সারাদেশ

মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডে ১৫ বাংলাদেশি আটক

ডেস্ক রিপোর্ট: মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে থাইল্যান্ডে ১৫ বাংলাদেশি আটক

ছবি: সংগৃহীত

অবৈধ পথে থাইল্যান্ড থেকে মালয়েশিয়া যাওয়ার পথে সীমান্তে ১৫ জন বাংলাদেশি আটক হয়েছেন। তারা সকলেই কম্বোডিয়া থেকে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করেছিলেন।

থাইল্যান্ডের দক্ষিণ প্রদেশের রাত্তাফুম জেলায় এক চেক পোস্টে আটক হন ১৫ জন বাংলাদেশি এবং থাই গাড়ির চালক। আটককৃতরা কাজের জন্য অবৈধভাবে সীমান্ত পাড়ি দিয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।

গত মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল ১১ টায় রাত্তাফুম জেলার সাউথ-বাউন্ড এশিয়ান হাইওয়ে-২ এর তামবোন খুয়ান রু এলাকার চেকপোস্টে এই অবৈধ অভিবাসীদের আটক করা হয়।

সংখলা ইমিগ্রেশন বিভাগের পরিচালক পল লে. ক. ফংসিরি ফিটাক জানান, গাড়িটিকে থামানোর পর তার ভেতর ১৫ জন বাংলাদেশিকে পাওয়া যায়। গাড়ির ভেতর একটা তারপলিনের নিচে তারা লুকিয়ে ছিলেন।

থাই গাড়িচালক সাইফা চিন্নাকেতকে (২৮) গ্রেফতার এবং বাংলাদেশিদের আটক করা হয়েছে।

জিজ্ঞাসাবাদে থাই চালক সাইফা জানান, ১৫ জন বাংলাদেশিকে চাচোয়েংসাও থেকে সংখলায় নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এই পরিবহনের জন্য জনপ্রতি ২ হাজার বাথ, যা বাংলা টাকায় ৭ হাজার করে পেয়েছেন তিনি৷ এই যাত্রীরা কম্বোডিয়ার সা-কায়ো সীমান্ত দিয়ে প্রবেশ করেছেন। তাদেরকে মালয়েশিয়া পৌঁছে দেয়া হবে বলে দুই দেশের সীমান্তের কর্মকর্তাদের যোগসাজসে থাইল্যান্ডে প্রবেশ করানো হয়।

অনুপ্রবেশকারীরা মানবপাচারকারীদের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে ১ লাখ ২০ হাজার বাথ, বাংলা টাকা প্রায় সাড়ে ৪ লাখ দিয়ে মালয়েশিয়া যাচ্ছিলেন।

আটককৃতদের অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে রাত্তাফুম জেলার পুলিশ কাস্টডিতে রাখা হয়েছে। 

গাজায় প্রাণহানি ২০ হাজার ছাড়াল

ছবি: আল জাজিরা

ইসরায়েলি বাহিনীর অনবরত হামলায় গত ৭ অক্টোবর থেকে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায় নিহতের সংখ্যা ২০ হাজার ছাড়িয়েছে। গাজার সরকারি মিডিয়া অফিস জানিয়েছে, নিহতদের মধ্যে অন্তত ৮,০০০ শিশু এবং ৬,২০০ নারী রয়েছেন।

বুধবার (২০ ডিসেম্বর) সবশেষ মিশরের সীমান্তবর্তী দক্ষিণ গাজার রাফাহ হাসপাতালের কাছে বিমান হামলা চালিয়েছে ইসরায়েল। এতে নারী ও শিশুসহ অন্তত ১২ জন নিহত হওয়া ছাড়াও কয়েক ডজন ফিলিস্তিনি আহত হয়েছেন। 

মধ্যপ্রাচ্যের বিশ্লেষক হেলেন ল্যাকনার বলেছেন, ‘প্রতিটি ঘণ্টা পার হচ্ছে, তা আরও একটি ঘণ্টা যেখানে শত শত ফিলিস্তিনি বোমা হামলার শিকার ও নিহত হচ্ছে। প্রতিটি বিলম্বই একটি বিলম্ব, যা ইসরায়েলিদের তাদের নিরলস বোমাবর্ষণ চালিয়ে যেতে দেয়।’

অন্যদিকে, ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু বলেছেন, হামাস গোষ্ঠীকে ধ্বংস না করা পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে যাবে ইসরায়েল বাহিনী। বুধবার এক ভিডিও বার্তায় এমন প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।

সংবাদ সংস্থা আনাদুলু জানিয়েছে, নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘আমরা শেষ পর্যন্ত যুদ্ধ চালিয়ে যাবো। হামাসকে নির্মূল না করে বিজয় না আনা পর্যন্ত এটি অব্যাহত থাকবে।’

সূত্র: আল-জাজিরা

;

গাজায় নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনায় ইসরায়েল

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরাইলের চলমান গণহত্যামূলক যুদ্ধের মধ্যেই গাজায় নতুন বসতি স্থাপনের পরিকল্পনার ঘোষণা দিয়েছে ইসরায়েলের রাষ্ট্রীয় রিয়েল এস্টেট কোম্পানি হ্যারে জাহাভ। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গাজার উপকূলীয় অঞ্চলে ‘সৈকত বাড়ি’ নির্মাণের পরিকল্পনা করছে। এ পরিকল্পনার অংশ হিসেবে কোম্পানির বিজ্ঞাপনে স্লোগান দেওয়া হয়েছে-‘সৈকতে বাড়ি স্বপ্ন নয়’। নীরবে নয় বরং বিশ্বকে দেখিয়েই পরিকল্পনাগুলো করছে। 

মুখে মুখে গাজা দখলের ইচ্ছে নেই বললেও এটাই যে তাদের মুখ্য উদ্দেশ্য এবার তারই প্রমাণ দিল ইসরায়েল। ইংল্যান্ডের কর্মী সারাহ উইলকিনসন মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বলেছেন, ‘একটি ইসরায়েলি রিয়েল এস্টেট ফার্ম ইতোমধ্যেই গণহত্যাকে অর্থায়ন করছে। ইসরায়েলের বোমা হামলায় সৃষ্ট গাজার সমতল ভূমিতে বসতি নির্মাণের নকশা তৈরি করছে।’ 

ইসরায়েলি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক মিসগাভ ইনস্টিটিউট ফর ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যান্ড জায়োনিস্ট স্ট্র্যাটেজি জানিয়েছে, বর্তমান সময়টি সমগ্র গাজা উপত্যকা খালি করার অনন্য এবং বিরল সুযোগ। ইসরাইলি সরকার বসতি স্থাপনকারী সংস্থাগুলোকে তহবিল দিয়ে থাকে। 

নাম গোপন রাখা অন্য একটি কোম্পানি বলেছে, আমরা হ্যারে জাহাভের জন্য দক্ষিণ গাজা উপত্যকার ‘গুশ কাতিফ’ অঞ্চলে মাঠ প্রস্তুত করার কাজ করছি। ইসরাইলের এ পদক্ষেপের নিন্দা করেছেন বিশেষজ্ঞরা। বলছেন, গাজাবাসীকে মিসরের সিনাই উপদ্বীপে জোরপূর্বক বিতাড়িত করার জন্য একটি পরিকল্পনার খসড়াও তৈরি করেছেন  ইসরাইলের গোয়েন্দামন্ত্রী গিলা গামলিয়েল। 

;

বাড়ছে হিজবুল্লাহ-ইসরায়েল যুদ্ধের আশঙ্কা

ছবি: সংগৃহীত

সম্প্রতি এই জরিপে দেখা যায় ইসরায়েলের ৫২ শতাংশ মানুষ অবিলম্বে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পক্ষে। 

নভেম্বরের শেষ দিকে পরিচালিত জনমত জরিপটিতে দেখা যায়, ইসরায়েলের ৫২ শতাংশ মানুষ অবিলম্বে হিজবুল্লাহর বিরুদ্ধে অভিযান চালানোর পক্ষে। অন্যদিকে মাত্র ৩৫ শতাংশ মানুষ এই যুদ্ধ শুরুর বিপক্ষে।

হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধের প্রস্তাব বাতিল করে দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু। কারণ সংঘাত আঞ্চলিক রূপ নিলে ইরানও জড়িয়ে পড়তে পারে। তবে হিজবুল্লাহর সঙ্গে ইসরায়েলের নতুন একটি যুদ্ধ অনিবার্য— এটা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করে ইসরায়েলি রাজনীতিক, জেনারেল ও সাধারণ জনগণ। 

গত ৭ অক্টোবর সকালে হামাসের হামলার খবর যখন প্রথমবারের মতো প্রকাশ পায়, ইতাই রুভেনি ও অন্য আপৎকালীন প্যারাট্রুপাররা তাদের ব্যাগ গুছিয়ে নেন। সেনাবাহিনী থেকে ডাক পড়ার আগেই জমায়েত হওয়ার স্থানে তারা চলে যান। কিন্তু দক্ষিণে গাজা সীমান্তে না গিয়ে উত্তর দিকের সীমান্তে যান। তাঁদের বিশ্বাস ছিল, সেখানে হামাসের চেয়ে বড় হুমকি হিসেবে রয়েছে যুদ্ধের জন্য প্রস্তুত তেহরান সমর্থিত লেবাননের সশস্ত্র সংগঠন হিজবুল্লাহ।

৪০ বছর বয়সী মাস্টার সার্জেন্ট ইতাই রুভেনি বেসামরিক জীবনে সন্ত্রাসীদের অর্থায়ন নিয়ে গবেষণা করেন। তিনি বলেন, দক্ষিণের ঘটনার পুনরাবৃত্তি যেন উত্তরে না ঘটতে পারে, সেটি নিশ্চিত করতেই তারা সেখানে এসেছেন। ইতাই রুভেনি আরও বলেন, ‘আমরা বুঝতে পেরেছি, হিজবুল্লাহ হামাসের চেয়ে অনেক বেশি আধুনিক। এই সীমান্তে কেবল তিন হাজার নন, আরও বেশি যোদ্ধা আসতে পারে। তা ছাড়া এই সমীকরণে ইরানও থাকবে। তাদের মোকাবিলা করতেই আমরা এখানে এসেছি।’

উল্লেখ্য, ইসরায়েলের জন্য হিজবুল্লাহকে বড় বিপদ হিসেবে শুধু রুভেনিই দেখছেন না। ৭ অক্টোবর হামাসের হামলার পর ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ট ও মন্ত্রিসভার অন্যান্য কট্টরপন্থী সদস্য লেবাননের এই সশস্ত্র গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে নিজেরাই আগে আক্রমণ চালানোর পক্ষে ছিলেন।

গত ২০০৬ সালে ইসরায়েল-লেবানন যুদ্ধের পর থেকে গত ১৭ বছর সীমান্তবর্তী এলাকাটি তুলনামূলক শান্ত ছিল। কিন্তু সে বছরই জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে গৃহীত ১৭০১ নম্বর প্রস্তাব অনুযায়ী শান্তির গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো কখনোই বাস্তবায়িত হয়নি।

;

গাজায় যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা নেতানিয়াহুর

ছবি: সংগৃহীত

ফিলিস্তিসের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে সম্পূর্ণ নির্মূল না করা পর্যন্ত গাজা উপত্যকায় যুদ্ধ চালিয়ে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু। 

সংবাদমাধ্যম আল জাজিরার প্রতিবেদনে এই তথ্য প্রকাশিত হয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বুধবার (২০ ডিসেম্বর) এক ভিডিও বার্তায় নেতানিয়াহু বলেছেন, ‘যারা ভাবছে যুদ্ধ থেমে যাবে, বাস্তবতার সঙ্গে তাদের কোনো সম্পর্ক নেই। আমরা হামাসকে নির্মূল করব। সব জিম্মিকে ছাড়িয়ে আনব এবং গাজা থেকে হুমকিকে নিশ্চিহ্ন করব।’

হামাসের জ্যেষ্ঠ নেতা গাজী হামাদ এর আগে কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ইসরায়েলের সঙ্গে জিম্মি মুক্তির যে আলোচনা চলছে; সেটির লক্ষ্য হলো যুদ্ধ থামানো।

তিনি আরও জানান, হামাস অস্থায়ী বা কয়েকদিনের জন্য যুদ্ধবিরতিতে রাজি হবে না। এরবদলে স্থায়ী যুদ্ধবিরতি চান তারা। তার দাবি, অস্থায়ী যুদ্ধবিরতির মাধ্যমে জিম্মিদের ছাড়িয়ে নিয়ে আবারও গাজায় গণহত্যা চালানো শুরু করবে ইসরায়েল।

নেতানিয়াহু যখন যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার হুমকি দিচ্ছেন, তখন জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে যুদ্ধ বন্ধ করা নিয়ে একটি প্রস্তাবের ওপর আলোচনা চলছিল। আজ বুধবার  এই প্রস্তাবের ওপর ভোটাভুটি হবে।

প্রস্তাবটির ওপর গত সোমবার ভোটাভুটি হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রস্তাবের ভাষায় যুক্তরাষ্ট্রের আপত্তি থাকায় সেটি দুইদিন পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে।

;

সংবাদটি প্রথম প্রকাশিত হয় বার্তা ২৪-এ।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *