সারাদেশ

ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : জেলেনস্কি

ডেস্ক রিপোর্ট: ইউক্রেনের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না যুক্তরাষ্ট্র : জেলেনস্কি

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। ছবি : সংগৃহীত

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি আস্থা প্রকাশ করেছেন যে, যুক্তরাষ্ট্র এবং অন্যান্য পশ্চিমা দেশগুলো রাশিয়ার আক্রমণ প্রতিহত করার যুদ্ধে ইউক্রেনের সমর্থন অব্যাহত রাখবে।

বছরের শেষ সংবাদ সম্মেলনে মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) বক্তৃতাকালে জেলেনস্কি বলেন, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউক্রেনে ঢোকা রাশিয়া বাহিনীকে ফেরত পাঠানোর জন্য দেশটির প্রচেষ্টায় আর্থিক সহায়তা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

আল-জাজিরা জানিয়েছে, জেলেনস্কি তার বক্তৃতায় লড়াইয়ে যোগ দেওয়ার জন্য আরও ৫ লাখ ইউক্রেনীয়কে একত্রিত হওয়ারও আহ্বান জানান।

জেলেনস্কি বলেন, ‘আমরা এটির জন্য খুব কঠোর পরিশ্রম করছি এবং আমি নিশ্চিত যে, যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করবে না। যে বিষয়ে আমরা ও যুক্তরাষ্ট্রে একমত হয়েছি, তা সম্পূর্ণরূপে পূরণ হবে।’

জেলেনস্কি এমন সময় বক্তৃতাটি দিলেন যখন যুক্তরাষ্ট্রের কনজারভেটিভরা ক্রমাগত সহায়তার বিষয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে এবং ইউক্রেনের জন্য একটি মার্কিন সহায়তা প্যাকেজ আটকে গেছে।

এদিকে মার্কিন সিনেটের নেতারা মঙ্গলবার বলেছেন যে, প্যাকেজটি নতুন বছরের আগে বরাদ্দের কোনও সম্ভাবনা নেই।

অন্যদিকে, রাশিয়ার আক্রমণ ইউক্রেনীয় শহরগুলিকে ধ্বংস করেছে এবং লাখ লাখ মানুষকে বাস্তুচ্যুত করেছে।

জাতিসংঘের হিসাব মতে, রাশিয়ার হামলায় ইউক্রেনে এ পর্যন্ত কমপক্ষে ১০ হাজার বেসামরিক নাগরিকের মৃত্যু হয়েছে।

জোহরবারুতে ভুয়া ওয়ার্কপারমিট চক্রের ২ বাংলাদেশি আটক

ভুয়া ওয়ার্কপারমিট চক্রের ২ বাংলাদেশি আটক

মালয়েশিয়ায় ভুয়া ওয়ার্ক পারমিট তৈরি করে অভিবাসী শ্রমিকদের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছিল একটি চক্র। মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) জোহরবারু ইমিগ্রেশনের এক অভিযানে চক্রের তিন সদস্যকে আটক করা হয়। যার মধ্যে রয়েছেন দুই জন বাংলাদেশি ও একজন মিয়ানমারের নাগরিক।

মালয়েশিয়ায় সব শ্রমিককে নিবন্ধনের আওতায় আনতে চলছে ওয়ার্কফোর্স রিকালিব্রেসন প্রোগ্রাম (আরটিকে) ২.০। এই আরটিকে২.০ তে নিবন্ধন এবং ফ্লাইং পাসপোর্টের কথা বলে অভিবাসীদের কাছ থেকে অর্থ আত্মসাৎ করে এই চক্র।

প্রাদেশিক ইমিগ্রেশন পরিচালক বাহারুদ্দিন তাহির বুধবার (২০ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জোহরবারু ইমিগ্রেশন বিভাগে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানান, আটককৃত ২ বাংলাদেশি ও মিয়ানমারের নাগরিকের বয়স ২০ বছর। জোহরবারুর তাপোই এলাকায় অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার দুপুরে তাদের আটক করা হয়।

তিনি বলেন, এই চক্রটি গত বছর থেকেই এভাবে প্রতারণা করে আসছিল। প্রতিটি আবেদনের জন্য তারা অভিবাসীদের কাছ থেকে ৬ হাজার ৫০০ রিঙ্গিত বা প্রায় ১ লাখ ৩০ হাজার টাকা করে নিতো।

অভিযানে একটি কালো লেক্সাস আরএক্স গাড়ি, তিনজন বাংলাদেশি ও ১ জন ইন্দোনেশিয়ান নাগরিকের পাসপোর্ট, একটি ল্যাপটপ, আরটিকে ২.০ এর ডাটা সম্বলিত একটি এক্সটার্নাল হার্ডডিস্ক, একটি মোবাইল এবং ২ হাজার ৫৮ রিঙ্গিত বা প্রায় ৪০ হাজার টাকা জব্দ করা হয় বলে জানান তিনি।

পাসপোর্ট অ্যাক্ট ১৯৬৬ এর ধারা ১২ (১)(এফ) এবং ইমিগ্রেশন অ্যাক্ট ১৯৫৯/৬৩ এর ধারা ৬(১), ৫৫ই এবং ৫৬ (১এ)(সি) এর অধীনে অপরাধের তদন্ত শুরু হয়েছে বলে জানান বাহারুদ্দিন।

তিনি আরও জানান, গত এক মাস ধরেই এই চক্রটিকে ধরতে অনুসন্ধান চালাচ্ছিল ইমিগ্রেশন বিভাগ। আরটিকে২.০ প্রোগ্রামে নিবন্ধনের জন্য সরকার কোন তৃতীয় পক্ষকে দায়িত্ব দেয়নি। প্রবাসীরা যেন এসব প্রতারণার ফাঁদে না পড়েন।

;

স্বামীকে হত্যার দায়ে বাল্যবধূকে ফাঁসিতে ঝুলালো ইরান

সংগৃহীত প্রতীকী ছবি।

স্বামীকে হত্যার দায়ে দোষী সাব্যস্ত এক বাল্যবধূকে বুধবার (২০ ডিসেম্বর) ফাঁসি দিয়েছে ইরান।

একটি মানবাধিকার গ্রুপ বলেছে, ক্ষমার জন্য একটি আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টাকে অস্বীকার করেছে তেহরান।

নরওয়েভিত্তিক ইরান হিউম্যান রাইটস (আইএইচআর) গ্রুপ জানিয়েছে, সামিরা সাবজিয়ান নামের ওই বাল্যবধূ গত এক দশক ধরে কারাগারে ছিলেন।

তেহরানের স্যাটেলাইট শহর কারাজের গেজেল হেসার কারাগারে বুধবার ভোরে তার মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়।

আইএইচআর জানিয়েছে, বাল্যবধূ সামিরা সাবজিয়ান ১৫ বছর বয়সে বিয়ে করেছিলেন। তার আত্মীয়দের মতে তিনি পারিবারিক সহিংসতার শিকার হয়েছিলেন।

রয়টর্সি জানিয়েছে, ১০ বছর আগে যখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল এবং তারপরে তাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

আইএইচআর জানিয়েছে, তার দুটি সন্তান ছিল। কিন্তু, ফাঁসির আগে তাদের সঙ্গে সামিরাকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি।

আইএইচআর পরিচালক মাহমুদ-আমিরি মোগদ্দাম বলেন, ‘সামিরা বহু বছর ধরে লিঙ্গ বর্ণবৈষম্য, বাল্যবিবাহ এবং গার্হস্থ্য সহিংসতার শিকার হয়েছেস এবং আজ সে অযোগ্য ও দুর্নীতিবাজ শাসনের হত্যার যন্ত্রের শিকার হয়েছেন।’

এ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের মতে, ইরানে শুধুমাত্র নভেম্বরেই অন্তত ১১৫ জনকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে।

অ্যামনেস্টি ইরানকে মৃত্যুদণ্ড কার্যকর না করার আহ্বান জানিয়ে বলেছিল, ‘দেশটির কর্তৃপক্ষ একটি ভয়াবহ রাষ্ট্র-অনুমোদিত হত্যাকাণ্ড বাস্তবায়ন করছে।’

ব্রিটিশ সরকারও ইরানকে সামিরার জীবন বাঁচানোর আহ্বান জানিয়েছিল।

ব্রিটেনের জুনিয়র পররাষ্ট্রমন্ত্রী তারিক আহমেদ গত মঙ্গলবার গভীর রাতে এক্সে বলেছেন, ‘সামিরা বাল্যবিবাহের শিকার। ইরানকে অবশ্যই নারী ও মেয়েদের প্রতি তার ভয়ঙ্কর আচরণ বন্ধ করতে হবে।’

আইএইচআরের মতে, চলতি বছর ইরানে সামিরা সাবজিয়ানসহ ১৮ জন নারীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয়েছে।

;

যুদ্ধবিরতির আলোচনার জন্য মিশরে হামাস প্রধান

হামাস নেতাদের সঙ্গে ইসমাইল হানিয়াহ। ছবি : সংগৃহীত

ইসরায়েল এবং হামাসের মধ্যকার যুদ্ধে আরেকটি যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি মুক্তি চুক্তির দিকে অগ্রসর হতে আলোচনার জন্য বুধবার (২০ ডিসেম্বর) মিশর পৌঁছেছেন হামাসের নেতা ইসমাইল হানিয়াহ।

হামাস এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ‘গাজা উপত্যকায় আগ্রাসন বন্ধ এবং অন্যান্য বিষয়ে আলোচনার জন্য কায়রোতে পা রেখেছেন হামাস প্রধান।’

হামাস ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, বন্দীদের মুক্তির জন্য একটি চুক্তি প্রস্তুত করে আগ্রাসন এবং যুদ্ধ বন্ধ করার বিষয়ে আলোচনার জন্য মিশরের গোয়েন্দা প্রধানের সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে হামাস প্রধানের।

উল্লেখ্য, হানিয়াহ এর আগে কাতারে ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হোসেইন আমির আবদুল্লাহিয়ানের সঙ্গে সাক্ষাত করেছিলেন।

ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু মঙ্গলবার গভীর রাতে এখনও জিম্মি দশায় থাকা ১২৯ জিম্মির পরিবারকে বলেছেন, ‘আমাদের জিম্মিদের মুক্ত করার জন্য আমি মোসাদ প্রধানকে দুইবার ইউরোপে পাঠিয়েছি। আমি এই বিষয়ে কোনও প্রচেষ্টাই ছাড়বো না এবং আমাদের দায়িত্ব তাদের সবাইকে ফিরিয়ে আনা।’

এদিকে মার্কিন সংবাদ সাইট অ্যাক্সিওস গত সোমবার জানিয়েছে, মোসাদ প্রধান ডেভিড বার্নিয়া ইউরোপে সিআইএ পরিচালক বিল বার্নস এবং কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আবদুল রহমান আল থানির সঙ্গে দেখা করেছেন।

গত নভেম্বরে এক সপ্তাহব্যাপী যুদ্ধবিরতি এবং জিম্মি-বন্দী বিনিময়ের আলোচনায় সাহায্য করেছিল কাতার, মিশর এবং যুক্তরাষ্ট্র। যার ফলে ২৪০ ফিলিস্তিনি বন্দীর বিনিময়ে ৮০ জন ইসরায়েলি জিম্মি মুক্তি পেয়েছিল।

অ্যাক্সিওস গত মঙ্গলবার জানিয়েছে, ইসরায়েল হামাসের হাতে আটক তিন ডজনেরও বেশি জিম্মির মুক্তির বিনিময়ে গাজায় কমপক্ষে এক সপ্তাহের জন্য যুদ্ধ বিরতির প্রস্তাব দিয়েছে।

;

পরীক্ষা শেষ হতে ৯০ সেকেন্ড বাকি, খাতা নেওয়ায় শিক্ষার্থীদের মামলা

ছবি: সংগৃহীত

পরীক্ষার নির্ধারিত সময় শেষ হতে বাকি ৯০ সেকেন্ড, কিন্তু তার আগেই শিক্ষার্থীদের খাতা নিয়ে নিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এমন ঘটনার জন্য শিক্ষার্থীরা সরকারের বিরুদ্ধে আদালতের দারস্থ হয়েছেন। শুধু তাই নয় সময়ের আগে খাতা নেওয়ার কারণে জরিমানা হিসেবে— প্রত্যেককে ১৫ হাজার ৪০০ ডলার দেওয়ার দাবি জানিয়েছে। যা তাদের আগামী একবছর পড়াশুনা করে পরীক্ষা দিতে এ পরিমাণ অর্থ খরচ হবে। 

এমন ঘটনা ঘটেছে দক্ষিণ কোরিয়ায় একটি কলেজে ভর্তি পরীক্ষার সময়। ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।

গণমাধ্যমটি জানায়, মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) দক্ষিণ কোরিয়ার ৩৯ জন শিক্ষার্থী তাদের কলেজের ভর্তি পরীক্ষা নির্ধারিত সময়ের ৯০ সেকেন্ড আগে শেষ হওয়ার অভিযোগে সরকারের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। দেশটির একটি কলেজে ভর্তি পরীক্ষার সময় এমন ঘটনা ঘটেছে। এই পরীক্ষাটি বিশ্বের সবচেয়ে কঠিন পরীক্ষার একটি। “সুনেউং” নামে পরিচিত এই পরীক্ষাটি বিভিন্ন বিষয়ের উপর আট ঘন্টার একটি দীর্ঘ পরীক্ষা।

প্রতিবেদনে আরও জানানো হয়, সময়ের আগে খাতা নেওয়ার সময় শিক্ষার্থীরা তাৎক্ষণিকভাবে সুপারভাইজারদের কাছে বিষয়টি উত্থাপন করা সত্ত্বেও তাদের কাগজপত্র কেড়ে নেওয়া হয়। তাদের অভিযোগ, প্রথম বিষয়ের পরীক্ষার নির্দিষ্ট সময় শেষ হওয়ার আগেই রাজধানী সিউলের একটি পরীক্ষা কেন্দ্রের বেল (ঘণ্টা) বেজে ওঠে।

এই পরীক্ষা শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি, চাকরি এমনকি ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়টিও নির্ধারণ করে থাকে। শিক্ষার্থীরা যেন নির্বিঘ্নে পরীক্ষা দিতে পারেন— সেজন্য পরীক্ষার সময় দক্ষিণ কোরিয়ার আকাশসীমা বন্ধ করে দেওয়া হয়। এছাড়া শেয়ার বাজারের কার্যক্রমও দেরিতে শুরু হয়।

শিক্ষকরা পরবর্তীতে নিজেদের ভুল বুঝতে পারেন। পরে তারা মধ্যাহ্ন বিরতির সময় দেড় মিনিট বেশি সময় দেন। কিন্তু ওই সময় শিক্ষার্থীরা শুধুমাত্র খালি কলামগুলোতে দাগ দেওয়ার সুযোগ পান। পূর্বে দেওয়া উত্তর পরিবর্তন করার সুযোগ দেওয়া হয়নি তাদের।

দেশটির ইয়োনহাপ নিউজ এজেন্সির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে এতটাই বিরক্ত ছিল যে তারা পরীক্ষার বাকি অংশে মনোযোগ দিতে পারেনি। কেউ কেউ আবার পরীক্ষা না দিয়েই বাড়ি চলে গেছে।

শিক্ষার্থীদের আইনজীবী কিম উ-সুক স্থানীয় গণমাধ্যমকে বলেছেন, এমন বিষয়ের জন্য কর্তৃপক্ষ তাদের কাছে ক্ষমা চাননি।

পরীক্ষার সময়ের বেল (ঘণ্টা) আগে বাজার ঘটনা দক্ষিণ কোরিয়ায় আগেও ঘটেছে এবং শিক্ষার্থীরাও আদালতের দারস্থ হয়েছেন। ২০২১ সালে একবার এমনটি হয়েছিল। শিক্ষার্থীরা এ বিষয়ে আদালতে গেলে, এ বছরের এপ্রিলে তাদের প্রত্যেককে ৫ হাজার ২৫০ ডলার জরিমানা দেওয়ার নির্দেশ দেন আদালত।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *