ করেছিলেন। কিন্তু নির্বাচনের মনোনয়ন পাননি তিনি।

একইদিন রাতে ফেনী-২ আসনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী নিজাম উদ্দিন হাজারীর নির্বাচনী প্রচারের অংশ হিসেবে সাংস্কৃতিক সন্ধ্যার আয়োজন করে পৌর আওয়ামী লীগ। শহরের মাষ্টারপাড়ায় লমী হাজারী বাড়ির নির্বাচনী প্রচারণা মঞ্চে সাংস্কৃতিক পরিবেশনায় অংশ নেন কৌতুক অভিনেতা হারুন কিসিঞ্জার।

নৌকার প্রচারণায় হারুন কিসিঞ্জার। এসময় তিনি বিভিন্ন কৌতুক পরিবেশনের পাশাপাশি সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র তুলে ধরে নৌকা মার্কায় ভোট চান। এছাড়াও প্রচারণায় যোগ দেন আলোচিত ডিজে শিল্পী নাদিম সামি। তিনি তার গানের মাধ্যমে নৌকায় ভোট চান। অনুষ্ঠানে ফেনীর বিভিন্ন সাংস্কৃতিক সংগঠন নাটক, গান ও কবিতার মাধ্যমে বর্তমান সরকারের বিভিন্ন উন্নয়নচিত্র পরিবেশন করেন।

এতে উপস্থিত ছিলেন ফেনী-৩ আসনের জাতীয় পার্টির প্রার্থী লে.জেনারেল মাসুদ উদ্দিন চৌধুরী, জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট হাফেজ আহম্মদ, পৌর আওয়ামী লীগ সভাপতি আইনুল কবির শামীমসহ, আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ।

;

সাভারে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা

ছবি: বার্তা ২৪.কম

আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-১৯ (সাভার-আশুলিয়া) আসনে দুই স্বতন্ত্র প্রার্থীর অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে আওয়ামী লীগের প্রার্থী এনামুর রহমানের অনুসারী নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে। দুটি ঘটনায় সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করা হয়েছে।

সাভার পৌর এলাকার ভাগলপুরে গেল সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য তালুকদার তৌহিদ জং মুরাদের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় গতকাল মঙ্গলবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে সাভার মডেল থানায় অভিযোগ করেছেন। এছাড়া সোমবার সন্ধ্যায় সাভারের নামাগেন্ডা এলাকায় স্বতন্ত্র প্রার্থী আশুলিয়া থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।

তৌহিদ জংয়ের অনুসারী নেতা-কর্মীরা জানান, সাভার পৌরসভার ৬ নং ওয়ার্ডে স্বতন্ত্র প্রার্থী তালুকদার মো. তৌহিদ জং মুরাদের নির্বাচনী প্রচরণার জন্য একটি অস্থায়ী কার্যালয় খোলা হয়। সোমবার রাত আনুমানিক তিনটার দিকে একটি নোহা ও একটি হায়েস গাড়িতে করে সাভার সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মাজহারুল ইসলাম রুবেল, সাভারের সাবেক ছাত্রদল নেতা বাবু ও পলাশের নেতৃত্বে ১৫-২০ জন ব্যক্তি ওই কার্যালয়ের সামনে আসেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে ব্যানার ছিড়ে ফেলে এবং কয়েকটি চেয়ার ও টেবিল ভাঙচুর করে।

পরে তারা কাতলাপুরে সাভার পৌর আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও তৌহিদ জংয়ের সাভার পৌরসভার ৭৩টি কেন্দ্র পরিচালনার দায়িত্বে থাকা আবদুল হালিমের ব্যক্তিগত কার্যালয়ে হামলা করেন। হামলাকারীরা কার্যালয়ের সাইনবোর্ড, তিনটি সিসিটিভি ক্যামেরা ভাঙচুর করেন। তারা সবাই নৌকার প্রার্থী এনামুর রহমানের সমর্থক হিসেবে পরিচিত বলে জানান আবদুল হালিম।

এদিকে সাভার পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের নামাগেন্ডা এলাকায় মোল্লা মার্কেটে স্বতন্ত্র প্রার্থী সাইফুল ইসলামের অস্থায়ী নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলার অভিযোগ উঠেছে নৌকার কর্মী-সমর্থকদের বিরুদ্ধে। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন এ এন এম জিয়া উদ্দিন।

অভিযোগকারী এ এন এম জিয়া উদ্দিন জানান, সোমবার সন্ধ্যায় আবদুল মালেক কোম্পানি, বাবু, আনু, সুমনসহ ৪০-৫০ জন আমাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেন। পরে তারা কার্যালয়ে হামলা চালিয়ে আমাকে বের করে দিয়ে শাটার লাগিয়ে দেন। এ ঘটনায় সাভার মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়া হয়েছে।

সাভার মডেল থানার পরিদর্শক (অপারেশন) নয়ন কারকুন জানান, দুটি ঘটনায় পৃথক দুটি অভিযোগ এসেছে। তদন্ত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে ঢাকা ১৯ আসনের সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, হামলা হয়েছে এ ধরনের কোনো অভিযোগ এখনো পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *