খেলার খবর

১৬৯ রান করে স্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞ সৌম্য

ডেস্ক রিপোর্ট: হতাশার কালো মেঘ কেটে গেছে। নতুন সূর্যের দেখা পেয়েছেন সৌম্য সরকার। সেই সূর্যকিরণে তার ব্যাট জ্বলে উঠেছে। বিদেশ-বিভূঁইয়ে সৌম্য খেলেছেন ১৬৯ রানের এক দুর্দান্ত ইনিংস। দারুণ ব্যাটিং পারফরম্যান্সের পর ধন্যবাদ দিয়েছেন পরিবারকে, স্ত্রীর প্রতিও ছিল তার বিশেষ কৃতজ্ঞতা।

সৌম্যর এমন ইনিংসের দিনেও অবশ্য কিউইদের মাঠে বাংলাদেশের হারের ধারায় ছেদ পড়েনি। আগে ব্যাট করে ২৯১ রান করেও ৭ উইকেটে হারতে হয়েছে ম্যাচ।

তবে বিদেশের মাটিতে দেশের হয়ে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ ইনিংস খেলার পর সৌম্যের চেহারায় তবু আনন্দ খেলে যাচ্ছিল। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ট্রলিং, দল থেকে বাদ পড়া – সবমিলিয়ে লম্বা একটা সময় যেন তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে ইতিবাচক কিছুই হচ্ছিল না। এমনকি এই সিরিজে তার সুযোগ পাওয়া নিয়েও যৌক্তিকভাবে প্রশ্ন উঠেছিল, যেহেতু ঘরোয়া ক্রিকেটে তার আহামরি কোনো পারফরম্যান্স ছিল না।

সৌম্য তাই ম্যাচশেষে তাদেরকেই ধন্যবাদ দিয়েছেন যারা ওই দুঃসময়ে তার পাশে থেকেছেন, ‘সবকিছুর আগে আমি ধন্যবাদ দেবো আমার পরিবারকে, আমার স্ত্রীকে। সবকিছুতে সমর্থন করার জন্য। আমার সতীর্থরা তো আছেই। যতটুকু অনুশীলন করার সুযোগ পাচ্ছি, ব্যাটিং করছি; সেও অনেক সমর্থন করেছে।’

দুঃসময়ে নিজের চারপাশ থেকে নেতিবাচক মানুষদের এড়িয়ে চলেছেন সৌম্য। থাকতে যারা একটা সুন্দর ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছেন, যাদের চিন্তাভাবনায় প্রাধান্য পায় ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি। সৌম্যের ভাষায়, ‘যে ইতিবাচক কথা বলে আমি তার সঙ্গেই থাকি।’ 

জাতীয় দল থেকে মাঝে অনেকটা দূরে সরে গিয়েছিলেন। বলা ভালো, সরিয়ে দেয়া হয়েছিল। কারণ তার ব্যাট যে মুখে কুলুপ এঁটেছিল। এই ম্যাচের আগে সর্বশেষ পাঁচ ইনিংসে তিনবার তাকে সাজঘরের পথ ধরতে হয়েছে রানের খাতা না খুলেই। তবে সৌম্য এই বাজে সময়ের পরও ক্রিকেটকেই নিজের ধ্যান-জ্ঞান করেছেন, লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হননি এতটুকু, ‘ভালো-খারাপ ক্রিকেটে থাকবেই। কিন্তু খারাপ খেললে তো ক্রিকেট ছেড়ে চলে যেতে পারব না। যেহেতু আমি ক্রিকেট খেলোয়াড়। ক্রিকেটের জন্যই এতদূর আসা। পরিশ্রম করছি ক্রিকেটের জন্যই। সুতরাং ক্রিকেট নিয়েই বেশি চিন্তা।’

সে চিন্তা, সে পরিশ্রমের ফলটাই আজ ধরা দিলো সৌম্য সরকারের কাছে। এখন এই সাফল্যের মেয়াদ দীর্ঘ করাটাই তার সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪ ডট কম-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *